
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হলেন সুশীলা কার্কি

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে উচ্চপর্যায়ের নৈশভোজ

নেপালের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, কে এই সুশীলা

হামাসকে ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ বলায় স্টাফদের নিন্দা জানাল বিবিসি

ওয়াশিং মেশিন নিয়ে তর্ক করায় যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় ব্যক্তির শিরশ্ছেদ

‘কোনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হবে না, এ জায়গা আমাদের’

কাতারের পর এবার কার পালা?
নেপালে যেভাবে এগোচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পথ

জেন–জি প্রজন্মের গণআন্দোলনের পর নেপালের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাওডেল অন্তর্বর্তী সরকার গঠন নিয়ে গুরুতর আলোচনা শুরু করেছেন।
প্রথম প্রস্তাবটি এসেছে জেন–জি প্রজন্মের পক্ষ থেকে, যারা সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশিলা কার্কিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে প্রস্তাব করেছেন। কার্কিকে সরকারের প্রধান করতে কাঠমান্ডুর মেয়র বালেন শাহও সমর্থন জানিয়েছেন।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) নেপালের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘সেতুপাটি’
রাষ্ট্রপতি পাওডেল সংবিধানের সীমার মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সম্ভাব্য পথ খুঁজছেন। তিনি এই বিষয়ে সংবিধান বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে শীতল নিবাসে পাঁচজন সংবিধানবিদ—পূর্ণমান শাক্য, ভিমার্জুন আচার্য, বিপিন অধিকারী, চন্দ্রকান্ত জ্যোয়ালি এবং ললিত বস্নেত—সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সংবিধানবিদ ও জ্যেষ্ঠ
আইনজীবী চন্দ্রকান্ত জ্যোয়ালি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির প্রধান প্রশ্ন ছিল, বৈপরীত্যপূর্ণ পরিস্থিতিতে যখন জোট সরকার পদত্যাগ করেছে, সেই পরিস্থিতিতে সংবিধান অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা সম্ভব কি না, বা অন্য কোনো বিকল্প পথ আছে কি না।’ তিনটি প্রস্তাবিত পথ সংবিধান বিশেষজ্ঞরা তিনটি ভিন্ন পথ উল্লেখ করেছেন: ১. প্রথম পথ: ধারা ৭৬ এবং ৭৮ অনুযায়ী কাজ চালু সরকারের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন। বড় দল হিসেবে নেপালি কংগ্রেস সরকার গঠন করতে পারে, তবে জেন–জি প্রজন্মের প্রতিনিধি এটি মান্য করবে না। এমন পরিস্থিতিতে সংসদের অন্য কোনো সদস্যকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে ধারা ৭৮ অনুযায়ী জেন–জি প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করে সরকার গঠন সম্ভব। ধারা ৭৮ অনুসারে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাব করলে সংসদের সদস্য
না হলেও কাউকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করতে পারেন, যার মেয়াদ ছয় মাস। ২. দ্বিতীয় পথ: সংসদ অধিবেশন আহ্বান করে সব দলের সমন্বয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন। সংবিধান সরাসরি অন্তর্বর্তী সরকার অনুমোদন করেনি, তাই এই প্রক্রিয়ায় সব দল এবং আন্দোলনরত জেন–জি প্রতিনিধিদের প্রস্তাব সংসদে পেশ করে অনুমোদন নিতে হবে। এরপর সংসদ ভেঙে নির্বাচন, সংবিধান সংশোধন এবং ক্ষয়ক্ষতি পুনর্নির্মাণের জন্য উচ্চস্তরের কমিশন গঠন সম্ভব। ৩. তৃতীয় পথ: সংবিধান এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠন। কাজ চালু প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির কাছে জেন–জি প্রস্তাব অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের জন্য সুপারিশ করবেন। এখানে ধারা ৬৬ ব্যবহার করে রাষ্ট্রপতি সরকার গঠনের অনুমোদন দিতে পারেন। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি সংবিধানের রক্ষক ও
