বাজেট মূল্যস্ফীতি ও বিনিয়োগ সংকট মোকাবেলা করতে পারবে না

প্রস্তাবিত বাজেট বৈষম্য, বেকারত্ব, মূল্যস্ফীতি ও বিনিয়োগ সংকট মোকাবিলা করতে পারবে না বলে মনে করছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
বাম জোট বলেছে, গতানুগতিক পথে হেঁটে যে বাজেট ঘোষণা করা হলো, তা সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষা করবে না। এই বাজেটে বৈষম্যহীনতা ও টেকসই উন্নয়ন ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা বলা হলেও বাস্তবে মুক্তবাজারের পুরনো ধারাবাহিকতার পুনরাবৃত্তি ঘটানো হয়েছে, যা বৈষম্য, বেকারত্ব, মূল্যস্ফীতি ও বিনিয়োগ সংকট, কোনোটাই মোকাবিলা করতে পারবে না।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাম জোট নেতারা এই মন্তব্য করেন।
বিবৃতিদাতারা হলেন— বাম জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ সাধারণ সম্পাদক বজলুর
রশিদ ফিরোজ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী)’র সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী প্রমুখ। বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বিরাট কোনো প্রত্যাশা না থাকলেও সাধারণ মানুষ আশা করেছিল, বাজেটে তাদের জীবনের স্বস্তির পদচিহ্ন দেখতে পাবে। কিন্তু আমরা দেখলাম সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি সার্বজনীন রেশন ব্যবস্থা, জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার কোনো প্রতিফলন নাই। লুটেরা এবং দুর্নীতিবাজদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে ওই টাকা স্বাস্থ্য শিক্ষাসহ সরাসরি সাধারণ মানুষের স্বার্থের কল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করার আকাঙ্খা থাকলেও তার ছিটেফোঁটা পর্যন্ত নাই। বরং প্রতিদিন লুটেরা পুঁজিবাদী শাসকদের ধারাবাহিকতায় অনুপার্জিত
আয়কে বৈধতা দেওয়ার জন্য সংবিধান বহির্ভূতভাবে কালো টাকাকে সাদা করার বিধান রাখা হয়েছে। যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, স্বচ্ছতা জবাবদিহিতার কথা বলা হলেও এই বাজেট প্রণয়নের আগে দেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সাথে কোনো পরামর্শ করা হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার এই কাজটি করার মধ্য দিয়ে বাজেট প্রণয়নে মানুষের আকাঙ্খার কথা শুনতে পারতেন। এটি না শোনার ফলে প্রদত্ত বাজেট সাধারণ মানুষের কল্যাণে কোনো ভূমিকা রাখবে না, বরং পূর্বের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হবে। বিবৃতিতে নেতারা বলেন, আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করলাম যে, প্রবৃদ্ধির যে টার্গেট ধরা হয়েছে তা মোটেই অর্জিত হবে না। মূল্যস্ফীতি যথাযথভাবে কমানো যাবে বলে মনে হচ্ছে না।
এছাড়া বৈষম্য দূর করার কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ না থাকায় দেশে বেকারত্ব ও দারিদ্র্য আরো বাড়বে। তারা আরো বলেন, দেশের কৃষিকাজ গার্মেন্টসসহ শিল্প শ্রমিক ও মেহনতি মানুষ, বিদেশে অবস্থানরত শ্রমজীবী মানুষ এবং এসএমসি খাত দেশকে, দেশের অর্থনীতিকে সফল রেখেছে।
রশিদ ফিরোজ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী)’র সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী প্রমুখ। বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বিরাট কোনো প্রত্যাশা না থাকলেও সাধারণ মানুষ আশা করেছিল, বাজেটে তাদের জীবনের স্বস্তির পদচিহ্ন দেখতে পাবে। কিন্তু আমরা দেখলাম সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি সার্বজনীন রেশন ব্যবস্থা, জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার কোনো প্রতিফলন নাই। লুটেরা এবং দুর্নীতিবাজদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে ওই টাকা স্বাস্থ্য শিক্ষাসহ সরাসরি সাধারণ মানুষের স্বার্থের কল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করার আকাঙ্খা থাকলেও তার ছিটেফোঁটা পর্যন্ত নাই। বরং প্রতিদিন লুটেরা পুঁজিবাদী শাসকদের ধারাবাহিকতায় অনুপার্জিত
আয়কে বৈধতা দেওয়ার জন্য সংবিধান বহির্ভূতভাবে কালো টাকাকে সাদা করার বিধান রাখা হয়েছে। যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, স্বচ্ছতা জবাবদিহিতার কথা বলা হলেও এই বাজেট প্রণয়নের আগে দেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সাথে কোনো পরামর্শ করা হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার এই কাজটি করার মধ্য দিয়ে বাজেট প্রণয়নে মানুষের আকাঙ্খার কথা শুনতে পারতেন। এটি না শোনার ফলে প্রদত্ত বাজেট সাধারণ মানুষের কল্যাণে কোনো ভূমিকা রাখবে না, বরং পূর্বের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হবে। বিবৃতিতে নেতারা বলেন, আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করলাম যে, প্রবৃদ্ধির যে টার্গেট ধরা হয়েছে তা মোটেই অর্জিত হবে না। মূল্যস্ফীতি যথাযথভাবে কমানো যাবে বলে মনে হচ্ছে না।
এছাড়া বৈষম্য দূর করার কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ না থাকায় দেশে বেকারত্ব ও দারিদ্র্য আরো বাড়বে। তারা আরো বলেন, দেশের কৃষিকাজ গার্মেন্টসসহ শিল্প শ্রমিক ও মেহনতি মানুষ, বিদেশে অবস্থানরত শ্রমজীবী মানুষ এবং এসএমসি খাত দেশকে, দেশের অর্থনীতিকে সফল রেখেছে।