
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

ব্যাংককে ড. ইউনূস-মোদির মধ্যে বৈঠক অনিশ্চিত

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে সুষ্ঠুভাবে উত্তরণে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

কেমন খরচ পড়বে স্টারলিংক পরিষেবার?

বিচারপতির বাড়িতে আগুন নেভাতে গিয়ে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার

সমতাকে এগিয়ে নিতে জোরালো বৈশ্বিক সহযোগিতা ও বিনিয়োগের আহ্বান বাংলাদেশের

গণমাধ্যমে ছুটির গেজেট চায় জার্নালিস্ট কমিউনিটি

ঈদযাত্রার প্রথমদিনই কর্মবিরতির হুমকি
বিশ্বের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত কারাগার গাজা

অবরুদ্ধ গাজা। চারদিকে শুধু নেই নেই-খাবার নেই, পানি নেই, ওষুধ নেই। ত্রাণ সরবরাহে ইসরাইলের বাধায় দিনের পর দিন আধা বেলা-এক বেলা-আধ পেটা দিন যাচ্ছে। অনাহারে, অপুষ্টিতে কাতর ফিলিস্তিনিরা। প্রায় দুই দশক ধরে শ্বাসরোধ করে রাখা এই অবরোধ গাজাকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত কারাগারে পরিণত করেছে। চলতে থাকা এই কয়েদি দশার মধ্যেই আবারও ইসরাইলের ‘অদম্য আগ্রাসন’র কবলে পড়েছে গাজা-আমাদের ৩৬৫ বর্গকিলোমিটারের ভূস্বর্গ। নিষ্ঠুর পৃথিবীর বুকে আমাদের এক ফালি সুখ।
১৮ মার্চ। দুই দশক ধরে অবরুদ্ধ উপত্যকাটির বিরুদ্ধে গণহত্যার নতুন তরঙ্গ শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। এ দিন গাজায় নির্বিচারে হামলা চালায় সেনারা। ঘুমন্ত জনপদের ওপর এ অতর্কিত আক্রমণে ১৭৩ শিশু, ৮৮ জন নারী
এবং ৩২ জন বয়স্ক বেসামরিক নাগরিকসহ ৪৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হন। এটি শুধু একটি ভয়াবহ প্রাণহানির ঘটনাই ছিল না বরং চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারিতে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির সরাসরি লঙ্ঘন ছিল। মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় এবং যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে হওয়া এই চুক্তিটি ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এ যুদ্ধের অবসান ঘটানোর উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। তবে এটির অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। যার জেরে আবারও ভয়ংকর ইসরাইলি আগ্রাসনের কবলে পড়ে গাজা। যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি যুদ্ধ বন্ধের একটি স্পষ্ট পথ তৈরি করেছিল। এটি তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত ছিল। প্রথম ধাপে গাজার বেশিরভাগ এলাকা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার, বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের প্রত্যাবর্তন এবং মানবিক সহায়তার বিষয়গুলো নির্ধারিত ছিল। দ্বিতীয়টিতে গাজা
থেকে ইসরাইলি সেনাদের পূর্ণ প্রত্যাহার এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। তৃতীয় ধাপে গাজা পুনর্গঠন এবং উপত্যকাটি থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার ওপর আলোকপাত করা হয়। তত্ত্বগতভাবে, এটি ছিল গাজার টেকসই শান্তির লক্ষ্য। যা দীর্ঘস্থায়ী এই সংঘাতের সমাধানের পথ খুলে দিতে পারত। কিন্তু নিমিষেই সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দেয় ইসরাইল। প্রথম ধাপ শুরু হওয়ার কিছুদিন পর থেকেই মুখোশ বদলায় ইসরাইল। দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানায়। অবশেষে লঙ্ঘন করে চুক্তির শর্ত। ৪২ দিনের প্রথম ধাপেও তারা চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। প্রায় ১০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এই সময়ে। আহত হয়েছেন আরও শত শত ফিলিস্তিনি। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে সেনা প্রত্যাহার, ফিলিস্তিনি
