পারমাণবিক অস্ত্র: শাসনের হাতিয়ার, শান্তির শত্রু – ইউ এস বাংলা নিউজ




পারমাণবিক অস্ত্র: শাসনের হাতিয়ার, শান্তির শত্রু

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১ জুলাই, ২০২৫ | ৬:২৭ 84 ভিউ
পারমাণবিক বোমা, এই শব্দটিই আজ মানব সভ্যতার ওপর এক ছায়াস্বরূপ আতঙ্ক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস থেকে শুরু করে আজকের মধ্যপ্রাচ্য, পারমাণবিক শক্তির প্রয়োগ বা হুমকি এসেছে সবসময়ই পরাশক্তির দিক থেকে। শোষক শ্রেণির মানুষ বাদ দিয়ে, বিশ্বের প্রায় সব মানুষ এই বিধ্বংসী অস্ত্র বিলুপ্ত হোক এটাই তার চান। পৃথিবীতে কোন পরমাণু অস্ত্র যেন মানুষের প্রাণ সংহার না করে। তবুও প্রশ্ন জাগে, কেন আজো পরাশক্তিরা এই অস্ত্র নিজেদের হাতে রাখে? ক্ষমতার ভারসাম্য নাকি আধিপত্যের কৌশল? বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্র বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা নিজেদের শত শত পারমাণবিক বোমা মজুত করে রেখেছে, নিরাপত্তার নামে। অথচ অন্য কোনো দেশ এই প্রযুক্তির ধারে কাছে গেলেই তাদের

বিরুদ্ধে শুরু হয় নিষেধাজ্ঞা, কূটনৈতিক চাপ এবং প্রয়োজনে সামরিক হস্তক্ষেপ। ইরানের সাম্প্রতিক পারমাণবিক কেন্দ্রের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আঘাতও এই নীতিরই বহিঃপ্রকাশ। নিজের অস্ত্রধারী বন্ধুদের সহায়তা করে, আর অন্যদের "ঝুঁকি" হিসেবে আখ্যা দেয়, এটি সুস্পষ্ট এক বৈষম্যমূলক বৈশ্বিক নীতি। অস্ত্র যখন ব্যবসা, মানবতা তখন ক্ষতিগ্রস্ত পারমাণবিক ও সামরিক অস্ত্র এখন একটি বহুজাতিক ব্যবসা। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক রাষ্ট্র এই অস্ত্র উৎপাদন, বিক্রি এবং সরবরাহে সরাসরি জড়িত। এই বাজার টিকিয়ে রাখতে তাদের প্রয়োজন দ্বন্দ্ব, উত্তেজনা এবং যুদ্ধ। পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর মানবতা, নৈতিকতা কিংবা শান্তির বার্তা এগুলো একধরনের রাজনৈতিক চাপাবাজি অর্থাৎধান্ধাবাজির পর্যায় পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিচারিতা: ভাষা বদলায়, নীতি বদলায় না যুক্তরাষ্ট্র যখন কোনো মিত্র রাষ্ট্র অন্যদের ওপর আগ্রাসন চালায়, তখন

তা নীরব থাকে বা ন্যায়িকতা খুঁজে বের করে। কিন্তু যখনই কেউ তাদের নিয়ন্ত্রণ বা ইচ্ছার বাইরে যায়, তখন সেগুলোকেই ‘সন্ত্রাস’, ‘বিপদ’, কিংবা ‘বিশ্বশান্তির হুমকি’ হিসেবে চিহ্নিত করে। এক হাতে পারমাণবিক অস্ত্র রাখে, অন্য হাতে দেয় শিক্ষা ও নীতির বানী, এই দ্বিচারিতায় বিশ্ব বিভ্রান্ত নয়, বরং ক্ষুব্ধ। শান্তির জন্য চাই পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব আমরা এমন এক পৃথিবী চাই, যেখানে পরমাণু নয়, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ন্যায় হবে নিরাপত্তার মাপকাঠি। যেখানে কেউ কারো ওপর ভয় দেখিয়ে টিকে থাকবে না। এই অস্ত্র যে কেউ ব্যবহার করুক না কেন, ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারণ মানুষ, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এবং পৃথিবীর ভবিষ্যৎ। শেষ কথা: বিশ্বকে নিরাপদ রাখতে হলে, কেবল পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ কমানো নয়,

নেতৃত্বের নীতিগত বিবর্তন দরকার। আর জাতিসংঘের বিষয় কি আর বলব, এ বিশ্ব সংস্থা থাকা আর না থাকা সমান কথা। যে মহাসচিব ঠুটো জগন্নাথ তার পদে থাকা আর না থাকা কি যায় আসে। তবু আশা ও বিশ্বাস এখন দরকার এক স্বর বিশ্ববিবেকের উচ্চারণ:হোক “যথেষ্ট হয়েছে, এবার শান্তির দিকে ফিরি।”

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
নৃশংস বর্বরতা আর নরকীয়তার ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হল – নূরুল মজিদ হুমায়ূনের নিথর দেহে হাতকড়া লাগিয়ে। ন্যায়বিচারের পথে এক ধাপ এগোল বাংলাদেশ ট্রাম্প নয় শান্তিতে নোবেল পেলেন ভেনেজুয়েলার মারিয়া ট্রাম্পকে হারিয়ে নোবেল জেতা কে এই মাচাদো? শিশুদের ‘নোবেল’ শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত সাতক্ষীরার তরুণ সুদীপ্ত শাহজালাল বিমানবন্দরে ৬৫ ভরি স্বর্ণসহ গ্রেপ্তার ২ টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ ১৯ বছর ধরে ইসরায়েলে বন্দি কে এই ‘দ্বিতীয় ইয়াহিয়া সিনওয়ার’? হংকংয়ের কাছে হেরেও যে সমীকরণে এশিয়ান কাপে খেলবে বাংলাদেশ মিরপুরে কুড়িয়ে পাওয়া ককটেল বিস্ফোরণ, শিশু আহত শাহবাগ এলাকা থেকে ৩ লাশ উদ্ধার বিশ্ববাজারে তেলের দাম নিয়ে সুখবর গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি পাবেন জিম্মিরা নারায়ণগঞ্জে বাস উল্টে খাদে, নারী-শিশুসহ আহত ১০ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফল প্রকাশে রেকর্ড বাতিল হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সব মামলা, দায়মুক্তি পাচ্ছেন আসামিরা ইউপিডিএফ নেতা মাইকেল চাকমার ৮ বছরের জেল চসিকের ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ অবশেষে উচ্ছেদ হলো আগারগাঁওয়ের ‘কেকপট্টি’ গাজা শান্তি চুক্তিতে সফলতার জন্য ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানালেন মোদি