তিব্বতে মেগা বাঁধ প্রকল্প উদ্বোধন চীনের, বিপাকে ভারত ও বাংলাদেশ – ইউ এস বাংলা নিউজ




তিব্বতে মেগা বাঁধ প্রকল্প উদ্বোধন চীনের, বিপাকে ভারত ও বাংলাদেশ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২০ জুলাই, ২০২৫ | ৫:০২ 42 ভিউ
তিব্বত মালভূমিতে একটি মেগা বাঁধ প্রকল্প উদ্বোধনের ঘোষণা দিয়েছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং, যা বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইয়ারলুং সাংপো নদীর নিম্নাঞ্চলে অবস্থিত এই বিশাল প্রকল্প ভারত ও বাংলাদেশে পানি সরবরাহ এবং পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে। সূত্র : সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, শনিবার তিব্বতের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের দক্ষিণ-পূর্বে ন্যিংচি শহরে অবস্থিত ইয়ারলুং সাংপো নদীর নিম্নপ্রবাহে এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে অংশ নেন লি কিয়াং। এই ইয়ারলুং সাংপো নদীই তিব্বত ছাড়িয়ে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও আসাম রাজ্যে প্রবেশ করার পর ব্রহ্মপুত্র নাম ধারণ করে এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তিব্বতের বিপুল

জলবিদ্যুৎ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে এটি বৃহত্তর কৌশলের অংশ। প্রকল্পটি গত ডিসেম্বরে চূড়ান্ত অনুমোদন পায়। বেইজিং তার পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অধীনে ২০২০ সালে প্রথম বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা ঘোষণা করে। এই প্রকল্পটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রকল্প হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, যার আনুমানিক বার্ষিক ক্ষমতা ৩০০ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা-যা থ্রি জর্জেস বাঁধের তিনগুণ ক্ষমতা সম্পন্ন। তবে, এই প্রকল্প ভারত ও বাংলাদেশে তাদের পানি ও খাদ্য নিরাপত্তার উপর প্রভাব ফেলতে পারে এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে জনবসতি উচ্ছেদ, পরিবেশের বড় ধরনের ক্ষতি এবং ‘পানির মাধ্যমে চাপ সৃষ্টির কৌশল হিসেবে এ বাঁধ ব্যবহারের আশঙ্কা—যার মাধ্যমে চীন ইচ্ছাকৃতভাবে বন্যা বা খরার সৃষ্টি করতে পারে। চীন দাবি করে যে, প্রকল্পটি নিয়ে

অনেক বৈজ্ঞানিক মূল্যায়ন করা হয়েছে এবং এটি প্রতিবেশী দেশগুলোর পরিবেশ, ভূতাত্ত্বিক স্থিতিশীলতা বা পানির অধিকারের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে না। বেইজিং আরও বলেছে, তারা প্রতিবেশী দেশগুলোর ক্ষতির বিনিময়ে কোনও লাভের চেষ্টা করছে না। বরং, চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, প্রকল্পটি দুর্যোগ প্রতিরোধ ও প্রশমন প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে পারে। জানা গেছে, এই বাঁধের কারণে ভারত অরুণাচল প্রদেশের ব্রহ্মপুত্র নদে নিজস্ব জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে বাধ্য হয়েছে, যাতে পানির অধিকার নিশ্চিত করা যায়। ভারত অরুণাচল প্রদেশকে তাদের ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে, অন্যদিকে চীন এটিকে দক্ষিণ তিব্বতের অংশ বলে দাবি করে এবং সেখানে অন্যান্য ভারতীয় অবকাঠামো প্রকল্পের বিরোধিতা করে সিনহুয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে,

তিব্বতের এই মেগা প্রকল্পে পাঁচটি ক্যাসকেড জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র থাকবে, যার মোট বিনিয়োগ আনুমানিক ১.২ ট্রিলিয়ন ইউয়ান (১৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)। প্রকল্পটি মূলত তিব্বতের স্থানীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বহিরাগত ব্যবহারের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
যেসব কারণে স্মার্টফোনের ব্যাটারি ফুলে যেতে পারে শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা দায়িত্বে ফিরছে এপিবিএন এক সচিবকে দুদকের মামলা থেকে বাঁচাতে দেড়শ কোটি টাকার চুক্তি শনিবার বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায় বাগরাম বিমানঘাঁটি নিয়ে আবারও আফগানিস্তান দখলের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের? ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো উগ্রপন্থি মতাদর্শে প্রভাবিত: পাকিস্তান সেনাবাহিনী কিছু টিভি নেটওয়ার্কের লাইসেন্স বাতিল করা উচিত: ট্রাম্প সামরিক ড্রোন তৈরিতে এআই প্রযুক্তিতে নজর কিম জং উনের জাতিগত নিধনের সব অস্ত্রই ব্যবহার করছে ইসরাইল: ইয়েমেনি নেতা যুক্তরাষ্ট্র ‘পুতুল সরকার’ বসানোর চেষ্টা করছে, অভিযোগ মাদুরোর বাবা হারালেন ‘ইত্যাদি’র জনপ্রিয় অভিনেতা নিপু আবারও ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ হলেন মিথিলা এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচ কবে কখন? এক নজরে দেখে নিন সূচি ওষুধের দোকানে মদ বিক্রি, বাবা-ছেলেসহ আটক ৩ তিন মাসে বিদেশি ঋণ বাড়ল সাত বিলিয়ন ডলার মুমিনের জীবনে ভুল থেকে শিক্ষা অনাবাসিক শিক্ষার্থীরাই নির্ধারণ করবে চাকসুর ফল জাহেলি যুগে আরবের দীর্ঘতম যুদ্ধ সারে গ্যাসের দাম বাড়াবে পেট্রোবাংলা ৭০০ বছরের ইতিহাসের সাক্ষী পোদ্দার বাড়ি