
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

তুরস্ক ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ সমর্থন করে: জেলেনস্কি

কিমের পরমাণু কার্যক্রমের হ্রাস টানতে তৎপর আইএইএ

চার জিম্মির লাশ হস্তান্তর করল হামাস

এবার ইসরাইলি হামলায় নিহত জিম্মিদের লাশ ফেরতের মঞ্চ করেছে হামাস

ফিলিস্তিনিদের বিতাড়নের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান আমিরাতের

গাজা পুনর্গঠনে প্রয়োজন ৫ হাজার ৩২০ কোটি মার্কিন ডলার

গাজায় ১১০০টির বেশি মসজিদ ধ্বংস করেছে ইসরাইল
ভারতে মুসলিম নামযুক্ত ৫৪ গ্রামের নাম পরিবর্তন নিয়ে তোলপাড়

সম্প্রতি ভারতের মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবের ঘোষণা অনুযায়ী, রাজ্যটির দেওয়াস জেলার ৫৪টি গ্রামের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সরকারের এই সিদ্ধান্ত ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
মুসলিম ঐতিহ্যবাহী ব্যক্তিদের নামে থাকা গ্রামগুলোর নাম পরিবর্তনের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের অনুভূতিকে সম্মান জানানো হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
তবে সমালোচকরা বলছেন, এই পদক্ষেপ কেবল সাম্প্রদায়িক বিভেদই বাড়াবে এবং অঞ্চলটির বহুত্ববাদী ঐতিহাসিক পরিচয়কে চিরতরে মুছে ফেলতে সাহায্য করবে।
কেন হচ্ছে এই নাম পরিবর্তন?
সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের পিপলরাওয়ান গ্রামের এক অনুষ্ঠানে বিজেপির দেওয়াস জেলা সভাপতি রাই সিং সেন্ধুর এ সংক্রান্ত প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী যাদব।
সেন্ধু দাবি করে বলেন, নাম পরিবর্তন স্থানীয় বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের চাওয়া
ছিল এবং এটি তাদের সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটাবে। এরপর মুখ্যমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেন। নাম পরিবর্তনের আওতাভুক্ত গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে: মুরাদপুর → মুরলিপুর হায়দারপুর → হিরাপুর শামসাবাদ → শ্যামপুর ইসলামনগর → ঈশ্বরপুর সমালোচনা ও প্রতিক্রিয়া বিজেপির নেতারা একে ‘সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার’ হিসেবে বর্ণনা করলেও ইতিহাসবিদরা বলছেন, এটি মূলত ঐতিহাসিক সত্যকে মুছে ফেলার প্রয়াস। ভোপালের ইতিহাসবিদ ড. মীরা শাহ বলেন, ‘এই অঞ্চলটি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বিভিন্ন সংস্কৃতির সংমিশ্রণে গড়ে উঠেছে। গ্রামগুলোর নাম পরিবর্তন করে ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা করা হচ্ছে’। সরভেশ নামের শামসাবাদের এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের গ্রামের নাম আমাদের পরিচয়ের অংশ। এটি পরিবর্তন করা আমাদের শেকড় ছিন্ন করার মতো’। রাজনৈতিক ও সামাজিক বিশ্লেষকদের মতে, রাজ্য সরকারের
এই পদক্ষেপ ভারতে ধর্মীয় বিভেদ আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। এ নিয়ে আয়েশা মালিক নামে স্থানীয় এক সাংবাদিক বলেন, ‘ভারত বহুত্ববাদী দেশ। এদেশে এ ধরনের সিদ্ধান্ত কেবল সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে বিভাজন ও দূরত্বই বাড়াবে’। এটাই প্রথম ঘটনা নয় মধ্যপ্রদেশে এবারই প্রথম নয়, আগেও হয়েছে নাম পরিবর্তন। চলতি বছরের জানুয়ারিতেই মধ্যপ্রদেশ সরকার শাজাপুর জেলায় ১১টি এবং উজ্জাইন জেলার ৩টি গ্রামের নাম পরিবর্তনের ঘোষণা দেয়। এর মধ্যে ‘মৌলানা’ গ্রামের নাম পরিবর্তন করে ‘বিক্রম নগর’ রাখা হয়। যা নিয়ে ওই সময় ব্যাপক বিতর্ক হয়েছিল। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত ভারতীয় সমাজে ঐক্য আনবে নাকি আরও বিভক্তি সৃষ্টি করবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে এটা স্পষ্ট যে, মধ্যপ্রদেশে ঐতিহাসিক পরিচয় ও
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ নিয়ে বিতর্ক এখনই শেষ হচ্ছে না। সূত্র: ইন্ডিয়া টিভি ও ইন্ডিয়া ক্লারিওন
ছিল এবং এটি তাদের সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটাবে। এরপর মুখ্যমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেন। নাম পরিবর্তনের আওতাভুক্ত গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে: মুরাদপুর → মুরলিপুর হায়দারপুর → হিরাপুর শামসাবাদ → শ্যামপুর ইসলামনগর → ঈশ্বরপুর সমালোচনা ও প্রতিক্রিয়া বিজেপির নেতারা একে ‘সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার’ হিসেবে বর্ণনা করলেও ইতিহাসবিদরা বলছেন, এটি মূলত ঐতিহাসিক সত্যকে মুছে ফেলার প্রয়াস। ভোপালের ইতিহাসবিদ ড. মীরা শাহ বলেন, ‘এই অঞ্চলটি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বিভিন্ন সংস্কৃতির সংমিশ্রণে গড়ে উঠেছে। গ্রামগুলোর নাম পরিবর্তন করে ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা করা হচ্ছে’। সরভেশ নামের শামসাবাদের এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের গ্রামের নাম আমাদের পরিচয়ের অংশ। এটি পরিবর্তন করা আমাদের শেকড় ছিন্ন করার মতো’। রাজনৈতিক ও সামাজিক বিশ্লেষকদের মতে, রাজ্য সরকারের
এই পদক্ষেপ ভারতে ধর্মীয় বিভেদ আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। এ নিয়ে আয়েশা মালিক নামে স্থানীয় এক সাংবাদিক বলেন, ‘ভারত বহুত্ববাদী দেশ। এদেশে এ ধরনের সিদ্ধান্ত কেবল সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে বিভাজন ও দূরত্বই বাড়াবে’। এটাই প্রথম ঘটনা নয় মধ্যপ্রদেশে এবারই প্রথম নয়, আগেও হয়েছে নাম পরিবর্তন। চলতি বছরের জানুয়ারিতেই মধ্যপ্রদেশ সরকার শাজাপুর জেলায় ১১টি এবং উজ্জাইন জেলার ৩টি গ্রামের নাম পরিবর্তনের ঘোষণা দেয়। এর মধ্যে ‘মৌলানা’ গ্রামের নাম পরিবর্তন করে ‘বিক্রম নগর’ রাখা হয়। যা নিয়ে ওই সময় ব্যাপক বিতর্ক হয়েছিল। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত ভারতীয় সমাজে ঐক্য আনবে নাকি আরও বিভক্তি সৃষ্টি করবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে এটা স্পষ্ট যে, মধ্যপ্রদেশে ঐতিহাসিক পরিচয় ও
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ নিয়ে বিতর্ক এখনই শেষ হচ্ছে না। সূত্র: ইন্ডিয়া টিভি ও ইন্ডিয়া ক্লারিওন