নামছে পানির স্তর, শুষ্ক মৌসুমে সংকটের শঙ্কা – ইউ এস বাংলা নিউজ




নামছে পানির স্তর, শুষ্ক মৌসুমে সংকটের শঙ্কা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৪ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৬:৪৫ 101 ভিউ
যশোর পৌরসভার ১৪ দশমিক ৭২ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের মধ্যে অন্তত ১১ হাজার বাড়িতে সাবমারসিবল পাম্প বসানো হয়েছে। মোটর সংযোগ দিয়ে পাম্পের মাধ্যমে প্রতিদিন ভূগর্ভস্থ পানি তুলে ট্যাংকে রিজার্ভ করছেন বহুতল ভবনের মালিকরা। অতিরিক্ত পানি উত্তোলনে তলদেশে ‘ওয়াটার রিচার্জ’ হচ্ছে না। এতে শুষ্ক মৌসুমে পানির স্তর নেমে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে সুপেয় পানি সংকট প্রকট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জানা যায়, যশোর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে পানির গ্রাহক ১৫ হাজার। প্রতিদিন ২ কোটি ৪৪ লাখ ২০ হাজার লিটার পানির চাহিদা রয়েছে। চাহিদার বিপরীতে প্রতিদিন ২৯টি পাম্প ব্যবহার করে ২ কোটি ১১ লাখ লিটার পানি উত্তোলন করা হয়। প্রতিদিন ৩৩ লাখ লিটার পানির ঘাটতি

থাকছে। শুষ্ক মৌসুমে ঘাটতি আরও বাড়ে। অপরদিকে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ১২ হাজারের উপর টিউবওয়েল আছে। শুষ্ক মৌসুমে পৌর এলাকায় পানির স্তর ২৫ থেকে ৩১ ফুট পর্যন্ত নেমে যায়। এ সময় পানি সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। পৌরসভার সরবরাহ পানির ঘাটতি ও টিউবওয়েল অকেজো থাকায় বেশিরভাগ বাসা বাড়ি সাবমারসিবল পাম্পের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। বহুতল ভবনের মালিকরা সাবমারসিবল কিংবা মোটরের মাধ্যমে পৌরসভার সরবরাহ লাইন থেকে পানি টেনে নিয়ে ট্যাংকে ‘রিজার্ভ’ করেন। এতে ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলন ও অপচয় বাড়ছে। পৌরসভার অনুমতি ব্যতীত সাবমারসিবল পাম্প স্থাপন নিষিদ্ধ হলেও কেউ মানছেন না। শহরের রায়পাড়ার বাসিন্দা হেলেনা পারভীন বলেন, বহুতল ভবনের মালিকরা পৌরসভার লাইনে মোটর সংযোগ

দিয়ে পানি টেনে নিয়ে ট্যাংকে ভরছেন। এতে অন্য বাসাবাড়ির লাইনে ঠিকমতো পানি আসছে না। আবার পানি এলেও গতি অনেক ধীর; ‘ট্যাপ’ দিয়ে (কল) চুইয়ে চুইয়ে পানি পড়ে। এই অনিয়ম বন্ধ করা উচিত। বিল দিয়েও পানি পাচ্ছি না। অন্যরা আমাদের পানিতে ভাগ বসাচ্ছে। যশোর পৌরসভার নাগরিক আন্দোলনের নেতা জিল্লুর রহমান ভিটু বলেন, পৌরসভা যে পানি সরবরাহ করে তা পান ও রান্নার কাজের অনুপযোগী। তাই বাধ্য হয়েই ভূগর্ভের পানি ব্যবহার করছেন পৌরবাসী। বিকল্প হিসাবে ভূপৃষ্টের বিভিন্ন উৎসের পানি কীভাবে ব্যবহার করা যায়; রাষ্ট্রকে সেটি ভাবতে হবে। যশোর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন) বিএম কামাল আহমেদ বলেন, পানির মান ও চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ পর্যাপ্ত

