
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

ছয় প্রকল্পে বাড়তি খরচ ১৫ হাজার কোটি টাকা

রেলওয়ের পাঁচটি প্রকল্পের মধ্যে তিনটিতে অর্থায়ন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিলো ভারত

বীর বিক্রম ড. কর্নেল অলি আহমদ : দুর্নীতি, ক্ষমতা ও লোভ যাকে কখনই স্পর্শ করেনি

প্রধান উপদেষ্টার কাছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর

৫ কোটি টাকার ইয়াবাসহ রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৪

বিশ্বের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত কারাগার গাজা

ব্যাংককে ড. ইউনূস-মোদির মধ্যে বৈঠক অনিশ্চিত
বাংলাদেশে এমন কোনো শক্তি নেই যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারে—এ আরাফাত

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে তীব্র আকাঙ্খার সঞ্চার হয়েছে। দীর্ঘ ১৬ বছরের রেজিমের অবসান হওয়ায় সাধারণ জনগণ এখন নতুন করে দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শিখেছে। রাজনীতিতে আগমন ঘটেছে নতুন দল তথা ছাত্র-জনতার। ফলশ্রুতিতে অনেকটাই প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর মধ্যে।
সম্প্রতি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহর সাথে সেনাবাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তার সাথে তুমুল বিতর্কের বিষয়টি সামনে আসে হাসনাতের একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে। এর মাধ্যমে স্পষ্ট হয় ক্যান্টনমেন্টের গোপন অভিলাষ। এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আবারও আন্দোলন শুরু হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
এদিকে গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার এবং দলটির ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নিয়ে সম্প্রতি একটি
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। ঐ বার্তায় তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না আওয়ামী লীগ। এমনকি দলের নেতৃত্বে শেখ হাসিনার বিকল্প কেউ নেই বলেও জোর গলায় জানান আরাফাত। ভয়ঙ্কর হত্যাযজ্ঞ চালানোর পরেও আওয়ামী এই তথাকথিত বুদ্ধিজীবী মনে করেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নিয়ে পুনর্গঠনের কোনো সুযোগ নেই। আরাফাত দাবি করেন, দলটির শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত সবাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আস্থাশীল। শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতে অজ্ঞাত স্থান থেকে টেলিফোনে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ডয়েচে ভেলে-কে এসব কথা জানান তিনি। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবির
প্রসঙ্গে মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, ‘বাংলাদেশে এমন কোনো শক্তি নেই যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারে। এ দেশের জন্ম দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ দেশের কোনায় কোনায় আওয়ামী লীগের অবস্থান। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো শক্তি নেই বাংলাদেশে। বাংলাদেশে রাজাকার, পাকিস্তানি ও পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা নিষিদ্ধ হবে; আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে না। যে দেশ জন্ম দেয়, তাকে নিষিদ্ধ করা যায় না। ’ এসময় তিনি আরও দাবি করেন, ইউনূস ও তার সহযোগীরা যেভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আচরণ করছেন, তাতে তাদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়। তিনি অভিযোগ করেন, ‘তারা (ইউনূস সরকার) বলে আসছিল, আমরা (আওয়ামী লীগ) নাকি গত ১৫ বছর ধরে ভালো নির্বাচন করিনি,
