
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

আসন্ন বাজেটে তামাকপণ্যে কার্যকর করারোপের দাবি ছাত্র-তরুণদের

বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে অপসারণ

সেনানিবাসে আশ্রয় নেয়া ৬২৬ জনের তালিকা প্রকাশ করল আইএসপিআর

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগের কথা ভাবছেন দাবি নাহিদ ইসলামের

চলমান পরিস্থিতিতে কাজ করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন ড. ইউনূস: নাহিদ ইসলাম

শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় বাংলাদেশ

‘মব ভায়োলেন্স, করিডর ও বন্দর’ নিয়ে কড়া বার্তা সেনাপ্রধানের
বাজেটে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাটা জরুরি

‘দেশের বাজেট প্রণয়ন ও এর পরিকল্পনায় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরাট একটি ঘাটতি রয়েছে। বাজেটকে জনগণের বাজেট বলা হলেও শুধু একটি নির্দিষ্ট হাউজ থেকে এর পরিকল্পনা করা হয়। যেখানে প্রান্তিক পর্যায়ের জনগণের মতামত নেয়া হয় না। বাজেটকে কেন্দ্রের মধ্যে এককভাবে আটকে না রেখে আঞ্চলিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও তার সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সিদ্ধান্ত নেবে ওই অঞ্চলে কী ধরনের বরাদ্দ প্রয়োজন। বাজেটে যেহেতু জনগণের কথা বলা হচ্ছে তাহলে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাটা জরুরি।’
‘পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষায় সুষম অর্থায়ন ও ন্যায্যতা’ শিরোনামে ডেমোক্রেটিক বাজেট মুভমেন্ট (ডিবিএম) আয়োজিত ‘জন-বাজেট সংসদ ২০২৫’ শীর্ষক আলোচনার প্রথম অধিবেশনে বক্তারা এসব কথা বলেন। প্রথম অধিবেশনের বিষয় ছিল
‘বাজেট প্রক্রিয়ার সংস্কার, জনঅংশগ্রহণ ও বাজেট বরাদ্দে ন্যায্যতা।’ বুধবারের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকারের সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘এ দেশের বাজেটটি একপ্রকার মন্ত্রণালয়ের বাজেট। সেখানে জনগণের মতামত নেয়া হয় না। তবে বাজেট মন্ত্রণালয় ও আঞ্চলিক পর্যায় দুই ক্ষেত্রেই হতে পারে। কেন্দ্রে বসে কেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাজেট ঠিক করতে হবে? প্রান্তিক পর্যায়ে কোথায় কি বাজেট হবে সেটা ওই অঞ্চলের মানুষ ঠিক করবে। আমি মনে করি একটি জেলায় কী বাজেট হবে, কী পরিকল্পনা হবে, সেটি ওই জেলা পরিষদ ঠিক করতে পারে। জেলার সব অফিসারকে নিয়ে পরিকল্পনা করবে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিয়ে টাস্কফোর্স তৈরি হবে। তার পরে
সিদ্ধান্ত নেবে কে কত টাকা জোগান দিতে পারবে। এখান থেকেই বাজেটের পরিকল্পনার একটি রূপরেখা পাওয়া যাবে। আমরা মনে করি আগামী দিনে জেলাভিত্তিক পরিকল্পনা, বাজেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাজেটকে বিকেন্দ্রীকরণ করার একটি অন্যতম উপায় হবে আঞ্চলিক বাজেট।’ অধিবেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ। তিনি বলেন, ‘বাজেটে জনগণের কথা বলা হচ্ছে কিন্তু তাদের কথা বলার সঠিক কোনো পন্থা নেই। এবারের বাজেটের প্রথম ও প্রধান কাজ হবে এসএমই সেক্টরের উন্নয়ন, বন্ধ কারখানা খোলা, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরি ও পরোক্ষ কর কমানোর বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে দেখা। উদ্যোক্তা তৈরিতে ফান্ড তৈরি করতে হবে।
