বাসায় তল্লাশি চালিয়ে আওয়ামী গ্রেফতারের নির্দেশ – ইউ এস বাংলা নিউজ




বাসায় তল্লাশি চালিয়ে আওয়ামী গ্রেফতারের নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২২ এপ্রিল, ২০২৫ | ৮:৫৪ 46 ভিউ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের রক্তের দাগ না মুছতেই রাজধানীতে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। প্রায় প্রতিদিনই রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে চোরাগোপ্তা বিক্ষোভ মিছিল করছে তারা। মিছিলে অংশ নেওয়া অনেকের বিরুদ্ধেই ছাত্র-জনতা হত্যার মামলা রয়েছে। এসব মিছিল ঠেকাতে সরকারের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কড়া নির্দেশ দিলেও খুব একটা কাজে আসছে না। ফলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা নিয়ে চলছে সমালোচনার ঝড়। এমন বাস্তবতায় রাজধানীতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সব ধরনের অপতৎপরতা ঠেকাতে মাঠ পুলিশকে কঠোর বার্তা দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। সক্রিয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাসায় বাসায় তল্লাশি চালিয়ে তাদের গ্রেফতারে সব

ধরনের ব্যবস্থা নিতে ডিএমপির ক্রাইম ও গোয়েন্দা বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সিআইএমএস (সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) ফরম পূরণের মাধ্যমে রাজধানীর কোন এলাকায় কে থাকেন, কারা রাজধানী ছেড়েছে এবং নতুন করে কারা প্রবেশ করেছে সেসব তথ্য সংগ্রহের ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। গ্রেফতারি পরোয়ানা ও মামলা নিষ্পতি কম হওয়ায় ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন তিনি। চিহ্নিত অপরাধী গ্রেফতারে নিয়মিত ব্লকরেইড দেওয়াসহ এসব বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনার। সোমবার রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এসব নির্দেশনা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার

(ট্রাফিক) মো. সরওয়ার; (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এসএন মো. নজরুল ইসলাম; (সিটিটিসি) মো. মাসুদ করিমসহ যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপপুলিশ কমিশনার ও সব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি), বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন মার্চ-২০২৫ মাসের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি যেমন-ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি, সিঁধেল চুরি, খুন, অপমৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন মামলাসংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন ও পর্যালোচনা করেন। মাসিক অপরাধ সভায় মার্চ মাসে ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও জননিরাপত্তা বিধানসহ ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসাবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অনেকে নতুন করে ঢাকায় আসছেন আবার

অনেকে ঢাকা ছেড়েছেন। পটপরিবর্তনের পর রাজধানীতে কারা কোথায় বসবাস করছেন তাদের বিষয়ে তথ্য নিতে নাগরিক তথ্য হালনাগাদকরণে বা সিআইএমএস (সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) ফরম পূরণের ওপর জোর দিয়েছেন কমিশনার। মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপির মামলা, গ্রেফতারসহ নানা পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়। সেখানে দেখা গেছে, মামলা যে হারে রুজু হচ্ছে সে হারে নিষ্পত্তি হচ্ছে না। এছাড়া ওয়ারেন্ট তামিলের বা গ্রেফতারি পরোয়ানা বাস্তবায়নের হারও কম। যে হারে আদালত থেকে ওয়ারেন্ট তামিল হচ্ছে সে হারে নিষ্পত্তি হচ্ছে না। পেন্ডিং ওয়ারেন্টের সংখ্যাই বেশি থাকছে। এর ফলে অনেক আসামি সুযোগ নিচ্ছে। এসব বিষয় উলে­খ করে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে সভায়। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মারামারি,

হানাহানি চলছে। এসব বন্ধ করতে কার্যকর উদ্যোগ নিতেও নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনার। আগের মতো এলাকার মানুষের সহযোগিতা নিয়ে পুলিশিং করার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপির উপকমিশনারদের (ডিসি) বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম অফিসাররা যে যে বিষয়ে দক্ষ তাকে সেই বিষয়ে কাজ করাতে হবে। ট্রাফিক বিভাগের পুলিশের উদ্দেশে কমিশনার বলেছেন, আপনারা আরেকটু সচেতন ও সহনশীল হবেন। হুটহাট রিকশা ড্রাইভারকে মারধর করবেন না। তারা অন্যায় করলে প্রসিকিউশন করেন। কিন্তু তাদের সঙ্গে অবশ্যই মানবিক আচরণ করবেন। ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী ওসিদের উদ্দেশে বলেছেন, আমলযোগ্য অপরাধের ঘটনায় অবশ্যই মামলা নিতে হবে। কোনো ঘটনা আড়াল করা যাবে না। মামলার

রহস্য উদঘাটন করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। অপরাধ যাতে না ঘটে তার জন্য প্রতিরোধমূলক পুলিশি কার্যক্রম বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, সর্বোচ্চ বিনয়ী থেকে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোনো অবস্থায়ই দৃষ্টিকটু ও অপেশাদার আচরণ করা যাবে না। ডিএমপির প্রতিটি থানার ওসিকে মামলা তদন্ত করতে হবে। থানা এলাকার প্রতিটি ভবনের সিকিউরিটি গার্ডদের সঙ্গে থানার টহল টিমের সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোনো অপরাধের তথ্য তাদের কাছে থাকলে তারা যেন পুলিশকে সেই তথ্য প্রদান করে সেভাবে কাজ করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
রিটার্ন জমা দিলে পাবেন যেসব ছাড় নেতানিয়াহুর ওপর খেপলেন ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী ৩২ নম্বর ভাঙার ঘটনাকে বীভৎস মববাজি বললেন রুমিন ফারহানা খোঁজ মিলল সেই ডিজিএমের, কোথায় ছিলেন তিনি সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক সাইফ পাওয়ার টেকের অধ্যায় শেষ, চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বে নৌবাহিনী গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার ‘পাগল তত্ত্ব’ ব্যবহার করে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প রকেট চালিত গ্রেনেড দিয়ে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে। অভিষেকেই ইতিহাস, ডাবল সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়া অলরাউন্ডারের বিশ্বরেকর্ড যেভাবে কোলেস্টেরল কমাবেন মার্কিন-ইসরায়েলি ত্রাণকেন্দ্রে খাবার নিতে এসে নিহত ৭৪৩ ফিলিস্তিনি আফগানদের ইরান ছাড়ার শেষ দিন আজ, কাল থেকে গ্রেপ্তার নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সোমবার থেকে এনসিটি চালাবে ড্রাইডক রেস্ট হাউজে ‘নারীসহ’ ওসিকে আটকে ‘চাঁদাবাজির’ অভিযোগ সাজা মাথায় নিয়ে ঘুরছিলেন ধামাকার চেয়ারম্যান মোজতবা আলী ক্লাব বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে কে কার মুখোমুখি? টেক্সাসে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫১, নিখোঁজ শিশুদের খুঁজছেন উদ্ধারকারীরা জাতীয় শোকের মাস উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের আগস্ট মাসব্যাপী কর্মসূচি