তোফায়েলের পালক পুত্রের ৩৪ কোটি টাকার সম্পদ! – ইউ এস বাংলা নিউজ




তোফায়েলের পালক পুত্রের ৩৪ কোটি টাকার সম্পদ!

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২১ এপ্রিল, ২০২৫ | ৮:২৭ 43 ভিউ
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের পালক পুত্র মইনুল হোসেন বিপ্লব ও তার স্ত্রী ইসরাত জাহান বিন্তির নামে প্রায় ৩৪ কোটি টাকার সম্পদ থাকার তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এর মধ্যে প্রায় সোয়া ১২ কোটি টাকার সম্পদের কোনো বৈধ উৎস না থাকায় স্বামী-স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আওয়ামী শাসনামলে ভোলা জেলার আতঙ্ক বিপ্লব মূলত সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের বড় ভাই আলী আশরাফের ছেলে। নিজের ছেলে সন্তান না থাকা তোফায়েল ছোট বেলা থেকে বিপ্লবকে নিজের সন্তান পরিচয়ে মানুষ করেছেন। একপর্যায়ে তোফায়েলের ক্ষমতার জোরে বেপরোয়া হয়ে ওঠা বিপ্লবকে করা হয় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ত্যাগী-পরীক্ষিত নেতাদের

বাদ দিয়ে বিপ্লবকে সাধারণ সম্পাদক করায় তখন অন্যান্য নেতাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। তবে প্রভাবশালী নেতা তোফায়েলের ভয়ে মুখ খোলেননি কেউ। চাচা তথা পালক পিতার প্রভাবে বেপরোয়া বিপ্লব জেলাজুড়ে আতঙ্ক ছড়ানোর পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেন সব সরকারি দপ্তরের ঠিকাদারি। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে চাঁদাবাজিসহ আরও নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগও ওঠে তার বিরুদ্ধে। একপর্যায়ে বিপ্লবের কথার বাইরে গাছের পাতা না নড়ার মতো পরিস্থিতিও হয় ভোলায়। শুধু বিপ্লবই নয়, তার বড় ভাই আলী আজম মুকুলকেও রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেন তোফায়েল। দলীয় মনোনয়ন এনে তাকে করা হয় ভোলা-২ আসনের এমপি। বর্তমানে অবশ্য তিনি হত্যাসহ একাধিক মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলে আছেন। ৫ আগস্টের আগে দোর্দণ্ড প্রতাপশালী

বিপ্লব বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। তার স্ত্রী সাবেক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামালের কন্যা বিন্তিও আছেন আত্মগোপনে। আওয়ামী লীগের আমলে বেপারোয়া অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হওয়া বিপ্লব দম্পত্তির অবৈধ সম্পদের সন্ধানে সম্প্রতি তদন্তে নামে দুদক। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাটসহ বিপুল সম্পদের মালিকানা থাকার প্রমাণও মেলে বিপ্লব ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে আয়কর নথিতে দেয়া তথ্যে মাত্র কয়েক বছরে ৭৪ কোটি ৯৯ লাখ ৯ হাজার ৯৪৫ টাকা আয়ের তথ্য দেন বিপ্লব। এর মধ্যে রেমিট্যান্স, ভুয়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, গাড়ি বিক্রি ও মাছ চাষ খাতে দেখানো হয় ২৯ কোটি ৫৩ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৯ টাকার আয়। তবে দুদকের তদন্তে

এর পুরোটাই ভুয়া বলে প্রমাণ মিলেছে। এসব আয়ের পক্ষে কোনো দালিলিক প্রমাণ মেলেনি দুদকের অনুসন্ধানে। বারবার নোটিশ দেওয়ার এসব আয়ের পক্ষে কোনো যৌক্তিক প্রমাণও দাখিল করতে পারেনি এই বিপ্লব দম্পতি। রোববার ভোলা বিশেষ জজ আদালতে দাখিল হওয়া দুদকের মামলার নথিপত্র সূত্রে জানা গেছে, দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধানে ৪১টি দলিলে মোট ১৩ কোটি ৬ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৮ টাকার ভবন, ফ্ল্যাট এবং জমির সন্ধান মিলেছে বিপ্লবের। এর মধ্যে রয়েছে রাজধানীর বনানীতে বাড়ি ও ফ্ল্যাট। এছাড়া বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ, শেয়ার ও ব্যাংকে স্থায়ী আমানতে মিলেছে ২০ কোটি ৬৩ লাখ ৪৮ হাজার ৮৩৬ টাকার সন্ধান। এই মোট ৩৩ কোটি ৭০ লাখ ৩৮ হাজার ৮৩৪

