প্রবাসে ছুটিহীন মে দিবস – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ২ মে, ২০২৫
     ৮:৪৭ পূর্বাহ্ণ

প্রবাসে ছুটিহীন মে দিবস

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২ মে, ২০২৫ | ৮:৪৭ 246 ভিউ
আমরা কমবেশি অনেকেই জানি মে দিবস কেন চালু হয়েছে, তাই এটা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। তবে যেটা বলার আছে মে দিবস সম্পর্কে জানলেও এটা কয়জনের পালন করার সুযোগ রয়েছে বা এটা আদৌ কি শ্রমিকদের কোন কল্যাণে এসেছে? ২০১৫ সালে আমি স্টুডেন্ট ভিসায় সাইপ্রাস যাওয়ার পর পড়াশোনার পাশাপাশি ওয়ার্কশপের কাজে যোগ দিই। প্রথম বছর মনে করেছিলাম ১লা মে সরকারি বন্ধ, মে দিবসের আগেরদিন বসকে বলেছিলাম আগামীকাল আমাদের ছুটি না? সে হেসে বলল ‘মে দিবস’ এটা আবার কি? এ সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। আসলেই ঐ দেশের প্রায় লোক মে দিবস সম্পর্কে অবগত নয়। অবগত হবার কথাও না। কারণ মে দিবসটি

মূলত বিশেষ যে কারণে চালু করা হয়েছিল, ১২ ঘণ্টা সাধারণ ডিউটির পরিবর্তে ৮ ঘণ্টা করা হয়েছে। পশ্চিমা বিশ্বে ১২ ঘণ্টা ডিউটি নাই বললেই চলে। ৮ ঘণ্টার বাইরে যা করবে তা ওভারটাইম হিসেবে মজুরি পরিশোধ করা হয়, সেজন্য তারা মে দিবসটিকে এতটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করে না। যার ফলে সরকারিভাবে সেদিন কোন ছুটি নেই। কিন্তু বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশগুলিতে এমনকি মধ্যপ্রাচ্যেও এখনো ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা সাধারণ ডিউটি চালু রয়েছে। শুধু বিশেষ কিছু সেক্টরে ৮ ঘণ্টা সাধারণ ডিউটি। তাই হয়ত আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশে মে দিবস নিয়ে এতটা মাতামাতি হয়। বলছিলাম সাইপ্রাসের কথা—তখন বন্ধুদেরকে মন খারাপ করে বলছিলাম ভাই কি চাকরি

করি মে দিবসেও বন্ধ নেই। তখন তাদের মধ্যে কয়েকজন বলল ভাই তোমার কাজ আছে বলে বন্ধের জন্য চিন্তা কর আর আমাদের যে কাজই নাই মে দিবস এসব দিয়ে আমরা কি করব? আসলেই প্রবাসে একদিন কাজ না থাকা মানে অনেক পিছিয়ে পড়া, সাইপ্রাসে অন্যান্য সরকারি ছুটিগুলিতে বন্ধ দিলেও বেতন দেওয়া হয় না। এখানে দৈনিক ডিউটির উপর বেতন নির্ভর করে। তাই এখানে সরকারি ছুটি পাওয়া মানে লসটা নিজের। সুতরাং এই ‘মে দিবস’ কি আদৌ গুরুত্বপূর্ণ নাকি এটি নামেমাত্র? এরপর যখন ২০২০ সালে আরব আমিরাতে আসলাম এখানেও দেখি একি অবস্থা। মে দিবসে শ্রমিকদের কোন ছুটি নেই। মধ্যেপ্রাচ্যের মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী দেশ হল

