
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

তিনদিন পর বাংলাদেশীর লাশ ফেরত দিল বিএসএফ

মিলেমিশে লুটপাট, বাড়ছে বকেয়া

ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, রানওয়ে দুই ঘণ্টা পর সচল

মালয়েশিয়াকে ‘সন্ত্রাসবাদ তদন্তে’ সহায়তার আশ্বাস ঢাকার

‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব’

সাবেক সিইসি এটিএম শামসুল হুদা আর নেই

ভূমি ধসের কারণে ঝুঁকিতে ‘নান্দনিক’ সিন্দুকছড়ি-জালিয়াপাড়া সড়ক
প্রতিবেশী দেশকে সুবিধা দিতেই কি অগ্রিম আয়কর!

প্রতিবেশী দেশকে সুবিধা দিতেই কি ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর (এআইটি) বসানো হয়েছে- এমন প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) নেতারা। তারা বলছেন, এমনিতে কাঙ্ক্ষিত বিদ্যুৎ নেই, গ্যাস নেই, ব্যাংকে নেই টাকা। এত বিপদের মধ্যে নতুন করে সরকারের এ সিদ্ধান্ত। এটি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। তা না হলে শিল্প খাত ধ্বংস হয়ে যাবে।
শনিবার রাজধানীর গুলশান ক্লাবে আয়োজিত বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে এসব আশঙ্কার কথা বলেন টেক্সটাইল শিল্প মালিকরা। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল, সহসভাপতি সালেউদ জামান খান, পরিচালক মো. খোরশেদ আলম, প্রকৌশলী রাজীব হায়দার, আব্দুল্লাহ আল মামুন, হোসেন মাহমুদ, বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মো.
আইয়ুব, বিকেএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি অমল পোদ্দার, বাদশা গ্রুপ চেয়ারম্যান মো. বাদশা মিয়া প্রমুখ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিটিএমএ পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, সৈয়দ এনায়েত কবির, বিএম শোয়েব, মো. শাহিদ আলম ও প্রকৌশলী ইশতিয়াক আহমেদ। সংবাদ সম্মেলনে শওকত আজিজ রাসেল বলেন, সরকার টেক্সটাইল খাতে অগ্রিম আয়কর ২ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। এটি কোনো আলোচনা ছাড়াই করা হয়েছে। তাহলে কি নিয়মনীতি করা হচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশকে স্বচ্ছ, সচ্ছল ও তাদের কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্য? আমাদের সরকার কি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে ওদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য? এসব ভাবার সময় এসেছে। তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, সরকার মনে করে ব্যবসায়ীরা সব সময় সমালোচনা করে। আসলে আমরা আলোচনা-সমালোচনা দুটোই
করি। সমালোচনা না করলে কী করে বুঝবেন আমরা কেমন আছি? এভাবে ১%, ২% টাকা কেটে নিয়ে কাদের ধ্বংস করতে যাচ্ছেন? সব জায়গা থেকে ব্যবসা করা উচিত নয়। এটা সরকারের মডেলও হতে পারে না। আপনি কি স্বাস্থ্য, শিক্ষা খাত থেকে লাভ করতে পারবেন? না, বহির্বিশ্বে এটা কেউ করে না। টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাতকে সরকার বিপদগ্রস্ত করছে জানিয়ে টেক্সটাইল খাতের এ নেতা আরও বলেন, সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান করছে টেক্সটাইল ও আরএমজি খাত। সরকার এ খাতকে আরও বেশি বিপদগ্রস্ত করছে। সরকার আমাদের নিয়ে বসুক, আমরা তাদের শত্রু নই, মিত্র। আমাদের দুটো পয়সা লাভ হলে সরকারকে দিতে অসুবিধা নেই তো! কিন্তু আমার প্রতিযোগিতা
