ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
চীনের সহায়তায় মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের ওপর ক্রমাগত বিমান হামলা: দখলকৃত এলাকা ফিরে পাচ্ছে জান্তা
চীনের সহায়তায় মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের ওপর ক্রমাগত বিমান হামলা: দখলকৃত এলাকা ফিরে পাচ্ছে জান্তা
সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলা হবে হোয়াইট হাউজের ইস্ট উইং
নির্যাতনে ক্ষতবিক্ষত আরও ৩০ ফিলিস্তিনির দেহ ফেরত দিলো ইসরায়েল
সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলা হবে হোয়াইট হাউজের ইস্ট উইং
চীন-যুক্তরাষ্ট্র এখন ভিন্ন ধরনের বাণিজ্য যুদ্ধে আছে- বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা
ল্যুভর থেকে চুরি হওয়া অলংকারের আর্থিক মূল্য প্রকাশ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্যে ভারত শুল্ক কমাতে সক্ষম, বাংলাদেশ কেন পিছিয়ে?
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে, কোনো নন-ডিসক্লোজার চুক্তি (এনডিএ) ছাড়াই ভারতীয় রপ্তানির উপর মার্কিন শুল্ক ৫০% থেকে সম্ভাব্য ১৫-১৬%-এ নামিয়ে আনার পথে এগিয়েছে। এদিকে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একই ধরনের শুল্ক হ্রাসের আলোচনায় কোনো অগ্রগতি অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে, যা দেশের রপ্তানি খাত, বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
ভারতের কৌশলগত সাফল্য
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে ২১ অক্টোবর ফোনালাপ এবং ভারতীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের নেতৃত্বে উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকগুলো শুল্ক হ্রাসের সম্ভাবনাকে ত্বরান্বিত করেছে। ভারত মার্কিন কৃষিপণ্য, যেমন কর্ন এবং সয়মিল, আমদানি বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং রাশিয়ান তেল আমদানি কিছুটা হ্রাস
করতে সম্মত হয়েছে। এই পারস্পরিক সুবিধার কৌশল ভারতকে এনডিএ ছাড়াই মার্কিন শুল্ক কমানোর আলোচনায় এগিয়ে রেখেছে। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, “আমরা একটি ন্যায়সঙ্গত বাণিজ্য চুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, যা আমাদের টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের জন্য বড় সম্ভাবনা তৈরি করবে।” অ্যাসিয়ান সম্মেলনে (অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ) এই চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ভারত-মার্কিন বাণিজ্যকে ২০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, যা ২০২৪ সালের আগস্টে ক্ষমতায় এসেছে, যুক্তরাষ্ট্র আরোপিত ৩৫% শুল্ক হ্রাসের ক্ষেত্রে কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি। বাংলাদেশের রপ্তানি, যার ৮০% তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাতের উপর নির্ভরশীল, মার্কিন বাজারে ১৫-২০% শুল্কের সম্মুখীন হচ্ছে। বরং
বাংলাদেশ এমন এক নন-ডিস্ক্লোজার এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর করে এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে, যার ফলে কি কি শর্তে বাংলাদেশ বাধ্য হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশুল্কে পণ্য রপ্তানি ধরে রাখতে, সেটাও দেশবাসীর এবং ব্যাবসায়ীদের অজানা। বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আমরা মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু অগ্রগতি ধীর। আমাদের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রভাব ভারতের তুলনায় সীমিত।” ব্যর্থতার মূল কারণ একক খাতকেন্দ্রিক রপ্তানি: বাংলাদেশের রপ্তানি প্রধানত পোশাক খাতের উপর নির্ভরশীল, যা আলোচনায় কম লিভারেজ প্রদান করে। ভারতের বিপরীতে, যারা টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যের মতো বৈচিত্র্যময় খাতের সুবিধা পেয়েছে, বাংলাদেশের একক নির্ভরতা দুর্বলতা হিসেবে কাজ করছে। কূটনৈতিক দুর্বলতা: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অভিজ্ঞতার অভাব এবং রাজনৈতিক
অস্থিরতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উচ্চ-পর্যায়ের আলোচনায় বাধা সৃষ্টি করেছে। ভারতের মতো শক্তিশালী কূটনৈতিক উপস্থিতি বাংলাদেশের নেই। অভ্যন্তরীণ সংস্কারের ঘাটতি: শ্রম নিরাপত্তা এবং কারখানা সংস্কারে অগ্রগতি থাকলেও, মার্কিন প্রশাসনের কাছে এটি এখনও পর্যাপ্ত নয়। ভারত দেশীয় শিল্প রক্ষার পাশাপাশি রপ্তানি প্রতিযোগিতা বাড়াতে কাঠামোগত সংস্কার করেছে, যা বাংলাদেশে ধীরগতির। মার্কিন অগ্রাধিকার: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে একটি কৌশলগত অংশীদার হিসেবে গুরুত্ব দেয়, বিশেষ করে চীনের বিরুদ্ধে ভূ-রাজনৈতিক ভারসাম্যের জন্য। বাংলাদেশ এই কৌশলগত গুরুত্বে পিছিয়ে রয়েছে। ঢাকার বাণিজ্য বিশ্লেষক মাহবুবুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশকে রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণ, যেমন ফার্মাসিউটিক্যালস এবং আইটি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এছাড়া, শ্রম সংস্কারে অগ্রগতি দেখিয়ে জিএসপি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা জোরদার করতে হবে।” বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন
(বিজিএমইএ) সতর্ক করে দিয়েছে যে, শুল্ক হ্রাস বা জিএসপি না পেলে মার্কিন বাজারে প্রতিযোগিতা হারানোর ঝুঁকি রয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মার্কিন রপ্তানি ৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, কিন্তু শুল্কের বোঝা প্রতিযোগিতায় প্রভাব ফেলছে। ভারতের শুল্ক হ্রাসের সম্ভাবনা দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্য গতিশীলতায় নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য এটি একটি শিক্ষণীয় উদাহরণ। তবে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, কূটনৈতিক তৎপরতা এবং অর্থনৈতিক সংস্কার না হলে বাংলাদেশ মার্কিন বাজারে ভারতের মতো সাফল্য অর্জন করতে পারবে না।
করতে সম্মত হয়েছে। এই পারস্পরিক সুবিধার কৌশল ভারতকে এনডিএ ছাড়াই মার্কিন শুল্ক কমানোর আলোচনায় এগিয়ে রেখেছে। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, “আমরা একটি ন্যায়সঙ্গত বাণিজ্য চুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, যা আমাদের টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের জন্য বড় সম্ভাবনা তৈরি করবে।” অ্যাসিয়ান সম্মেলনে (অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ) এই চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ভারত-মার্কিন বাণিজ্যকে ২০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, যা ২০২৪ সালের আগস্টে ক্ষমতায় এসেছে, যুক্তরাষ্ট্র আরোপিত ৩৫% শুল্ক হ্রাসের ক্ষেত্রে কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি। বাংলাদেশের রপ্তানি, যার ৮০% তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাতের উপর নির্ভরশীল, মার্কিন বাজারে ১৫-২০% শুল্কের সম্মুখীন হচ্ছে। বরং
বাংলাদেশ এমন এক নন-ডিস্ক্লোজার এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর করে এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে, যার ফলে কি কি শর্তে বাংলাদেশ বাধ্য হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশুল্কে পণ্য রপ্তানি ধরে রাখতে, সেটাও দেশবাসীর এবং ব্যাবসায়ীদের অজানা। বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আমরা মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু অগ্রগতি ধীর। আমাদের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রভাব ভারতের তুলনায় সীমিত।” ব্যর্থতার মূল কারণ একক খাতকেন্দ্রিক রপ্তানি: বাংলাদেশের রপ্তানি প্রধানত পোশাক খাতের উপর নির্ভরশীল, যা আলোচনায় কম লিভারেজ প্রদান করে। ভারতের বিপরীতে, যারা টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যের মতো বৈচিত্র্যময় খাতের সুবিধা পেয়েছে, বাংলাদেশের একক নির্ভরতা দুর্বলতা হিসেবে কাজ করছে। কূটনৈতিক দুর্বলতা: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অভিজ্ঞতার অভাব এবং রাজনৈতিক
অস্থিরতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উচ্চ-পর্যায়ের আলোচনায় বাধা সৃষ্টি করেছে। ভারতের মতো শক্তিশালী কূটনৈতিক উপস্থিতি বাংলাদেশের নেই। অভ্যন্তরীণ সংস্কারের ঘাটতি: শ্রম নিরাপত্তা এবং কারখানা সংস্কারে অগ্রগতি থাকলেও, মার্কিন প্রশাসনের কাছে এটি এখনও পর্যাপ্ত নয়। ভারত দেশীয় শিল্প রক্ষার পাশাপাশি রপ্তানি প্রতিযোগিতা বাড়াতে কাঠামোগত সংস্কার করেছে, যা বাংলাদেশে ধীরগতির। মার্কিন অগ্রাধিকার: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে একটি কৌশলগত অংশীদার হিসেবে গুরুত্ব দেয়, বিশেষ করে চীনের বিরুদ্ধে ভূ-রাজনৈতিক ভারসাম্যের জন্য। বাংলাদেশ এই কৌশলগত গুরুত্বে পিছিয়ে রয়েছে। ঢাকার বাণিজ্য বিশ্লেষক মাহবুবুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশকে রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণ, যেমন ফার্মাসিউটিক্যালস এবং আইটি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এছাড়া, শ্রম সংস্কারে অগ্রগতি দেখিয়ে জিএসপি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা জোরদার করতে হবে।” বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন
(বিজিএমইএ) সতর্ক করে দিয়েছে যে, শুল্ক হ্রাস বা জিএসপি না পেলে মার্কিন বাজারে প্রতিযোগিতা হারানোর ঝুঁকি রয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মার্কিন রপ্তানি ৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, কিন্তু শুল্কের বোঝা প্রতিযোগিতায় প্রভাব ফেলছে। ভারতের শুল্ক হ্রাসের সম্ভাবনা দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্য গতিশীলতায় নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য এটি একটি শিক্ষণীয় উদাহরণ। তবে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, কূটনৈতিক তৎপরতা এবং অর্থনৈতিক সংস্কার না হলে বাংলাদেশ মার্কিন বাজারে ভারতের মতো সাফল্য অর্জন করতে পারবে না।



