ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
৯ কোটি টাকা নেওয়ার পরও হদিস মেলেনি ব্যবসায়ীর
টাকার হিসাব করছিলেন শ্রমিক নেতা, মোটরসাইকেলে দুর্বৃত্তরা এসে গুলি চালাল
কেআইবিতে ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে বিএনপিপন্থি কৃষিবিদদের ২ গ্রুপে সংঘর্ষ
মেট্রো স্টেশনে ১০ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, আটক ১
কৌশলে শোরুম থেকে তিন কোটি টাকার গাড়ি আত্মসাৎ
ছাগলকাণ্ডের সেই মতিউর ও তার স্ত্রী গ্রেফতার
দেশীয় অস্ত্রসহ ৩ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার
প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলার সত্যতা পেল পুলিশ
টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে টিকটকার লায়লার দায়ের করা ধর্ষণের মামলার সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ মামুনকে অভিযুক্ত করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে, যা বিচারের জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এ পাঠানো হয়েছে।
লায়লা গত ৯ জুন রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। অভিযোগে লায়লা উল্লেখ করেন, ফেসবুকের মাধ্যমে মামুনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে মামুন তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। পরে তিনি লায়লার বাসায় এসে বসবাস শুরু করেন এবং একই বাসায় অবস্থানকালে একাধিকবার লায়লাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করেন।
তদন্তে জানা
যায়, প্রিন্স মামুন সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন জনপ্রিয় টিকটকার হিসেবে পরিচিত, আর লায়লা ফেসবুকে সক্রিয় এবং বেশ পরিচিত। লায়লার স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না থাকায় তিনি সন্তানদের নিয়ে একাই বসবাস করতেন। মামুনের সঙ্গে তার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়ার পর মামুন তার এনআইডি, পাসপোর্টসহ বিভিন্ন কাগজপত্রে লায়লার ঠিকানা ব্যবহার করতে থাকেন। পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মামুন লায়লাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একই বাসায় বসবাস শুরু করেন। সম্পর্ক গভীর হওয়ার পরেও বিয়ের প্রতিশ্রুতি পালন না করে লায়লার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক বজায় রাখেন, যা একাধিকবার লায়লার ইচ্ছার বিরুদ্ধে হয়েছিল বলে প্রমাণ মিলেছে। মামলার পরদিন মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং আদালত তার জামিন ও রিমান্ড উভয়ই নামঞ্জুর করে
তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে গত ১ জুলাই তিনি জামিনে মুক্তি পান। বর্তমানে মামুন জামিনে আছেন এবং বিচার প্রক্রিয়া চলমান। এ ঘটনার পর মামুনের প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিন্দার ঝড় ওঠে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয়তা কখনোই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। মামুনের বিরুদ্ধে পাওয়া প্রমাণ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থার দাবি রাখে। এ ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয়তার আড়ালে থাকা অপকর্মের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। একইসঙ্গে ভুক্তভোগীদের ন্যায্য বিচার পাওয়ার জন্য সমাজ ও আইনের প্রতি আস্থা রাখতে হবে। মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে এটি হতে পারে একটি উদাহরণ, যা এ ধরনের অপরাধ রোধে ভূমিকা রাখবে।
যায়, প্রিন্স মামুন সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন জনপ্রিয় টিকটকার হিসেবে পরিচিত, আর লায়লা ফেসবুকে সক্রিয় এবং বেশ পরিচিত। লায়লার স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না থাকায় তিনি সন্তানদের নিয়ে একাই বসবাস করতেন। মামুনের সঙ্গে তার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়ার পর মামুন তার এনআইডি, পাসপোর্টসহ বিভিন্ন কাগজপত্রে লায়লার ঠিকানা ব্যবহার করতে থাকেন। পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মামুন লায়লাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একই বাসায় বসবাস শুরু করেন। সম্পর্ক গভীর হওয়ার পরেও বিয়ের প্রতিশ্রুতি পালন না করে লায়লার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক বজায় রাখেন, যা একাধিকবার লায়লার ইচ্ছার বিরুদ্ধে হয়েছিল বলে প্রমাণ মিলেছে। মামলার পরদিন মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং আদালত তার জামিন ও রিমান্ড উভয়ই নামঞ্জুর করে
তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে গত ১ জুলাই তিনি জামিনে মুক্তি পান। বর্তমানে মামুন জামিনে আছেন এবং বিচার প্রক্রিয়া চলমান। এ ঘটনার পর মামুনের প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিন্দার ঝড় ওঠে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয়তা কখনোই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। মামুনের বিরুদ্ধে পাওয়া প্রমাণ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থার দাবি রাখে। এ ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয়তার আড়ালে থাকা অপকর্মের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। একইসঙ্গে ভুক্তভোগীদের ন্যায্য বিচার পাওয়ার জন্য সমাজ ও আইনের প্রতি আস্থা রাখতে হবে। মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে এটি হতে পারে একটি উদাহরণ, যা এ ধরনের অপরাধ রোধে ভূমিকা রাখবে।