
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
বাজারে সবজির সেঞ্চুরি: ১০০ টাকার নিচে মিলছে না কিছুই

রাজধানীর পাঁচটি বড় বাজার ঘুরে দেখা গেছে—১০০ টাকার নিচে সবজি খুঁজে পাওয়া বলতে গেলে কঠিন হয়ে গেছে। বৃষ্টিতে সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় সবজির বাজার চড়া, ফলে সাধারণ ক্রেতাদের নাভিশ্বাস। টাউনহল, মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড, রায়েরবাজার, মহাখালী ও কারওয়ানবাজার কাঁচাবাজার—সবখানেই ৯০ থেকে ২৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ সবজি।
শুক্রবার সকালে টাউনহল ও মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ঢ্যাঁড়স, চিচিঙ্গা, ধুন্দল, বরবটি, করলা ও কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। প্রতিটি লাউয়ের দামও একই। শিমের কেজি ২০০ টাকা, তাল বেগুন ও কাঁচামরিচ ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবুজ বেগুন ১৫০ টাকা, আর লম্বা বেগুন ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতা আলতাব
হোসেন বলেন, “বৃষ্টিতে চাষিরা মাঠ থেকে সবজি তুলতে পারছে না, সরবরাহ কমে গেছে। দাম একটু বাড়তেই পারে। আমরা নিজেরাও বেশি দামে কিনে আনছি।” মোহাম্মদপুরের গৃহিণী হালিমা বেগম বলেন, “আগে হাজার টাকায় তিন দিনের সবজি হতো, এখন একদিনেই শেষ হয়ে যায়। ১০০ টাকার নিচে তো কিছুই নেই।” রায়েরবাজার বাসস্ট্যান্ডের ক্রেতা আবুল মিয়া বলেন, “এই বাজারে দাম সবচেয়ে বেশি। কারওয়ানবাজার থেকে এক হাজার টাকায় যা কেনা যায়, এখানে তার জন্য লাগে প্রায় ১৩০০ টাকা।” রাজধানীর পাইকারি বাজার হিসেবে পরিচিত কারওয়ানবাজার কাঁচাবাজারে দাম কিছুটা সহনীয়। ঢ্যাঁড়স, চিচিঙ্গা, ধুন্দল, বরবটি ও কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৮০ টাকায়। এখানে শিম কেজি প্রতি ১৮০ টাকা, তাল বেগুন
২০০ টাকা, বেগুন ১২০–১৪০ টাকা এবং কাঁচামরিচ ১৮০–২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে সস্তায় মিলছে পেঁপে, ২৫ টাকা কেজি। বিক্রেতা মো. বশির বলেন, “সারাদেশে বৃষ্টি চলছে, সরবরাহ কমে গেছে। তবে কারওয়ানবাজারে এখনো পাইকারি আসায় দাম তুলনামূলক কম।” মহাখালী কাঁচাবাজারে টাউনহলের মতোই দামের চিত্র। লাউ, বরবটি ও করলা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়, বেগুন ১৩০ টাকা, আর কাঁচামরিচ ২০০ টাকায়। বিক্রেতা বাবুল বলেন, “আমরা ঢাকার বাইরে থেকে পণ্য আনতে বেশি ভাড়া দিচ্ছি। তেলের দামও বেড়েছে। তাই খরচ মেটাতে দাম বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই।” রায়েরবাজারের দোকানি মো. ইকবাল বলেন, “গত মাসে যে সবজি ৭০–৮০ টাকায় বিক্রি করেছি, এখন তা ১২০ টাকা ছাড়াই বিক্রি করতে পারছি
না। ক্রেতারা রেগে যাচ্ছেন, কিন্তু আমরা কী করব?” মাছ-মাংসে স্থিতিশীলতা সবজির বাজারে অস্থিরতা থাকলেও মাছ ও মাংসের বাজারে বড় কোনো পরিবর্তন হয়নি। কারওয়ানবাজারে রুই মাছ কেজি প্রতি ৩২০ থেকে ৩৬০ টাকা, তেলাপিয়া ও পাঙ্গাশ ১৮০–২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭৮০ টাকা, খাসির ১২০০ টাকা, ছাগলের ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির দাম ১৭৫–১৮০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩০০ টাকা, হাইব্রিড সোনালি ২৮০ টাকায়। ডিমের দাম অপরিবর্তিত—ফার্মের ডিমের হালি ৪৫ টাকা, হাঁসের ডিমের হালি ৭০ টাকা। রায়েরবাজারের গৃহিণী সুলতানা কবির বলেন, “সরকার যদি নিয়মিত তদারকি করত, তাহলে ৪০ টাকার সবজি ১০০ টাকায় উঠত না।” অন্যদিকে মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক মনে করেন, প্রতিটি বাজারে
মূল্যতালিকা প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করা উচিত। নইলে কেউই জবাবদিহি করবে না। বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, কেবল বৃষ্টি নয়—সরবরাহ চেইনের অদক্ষতা, মধ্যস্বত্বভোগীর প্রভাব ও প্রশাসনিক দুর্বলতাও দামের ঊর্ধ্বগতির পেছনে দায়ী। পরিবেশ অর্থনীতিবিদ ড. এ এস এম শরীফ আহমদ বলেন, “যে পণ্য পাইকারি বাজারে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়, তা খুচরায় ১২০ টাকা হয়—এখানে স্পষ্ট মধ্যস্বত্বভোগীর লাভের সুযোগ কাজ করছে। তদারকি বাড়ানো না হলে এই দামের আগুন নেভানো কঠিন হবে।”
হোসেন বলেন, “বৃষ্টিতে চাষিরা মাঠ থেকে সবজি তুলতে পারছে না, সরবরাহ কমে গেছে। দাম একটু বাড়তেই পারে। আমরা নিজেরাও বেশি দামে কিনে আনছি।” মোহাম্মদপুরের গৃহিণী হালিমা বেগম বলেন, “আগে হাজার টাকায় তিন দিনের সবজি হতো, এখন একদিনেই শেষ হয়ে যায়। ১০০ টাকার নিচে তো কিছুই নেই।” রায়েরবাজার বাসস্ট্যান্ডের ক্রেতা আবুল মিয়া বলেন, “এই বাজারে দাম সবচেয়ে বেশি। কারওয়ানবাজার থেকে এক হাজার টাকায় যা কেনা যায়, এখানে তার জন্য লাগে প্রায় ১৩০০ টাকা।” রাজধানীর পাইকারি বাজার হিসেবে পরিচিত কারওয়ানবাজার কাঁচাবাজারে দাম কিছুটা সহনীয়। ঢ্যাঁড়স, চিচিঙ্গা, ধুন্দল, বরবটি ও কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৮০ টাকায়। এখানে শিম কেজি প্রতি ১৮০ টাকা, তাল বেগুন
২০০ টাকা, বেগুন ১২০–১৪০ টাকা এবং কাঁচামরিচ ১৮০–২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে সস্তায় মিলছে পেঁপে, ২৫ টাকা কেজি। বিক্রেতা মো. বশির বলেন, “সারাদেশে বৃষ্টি চলছে, সরবরাহ কমে গেছে। তবে কারওয়ানবাজারে এখনো পাইকারি আসায় দাম তুলনামূলক কম।” মহাখালী কাঁচাবাজারে টাউনহলের মতোই দামের চিত্র। লাউ, বরবটি ও করলা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়, বেগুন ১৩০ টাকা, আর কাঁচামরিচ ২০০ টাকায়। বিক্রেতা বাবুল বলেন, “আমরা ঢাকার বাইরে থেকে পণ্য আনতে বেশি ভাড়া দিচ্ছি। তেলের দামও বেড়েছে। তাই খরচ মেটাতে দাম বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই।” রায়েরবাজারের দোকানি মো. ইকবাল বলেন, “গত মাসে যে সবজি ৭০–৮০ টাকায় বিক্রি করেছি, এখন তা ১২০ টাকা ছাড়াই বিক্রি করতে পারছি
না। ক্রেতারা রেগে যাচ্ছেন, কিন্তু আমরা কী করব?” মাছ-মাংসে স্থিতিশীলতা সবজির বাজারে অস্থিরতা থাকলেও মাছ ও মাংসের বাজারে বড় কোনো পরিবর্তন হয়নি। কারওয়ানবাজারে রুই মাছ কেজি প্রতি ৩২০ থেকে ৩৬০ টাকা, তেলাপিয়া ও পাঙ্গাশ ১৮০–২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭৮০ টাকা, খাসির ১২০০ টাকা, ছাগলের ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির দাম ১৭৫–১৮০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩০০ টাকা, হাইব্রিড সোনালি ২৮০ টাকায়। ডিমের দাম অপরিবর্তিত—ফার্মের ডিমের হালি ৪৫ টাকা, হাঁসের ডিমের হালি ৭০ টাকা। রায়েরবাজারের গৃহিণী সুলতানা কবির বলেন, “সরকার যদি নিয়মিত তদারকি করত, তাহলে ৪০ টাকার সবজি ১০০ টাকায় উঠত না।” অন্যদিকে মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক মনে করেন, প্রতিটি বাজারে
মূল্যতালিকা প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করা উচিত। নইলে কেউই জবাবদিহি করবে না। বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, কেবল বৃষ্টি নয়—সরবরাহ চেইনের অদক্ষতা, মধ্যস্বত্বভোগীর প্রভাব ও প্রশাসনিক দুর্বলতাও দামের ঊর্ধ্বগতির পেছনে দায়ী। পরিবেশ অর্থনীতিবিদ ড. এ এস এম শরীফ আহমদ বলেন, “যে পণ্য পাইকারি বাজারে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়, তা খুচরায় ১২০ টাকা হয়—এখানে স্পষ্ট মধ্যস্বত্বভোগীর লাভের সুযোগ কাজ করছে। তদারকি বাড়ানো না হলে এই দামের আগুন নেভানো কঠিন হবে।”