বন্দিদের মুক্তি এবং সম্মত মানবিক সহায়তা বাস্তবায়নের মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো বিলম্বিত করেছে। চুক্তির বাস্তবায়ন কার্যকর করতে ব্যর্থ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যখন চুক্তিটি রক্ষা করার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন ইসরাইল তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। যুদ্ধ শেষ করার কোনো প্রতিশ্র“তি ছাড়াই তারা বাকি জিম্মিদের মুক্তির জন্য চাপ অব্যাহত রেখেছিল। আলোচনা প্রক্রিয়া চলাকালীন হামাসের ইতিবাচক এবং নমনীয় আচরণ সত্ত্বেও সামরিক অভিযান দীর্ঘায়িত করার জন্য আলোচনাকেই একটি হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে শুরু করে তারা। যখন তাদের কৌশলগুলো ব্যর্থ হয় তখনই আবারও শুরু করে আক্রমণ (১৮ মার্চ)। শুরু হয় গণহত্যা। যুদ্ধবিরতি অগ্রগতির অবশিষ্ট আশা ভেঙে টুকরো করে দেয়। আবারও গাজাকে ঠেলে দেয় রক্তপাতের দিকে।
এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে গুরুত্বর উদ্বেগের জš§ দেয়। বিশেষ করে নজর পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার ওপরই। যুদ্ধবিরতির মূল চালিকাশক্তি হিসাবে দেশটির দায়িত্ব ছিল দুই পক্ষকেই চুক্তির নির্দেশনা মেনে চলা নিশ্চিত করা। তা তো করেইনি, বরং ইসরাইলকে শুরু থেকেই কূটনৈতিক ও সামরিক সহায়তা প্রদান করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। যাই হোক না কেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পূর্ণরূপে বহাল রাখতে হবে। শুরু থেকেই যেভাবে বলা হয়েছিল সেভাবেই বাস্তবায়ন করতে হবে। অবরোধ যা গাজাকে বিশ্বের বৃহত্তম উš§ুক্ত কারাগারে পরিণত করেছে তা প্রত্যাহার করতে হবে এবং কোনো বাধা ছাড়াই মানবিক সাহায্য সরবরাহ করতে হবে। ফিলিস্তিনে যদি আন্তর্জাতিক মানবিক আইন সংরক্ষণ না করা হয় তাহলে বিশ্বে ‘বন্য আইন’
প্রাধান্য পাবে। বিশ্ব যদি চোখ বন্ধ করে থাকে তাহলে সহিংসতার চক্র অব্যাহত থাকবে। কিন্তু আন্তুর্জাতিক সম্প্রদায় যদি সিদ্ধান্তমূলকভাবে পদক্ষেপ বেছে নেয়, চুক্তি মেনে চলার দাবি করে, বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে এবং একটি ন্যায়সঙ্গত সমাধানকে সমর্থন করে তাহলে যুদ্ধ ও দুর্ভোগমুক্ত ভবিষ্যতের আশা এখনো রয়েছে। এখনই সময় বিশ্ববাসীর সঠিক অবস্থান নেওয়ার। ফিলিস্তিনিদের তাদের আÍনিয়ন্ত্রণের অধিকার, সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং শরণার্থীদের তাদের ঘরে ফিরিয়ে আনার সুযোগ করে দেওয়ার। পরিশেষে, আমি বাংলাদেশের মানুষের কাছে এই বার্তাটি পৌঁছে দিতে চাই- ফিলিস্তিনিদের প্রতি আপনাদের অটল সমর্থনের জন্য আমরা গভীর কৃতজ্ঞ। অন্ধকারের মধ্যে আপনাদের সংহতি আশার আলো হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা আপনাদের কাছে মানবিক সহায়তা
এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই গণহত্যা বন্ধ করার জন্য গাজার পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করছি।
এবং ৩২ জন বয়স্ক বেসামরিক নাগরিকসহ ৪৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হন। এটি শুধু একটি ভয়াবহ প্রাণহানির ঘটনাই ছিল না বরং চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারিতে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির সরাসরি লঙ্ঘন ছিল। মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় এবং যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে হওয়া এই চুক্তিটি ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এ যুদ্ধের অবসান ঘটানোর উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। তবে এটির অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। যার জেরে আবারও ভয়ংকর ইসরাইলি আগ্রাসনের কবলে পড়ে গাজা। যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি যুদ্ধ বন্ধের একটি স্পষ্ট পথ তৈরি করেছিল। এটি তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত ছিল। প্রথম ধাপে গাজার বেশিরভাগ এলাকা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার, বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের প্রত্যাবর্তন এবং মানবিক সহায়তার বিষয়গুলো নির্ধারিত ছিল। দ্বিতীয়টিতে গাজা
