পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় ধর্ষণের দায়ে মৃত্যুদণ্ডের আইন পাস – ইউ এস বাংলা নিউজ




পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় ধর্ষণের দায়ে মৃত্যুদণ্ডের আইন পাস

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ৩:১৬ 46 ভিউ
কলকাতার মাল্টি সুপারস্পেশালিটি সরকারি হাসপাতাল আর জি করের ঘটনায় উত্তাল গোটা ভারত। এমন আবহের মধ্যেই মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশনে পাস হয়ে গেল ধর্ষণবিরোধী ‘দ্য অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড বিল ২০২৪’ (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল’জ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২৪)। সর্বসম্মতিক্রমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের উদ্যোগে ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে বিলটি পাস হলো। এর মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গই ভারতের প্রথম কোনো রাজ্য, যারা ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ ও শিশুদের যৌন নিপীড়নবিরোধী কেন্দ্রীয় আইনে সংশোধনীর উদ্যোগ নিয়েছে। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে আনা এই ধর্ষণবিরোধী বিলকে পূর্ণ সমর্থন করেছে বিরোধী দল বিজেপিও। ধর্ষণ এবং নারী অত্যাচারের ঘটনায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় কঠোর

শাস্তির উল্লেখ রয়েছে। তবে সেই শাস্তিকেই আরও কঠোর করে বলা হয়েছে অপরাজিতা বিলে। রয়েছে, বেশ কিছু সংশোধন। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় আর জি কর হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিলটি পাসের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিলটি এখন অনুমোদনের জন্য রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে পাঠানো হবে। তিনি অনুমোদন দেওয়ার পর এটি ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পাঠানো হবে। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন করলে তা আইনে পরিণত হবে। এদিন বিধানসভায় ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে বিলটি পেশ করেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। এরপরেই বিল পাস নিয়ে দীর্ঘ বক্তব্য রাখেন মমতা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বক্তৃতার শুরুতেই এই বিলকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেন। সেই সংশোধনী

ধারাই এদিন বিধানসভায় উল্লেখ করেছেন মমতা। তিনি বলেন, এ বিলের মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় আইনে থাকা ফাঁকফোকরগুলো বন্ধ করার চেষ্টা করেছি আমরা। ধর্ষণ হলো মানবতাবিরোধী এক অভিশাপ। এ ধরনের অপরাধ ঠেকাতে সামাজিক সংস্কার প্রয়োজন। এই বিল আনার মূল উদ্দেশ্য তিনটি। বর্ধিত শাস্তি, দ্রুত শাস্তি, দ্রুত তদন্ত। নারীর প্রতি হিংসায় কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির উল্লেখ রয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আইনে যা উল্লেখ করা হয়েছে তা এ আইনে আরও বেশি কঠোর করা হয়েছে। ধর্ষণের ক্ষেত্রে ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় বলা হয়েছে, ১০ থেকে ২০ বছরের জেল, কিছু ক্ষেত্রে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। সেখানে অপরাজিতা বিলে শাস্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ফাঁসির। ধর্ষণের ঘটনায়

ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বিলে তদন্তের সময় দেওয়া হয়েছে দু’মাস। সেখানে অপরাজিতা বিলে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে ২১ দিন। মূল আইনে এক বছরের মধ্যে শাস্তি দেওয়ার উল্লেখ রয়েছে। ইতোমধ্যে রাজ্য বিজেপি বিলটিকে স্বাগত জানিয়েছে। বিধানসভায় আলোচনা করতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তিনি সাতটি সংশোধনী এনেছেন। তিনিও চান এই বিল পাস হোক। আইনে পরিণত হোক। আলোচনার পর শুভেন্দু অধিকারী আর জি কর কাণ্ড নিয়ে বিচারের দাবিতে স্লোগান দেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
শিরি বিবাসের মরদেহ ফেরত পেয়ে যা বলল তার পরিবার টগর সিনেমা থেকে বাদ পড়লেন দীঘি আমন চাল সংগ্রহে ব্যর্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেফতার আরও ৭৬৯ তালবাহানা বন্ধ করে দ্রুত সংসদ নির্বাচন দিতে হবে: জয়নুল আবেদীন পেরুতে ফুড কোর্টের ছাদ ধসে নিহত ৩ দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে ‘বিস্ফোরক চিঠি’ সাবেকের জার্মানিতে কট্টর ডানপন্থিদের উত্থানে শঙ্কা সামরিক নেতৃত্বে বড় পরিবর্তন আনলেন ট্রাম্প ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাতে নিষেধাজ্ঞা নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ চেয়ে ছাত্ররাই কেন সংগঠন করছে? ২১ ফেব্রুয়ারির ছুটিতে লাখো পর্যটকের সমাগম কুয়াকাটায় মালয়েশিয়া থেকে ৪৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো ট্রাম্প বললেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগবে না, কারণ ? ভারত, চীনসহ ৫ দেশকে কঠোর হুমকি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে হামলার নির্দেশ নেতানিয়াহুর দল না জেতায় মন ভেঙেছে তাওহীদের আড়ালেও মন দেওয়া নেওয়া করছেন শামীম-তানিয়া… দুয়ারে কড়া নাড়ছে রমজান : ভোগ্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে লড়ছে সরকার