
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

হ্রাস পেলেও যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানিতে এখনো শুল্ক দিতে হবে ৩৬.৫%

বড় দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলে ঢাকাগামী ৭২ বিমান যাত্রী

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত এলো ৩৯ বাংলাদেশি

আরও একদল বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

সামিরা খুঁজছিলেন নবম টার্গেট, গ্রেপ্তার করল পুলিশ

রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর

বেনজীরের ডক্টরেট ডিগ্রি স্থগিত করল ঢাবি প্রশাসন, তদন্তে কমিটি
তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম, তীব্র হচ্ছে বন্যার শঙ্কা

উত্তরাঞ্চলে তিস্তা নদীর পানি সমতলে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর এবং কুড়িগ্রাম জেলার তিস্তা নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলগুলোতে নতুন করে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
আজ রোববার (৩ আগস্ট) বিকালে সংস্থাটির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দিনভর বৃষ্টিপাত এবং উজান থেকে নেমে আসা পানির চাপে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিকাল ৩টায় তিস্তার পানি সমতলে রেকর্ড করা হয় ৫২.২০ মিটার, যা বিপৎসীমা (৫২.১৫ মিটার) অতিক্রম করে ৫ সেন্টিমিটার ওপরে অবস্থান করছে। গত ৬ ঘণ্টায় পানির উচ্চতা আরও বাড়ার তথ্যও দিয়েছে সংস্থাটি।
আগামী ২৪ ঘণ্টা ঝুঁকিপূর্ণ বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র বলছে, আজ রাত ১২টা পর্যন্ত
পানির প্রবাহ বাড়তে পারে এবং এরপর কিছুটা হ্রাস পেলেও তা সাময়িক হতে পারে। কারণ, আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী তিস্তা অববাহিকায় আগামী দুই দিন ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে, যা পুনরায় নদীর পানি বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। এতে করে নদীতীরবর্তী এলাকা ও নিম্নাঞ্চলে অবস্থানরত মানুষ নতুন করে ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। সরকারি একাধিক সংস্থা জানিয়েছে, তিস্তার পানি বিপৎসীমা সামান্য অতিক্রম করলেও এখনই বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই। তবে সতর্ক না থাকলে হঠাৎ প্রবল বর্ষণ বা পাহাড়ি ঢলে পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, তিস্তার পানির স্তর খুব দ্রুত ওঠানামা করে। তাই ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে আগেভাগেই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত
হতে পারে কৃষি ও গ্রামীণ অবকাঠামো তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোয় রয়েছে বিস্তীর্ণ চাষাবাদের জমি, খালবিল, ও বসতঘর। পানির মাত্রা আরও বাড়লে কৃষিজমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে, যা ফসলের ক্ষতির পাশাপাশি কৃষকদের জীবিকা ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। গ্রামীণ কাঁচা সড়ক ও বাঁধগুলোর কিছু জায়গা আগেই ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। নতুন পানি ঢুকলে তা আরও দুর্বল হয়ে পড়তে পারে, ফলে যোগাযোগব্যবস্থাও ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন প্রস্তুত বলছে জেলা কর্তৃপক্ষ লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, নদীসংলগ্ন ঝুঁকিপূর্ণ গ্রামগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। কোথাও পানি ঢুকে পড়লে দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্র খোলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকরা জানিয়েছেন, প্রয়োজন হলে
