ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
মানুষ সংস্কার বোঝে না, তারা বোঝে ভোট: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সাধারণ মানুষ সংস্কার বোঝে না। তারা বোঝে আমি যেন আমরা ভোটটা দিতে পারি। আমার দেশে যেন শান্তি থাকে, জিনিসপত্রে দাম যেন কম হয়, মারামারি-চুরি-ডাকাতি যেন না হয়।
রোববার পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাকোয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি এ জনসভার আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা ভোট চাচ্ছি এ জন্য যে, ভোটটা দিতে পারলে আমরা আমাদের সঠিক লোক নির্বাচন করতে পারব। সেই লোক পার্লামেন্টে গিয়ে দেশের জন্য ভালো কাজ করবেন। আমাদের দেশটাকে সঠিকভাবে সাজিয়ে দেবেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা বলেছ- সংস্কারটা আমরা
চাই। ২০১৬ খালেদা জিয়া ভিশন বাংলাদেশ টোয়েন্টি-থার্টি দিয়েছিলেন। তারেক রহমান দুই বছর আগে ২০২২ সালে ৩১ দফা দিয়েছেন। এ ৩১ দফা কী? সংস্কার। লোকে বলে এই সংস্কার কী জিনিস? সাধারণ মানুষ সংস্কার অত বোঝে না। তারা বোঝে আমি যেন আমরা ভোটটা দিতে পারি। তিনি বলেন, অনেকেই বলে, একাত্তর ভুলে যাবে। একাত্তর সাল ও মুক্তিযুদ্ধকে আমরা ভুলতে পারি না। কারণ, একাত্তর সালে আমাদের একটি স্বাধীন দেশের জন্ম হয়েছে, নিজেকে চিনতে পেরেছি। বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, কথায় কথায় ঘুস দেবেন না, যে ঘুস চাইবে তাকে ধরে পুলিশে দেবেন। আপনারা বলবেন, পুলিশও তো ঘুস খাচ্ছে। ওই পুলিশকে আমরা পরিবর্তন করছি। পুলিশ এখন জনগণের
পুলিশ হবে। এ রকম একটা বাংলাদেশ আমরা চাচ্ছি। মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আওয়ামী লীগ আমাদের ওপর যে অত্যাচার করেছে তা আর কেউ করেনি। আমাদের আলেম-ওলামাদের অন্যায়ভাবে অত্যাচার করেছে, ফাঁসি দিয়েছে, আমাদের রাজনীবিদদের ধরে নিয়ে গেছে, জেল দিয়েছে- এসব যেন আর না হয়। অন্যায় যেন আর কেউ করতে না পারে, এ জন্য আমাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা দীর্ঘ ১৫ বছর ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। বারবার জেলে গিয়েছি। সারাদেশেই ভয়, ত্রাস ও ভীতির রাজত্ব তৈরি করেছিলেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। জনগণকে বোকা বানিয়ে তিন তিনটা নির্বাচন করে জোর করে ক্ষমতায় থেকেছেন। তিনি ভেবেছিলেন, কোনো দিন ক্ষমতাহারা
হবেন না। কিন্তু ফ্যাসিবাদের পরিণতি এমনই হয়, তিনি দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। ফখরুলের অভিযোগ, শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়ে ভারত থেকে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করছেন। মিথ্যা প্রচারণা চালানোর চেষ্টা করছেন। হিন্দু ভাইদের ওপর নাকি অত্যাচার হয়েছে। আমরা এ অঞ্চলের মানুষ শান্তিপ্রিয়। এখানে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই একসঙ্গে বসবাস করি। বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, আমাদের জন্য একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে। আমরা দেশকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে গড়ে তুলব। সবার ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চাই। সঠিক লোক নির্বাচিত হয়ে সংসদে গেলে দেশ ও জনগণের জন্য ভালো কাজ করবেন। পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় বিএনপির পল্লী উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদের সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য রাখেন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা
বেবী নাজনীন, কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন, বিএনপি রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, সহসাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, আব্দুল খালেক, জেলা বিএনপি আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু, যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলামসহ জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
চাই। ২০১৬ খালেদা জিয়া ভিশন বাংলাদেশ টোয়েন্টি-থার্টি দিয়েছিলেন। তারেক রহমান দুই বছর আগে ২০২২ সালে ৩১ দফা দিয়েছেন। এ ৩১ দফা কী? সংস্কার। লোকে বলে এই সংস্কার কী জিনিস? সাধারণ মানুষ সংস্কার অত বোঝে না। তারা বোঝে আমি যেন আমরা ভোটটা দিতে পারি। তিনি বলেন, অনেকেই বলে, একাত্তর ভুলে যাবে। একাত্তর সাল ও মুক্তিযুদ্ধকে আমরা ভুলতে পারি না। কারণ, একাত্তর সালে আমাদের একটি স্বাধীন দেশের জন্ম হয়েছে, নিজেকে চিনতে পেরেছি। বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, কথায় কথায় ঘুস দেবেন না, যে ঘুস চাইবে তাকে ধরে পুলিশে দেবেন। আপনারা বলবেন, পুলিশও তো ঘুস খাচ্ছে। ওই পুলিশকে আমরা পরিবর্তন করছি। পুলিশ এখন জনগণের
পুলিশ হবে। এ রকম একটা বাংলাদেশ আমরা চাচ্ছি। মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আওয়ামী লীগ আমাদের ওপর যে অত্যাচার করেছে তা আর কেউ করেনি। আমাদের আলেম-ওলামাদের অন্যায়ভাবে অত্যাচার করেছে, ফাঁসি দিয়েছে, আমাদের রাজনীবিদদের ধরে নিয়ে গেছে, জেল দিয়েছে- এসব যেন আর না হয়। অন্যায় যেন আর কেউ করতে না পারে, এ জন্য আমাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা দীর্ঘ ১৫ বছর ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। বারবার জেলে গিয়েছি। সারাদেশেই ভয়, ত্রাস ও ভীতির রাজত্ব তৈরি করেছিলেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। জনগণকে বোকা বানিয়ে তিন তিনটা নির্বাচন করে জোর করে ক্ষমতায় থেকেছেন। তিনি ভেবেছিলেন, কোনো দিন ক্ষমতাহারা
হবেন না। কিন্তু ফ্যাসিবাদের পরিণতি এমনই হয়, তিনি দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। ফখরুলের অভিযোগ, শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়ে ভারত থেকে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করছেন। মিথ্যা প্রচারণা চালানোর চেষ্টা করছেন। হিন্দু ভাইদের ওপর নাকি অত্যাচার হয়েছে। আমরা এ অঞ্চলের মানুষ শান্তিপ্রিয়। এখানে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই একসঙ্গে বসবাস করি। বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, আমাদের জন্য একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে। আমরা দেশকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে গড়ে তুলব। সবার ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চাই। সঠিক লোক নির্বাচিত হয়ে সংসদে গেলে দেশ ও জনগণের জন্য ভালো কাজ করবেন। পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় বিএনপির পল্লী উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদের সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য রাখেন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা
বেবী নাজনীন, কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন, বিএনপি রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, সহসাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, আব্দুল খালেক, জেলা বিএনপি আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু, যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলামসহ জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।