প্রহরী। ধারা ১৩২ অনুসারে সাবেক প্রধান বিচারপতি কোনো সরকারি পদে নিযুক্ত হতে পারবেন না, তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে ‘ডকট্রিন অফ ইক্লিপ্স’ বা গ্রহণের নীতির ভিত্তিতে এটি উপেক্ষা করা সম্ভব। এই আলোচনার ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি এবং সংবিধান বিশেষজ্ঞরা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশিলা কার্কি নেপালের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হবেন। তিনি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রাপ্ত, পরিপক্ব এবং অভিজ্ঞ নেতা। রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে এই অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হলে সংসদ ভেঙে ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচনের পথ সুগম হবে। নেপালের রাজনৈতিক ইতিহাসে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়, যেখানে সংবিধান এবং গণআন্দোলনের সমন্বয়ে দেশ চলমান রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের পথে যাচ্ছে।
আইনজীবী চন্দ্রকান্ত জ্যোয়ালি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির প্রধান প্রশ্ন ছিল, বৈপরীত্যপূর্ণ পরিস্থিতিতে যখন জোট সরকার পদত্যাগ করেছে, সেই পরিস্থিতিতে সংবিধান অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা সম্ভব কি না, বা অন্য কোনো বিকল্প পথ আছে কি না।’ তিনটি প্রস্তাবিত পথ সংবিধান বিশেষজ্ঞরা তিনটি ভিন্ন পথ উল্লেখ করেছেন: ১. প্রথম পথ: ধারা ৭৬ এবং ৭৮ অনুযায়ী কাজ চালু সরকারের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন। বড় দল হিসেবে নেপালি কংগ্রেস সরকার গঠন করতে পারে, তবে জেন–জি প্রজন্মের প্রতিনিধি এটি মান্য করবে না। এমন পরিস্থিতিতে সংসদের অন্য কোনো সদস্যকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে ধারা ৭৮ অনুযায়ী জেন–জি প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করে সরকার গঠন সম্ভব। ধারা ৭৮ অনুসারে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাব করলে সংসদের সদস্য
না হলেও কাউকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করতে পারেন, যার মেয়াদ ছয় মাস। ২. দ্বিতীয় পথ: সংসদ অধিবেশন আহ্বান করে সব দলের সমন্বয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন। সংবিধান সরাসরি অন্তর্বর্তী সরকার অনুমোদন করেনি, তাই এই প্রক্রিয়ায় সব দল এবং আন্দোলনরত জেন–জি প্রতিনিধিদের প্রস্তাব সংসদে পেশ করে অনুমোদন নিতে হবে। এরপর সংসদ ভেঙে নির্বাচন, সংবিধান সংশোধন এবং ক্ষয়ক্ষতি পুনর্নির্মাণের জন্য উচ্চস্তরের কমিশন গঠন সম্ভব। ৩. তৃতীয় পথ: সংবিধান এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠন। কাজ চালু প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির কাছে জেন–জি প্রস্তাব অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের জন্য সুপারিশ করবেন। এখানে ধারা ৬৬ ব্যবহার করে রাষ্ট্রপতি সরকার গঠনের অনুমোদন দিতে পারেন। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি সংবিধানের রক্ষক ও
প্রহরী। ধারা ১৩২ অনুসারে সাবেক প্রধান বিচারপতি কোনো সরকারি পদে নিযুক্ত হতে পারবেন না, তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে ‘ডকট্রিন অফ ইক্লিপ্স’ বা গ্রহণের নীতির ভিত্তিতে এটি উপেক্ষা করা সম্ভব। এই আলোচনার ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি এবং সংবিধান বিশেষজ্ঞরা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশিলা কার্কি নেপালের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হবেন। তিনি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রাপ্ত, পরিপক্ব এবং অভিজ্ঞ নেতা। রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে এই অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হলে সংসদ ভেঙে ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচনের পথ সুগম হবে। নেপালের রাজনৈতিক ইতিহাসে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়, যেখানে সংবিধান এবং গণআন্দোলনের সমন্বয়ে দেশ চলমান রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের পথে যাচ্ছে।