সংযুক্ত আরব আমিরাত। এখানে এসে দেখলাম মানুষের প্রতিটা সেকেন্ডের মূল্য আছে৷ যে যত বেশি কাজ করতে পারে ততবেশি আয়। আরব আমিরাতে যেহেতু এখন কাজের সুযোগ অনেক বেশি তাই একজন মানুষ চায়লে মাসে ৩০ দিন কাজ করতে পারে। এখানে যারা কন্ট্রাক্টশন সেক্টর বা বিভিন্ন সুপার মার্কেট ও গ্রোসারিতে কাজ করে তারা আদৌ জানে না মে দিবস নামে যে একটা দিবস আছে। কারণ এ দিবসে কোন বন্ধ নেই এখানেও। এখানে কন্ট্রাক্টশন সেক্টরগুলিতে সাধারণ ডিউটি হল ৮ ঘণ্টা ও সপ্তাহে একদিন ছুটি রয়েছে। ৮ ঘণ্টার বাইরে ও বন্ধের দিন কাজ করলে তা হল ওভারটাইম। মে দিবসের নামে যদি বন্ধ দিয়ে মালিকপক্ষ ঐ একদিনের বেতন

কাটে তাহলে এই মে দিবস কি শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য নাকি অকল্যাণের জন্য সে প্রশ্ন থেকে যায়! আবার যারা ব্যবসা করে আরব আমিরাতে, এখানে ব্যবসা করা মানে একদিনে অনেক খরচ একদিন যদি ব্যবসা বন্ধ থাকে তাহলে অনেক টাকা লোকসান এখানে যে অপ্রয়োজনে একদিন ব্যবসা বন্ধ রাখবেন সে সুযোগ নেই। সুতরাং বলা যায় এই মে দিবস কারো পক্ষে গেলেও আবার কারো বিপক্ষে চলে যায়। তাই হয়ত পুঁজিবাদী দেশগুলিতে মে দিবস নামেমাত্র থাকলেও এটি পালন করা হয় না। বাংলাদেশে যারা মে দিবস নিয়ে বেশি মাতামাতি করছে তারাও বলতে পারবেনা এটি তাদের কোন কাজে আসে, একজন রিক্সা বা সিএনজি চালক বা সাধারণ দিন মজুর

যদি একদিন কাজ করতে না পারে তার পরিবার না খেয়ে থাকবে। এই মে দিবস দিয়ে তার পেট চলবেনা। তাই বলা যায় শুধু প্রবাস কেন; দেশেও ছুটিহীন এই মে দিবস।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ফুলকপির পরোটা রেসিপি কফিনবন্দি হয়ে দেশে ফিরলেন ওসমান হাদি ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে সংঘর্ষ, পুলিশসহ টেঁটাবিদ্ধ ৬ সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: ভলকার তুর্ক উদীচী কার্যালয়ে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট ভালুকায় যুবককে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা নূরুল কবীরের ওপর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ সিলেট সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়ার গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত বিশ্ব গণমাধ্যমে ওসমান হাদির মৃত্যু পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ মাচাদোকে নোবেল দেওয়ায় ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের অ্যাসাঞ্জের ফুটবল ম্যাচে ভয়াবহ দাঙ্গা, পুলিশসহ আহত ৫৯ বিশ্বকাপের ২ মাস আগে শ্রীলঙ্কার নেতৃত্বে শানাকা রাশিয়ার সম্পদ নয়, ভিন্ন উপায়ে ইউক্রেনকে অর্থ দেবে ইইউ যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞা এড়াতে চুক্তি করলো টিকটক কোলন ক্যান্সার কীভাবে বুঝবেন ‘ব্যথা’ নিয়ে হাজির হলেন বাপ্পা মজুমদার অবৈধ দখলদার সরকারের শাসনে জনরোষ, ঘরে ঘরে অসন্তোষ জামাতি ষড়যন্ত্রে নির্বাচন অনিশ্চিত, দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষমতায় থাকছেন ডঃ ইউনুস! ইউক্রেন হওয়ার পথে বাংলাদেশ, আতঙ্কিত জনগণ ড. ইউনুসের কূটনীতি সেভেন সিস্টার্সের জন্য চ্যালেঞ্জ বাড়াচ্ছে