থেকে ইসরাইলি সেনাদের পূর্ণ প্রত্যাহার এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। তৃতীয় ধাপে গাজা পুনর্গঠন এবং উপত্যকাটি থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার ওপর আলোকপাত করা হয়। তত্ত্বগতভাবে, এটি ছিল গাজার টেকসই শান্তির লক্ষ্য। যা দীর্ঘস্থায়ী এই সংঘাতের সমাধানের পথ খুলে দিতে পারত। কিন্তু নিমিষেই সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দেয় ইসরাইল। প্রথম ধাপ শুরু হওয়ার কিছুদিন পর থেকেই মুখোশ বদলায় ইসরাইল। দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানায়। অবশেষে লঙ্ঘন করে চুক্তির শর্ত। ৪২ দিনের প্রথম ধাপেও তারা চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। প্রায় ১০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এই সময়ে। আহত হয়েছেন আরও শত শত ফিলিস্তিনি। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে সেনা প্রত্যাহার, ফিলিস্তিনি
বন্দিদের মুক্তি এবং সম্মত মানবিক সহায়তা বাস্তবায়নের মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো বিলম্বিত করেছে। চুক্তির বাস্তবায়ন কার্যকর করতে ব্যর্থ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যখন চুক্তিটি রক্ষা করার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন ইসরাইল তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। যুদ্ধ শেষ করার কোনো প্রতিশ্র“তি ছাড়াই তারা বাকি জিম্মিদের মুক্তির জন্য চাপ অব্যাহত রেখেছিল। আলোচনা প্রক্রিয়া চলাকালীন হামাসের ইতিবাচক এবং নমনীয় আচরণ সত্ত্বেও সামরিক অভিযান দীর্ঘায়িত করার জন্য আলোচনাকেই একটি হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে শুরু করে তারা। যখন তাদের কৌশলগুলো ব্যর্থ হয় তখনই আবারও শুরু করে আক্রমণ (১৮ মার্চ)। শুরু হয় গণহত্যা। যুদ্ধবিরতি অগ্রগতির অবশিষ্ট আশা ভেঙে টুকরো করে দেয়। আবারও গাজাকে ঠেলে দেয় রক্তপাতের দিকে।
এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে গুরুত্বর উদ্বেগের জš§ দেয়। বিশেষ করে নজর পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার ওপরই। যুদ্ধবিরতির মূল চালিকাশক্তি হিসাবে দেশটির দায়িত্ব ছিল দুই পক্ষকেই চুক্তির নির্দেশনা মেনে চলা নিশ্চিত করা। তা তো করেইনি, বরং ইসরাইলকে শুরু থেকেই কূটনৈতিক ও সামরিক সহায়তা প্রদান করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। যাই হোক না কেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পূর্ণরূপে বহাল রাখতে হবে। শুরু থেকেই যেভাবে বলা হয়েছিল সেভাবেই বাস্তবায়ন করতে হবে। অবরোধ যা গাজাকে বিশ্বের বৃহত্তম উš§ুক্ত কারাগারে পরিণত করেছে তা প্রত্যাহার করতে হবে এবং কোনো বাধা ছাড়াই মানবিক সাহায্য সরবরাহ করতে হবে। ফিলিস্তিনে যদি আন্তর্জাতিক মানবিক আইন সংরক্ষণ না করা হয় তাহলে বিশ্বে ‘বন্য আইন’
প্রাধান্য পাবে। বিশ্ব যদি চোখ বন্ধ করে থাকে তাহলে সহিংসতার চক্র অব্যাহত থাকবে। কিন্তু আন্তুর্জাতিক সম্প্রদায় যদি সিদ্ধান্তমূলকভাবে পদক্ষেপ বেছে নেয়, চুক্তি মেনে চলার দাবি করে, বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে এবং একটি ন্যায়সঙ্গত সমাধানকে সমর্থন করে তাহলে যুদ্ধ ও দুর্ভোগমুক্ত ভবিষ্যতের আশা এখনো রয়েছে। এখনই সময় বিশ্ববাসীর সঠিক অবস্থান নেওয়ার। ফিলিস্তিনিদের তাদের আÍনিয়ন্ত্রণের অধিকার, সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং শরণার্থীদের তাদের ঘরে ফিরিয়ে আনার সুযোগ করে দেওয়ার। পরিশেষে, আমি বাংলাদেশের মানুষের কাছে এই বার্তাটি পৌঁছে দিতে চাই- ফিলিস্তিনিদের প্রতি আপনাদের অটল সমর্থনের জন্য আমরা গভীর কৃতজ্ঞ। অন্ধকারের মধ্যে আপনাদের সংহতি আশার আলো হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা আপনাদের কাছে মানবিক সহায়তা
এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই গণহত্যা বন্ধ করার জন্য গাজার পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করছি।