টাকার সম্পদের বিপরীতে বিপ্লবের বৈধ আয় পাওয়া গেছে ৪৫ কোটি ৪৫ লাখ ৭৩ হাজার ২২৫ টাকা। আলোচ্য সময়ে তার জীবন নির্বাহে ব্যয় হওয়া ২৩ কোটি ৫১ লাখ ৭ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা বাদ দেয়ার পর অবশিষ্ট থাকে ২১ কোটি ৯৪ লাখ ৬৫ হাজার ৮১৯ টাকা। অথচ তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৩৩ কোটি ৭০ লাখ ৩৮ হাজার ৮৩৪ টাকা। এই হিসাবে মোট ১১ কোটি ৭৫ লাখ ৭৩ হাজার ১৫ টাকার সম্পদের কোনো বৈধ উৎস তার নেই। একইভাবে তার স্ত্রী ইসরাত জাহান বিন্তির মালিকানায় পাওয়া গেছে ৩৯ লাখ ৪২ হাজার ৭৭২ টাকার অবৈধ সম্পদ। আদালত সূত্রে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, অবৈধ সম্পদ অর্জনের এসব অভিযোগে

দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৭ ধারার ১ উপধারা অনুসারে মইনুল হোসেন বিপ্লব এবং একই ধারার ২ উপধারা অনুসারে ইসরাত জাহান বিন্তির বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছেন কমিশনের সহকারী পরিচালক খোন্দকার কামরুজ্জামান। এদের বিরুদ্ধে আরও কোনো অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়া গেলে তা তদন্ত রিপোর্টে দাখিল করা হবে উল্লেখ করা হয়েছে মামলার বর্ণনায়। ভোলা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীর বলেন, ‘এটি হচ্ছে আওয়ামী লীগ আমলে ভোলায় চলা বেপরোয়া লুটপাটের ছোট্ট নমুনা। বিপ্লবের মতো ছেলে ৩৩ কোটি টাকার সম্পদের মালিক। আমার তো মনে হয় এটুকু শুধু নয়, তার আরও অনেক সম্পদ রয়েছে যা এখনো তদন্তে বের হয়নি। আওয়ামী শাসনামলে পৌরসভা, এলজিইডি, ফ্যাসিলিটিজ, গণপূর্তসহ

সব দপ্তর ছিল তার নিয়ন্ত্রণে। আর এর সবকিছুরই নেপথ্যে ছিলেন তার পালক পিতা তোফায়েল আহমেদ।’ এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য মইনুল হোসেন বিপ্লব এবং স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
জন্মদিনে ‘ধুরন্ধর’ রূপে দেখা দিলেন রণবীর গাজায় ইসরাইলি হামলায় প্রাণ গেল আরও ৮২ ফিলিস্তিনির টেক্সাসে বন্যায় মৃত বেড়ে ৭৮, নিখোঁজ ৪১ আজ ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না ঢাকার যেসব এলাকায় লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা ইলন মাস্ককে রাজনীতির বিষয়ে যে পরামর্শ দিলেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী হামাস ক্ষমতায় থাকলে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হবেন না ইসরাইল: নেতানিয়াহু ইসরাইলকে গণহত্যাকারী আখ্যা দিয়ে ব্রিকস সম্মেলন শুরু করলেন লুলা গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত ৫ বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস রিটার্ন জমা দিলে পাবেন যেসব ছাড় নেতানিয়াহুর ওপর খেপলেন ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী ৩২ নম্বর ভাঙার ঘটনাকে বীভৎস মববাজি বললেন রুমিন ফারহানা খোঁজ মিলল সেই ডিজিএমের, কোথায় ছিলেন তিনি সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক সাইফ পাওয়ার টেকের অধ্যায় শেষ, চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বে নৌবাহিনী গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার ‘পাগল তত্ত্ব’ ব্যবহার করে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প রকেট চালিত গ্রেনেড দিয়ে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে।