প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলার সত্যতা পেল পুলিশ – ইউ এস বাংলা নিউজ




প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলার সত্যতা পেল পুলিশ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৭:০০ 12 ভিউ
টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে টিকটকার লায়লার দায়ের করা ধর্ষণের মামলার সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ মামুনকে অভিযুক্ত করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে, যা বিচারের জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এ পাঠানো হয়েছে। লায়লা গত ৯ জুন রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। অভিযোগে লায়লা উল্লেখ করেন, ফেসবুকের মাধ্যমে মামুনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে মামুন তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। পরে তিনি লায়লার বাসায় এসে বসবাস শুরু করেন এবং একই বাসায় অবস্থানকালে একাধিকবার লায়লাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করেন। তদন্তে জানা

যায়, প্রিন্স মামুন সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন জনপ্রিয় টিকটকার হিসেবে পরিচিত, আর লায়লা ফেসবুকে সক্রিয় এবং বেশ পরিচিত। লায়লার স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না থাকায় তিনি সন্তানদের নিয়ে একাই বসবাস করতেন। মামুনের সঙ্গে তার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়ার পর মামুন তার এনআইডি, পাসপোর্টসহ বিভিন্ন কাগজপত্রে লায়লার ঠিকানা ব্যবহার করতে থাকেন। পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মামুন লায়লাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একই বাসায় বসবাস শুরু করেন। সম্পর্ক গভীর হওয়ার পরেও বিয়ের প্রতিশ্রুতি পালন না করে লায়লার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক বজায় রাখেন, যা একাধিকবার লায়লার ইচ্ছার বিরুদ্ধে হয়েছিল বলে প্রমাণ মিলেছে। মামলার পরদিন মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং আদালত তার জামিন ও রিমান্ড উভয়ই নামঞ্জুর করে

তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে গত ১ জুলাই তিনি জামিনে মুক্তি পান। বর্তমানে মামুন জামিনে আছেন এবং বিচার প্রক্রিয়া চলমান। এ ঘটনার পর মামুনের প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিন্দার ঝড় ওঠে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয়তা কখনোই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। মামুনের বিরুদ্ধে পাওয়া প্রমাণ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থার দাবি রাখে। এ ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয়তার আড়ালে থাকা অপকর্মের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। একইসঙ্গে ভুক্তভোগীদের ন্যায্য বিচার পাওয়ার জন্য সমাজ ও আইনের প্রতি আস্থা রাখতে হবে। মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে এটি হতে পারে একটি উদাহরণ, যা এ ধরনের অপরাধ রোধে ভূমিকা রাখবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
‘খুনি হিসেবে র‌্যাবকে সমাজে রাখা ঠিক হবে না’ দিল্লিতে নির্বাসিত হাসিনা, বাংলাদেশ- ভারত সম্পর্কে টানাপোড়ন: এবিসি আমাদের পাকঘরে উঁকি মারবেন না: ভারতকে ডা. শফিকুর রহমান রাখাইনে সামরিক সদর দপ্তর দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি শেখ হাসিনাকে দেখে রাখার ঘোষণা দিয়ে নিজেই হলেন পলাতক ২৬ বছর আগের ইলন মাস্কের ‘প্রলাপ’এখন বাস্তব দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তান থেকে পণ্য নিয়ে চট্টগ্রামে ভিড়লো জাহাজ ভারত একটি মারমুখী রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে: আশরাফ কায়সার ‘আওয়ামী লীগ দালাল না, ভারতেরই সরকার ছিল’ নাটোরে মহাশ্মশানে ডাকাতি, মন্দিরে লুটপাট, সেবায়েতকে হত্যা ১৯ বাংলাদেশি নাবিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের খসড়া তালিকা প্রকাশ মূল্যস্ফীতি প্রকাশে কারচুপি নেই, তাই বেশি দেখাচ্ছে: অর্থ উপদেষ্টা বড়াইগ্রামে বসতঘরে আগুন, পুড়ে ছাই এক বছরের শিশু ডাকাতি পরিকল্পনা এক মাস আগে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসছে বিএনপি বিমানবন্দরে আটক বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত সচিব ইসমাইল সাগরে নিম্নচাপ, উপকূলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে বিপাকে জনজীবন চাঁদাবাজের তালিকা হচ্ছে, দুই-তিনদিনের মধ্যে গ্রেপ্তার শুরু: ডিএমপি কমিশনার বিদ্রোহী নেতা শারাকে গ্রেপ্তারে ১ কোটি ডলার পুরস্কারের ঘোষণা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র