পরিমাণ নিশ্চিত না করা পর্যন্ত সাবমারসিবল বসানো এবং সেটি দিয়ে পানি তোলা বন্ধ করা কঠিন। তিনি বলেন, পানি শোধনের জন্য পৌরসভার তিনটি প্ল্যান্ট আছে। সেগুলো হলো-সিটি কলেজপাড়া, রেলগেট তেঁতুলতলায় ও পালবাড়ি এলাকা। কিন্তু এসব প্ল্যান্টে পানি শোধন করে সরবরাহ করাটা অনেক ব্যয়বহুল। শোধনের মাধ্যমে সরবরাহ করা হলে পানির যে পরিমাণ বিল ধার্য করতে হবে; সেটি অনেকে দিতে সামর্থ্য হবেন না। এ বিষয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. কেএম দেলোয়ার হোসাইন বলেন, ১৪ দশমিক ৭২ বর্গ কিলোমিটারের একটি শহরে ১১ হাজার সাবমারসিবল পাম্প পরিমাণে অনেক বেশি। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার এটি একটি

বড় কারণ। এত বেশি পরিমাণ সাবমারসিবল পাম্প দিয়ে ওই আয়তনের ভূমির তলদেশ থেকে পানি তোলা হয় বলে শুষ্ক মৌসুমে স্তর অনেক নিচে নেমে যায়। এতে একপর্যায়ে পানির স্তর স্থায়ীভাবে নিচে নেমে যেতে পারে। আর এমনটি হলে-‘অ্যাকুইফার’ অর্থাৎ তলদেশের স্তরের একটি অংশ; যেখান থেকে পানি সংগ্রহ করা হয়; সেখানে ‘স্যালাইনিটি ইনট্রুইশন’ হতে পারে। পুরোপুরি ভাবে লবণাক্ততা চলে আসতে পারে। এভাবে সাবমারসিবল পাম্প দিয়ে পানি তুললে শুষ্ক মৌসুমে পানির ঘাটতি আরও বাড়বে। ভবিষ্যতে বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শঙ্কা রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
চার্লি কার্ক হত্যাকাণ্ড: ২২ বছর বয়সী উগ্রবাদী তরুণ রবিনসন গ্রেপ্তার কৃষি মন্ত্রণালয়ে সার আমদানিতে নজিরবিহীন লুটপাট নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা পুলিশের গাড়ির সামনেই ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, উজ্জীবিত আওয়ামী লীগ ইউনূস সরকারের নয়া বন্দোবস্ত: বহির্বিশ্বে হয়রানির শিকার বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা রক্ষণশীল তারকা রাজনীতিবিদ কার্কের মৃত্যু রক্ষণশীলদের হাতেই? যে কালসাপ লালন-পালন করেছেন এতকাল এখন কেন তার ভয়ে ভীত ডা. জাহেদ? সরকারঘনিষ্ঠ সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে জিম্মি শ্রমিকরা, মালয়েশিয়া যাওয়ার খরচ বেড়ে ১ লাখ ৬২ হাজার টাকা পশ্চিমবঙ্গেও নেপালের মতো অভ্যুত্থানের ডাক দিয়ে ১৪ মামলা খেলেন বিজেপি নেতা! জঙ্গিবাদের আঁতুড়ঘর পাকিস্তানে সেনাবহরে জঙ্গি হামলায় ১২ সেনা নিহত, বেহাত সমরাস্ত্র-ড্রোন ভাঙ্গায় ৩ দিন মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধের ঘোষণা সহকারী শিক্ষকদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা ফিলিস্তিনের পক্ষে জাতিসংঘে ভোট দিল ভারত শূন্য রানে দুই ওপেনারকে হারাল বাংলাদেশ এইচএসসির ফল প্রকাশ নিয়ে যা জানা গেল ৪ জেলায় বন্যার আশঙ্কা ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু মার্কস অলরাউন্ডার ২০২৫ শুরু হলো সারা দেশে! ঋণের দায়ে চার মৃত্যু, ধার করে চল্লিশা সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন মারা গেছেন দেশের ৬৪ জেলায় হবে ‘মডেল মন্দির’