ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
যৌন পর্যটনের নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠছে এশিয়ার এই শহর, বাড়ছে ভিড়
পুতিনের নিশানায় এ বার আমেরিকা, ইউরোপ
পরমাণু কর্মসূচি আরও জোরদার করার ঘোষণা ইরানের
হজে মুচলেকা
লোকালয়ে ঢুকতেই রয়্যাল বেঙ্গলের উপর হামলা, নষ্ট হলো বাঘিনীর দু’টি চোখই
ভারতে বাংলায় কথা বলায় নারীকে ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে হেনস্তা, অতঃপর…
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে নিরাপদ থাকবে যেসব দেশ
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলই ছয়ে-ছয়…
গ্রাম থেকে শহর, উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গে সর্বত্রই তৃণমূলের দাপট। তৃণমূল কি ছয়ে-ছয় হবে? এই ছিল প্রশ্ন। উত্তর পাওয়া গেল শনিবার— তৃণমূলই ছয়ে-ছয়।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে শাসকদল তৃণমূল যে ‘একাধিপত্য’ দেখাতে চলেছে, সেই ইঙ্গিত ছিলই। তবে কৌতূহল ছিল, বিজেপির হাতে থাকা মাদারিহাট পদ্মশিবির ধরে রাখতে পারবে কি না। ফল ঘোষণার পরে দেখা গেল, তৃণমূল শুধু ছক্কাই হাঁকাল না, ইতিহাস গড়ে প্রথম বারের জন্য আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট বিধানসভা আসনে জোড়াফুল ফুটল।
ভোটের ফলাফলে বাকি পাঁচ আসনের মতো মাদারিহাটও বিজেপির ছন্নছাড়া অবস্থা বেআব্রু করে দিল। পাশাপাশিই আরও এক বার ভোটের ফল প্রমাণ করে দিল, বাংলায় বাম-কংগ্রেস এখন প্রান্তিক শক্তি। গ্রাম, শহর— কোনও আসনেই
তাদের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। একমাত্র হাড়োয়া আসনে বাম সমর্থিত আইএসএফ প্রার্থী পিয়ারুল ইসলাম দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। এই একটি আসনেই জামানত রয়েছে। বাকি পাঁচ আসনেই জামানত খুইয়েছেন বামপ্রার্থীরা। পৃথক ভাবে লড়ে ছ’টি আসনেই জামানত খুইয়েছে কংগ্রেস। রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ভোটের ফলাফল ‘প্রত্যাশিত’ই হয়েছে। তবে মাদারিহাটে ‘লড়াই’ হবে বলে তিনি ভেবেছিলেন। লড়াই হয়নি। বিজেপি কার্যত ‘আত্মসমর্পণ’ই করেছে শাসক শিবিরের কাছে। প্রসঙ্গত, এ যাবত কোনও ভোটেই মাদারিহাটে জিততে পারেনি তৃণমূল। চা-বাগান ঘেঁষা এই আসনটি ১৯৭৭ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত ছিল বামশরিক আরএসপি-র দখলে। ২০১৬ এবং ২০২১ সালের ভোটে এই আসনে জিতেছিলেন বিজেপির মনোজ টিগ্গা। সেই মনোজকে এ বার লোকসভায় দাঁড়
করিয়েছিল বিজেপি। আলিপুরদুয়ার আসন থেকে তিনি জিতে সাংসদ হয়েছেন। সে কারণেই মাদারিহাটে উপনির্বাচন হয়েছে। যে ভোটে জিতে বিধায়ক হতে চলেছেন তৃণমূলের জয়প্রকাশ টোপ্পো। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে মাদারিহাটে ২৯ হাজার ভোটে হেরেছিল তৃণমূল। তবে গত লোকসভায় সেই ব্যবধান অনেকটা কমে যায়। বিজেপি মাদারিহাট থেকে ১১ হাজার ভোটে ‘লিড’ পায়। অর্থাৎ, তিন বছরের মধ্যে ব্যবধান কমে যায় প্রায় ১৮ হাজার ভোটের। যাকে ‘ইতিবাচক’ বলেই মনে করেছিল তৃণমূল। মাদারিহাটের আদিবাসী মহল্লায় খ্রিস্টান ভোটে বিজেপির যে ‘আধিপত্য’ তৈরি হয়েছিল, তা-ও এ বার ভাঙা যাবে বলে ভোটের আগে থেকেই একান্ত আলোচনায় জানাচ্ছিলেন শাসকদলের নেতারা। উপনির্বাচনে খ্রিস্টান ভোটের ক্ষেত্রে বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ জন বার্লা কী ভূমিকা
