ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
ইউনুস সরকারের কাউন্টডাউন শুরু, পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে
লকডাউন সফল করায় শেখ হাসিনার বিবৃতি “১৬ ও ১৭ নভেম্বর সারাদেশে আওয়ামী লীগের কমপ্লিট শাটডাউন”
বাংলাদেশি এমপিদের ‘অধিকার লঙ্ঘন হওয়ায়’ আইপিইউয়ের উদ্বেগ
উগ্রবাদী স্লোগানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন দিল শিবির-ইনকিলাব মঞ্চ
ঢাকা লকডাউন: গণপরিবহন সংকটে যাত্রীদের ভোগান্তি
ইউনুসের শাসনামলে গণতন্ত্রের নামে সহিংসতা! আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আগুন, রাষ্ট্রের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন
আটক স্কুলছাত্রের বিজয় চিহ্ন: ‘দাবায়া রাখতে পারবা না’
যথাযোগ্য মর্যাদায় কলকাতায় বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদযাপন
কলকাতায় যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস। সাম্প্রতিক ঢাকা-নয়াদিল্লি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি কলকাতায় বাংলাদেশের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান পালনে। বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের ছাড়াই বিজয় দিবস পালিত হতে পারে ফোর্ট উইলিয়ামে; এমন আশঙ্কা উড়িয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশের ৫৩তম মহান বিজয় দিবস পালন করল ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় শাখা।
সোমবার সকালে সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় সদর দপ্তর কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে ছিল নানা অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের স্থল-সেনাবাহিনী, নৌ-বাহিনী এবং বিমান-বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় শাখার শীর্ষ কর্মকর্তারা। তবে বাংলাদেশের কূটনৈতিক প্রতিনিধিদের কাউকে দেখা যায়নি ফোর্ট উইলিয়ামের অনুষ্ঠানে।
বিজয় দিবসের দিন বিশেষ অতিথি হয়ে ফোর্ট উইলিয়ামে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ থেকে আগত
মুক্তিযোদ্ধা এবং সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য এবং তাদের পরিজন মিলিয়ে ১৭ জনের এক প্রতিনিধি দল। সকালে ফোর্ট উইলিয়ামের মূল ফটকের কাছে অবস্থিত বিজয় স্মারক স্মৃতিস্তম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ভারতের সাবেক স্থল-সেনাপ্রধান জেনারেল শংকর রায় চৌধুরী, স্থল-সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রামচন্দ্র তিওয়ারি এবং দেশটির তিন বাহিনীর কর্মকর্তারা। বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে শহীদ স্মৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান মেজর জেনারেল আব্দুস সালাম চৌধুরী এনডিসি (অব.) এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আমিনুর রহমান। পরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ড. সি ভি আনন্দ বোস। এরপর একটি ফটোসেশনে অংশ নেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। এরপর সেনাবাহিনীর মাঠে আয়োজিত একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ সম্বলিত একটি প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন বাংলাদেশের
মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধি দলটি। সেদিনকার সেই স্মৃতিবিজড়িত দৃশ্য দেখে অনেকেই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। পরে ভারতীয় গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বিপি (অব.) বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে দরিদ্রতা। আমাদের দুই দেশকেই একত্রিত হয়ে সেই দরিদ্রতা দূর করতে হবে। আমাদের দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ভালো না থাকলে, ভালোবাসা না থাকলে দু-দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সাম্প্রতিক সময়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে কর্নেল কাজী সাজ্জাদ বলেন, ইতিহাসের অনেকগুলো পর্যায় আছে। সম্পর্কের উত্থান-পতন দুটিই হয়। পঁচাত্তরের নির্মম গণহত্যার পর একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আমরা সেটা ওভারকাম করতে পেরেছি। বাংলাদেশ অনেকগুলো সমস্যা হয়েছে, ভারতেও