কেড়ে নিয়ে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে বাধ্য করবেন না। এটা কোনো সঠিক প্রক্রিয়া নয়। আগে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে বাঁচান। পরে যা করার করবেন। বিটিএমএ সভাপতি ব্যাংক ঋণে উচ্চসুদ অর্থাৎ বর্তমানে ১৫-১৬ শতাংশ, উচ্চ করপোরেট কর এবং গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তাকে তাদের কার্যক্রমকে ক্ষতিগ্রস্ত করার গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসাবে উল্লেখ করেছেন। এ সময় আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা মরে যাচ্ছি। প্রায় ৯০ শতাংশ ফ্যাক্টরি বিক্রি করে দিতে চান উদ্যোক্তারা। তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ডিসকাউন্টে ফ্যাক্টরি বিক্রি করব। গ্রাহক থাকলে জানাবেন। কারণ গ্যাস নেই, বিদ্যুৎ নেই, ব্যাংকে টাকা নেই। তার ওপর নতুন করে ২% অগ্রিম আয়কর (এআইটি) মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। তিনি বলেন, ১৫ শতাংশ
সুদে ঋণ নিতে চাই। তবুও ঋণ পাচ্ছি না। বাংলাদেশ এখন বিশেষ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। মো. খোরশেদ আলম বলেন, টেক্সটাইল খাতে বর্তমানে ২৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ আছে। এর মধ্যে ১৮ বিলিয়নই ব্যাংকের। আমরা মরে গেলে একা মরব না, পুরো দেশ নিয়েই মরব। এটা মাথায় রাখবেন। তিনি বলেন, গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। একটি দেশ আমাদের ব্যালেন্স শিট নিয়ে গেছে, কী উদ্দেশ্যে নিয়েছে জানি না। সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী। আমরা আপনাদের আমাদের কারখানার চাবি দিয়ে দেব, আপনারা আমাদের মনের দুঃখ-কষ্ট বুঝতে পারছেন না। ক্ষুব্ধ হয়ে প্রকৌশলী রাজীব হায়দার বলেন, গলাটিপে হত্যার চেয়ে গলা কেটে হত্যা করুন, তাতে কষ্ট কম হতে পারে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে এআইটি
তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়ে এ ব্যবসায়ী বলেন, এআইটি আগামী ৭ দিনের মধ্যে তুলে নিতে হবে। তা না হলে টেক্সটাইল শিল্প বাঁচানো সম্ভব হবে না। আমাদের মরে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। গ্যাসের মূল্য কমানো সম্ভব, কিন্তু চুরি বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। ১৮ শতাংশ গ্যাস চুরি হয়ে যায়। বিটিএমএ বন্দর থেকে তুলার কনটেইনার খালাস বন্ধ করে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানিয়েছে সংবাদ সম্মেলনে। সরকারকে অবিলম্বে ‘আত্ম-ধ্বংসাত্মক’ নীতিগুলো প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছে। বিটিএমএ নেতারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, অবিলম্বে ২ শতাংশ এআইটি প্রত্যাহার না করা এবং সুতার ওপর নির্দিষ্ট ভ্যাট ৫ টাকা থেকে কমানো না হলে দেশীয় টেক্সটাইল কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তারা আরও