শুকনো খাবার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং জরুরি চিকিৎসাসেবা সরবরাহের প্রস্তুতি রয়েছে। তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু করা হবে। নদীতীরের মানুষের উদ্বেগ বাড়ছে তিস্তা নদীঘেঁষা অনেক গ্রামের মানুষ ইতোমধ্যেই ভয়ে রয়েছেন। গত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে অনেকেই গবাদি পশু ও মূল্যবান সামগ্রী সরিয়ে নিতে শুরু করেছেন। ছোট ছোট বাঁধগুলোতে নতুন করে বালির বস্তা ফেলছেন স্থানীয়রা। একজন কৃষক বলেন, “গতবার পানি এক রাতেই উঠে ঘর ভাসিয়ে দিয়েছিল। এবারও মনে হচ্ছে, বড় ক্ষতি হবে। কেউ আমাদের বলছে না কী করবো।” সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ জরুরি বন্যা পরিস্থিতি এখনও মারাত্মক পর্যায়ে না গেলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আগে থেকে
প্রস্তুতি না নিলে হঠাৎ সৃষ্ট দুর্যোগে মানবিক বিপর্যয় ঘটতে পারে। তারা স্থানীয় পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক গোষ্ঠী সক্রিয় করা, নদীতীরবর্তী বাঁধ ও কাঁচা সড়কের অবস্থা পর্যালোচনা এবং ত্রাণ মজুদ রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
পানির প্রবাহ বাড়তে পারে এবং এরপর কিছুটা হ্রাস পেলেও তা সাময়িক হতে পারে। কারণ, আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী তিস্তা অববাহিকায় আগামী দুই দিন ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে, যা পুনরায় নদীর পানি বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। এতে করে নদীতীরবর্তী এলাকা ও নিম্নাঞ্চলে অবস্থানরত মানুষ নতুন করে ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। সরকারি একাধিক সংস্থা জানিয়েছে, তিস্তার পানি বিপৎসীমা সামান্য অতিক্রম করলেও এখনই বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই। তবে সতর্ক না থাকলে হঠাৎ প্রবল বর্ষণ বা পাহাড়ি ঢলে পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, তিস্তার পানির স্তর খুব দ্রুত ওঠানামা করে। তাই ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে আগেভাগেই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত
হতে পারে কৃষি ও গ্রামীণ অবকাঠামো তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোয় রয়েছে বিস্তীর্ণ চাষাবাদের জমি, খালবিল, ও বসতঘর। পানির মাত্রা আরও বাড়লে কৃষিজমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে, যা ফসলের ক্ষতির পাশাপাশি কৃষকদের জীবিকা ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। গ্রামীণ কাঁচা সড়ক ও বাঁধগুলোর কিছু জায়গা আগেই ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। নতুন পানি ঢুকলে তা আরও দুর্বল হয়ে পড়তে পারে, ফলে যোগাযোগব্যবস্থাও ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন প্রস্তুত বলছে জেলা কর্তৃপক্ষ লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, নদীসংলগ্ন ঝুঁকিপূর্ণ গ্রামগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। কোথাও পানি ঢুকে পড়লে দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্র খোলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকরা জানিয়েছেন, প্রয়োজন হলে
শুকনো খাবার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং জরুরি চিকিৎসাসেবা সরবরাহের প্রস্তুতি রয়েছে। তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু করা হবে। নদীতীরের মানুষের উদ্বেগ বাড়ছে তিস্তা নদীঘেঁষা অনেক গ্রামের মানুষ ইতোমধ্যেই ভয়ে রয়েছেন। গত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে অনেকেই গবাদি পশু ও মূল্যবান সামগ্রী সরিয়ে নিতে শুরু করেছেন। ছোট ছোট বাঁধগুলোতে নতুন করে বালির বস্তা ফেলছেন স্থানীয়রা। একজন কৃষক বলেন, “গতবার পানি এক রাতেই উঠে ঘর ভাসিয়ে দিয়েছিল। এবারও মনে হচ্ছে, বড় ক্ষতি হবে। কেউ আমাদের বলছে না কী করবো।” সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ জরুরি বন্যা পরিস্থিতি এখনও মারাত্মক পর্যায়ে না গেলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আগে থেকে
প্রস্তুতি না নিলে হঠাৎ সৃষ্ট দুর্যোগে মানবিক বিপর্যয় ঘটতে পারে। তারা স্থানীয় পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক গোষ্ঠী সক্রিয় করা, নদীতীরবর্তী বাঁধ ও কাঁচা সড়কের অবস্থা পর্যালোচনা এবং ত্রাণ মজুদ রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।