উদ্যোক্তা তৈরি করলে তাহলে অর্থনীতি সচল হবে এবং অর্থনীতি সচল হলে আমরা রাজস্ব বাড়বে। পরোক্ষ কর চাপিয়ে না দিয়ে আগে তাকে সক্রিয় করতে হবে। সে আয় করলে রাজস্ব আসবে। আগের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে নতুনভাবে কাজ করতে হবে। এখন রাজনৈতিক সরকার না থাকায় এখনই জনগণের কথা বলার সময় এসেছে।’ বাজেটের মূল উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দেখা যায় না। ফলে প্রত্যক্ষ করের বদলে পরোক্ষ কর বাড়ছে বলে মনে করেন বিজনেস ইনিসিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্টের (বিল্ড) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা বেগম। তিনি বলেন, ‘আমাদের বাজেটে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ঘাটতি আছে। বাজেটের মূল উদ্দেশ্য ছিল ধনী সম্প্রদায়ের কাছ থেকে করের মাধ্যমে অর্থ নিয়ে যাদের বেশি প্রয়োজন তাদের কাছে
সুষম বণ্টন করবে। দেশে প্রত্যক্ষ করের চেয়ে পরোক্ষ কর আদায় করা হয় অনেক বেশি। এখানে একটি সংস্কার আনা প্রয়োজন। যে প্রক্রিয়ায় কর আহরণ করা হচ্ছে সেটিও উন্মুক্ত করা দরকার। আমরা চাই এবারের বাজেট দেশের ৯ কোটি তরুণের জন্য ক্রিয়েটিভ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সৃষ্টি, জেন্ডার বাজেট বাড়ানো ও সামাজিক সুরক্ষা যেন বিনিয়োগভিত্তিক হবে।’ বাজেটে যেন প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের একটি মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনের কথা ভেবে করা হয় সেদিকে সরকারকে নজর দেয়ার আহ্বান জানান মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম। তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে বাজেট হয়ে গেছে, এখন কাজ হচ্ছে বাজেট কীভাবে বাস্তবায়ন হবে। সেখানে আমাদের ভালোভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে। আমরা চাই এবারের বাজেট প্রান্তিক
জনগোষ্ঠী যেন একটি মর্যাদাসম্পন্ন জীবনযাপন করতে পারবে, সেটা ভেবে করা হয়।’ অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের হেড অব প্রোগ্রাম অ্যান্ড এনগেজমেন্ট কাজী মোরশেদ আলম বলেন, ‘জনগণের বাজেট বলা হলেও প্রায়োগিক ক্ষেত্রে তা দেখা যায় না। আমাদের বাজেট হয় টপ ডাউন অ্যাপ্রোচে, বটম আপ অ্যাপ্রোচে না। এখানে মন্ত্রণালয়গুলো তাদের বাজেট দেয় কিন্তু সেখানে স্থানীয় পর্যায়ের মানুষের সম্পৃক্ততা কতটুকু?’ ডিবিএম সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার মোস্তফা বলেন, ‘বাংলাদেশের বাজেট ও পরিকল্পনা যেভাবে করা হয় সেখানে ভয়ংকর রকমের গণতন্ত্রের ঘাটতি আছে। জনগণের সম্পৃক্ত করতে হলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা দরকার। আগেও এবং এখনো বাজেট তৈরিতে জনগণের অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ নেই। এখানে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার অভাব আছে। আমাদের প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রে কীভাবে বাজেটকে গণতান্ত্রিক
করা যায় তার একটা কাঠামো তৈরি করতে হবে।’ ডিবিএমের সহসভাপতি আমানুর রহমান বলেন, ‘জনগণের মতামতের ভিত্তিতে ও তাদের চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে বাজেট প্রণয়নই একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। বাজেট শুধু সংখ্যার খেলা নয়, এটি একটি নীতিনির্ধারণী দলিল, যা মানুষের জীবনের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। তাই জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে এবং তথ্যভিত্তিক আলোচনার মাধ্যমে বাজেট প্রণয়ন করতে হবে।’ ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপের (ইআরজি) নির্বাহী পরিচালক ড. সাজ্জাদ জহির বলেন, ‘এ বাজেটকে সামনে রেখেই আমরা যদি সংস্কারধর্মী কিছু আনতে পারি সেই চেষ্টা আছে। আমি একটা গাছ লাগালাম, কিন্তু সেটি আমি ধরতেই পারি না, কারণ সিটি করপোরেশন সেখানে বাধা দেবে। এখানে আমরা যদি কার্যকরভাবে কিছু করতে পারি, সেটা ভাবা হচ্ছে। আইনি বাধা দূর করাই আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য।’ তিনি বলেন, ‘বাজেট নিয়ে আলোচনার একবারে শেষ পর্যায়ে আছি আমরা। এখন কিছু সংস্কারধর্মী বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনাটা করতে পারি। স্থানীয় পর্যায়ে কোনো উদ্যাগ গ্রহণের ক্ষেত্রে কোথায় কোথায় বাধা সেগুলো শনাক্ত করে সে জায়গাগুলোয় আমরা কাজ করতে পারি কিনা সেটা ভাবা উচিত। আরেকটা কথা হচ্ছে আমাদের উচিত বাজেট নিয়ে একটি ঐক্য করা। যেখানে আর্থিক, ব্যাংকিং বিষয়গুলো যুক্ত করতে পারি।’
‘বাজেট প্রক্রিয়ার সংস্কার, জনঅংশগ্রহণ ও বাজেট বরাদ্দে ন্যায্যতা।’ বুধবারের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকারের সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘এ দেশের বাজেটটি একপ্রকার মন্ত্রণালয়ের বাজেট। সেখানে জনগণের মতামত নেয়া হয় না। তবে বাজেট মন্ত্রণালয় ও আঞ্চলিক পর্যায় দুই ক্ষেত্রেই হতে পারে। কেন্দ্রে বসে কেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাজেট ঠিক করতে হবে? প্রান্তিক পর্যায়ে কোথায় কি বাজেট হবে সেটা ওই অঞ্চলের মানুষ ঠিক করবে। আমি মনে করি একটি জেলায় কী বাজেট হবে, কী পরিকল্পনা হবে, সেটি ওই জেলা পরিষদ ঠিক করতে পারে। জেলার সব অফিসারকে নিয়ে পরিকল্পনা করবে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিয়ে টাস্কফোর্স তৈরি হবে। তার পরে
সিদ্ধান্ত নেবে কে কত টাকা জোগান দিতে পারবে। এখান থেকেই বাজেটের পরিকল্পনার একটি রূপরেখা পাওয়া যাবে। আমরা মনে করি আগামী দিনে জেলাভিত্তিক পরিকল্পনা, বাজেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাজেটকে বিকেন্দ্রীকরণ করার একটি অন্যতম উপায় হবে আঞ্চলিক বাজেট।’ অধিবেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ। তিনি বলেন, ‘বাজেটে জনগণের কথা বলা হচ্ছে কিন্তু তাদের কথা বলার সঠিক কোনো পন্থা নেই। এবারের বাজেটের প্রথম ও প্রধান কাজ হবে এসএমই সেক্টরের উন্নয়ন, বন্ধ কারখানা খোলা, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরি ও পরোক্ষ কর কমানোর বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে দেখা। উদ্যোক্তা তৈরিতে ফান্ড তৈরি করতে হবে।
উদ্যোক্তা তৈরি করলে তাহলে অর্থনীতি সচল হবে এবং অর্থনীতি সচল হলে আমরা রাজস্ব বাড়বে। পরোক্ষ কর চাপিয়ে না দিয়ে আগে তাকে সক্রিয় করতে হবে। সে আয় করলে রাজস্ব আসবে। আগের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে নতুনভাবে কাজ করতে হবে। এখন রাজনৈতিক সরকার না থাকায় এখনই জনগণের কথা বলার সময় এসেছে।’ বাজেটের মূল উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দেখা যায় না। ফলে প্রত্যক্ষ করের বদলে পরোক্ষ কর বাড়ছে বলে মনে করেন বিজনেস ইনিসিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্টের (বিল্ড) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা বেগম। তিনি বলেন, ‘আমাদের বাজেটে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ঘাটতি আছে। বাজেটের মূল উদ্দেশ্য ছিল ধনী সম্প্রদায়ের কাছ থেকে করের মাধ্যমে অর্থ নিয়ে যাদের বেশি প্রয়োজন তাদের কাছে
সুষম বণ্টন করবে। দেশে প্রত্যক্ষ করের চেয়ে পরোক্ষ কর আদায় করা হয় অনেক বেশি। এখানে একটি সংস্কার আনা প্রয়োজন। যে প্রক্রিয়ায় কর আহরণ করা হচ্ছে সেটিও উন্মুক্ত করা দরকার। আমরা চাই এবারের বাজেট দেশের ৯ কোটি তরুণের জন্য ক্রিয়েটিভ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সৃষ্টি, জেন্ডার বাজেট বাড়ানো ও সামাজিক সুরক্ষা যেন বিনিয়োগভিত্তিক হবে।’ বাজেটে যেন প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের একটি মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনের কথা ভেবে করা হয় সেদিকে সরকারকে নজর দেয়ার আহ্বান জানান মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম। তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে বাজেট হয়ে গেছে, এখন কাজ হচ্ছে বাজেট কীভাবে বাস্তবায়ন হবে। সেখানে আমাদের ভালোভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে। আমরা চাই এবারের বাজেট প্রান্তিক
জনগোষ্ঠী যেন একটি মর্যাদাসম্পন্ন জীবনযাপন করতে পারবে, সেটা ভেবে করা হয়।’ অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের হেড অব প্রোগ্রাম অ্যান্ড এনগেজমেন্ট কাজী মোরশেদ আলম বলেন, ‘জনগণের বাজেট বলা হলেও প্রায়োগিক ক্ষেত্রে তা দেখা যায় না। আমাদের বাজেট হয় টপ ডাউন অ্যাপ্রোচে, বটম আপ অ্যাপ্রোচে না। এখানে মন্ত্রণালয়গুলো তাদের বাজেট দেয় কিন্তু সেখানে স্থানীয় পর্যায়ের মানুষের সম্পৃক্ততা কতটুকু?’ ডিবিএম সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার মোস্তফা বলেন, ‘বাংলাদেশের বাজেট ও পরিকল্পনা যেভাবে করা হয় সেখানে ভয়ংকর রকমের গণতন্ত্রের ঘাটতি আছে। জনগণের সম্পৃক্ত করতে হলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা দরকার। আগেও এবং এখনো বাজেট তৈরিতে জনগণের অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ নেই। এখানে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার অভাব আছে। আমাদের প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রে কীভাবে বাজেটকে গণতান্ত্রিক
করা যায় তার একটা কাঠামো তৈরি করতে হবে।’ ডিবিএমের সহসভাপতি আমানুর রহমান বলেন, ‘জনগণের মতামতের ভিত্তিতে ও তাদের চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে বাজেট প্রণয়নই একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। বাজেট শুধু সংখ্যার খেলা নয়, এটি একটি নীতিনির্ধারণী দলিল, যা মানুষের জীবনের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। তাই জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে এবং তথ্যভিত্তিক আলোচনার মাধ্যমে বাজেট প্রণয়ন করতে হবে।’ ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপের (ইআরজি) নির্বাহী পরিচালক ড. সাজ্জাদ জহির বলেন, ‘এ বাজেটকে সামনে রেখেই আমরা যদি সংস্কারধর্মী কিছু আনতে পারি সেই চেষ্টা আছে। আমি একটা গাছ লাগালাম, কিন্তু সেটি আমি ধরতেই পারি না, কারণ সিটি করপোরেশন সেখানে বাধা দেবে। এখানে আমরা যদি কার্যকরভাবে কিছু করতে পারি, সেটা ভাবা হচ্ছে। আইনি বাধা দূর করাই আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য।’ তিনি বলেন, ‘বাজেট নিয়ে আলোচনার একবারে শেষ পর্যায়ে আছি আমরা। এখন কিছু সংস্কারধর্মী বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনাটা করতে পারি। স্থানীয় পর্যায়ে কোনো উদ্যাগ গ্রহণের ক্ষেত্রে কোথায় কোথায় বাধা সেগুলো শনাক্ত করে সে জায়গাগুলোয় আমরা কাজ করতে পারি কিনা সেটা ভাবা উচিত। আরেকটা কথা হচ্ছে আমাদের উচিত বাজেট নিয়ে একটি ঐক্য করা। যেখানে আর্থিক, ব্যাংকিং বিষয়গুলো যুক্ত করতে পারি।’