আমাদের সময় নাকি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছিল না। তাহলে এখন তারা প্রশাসনকে দলীয়করণ করছে কেন? এক চিঠিতে এতগুলো লোক নিচ্ছে কেন? এখন কেন তারা একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে পারছে না? প্রতিটি কি (key) পয়েন্টে বসিয়ে রেখেছে বিএনপি-জামায়াতের লোকজন। ’ ওই টেলিফোনে আরাফাত আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব এখনো বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাতে এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ পদ থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত শতভাগ মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল। কাজেই নেতৃত্ব নিয়ে পুনর্গঠনের কোনো সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না। তবে দলীয়ভাবে দলকে পুনর্গঠন বা সংগঠিত করা অন্য বিষয়। ’ সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রীর ভাষ্যে, ‘নির্বাচন আমরা ইউনূসের (ড. মোহাম্মদ
ইউনূস) অধীনে করব না। ইউনূস ও তারা গ্যাং আওয়ামী লীগের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করছে তাতে তো মনে হচ্ছে নির্বাচন ও রকমভাবে হবে না। ’ তিনি আরো বলেন,‘তারা ৩২ নম্বর ভাঙলো ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা কর্মীদের বাসা ভাঙলো। তারপর যখন তাদের প্রতিরোধ করা হতো তখন সরকার ডেভিল হান্ট শুরু করল। যারা ভাঙছে তাদেরকে প্রটেকশন দিল। ’ জুলাই গণহত্যার ব্যাপারে আওয়ামী লীগ জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে কিনা প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, ‘৫ আগস্টের পর যত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সেগুলোর পর কী তারা ক্ষমা চাইবে? তোফাজ্জল, মাসুদ ও রাজীব হত্যাকাণ্ডের জন্য কি তারা ক্ষমা চাইবে? আমি এর আগেও বলেছি, আমরা ক্ষমতায় থাকার সময়
যে ঘটনাই হয়েছে তার একটা দায় আমাদের আছে; কারণ আমরা সরকারে ছিলাম। এই দায় আমরা স্বীকার করেছি। ’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এটাকে (জুলাই আগস্টের গণহত্যা) একটি বিচার প্রক্রিয়ায় আনার চেষ্টা করেছিল। আমরা একটি কমিশন গঠন করেছিলাম। ৫ আগস্ট পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের বিচারও তো তারা করছে না। তারা এটাকে পলিটিক্যালি ব্যবহার করছে। এটার তো বিচার করতে হবে। আজকে কেন গণহারে মামলা হচ্ছে। তারা এটাকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের উপর দমন-পীড়ন করছে। এর অবজেক্টিভ হলো আওয়ামী লীগকে শেষ করা। যেটা সম্ভব না। এরা কোন বিচার করছে না। বিচার করলে আওয়ামী লীগই করত। ’ উল্লেখ্য, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার জানান, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের
কোনো পরিকল্পনা অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। তার এই বক্তব্যের পর ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই বক্তব্যে নিন্দা জানিয়েছে নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এদিকে ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ তথা আওয়ামী লীগ পুনর্গঠনের কথা ভাসছে রাজনীতির মাঠে। শেখ হাসিনা এবং গণহত্যার মামলার আসামিদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন হয়ে ফের রাজনীতির মাঠে নামতে পারে - এমন কথা শোনা যাচ্ছে। যে কারণে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রসঙ্গ আবার আলোচনায় এসেছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। ঐ বার্তায় তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না আওয়ামী লীগ। এমনকি দলের নেতৃত্বে শেখ হাসিনার বিকল্প কেউ নেই বলেও জোর গলায় জানান আরাফাত। ভয়ঙ্কর হত্যাযজ্ঞ চালানোর পরেও আওয়ামী এই তথাকথিত বুদ্ধিজীবী মনে করেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নিয়ে পুনর্গঠনের কোনো সুযোগ নেই। আরাফাত দাবি করেন, দলটির শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত সবাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আস্থাশীল। শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতে অজ্ঞাত স্থান থেকে টেলিফোনে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ডয়েচে ভেলে-কে এসব কথা জানান তিনি। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবির
প্রসঙ্গে মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, ‘বাংলাদেশে এমন কোনো শক্তি নেই যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারে। এ দেশের জন্ম দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ দেশের কোনায় কোনায় আওয়ামী লীগের অবস্থান। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো শক্তি নেই বাংলাদেশে। বাংলাদেশে রাজাকার, পাকিস্তানি ও পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা নিষিদ্ধ হবে; আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে না। যে দেশ জন্ম দেয়, তাকে নিষিদ্ধ করা যায় না। ’ এসময় তিনি আরও দাবি করেন, ইউনূস ও তার সহযোগীরা যেভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আচরণ করছেন, তাতে তাদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়। তিনি অভিযোগ করেন, ‘তারা (ইউনূস সরকার) বলে আসছিল, আমরা (আওয়ামী লীগ) নাকি গত ১৫ বছর ধরে ভালো নির্বাচন করিনি,
আমাদের সময় নাকি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছিল না। তাহলে এখন তারা প্রশাসনকে দলীয়করণ করছে কেন? এক চিঠিতে এতগুলো লোক নিচ্ছে কেন? এখন কেন তারা একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে পারছে না? প্রতিটি কি (key) পয়েন্টে বসিয়ে রেখেছে বিএনপি-জামায়াতের লোকজন। ’ ওই টেলিফোনে আরাফাত আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব এখনো বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাতে এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ পদ থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত শতভাগ মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল। কাজেই নেতৃত্ব নিয়ে পুনর্গঠনের কোনো সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না। তবে দলীয়ভাবে দলকে পুনর্গঠন বা সংগঠিত করা অন্য বিষয়। ’ সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রীর ভাষ্যে, ‘নির্বাচন আমরা ইউনূসের (ড. মোহাম্মদ
ইউনূস) অধীনে করব না। ইউনূস ও তারা গ্যাং আওয়ামী লীগের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করছে তাতে তো মনে হচ্ছে নির্বাচন ও রকমভাবে হবে না। ’ তিনি আরো বলেন,‘তারা ৩২ নম্বর ভাঙলো ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা কর্মীদের বাসা ভাঙলো। তারপর যখন তাদের প্রতিরোধ করা হতো তখন সরকার ডেভিল হান্ট শুরু করল। যারা ভাঙছে তাদেরকে প্রটেকশন দিল। ’ জুলাই গণহত্যার ব্যাপারে আওয়ামী লীগ জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে কিনা প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, ‘৫ আগস্টের পর যত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সেগুলোর পর কী তারা ক্ষমা চাইবে? তোফাজ্জল, মাসুদ ও রাজীব হত্যাকাণ্ডের জন্য কি তারা ক্ষমা চাইবে? আমি এর আগেও বলেছি, আমরা ক্ষমতায় থাকার সময়
যে ঘটনাই হয়েছে তার একটা দায় আমাদের আছে; কারণ আমরা সরকারে ছিলাম। এই দায় আমরা স্বীকার করেছি। ’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এটাকে (জুলাই আগস্টের গণহত্যা) একটি বিচার প্রক্রিয়ায় আনার চেষ্টা করেছিল। আমরা একটি কমিশন গঠন করেছিলাম। ৫ আগস্ট পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের বিচারও তো তারা করছে না। তারা এটাকে পলিটিক্যালি ব্যবহার করছে। এটার তো বিচার করতে হবে। আজকে কেন গণহারে মামলা হচ্ছে। তারা এটাকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের উপর দমন-পীড়ন করছে। এর অবজেক্টিভ হলো আওয়ামী লীগকে শেষ করা। যেটা সম্ভব না। এরা কোন বিচার করছে না। বিচার করলে আওয়ামী লীগই করত। ’ উল্লেখ্য, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার জানান, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের
কোনো পরিকল্পনা অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। তার এই বক্তব্যের পর ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই বক্তব্যে নিন্দা জানিয়েছে নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এদিকে ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ তথা আওয়ামী লীগ পুনর্গঠনের কথা ভাসছে রাজনীতির মাঠে। শেখ হাসিনা এবং গণহত্যার মামলার আসামিদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন হয়ে ফের রাজনীতির মাঠে নামতে পারে - এমন কথা শোনা যাচ্ছে। যে কারণে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রসঙ্গ আবার আলোচনায় এসেছে।