উল্লেখ করেন, এই এআইটি নীতিতে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে সুতা রপ্তানি করতে উপকৃত হবে। কারণ তারা (ভারতীয় ব্যবসায়ীরা) সুতা রপ্তানিতে প্রণোদনা পাচ্ছে। সংগঠনটি স্থানীয় শিল্পকে রক্ষা এবং কর্মসংস্থান রক্ষা করার জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে। যুক্তি দিয়ে তারা বলছেন, সরকার এই পদক্ষেপকে রাজস্ব-উৎপাদনকারী হিসাবে দেখতে পারে, তবে বাস্তবে এটি টেক্সটাইল খাতকে আরও গভীর সংকটে নিমজ্জিত করবে, যা শেষ পর্যন্ত জাতীয় অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। সংবাদ সম্মেলনে বিটিএমএ জানায়, গ্যাস ও বিদ্যুতের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, ব্যাংক ঋণের উচ্চসুদ, রপ্তানির বিপরীতে নগদ প্রণোদনার অস্বাভাবিক হ্রাস এবং টাকার অবমূল্যায়নের কারণে ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের সংকট দেখা দিয়েছে টেক্সটাইল খাতে। সম্প্রতি তুলা আমদানিতে ২% অগ্রিম আয়কর (এআইটি) আরোপ, টেক্সটাইল সেক্টরের ব্যবসা থেকে অর্জিত আয়ের ওপর প্রদেয় আয়করের হার (করপোরেট ট্যাক্স) সম্পর্কিত এসআরওর মেয়াদ বর্ধিত না করা এবং দেশীয় টেক্সটাইল মিলে উৎপাদিত কটন সুতা ও কৃত্রিম আঁশ ও অন্যান্য আঁশের সংমিশ্রণে তৈরি সুতার ওপর উৎপাদন পর্যায়ে কেজিপ্রতি সুনির্দিষ্ট কর ৫ টাকা আরোপ দেশীয় টেক্সটাইল শিল্পের চ্যালেঞ্জে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সংগঠনটি জানিয়েছে, বিটিএমএর সদস্য সংখ্যা ১৮৫৮, এর মধ্যে স্পিনিং, উইভিং এবং ডাইং-প্রিন্টিং-ফিনিশিং মিল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ২৩ বিলিয়ন ডলার, যা বেসরকারি খাতে একক বিনিয়োগ হিসাবে সর্বাধিক। দেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৫ শতাংশের বেশি অর্জিত হচ্ছে টেক্সটাইল এবং অ্যাপারেল খাত থেকে। যার প্রায় ৭০ শতাংশের জোগানদাতা বিটিএমএর নেতৃত্বাধীন টেক্সটাইল খাত এবং এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার রিটেনশন প্রায় ৩০ শতাংশ। তাই বিটিএমএর সদস্য মিলগুলো বর্তমানে দেশের আমদানি পরিপূরক শিল্প হিসাবে বিবেচিত। এছাড়াও বিটিএমএর সদস্য মিলগুলো ডেনিম, হোম টেক্সটাইল ও টেরি টাওয়ালের শতভাগ দেশীয় চাহিদা পূরণ করে রপ্তানি আয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। তৈরি পোশাকসহ টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ ৭৫ বিলিয়ন ডলার। সরকারের যথাযথ সহযোগিতা পেলে রপ্তানি আয় ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার করা সম্ভব। একই খাতভুক্ত শিল্প হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই টেক্সটাইল খাতের যে কোনো সমস্যা সাপ্লাই চেইনে সংযুক্ত তৈরি পোশাক খাতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
আইয়ুব, বিকেএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি অমল পোদ্দার, বাদশা গ্রুপ চেয়ারম্যান মো. বাদশা মিয়া প্রমুখ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিটিএমএ পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, সৈয়দ এনায়েত কবির, বিএম শোয়েব, মো. শাহিদ আলম ও প্রকৌশলী ইশতিয়াক আহমেদ। সংবাদ সম্মেলনে শওকত আজিজ রাসেল বলেন, সরকার টেক্সটাইল খাতে অগ্রিম আয়কর ২ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। এটি কোনো আলোচনা ছাড়াই করা হয়েছে। তাহলে কি নিয়মনীতি করা হচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশকে স্বচ্ছ, সচ্ছল ও তাদের কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্য? আমাদের সরকার কি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে ওদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য? এসব ভাবার সময় এসেছে। তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, সরকার মনে করে ব্যবসায়ীরা সব সময় সমালোচনা করে। আসলে আমরা আলোচনা-সমালোচনা দুটোই