অনেক পটপরিবর্তন হয়েছে। তারপরও আমরা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব রেখেছি, আমরা একইরকম আছি। আগেও ভারতে এসেছিলাম, কিন্তু এখন এসে দেখছি বন্ধুত্ব সেই একইরকম আছে। ভারতের মানুষ আমাকে ভালোবাসছে, এটাই ইতিহাস। ইতিহাস দুই-এক বছরে হয় না, এটা হাজার বছরে হয়। দুই দেশের মধ্যে ৫৩ বছরের ইতিহাস। সে দেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ নিয়ে আলী সাজ্জাদ বলেন, হিন্দুরা বাংলাদেশের নাগরিক। সেখানে কোথাও লেখা নেই যে ধর্মের ভিত্তিতে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এটা অবস্থানের ভিত্তিতে হচ্ছে। হিন্দুরা আমাদের ভাই, তারা বাংলাদেশেই থাকবে। বর্তমান ঘটনাটি কিছু সময়ের জন্য হয়েছে। আমি মনে করি- আগামী দিনে সম্পর্ক আরও ভালো হবে। এই অবস্থার পরিবর্তন হবে এবং আমরা
সঠিকভাবে সামনের দিকে এগোতে পারবো।
মুক্তিযোদ্ধা এবং সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য এবং তাদের পরিজন মিলিয়ে ১৭ জনের এক প্রতিনিধি দল। সকালে ফোর্ট উইলিয়ামের মূল ফটকের কাছে অবস্থিত বিজয় স্মারক স্মৃতিস্তম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ভারতের সাবেক স্থল-সেনাপ্রধান জেনারেল শংকর রায় চৌধুরী, স্থল-সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রামচন্দ্র তিওয়ারি এবং দেশটির তিন বাহিনীর কর্মকর্তারা। বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে শহীদ স্মৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান মেজর জেনারেল আব্দুস সালাম চৌধুরী এনডিসি (অব.) এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আমিনুর রহমান। পরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ড. সি ভি আনন্দ বোস। এরপর একটি ফটোসেশনে অংশ নেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। এরপর সেনাবাহিনীর মাঠে আয়োজিত একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ সম্বলিত একটি প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন বাংলাদেশের
মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধি দলটি। সেদিনকার সেই স্মৃতিবিজড়িত দৃশ্য দেখে অনেকেই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। পরে ভারতীয় গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বিপি (অব.) বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে দরিদ্রতা। আমাদের দুই দেশকেই একত্রিত হয়ে সেই দরিদ্রতা দূর করতে হবে। আমাদের দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ভালো না থাকলে, ভালোবাসা না থাকলে দু-দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সাম্প্রতিক সময়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে কর্নেল কাজী সাজ্জাদ বলেন, ইতিহাসের অনেকগুলো পর্যায় আছে। সম্পর্কের উত্থান-পতন দুটিই হয়। পঁচাত্তরের নির্মম গণহত্যার পর একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আমরা সেটা ওভারকাম করতে পেরেছি। বাংলাদেশ অনেকগুলো সমস্যা হয়েছে, ভারতেও
অনেক পটপরিবর্তন হয়েছে। তারপরও আমরা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব রেখেছি, আমরা একইরকম আছি। আগেও ভারতে এসেছিলাম, কিন্তু এখন এসে দেখছি বন্ধুত্ব সেই একইরকম আছে। ভারতের মানুষ আমাকে ভালোবাসছে, এটাই ইতিহাস। ইতিহাস দুই-এক বছরে হয় না, এটা হাজার বছরে হয়। দুই দেশের মধ্যে ৫৩ বছরের ইতিহাস। সে দেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ নিয়ে আলী সাজ্জাদ বলেন, হিন্দুরা বাংলাদেশের নাগরিক। সেখানে কোথাও লেখা নেই যে ধর্মের ভিত্তিতে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এটা অবস্থানের ভিত্তিতে হচ্ছে। হিন্দুরা আমাদের ভাই, তারা বাংলাদেশেই থাকবে। বর্তমান ঘটনাটি কিছু সময়ের জন্য হয়েছে। আমি মনে করি- আগামী দিনে সম্পর্ক আরও ভালো হবে। এই অবস্থার পরিবর্তন হবে এবং আমরা
সঠিকভাবে সামনের দিকে এগোতে পারবো।



