দক্ষিণাঞ্চলবাসীর জ্যান্ত আতঙ্ক ছিলেন আমু – ইউ এস বাংলা নিউজ




দক্ষিণাঞ্চলবাসীর জ্যান্ত আতঙ্ক ছিলেন আমু

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৬ নভেম্বর, ২০২৪ | ৪:৩০ 79 ভিউ
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমুর বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস কখনোই পায়নি দক্ষিণাঞ্চলে দলের কেউ। মৃদু প্রতিবাদেও ধ্বংস হয়ে যেত রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ। কেবল আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপি নেতারাও ভয়ে কখনো কথা বলত না তার বিরুদ্ধে। যেন সবার কাছেই জ্যান্ত আতঙ্ক ছিলেন ১৪ দলের সমন্বয়ক এই নেতা। হাসিনা সরকারের পতনের পর ঝালকাঠিতে বিএনপি নেতাদের করা প্রথম তিনটি মামলায় আসামি করা হয়নি তাকে। বিষয়টি নিয়ে কথা উঠলে ২ সেপ্টেম্বর দায়ের হওয়া সর্বশেষ মামলায় অনেকটা দায়সারাভাবে অন্তর্ভুক্ত হয় তার নাম। তাও সেই মামলার বাদী হননি বিএনপির দায়িত্বশীল কেউ। বেপরোয়া অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে গত ১৬ বছর ধরে শত শত কোটি টাকা আয় করলেও দেশে

সাবেক এমপি আমির হোসেন আমু তেমন কোনো সম্পদের সন্ধান মেলেনি। ব্যাংক ব্যবস্থার ওপর তেমন একটি ভরসা ছিল না তার। বস্তায় বস্তায় টাকা তিনি রাখতেন বাড়িতে। যার প্রমাণ মেলে গত ৫ আগস্ট। অর্থবিত্তে ঠিক কতটা ফুলেফেঁপে উঠেছিলেন সাবেক এমপি আমির হোসেন আমু তা জানা সম্ভব না হলেও তার সঙ্গে থাকা ছোট নেতারাও বনে গেছেন কোটিপতি। ৫ আগষ্টের আগ পর্যন্ত দোর্দণ্ড প্রতাপে ঝালকাঠি শাসন করা এই আওয়ামী লীগ নেতার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে জানে না কেউ। তার বিত্তের ভান্ডার দেখাশোনা করা ফখরুল মজিদ কিরনও আত্মগোপনে। সম্পর্কে ভায়রা এই কিরনের মাধ্যমেই ঠিকাদারি আর চাকরিসহ সব সেক্টর থেকে পার্সেন্টেজ আদায় করতেন আমু। যার সর্বশেষ

চালানের পাঁচ কোটি টাকা ৫ আগস্ট রাতে উদ্ধার হয় ঝালকাঠি শহরের রোনালস রোডে থাকা সাবেক এই মন্ত্রীর বাসভবন থেকে। ওই ঘটনায় সেফ্র একটি সাধারণ ডায়রি করা ছাড়া আর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ৩৫ দিনেও। পরিচয় না প্রকাশের শর্তে ঝালকাঠির একাধিক বাসিন্দা বলেন, ‘ক্ষমতার আমল কেবল নয়, ক্ষমতার বাইরে থাকলেও আমু প্রশ্নে নেতিবাচক কিছু বলার সাহস পেত না কেউ। অথচ ঝালকাঠিতে হেন দুর্নীতি নেই যা করেননি এই নেতা। সব দপ্তরের ঠিকাদারি কাজে নির্দিষ্ট অঙ্কের পার্সেন্টেজ দিতে হতো তাকে। টিআর কাবিখা আর সংসদ-সদস্যদের নামে বিশেষ বরাদ্দের ক্ষেত্রেও নিতেন টাকা।’ নলছিটি উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘আমার বিদ্যালয়ে গত বছর নৈশপ্রহরী, অফিস সহকারী