করি। সমালোচনা না করলে কী করে বুঝবেন আমরা কেমন আছি? এভাবে ১%, ২% টাকা কেটে নিয়ে কাদের ধ্বংস করতে যাচ্ছেন? সব জায়গা থেকে ব্যবসা করা উচিত নয়। এটা সরকারের মডেলও হতে পারে না। আপনি কি স্বাস্থ্য, শিক্ষা খাত থেকে লাভ করতে পারবেন? না, বহির্বিশ্বে এটা কেউ করে না। টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাতকে সরকার বিপদগ্রস্ত করছে জানিয়ে টেক্সটাইল খাতের এ নেতা আরও বলেন, সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান করছে টেক্সটাইল ও আরএমজি খাত। সরকার এ খাতকে আরও বেশি বিপদগ্রস্ত করছে। সরকার আমাদের নিয়ে বসুক, আমরা তাদের শত্রু নই, মিত্র। আমাদের দুটো পয়সা লাভ হলে সরকারকে দিতে অসুবিধা নেই তো! কিন্তু আমার প্রতিযোগিতা
কেড়ে নিয়ে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে বাধ্য করবেন না। এটা কোনো সঠিক প্রক্রিয়া নয়। আগে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে বাঁচান। পরে যা করার করবেন। বিটিএমএ সভাপতি ব্যাংক ঋণে উচ্চসুদ অর্থাৎ বর্তমানে ১৫-১৬ শতাংশ, উচ্চ করপোরেট কর এবং গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তাকে তাদের কার্যক্রমকে ক্ষতিগ্রস্ত করার গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসাবে উল্লেখ করেছেন। এ সময় আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা মরে যাচ্ছি। প্রায় ৯০ শতাংশ ফ্যাক্টরি বিক্রি করে দিতে চান উদ্যোক্তারা। তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ডিসকাউন্টে ফ্যাক্টরি বিক্রি করব। গ্রাহক থাকলে জানাবেন। কারণ গ্যাস নেই, বিদ্যুৎ নেই, ব্যাংকে টাকা নেই। তার ওপর নতুন করে ২% অগ্রিম আয়কর (এআইটি) মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। তিনি বলেন, ১৫ শতাংশ
সুদে ঋণ নিতে চাই। তবুও ঋণ পাচ্ছি না। বাংলাদেশ এখন বিশেষ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। মো. খোরশেদ আলম বলেন, টেক্সটাইল খাতে বর্তমানে ২৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ আছে। এর মধ্যে ১৮ বিলিয়নই ব্যাংকের। আমরা মরে গেলে একা মরব না, পুরো দেশ নিয়েই মরব। এটা মাথায় রাখবেন। তিনি বলেন, গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। একটি দেশ আমাদের ব্যালেন্স শিট নিয়ে গেছে, কী উদ্দেশ্যে নিয়েছে জানি না। সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী। আমরা আপনাদের আমাদের কারখানার চাবি দিয়ে দেব, আপনারা আমাদের মনের দুঃখ-কষ্ট বুঝতে পারছেন না। ক্ষুব্ধ হয়ে প্রকৌশলী রাজীব হায়দার বলেন, গলাটিপে হত্যার চেয়ে গলা কেটে হত্যা করুন, তাতে কষ্ট কম হতে পারে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে এআইটি
তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়ে এ ব্যবসায়ী বলেন, এআইটি আগামী ৭ দিনের মধ্যে তুলে নিতে হবে। তা না হলে টেক্সটাইল শিল্প বাঁচানো সম্ভব হবে না। আমাদের মরে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। গ্যাসের মূল্য কমানো সম্ভব, কিন্তু চুরি বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। ১৮ শতাংশ গ্যাস চুরি হয়ে যায়। বিটিএমএ বন্দর থেকে তুলার কনটেইনার খালাস বন্ধ করে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানিয়েছে সংবাদ সম্মেলনে। সরকারকে অবিলম্বে ‘আত্ম-ধ্বংসাত্মক’ নীতিগুলো প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছে। বিটিএমএ নেতারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, অবিলম্বে ২ শতাংশ এআইটি প্রত্যাহার না করা এবং সুতার ওপর নির্দিষ্ট ভ্যাট ৫ টাকা থেকে কমানো না হলে দেশীয় টেক্সটাইল কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তারা আরও
উল্লেখ করেন, এই এআইটি নীতিতে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে সুতা রপ্তানি করতে উপকৃত হবে। কারণ তারা (ভারতীয় ব্যবসায়ীরা) সুতা রপ্তানিতে প্রণোদনা পাচ্ছে। সংগঠনটি স্থানীয় শিল্পকে রক্ষা এবং কর্মসংস্থান রক্ষা করার জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে। যুক্তি দিয়ে তারা বলছেন, সরকার এই পদক্ষেপকে রাজস্ব-উৎপাদনকারী হিসাবে দেখতে পারে, তবে বাস্তবে এটি টেক্সটাইল খাতকে আরও গভীর সংকটে নিমজ্জিত করবে, যা শেষ পর্যন্ত জাতীয় অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। সংবাদ সম্মেলনে বিটিএমএ জানায়, গ্যাস ও বিদ্যুতের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, ব্যাংক ঋণের উচ্চসুদ, রপ্তানির বিপরীতে নগদ প্রণোদনার অস্বাভাবিক হ্রাস এবং টাকার অবমূল্যায়নের কারণে ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের সংকট দেখা দিয়েছে টেক্সটাইল খাতে। সম্প্রতি তুলা আমদানিতে ২% অগ্রিম আয়কর (এআইটি) আরোপ, টেক্সটাইল সেক্টরের ব্যবসা থেকে অর্জিত আয়ের ওপর প্রদেয় আয়করের হার (করপোরেট ট্যাক্স) সম্পর্কিত এসআরওর মেয়াদ বর্ধিত না করা এবং দেশীয় টেক্সটাইল মিলে উৎপাদিত কটন সুতা ও কৃত্রিম আঁশ ও অন্যান্য আঁশের সংমিশ্রণে তৈরি সুতার ওপর উৎপাদন পর্যায়ে কেজিপ্রতি সুনির্দিষ্ট কর ৫ টাকা আরোপ দেশীয় টেক্সটাইল শিল্পের চ্যালেঞ্জে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সংগঠনটি জানিয়েছে, বিটিএমএর সদস্য সংখ্যা ১৮৫৮, এর মধ্যে স্পিনিং, উইভিং এবং ডাইং-প্রিন্টিং-ফিনিশিং মিল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ২৩ বিলিয়ন ডলার, যা বেসরকারি খাতে একক বিনিয়োগ হিসাবে সর্বাধিক। দেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৫ শতাংশের বেশি অর্জিত হচ্ছে টেক্সটাইল এবং অ্যাপারেল খাত থেকে। যার প্রায় ৭০ শতাংশের জোগানদাতা বিটিএমএর নেতৃত্বাধীন টেক্সটাইল খাত এবং এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার রিটেনশন প্রায় ৩০ শতাংশ। তাই বিটিএমএর সদস্য মিলগুলো বর্তমানে দেশের আমদানি পরিপূরক শিল্প হিসাবে বিবেচিত। এছাড়াও বিটিএমএর সদস্য মিলগুলো ডেনিম, হোম টেক্সটাইল ও টেরি টাওয়ালের শতভাগ দেশীয় চাহিদা পূরণ করে রপ্তানি আয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। তৈরি পোশাকসহ টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ ৭৫ বিলিয়ন ডলার। সরকারের যথাযথ সহযোগিতা পেলে রপ্তানি আয় ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার করা সম্ভব। একই খাতভুক্ত শিল্প হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই টেক্সটাইল খাতের যে কোনো সমস্যা সাপ্লাই চেইনে সংযুক্ত তৈরি পোশাক খাতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।