নিচ্ছেন, বিজেপির প্রথম সারির নেতারা একান্ত আলোচনায় সে বিষয়েও সন্দেহ প্রকাশ করছিলেন। বার্লার ভূমিকা নিয়ে নানাবিধ জল্পনা ছিল। উপনির্বাচন পর্বেই তৃণমূল নেতাদের নিজের বাড়িতে ডেকে বৈঠক করেছিলেন বার্লা। যে ঘটনা বিজেপির ‘সন্দেহ’ কিছুটা বাড়িয়ে দিয়েছিল। ভোটের ফলাফলে দেখা গেল, পদ্মশিবিরের পোক্ত মাটিতে আঘাত হেনেছে তৃণমূল। এমনিতেই দলবদল করে বিজেপির নয়-নয় করে ১০ জন বিধায়ক তৃণমূলে চলে গিয়েছেন। এ বার জেতা মাদারিহাটও হারাল পদ্মশিবির। মাদারিহাটের তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ প্রকাশ চিক বরাইক বলেছেন, ‘‘মানুষ বিজেপির বিভাজনের রাজনীতিকে পরাস্ত করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের পক্ষে রায় দিয়েছে।’’ উল্লেখ্য, ভোটের আগেই প্রকাশ বলেছিলেন, ‘‘মাদারি হাটেও খেলা হবে।’’ হয়েছেও তাই।
তাদের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। একমাত্র হাড়োয়া আসনে বাম সমর্থিত আইএসএফ প্রার্থী পিয়ারুল ইসলাম দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। এই একটি আসনেই জামানত রয়েছে। বাকি পাঁচ আসনেই জামানত খুইয়েছেন বামপ্রার্থীরা। পৃথক ভাবে লড়ে ছ’টি আসনেই জামানত খুইয়েছে কংগ্রেস। রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ভোটের ফলাফল ‘প্রত্যাশিত’ই হয়েছে। তবে মাদারিহাটে ‘লড়াই’ হবে বলে তিনি ভেবেছিলেন। লড়াই হয়নি। বিজেপি কার্যত ‘আত্মসমর্পণ’ই করেছে শাসক শিবিরের কাছে। প্রসঙ্গত, এ যাবত কোনও ভোটেই মাদারিহাটে জিততে পারেনি তৃণমূল। চা-বাগান ঘেঁষা এই আসনটি ১৯৭৭ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত ছিল বামশরিক আরএসপি-র দখলে। ২০১৬ এবং ২০২১ সালের ভোটে এই আসনে জিতেছিলেন বিজেপির মনোজ টিগ্গা। সেই মনোজকে এ বার লোকসভায় দাঁড়
করিয়েছিল বিজেপি। আলিপুরদুয়ার আসন থেকে তিনি জিতে সাংসদ হয়েছেন। সে কারণেই মাদারিহাটে উপনির্বাচন হয়েছে। যে ভোটে জিতে বিধায়ক হতে চলেছেন তৃণমূলের জয়প্রকাশ টোপ্পো। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে মাদারিহাটে ২৯ হাজার ভোটে হেরেছিল তৃণমূল। তবে গত লোকসভায় সেই ব্যবধান অনেকটা কমে যায়। বিজেপি মাদারিহাট থেকে ১১ হাজার ভোটে ‘লিড’ পায়। অর্থাৎ, তিন বছরের মধ্যে ব্যবধান কমে যায় প্রায় ১৮ হাজার ভোটের। যাকে ‘ইতিবাচক’ বলেই মনে করেছিল তৃণমূল। মাদারিহাটের আদিবাসী মহল্লায় খ্রিস্টান ভোটে বিজেপির যে ‘আধিপত্য’ তৈরি হয়েছিল, তা-ও এ বার ভাঙা যাবে বলে ভোটের আগে থেকেই একান্ত আলোচনায় জানাচ্ছিলেন শাসকদলের নেতারা। উপনির্বাচনে খ্রিস্টান ভোটের ক্ষেত্রে বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ জন বার্লা কী ভূমিকা
নিচ্ছেন, বিজেপির প্রথম সারির নেতারা একান্ত আলোচনায় সে বিষয়েও সন্দেহ প্রকাশ করছিলেন। বার্লার ভূমিকা নিয়ে নানাবিধ জল্পনা ছিল। উপনির্বাচন পর্বেই তৃণমূল নেতাদের নিজের বাড়িতে ডেকে বৈঠক করেছিলেন বার্লা। যে ঘটনা বিজেপির ‘সন্দেহ’ কিছুটা বাড়িয়ে দিয়েছিল। ভোটের ফলাফলে দেখা গেল, পদ্মশিবিরের পোক্ত মাটিতে আঘাত হেনেছে তৃণমূল। এমনিতেই দলবদল করে বিজেপির নয়-নয় করে ১০ জন বিধায়ক তৃণমূলে চলে গিয়েছেন। এ বার জেতা মাদারিহাটও হারাল পদ্মশিবির। মাদারিহাটের তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ প্রকাশ চিক বরাইক বলেছেন, ‘‘মানুষ বিজেপির বিভাজনের রাজনীতিকে পরাস্ত করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের পক্ষে রায় দিয়েছে।’’ উল্লেখ্য, ভোটের আগেই প্রকাশ বলেছিলেন, ‘‘মাদারি হাটেও খেলা হবে।’’ হয়েছেও তাই।