ও আয়া পদে তিনজন লোক নিয়োগের ক্ষেত্রে মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হয়েছে আমির হোসেন আমুর নির্ধারিত প্রতিনিধিকে। কেবল আমি নই, সব বিদ্যালয়সহ সব ধরনের নিয়োগেই ছিল একই নিয়ম।’ ঝালকাঠি সড়ক বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘যত ধরনের ঠিকাদারি টেন্ডার, সব ক্ষেত্রেই আমুকে দিতে হতো টাকা। ঠিকাদার নির্বচান প্রশ্নেও তার সিদ্ধান্তই ছিল চূড়ান্ত। ই-টেন্ডার চালু হওয়ার পরও নানা কৌশলে টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। কথা না শুনলে কেবল বদলি নয়, শারীরিক মানসিকভাবেও হতে হতো হেনস্তা।’ সড়ক বিভাগের মতো এলজিইডি, শিক্ষা প্রকৌশল দপ্তর, গণপূর্ত, থানা প্রকৌশলী এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন বিভাগসহ সব ক্ষেত্রেই ছিল একই অবস্থা। বেপরোয়া এই অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে গত ১৬ বছর ধরে শত

শত কোটি টাকা আয় করলেও দেশে আমির হোসেন আমুর তেমন কোনো সম্পদের সন্ধান মেলেনি। ঝালকাঠির রোনালস রোডে ভবন, বরিশাল নগরীর বগুড়া রোডে প্রাসাদসম আলীশান বাড়ি এবং রাজধানী ঢাকার ইস্কাটনে বেশ বড়সড় একটি বাগানবাড়ি রয়েছে তার। আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্রে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, ব্যাংক ব্যবস্থার ওপর তেমন একটি ভরসা ছিল না তার। অথবা এমনও হতে পারে যে ব্যাংকে গেলে ছিল ধরা পড়ার ভয়। বস্তায় বস্তায় টাকা তিনি রাখতেন বাড়িতে। যার প্রমাণ মেলে ৫ আগস্ট। বিক্ষুব্ধ জনতা ওইদিন হামলা ভাঙচুরের পর আগুন ধরিয়ে দেয় তার রোনালস রোডের বাড়িতে। ভাঙচুর চলাকালেই বহু মানুষকে দেখা গেছে বাড়ি থেকে বান্ডিল বান্ডিল টাকা নিয়ে বের হতে। তারপরও

আগুন নেভাতে যাওয়া ফায়ার সার্ভিসের লোকজন সেখান থেকে উদ্ধার করে কয়েক বস্তা ভর্তি টাকা। গোনার পর যার সংখ্যা দাঁড়ায় পাঁচ কোটিরও বেশি। একই সঙ্গে উদ্ধার হয় মোটা অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা। ঝালকাঠির মতো বরিশাল নগরীতে থাকা আমুর প্রাসাদেও হামলা ভাঙচুর হয় সেদিন। সেখান থেকেও বান্ডিল বান্ডিল টাকা নিয়ে বের হয় হামলাকারীরা।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে সবচেয়ে বেশি ‘ফলোয়ার’ যে ১০ ক্লাবের ইসরায়েলকে তার ভুলের জন্য শাস্তি পেতে হবে:খামেনি হামলার পরিকল্পনা ট্রাম্পকে ফেব্রুয়ারিতেই জানান নেতানিয়াহু পাকিস্তান সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে ট্রাম্প-মোদির ফোনালাপ নতুন টাকা নিয়ে বিড়ম্বনায় গ্রাহকরা, পড়ছেন সমস্যায় প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র সংকট, মহাবিপদে ইসরায়েল সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্প-খামেনির মহারণ ইরানের পাশে রাশিয়া, মধ্যস্থতা করতেও প্রস্তুত বিশ্ব নেতাদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা, বিশ্ব ভাগ হচ্ছে ২ ভাগে চার শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান ট্রাম্প কি একাই যুদ্ধে জড়াতে পারেন: যুক্তরাষ্ট্রের আইন কি বলে? ভেড়ামারায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে গোলাগুলি, আহত ৫ এআই যুদ্ধের সূচনা, কতটা সফল হবে ডিপসিক? শান্ত-মুশফিকের সেঞ্চুরিতে প্রথম দিনটা বাংলাদেশের ধ্বংসযজ্ঞে অনড় ইরান-ইসরায়েল তবু আপন কর্তব্যে অবিচল সেনাবাহিনী ঘাটতি বাজেটের অর্থায়নই প্রধান সমস্যা ঢাকাসহ দেশের ১৭টি অঞ্চলে ঝড়ের সম্ভাবনা শপথ ছাড়াই ‘নির্দেশনা’ দিচ্ছেন ইশরাক, সরকার নীরব তেহরান থেকে বাংলাদেশিদের সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