ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
শান্ত কেন উইকেটকিপার, যা বললেন রিশাদ
কেন হঠাৎ বাংলাদেশ দল থেকে বিরতি, জবাব দিলেন জাহানারা
হৃদয়-মায়ার্সের তাণ্ডবে বরিশালের দুরন্ত জয়
হঠাৎ মাঠে ঢুকে ক্রিকেটারের ওপর টাকার বৃষ্টি সমর্থকের
বিশ্বকাপজয়ীর ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে রেকর্ডগড়া জয় রংপুরের
‘বাংলাদেশে কোনো ভবিষ্যৎ নেই, টাকা ছাড়া জীবন মূল্যহীন’
ফারুক-ফাহিমের দ্বন্দ্বে মনে ব্যথা পেয়েছেন সুজন
তিন মোড়লের দুই স্তরের টেস্ট প্রস্তাবে বিরক্ত লয়েড
আইসিসিতে বিগ থ্রি বা তিন মোড়ল অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও ভারতের দাপটটা অনেক দিন ধরেই। সেই দাপট কাজে লাগিয়ে এবার দুই স্তর বিশিষ্ট টেস্ট কাঠামোর বিষয়টি সামনে আনা হয়েছে। যেই প্রস্তাব আইসিসিতে গৃহীত হলে আগামী ২০২৭ সাল থেকে শীর্ষ স্তরে খেলবে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা—এই সাত দল।
আর বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডকে তখন খেলতে হবে দ্বিতীয় স্তরে। যার ফলে এই বোর্ডগুলোর টেস্ট ম্যাচের সংখ্যা ও এ থেকে আয়ের পরিমাণও কমবে। আর এমন প্রস্তাবের আলোচনাকে বাজে প্রস্তাব হিসেবে এখনই বন্ধ করে দেওয়া উচিত বলে মত দিয়েছেন ক্যারিবীয় কিংবদন্তি ও দুইবারের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড।
দুই স্তরের টেস্ট
ক্রিকেট নিয়ে লয়েড বলেন, ‘আমার মনে হয় না দুই স্তরের কাঠামো বাস্তবায়িত হবে। আমি এই খবর শুনে খুব বিরক্ত। এখনই এটাকে থামিয়ে দেওয়া উচিত। এখানে তো ৩০-৪০টি দল নেই, দল মাত্র ১০টি (আসলে ১২ টি)। আমাদের এমন একটা কাঠামো থাকা উচিত, যেখানে সবাই নিয়মিত খেলার সুযোগ পাবে।’ তিন মোড়লের নতুন প্রস্তাব টেস্ট ক্রিকেটের ভালোর চেয়ে খারাপই বেশি হবে বলেও মনে করেন লয়েড, ‘টেস্ট ক্রিকেট এখনো ক্রিকেটের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত সংস্করণ। এখন তো মনে হচ্ছে এটাকে এক পাশে সরিয়ে রাখার ব্যবস্থা হচ্ছে। যদি এমনটাই হয়, তবে সেটি খুব বড় ভুল হবে। আমাদের আরও ভালো কাঠামো দরকার। সবাই বসে অনেক চিন্তাভাবনা করেই কিছু করা
উচিত, শুধু টি-টোয়েন্টিই সবকিছু—এটা বললে হবে না।’ দুই স্তরের কাঠামোয় টেস্ট ক্রিকেট কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন লয়েড, ‘বড় বিপর্যয় হতে পারে। যেহেতু ভালো দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগ থাকবে না, তাই নিচের স্তরের দলগুলোর উন্নতির সুযোগ থাকবে না। শুধু নিজেদের (একই মানের) মধ্যে খেলে কীভাবে উন্নতি করবেন? টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করা দলগুলো হঠাৎই নিজেদের নিচু স্তরে অবনমিত দেখতে পাবে।’ তবে শেষ পর্যন্ত যদি মোড়লরাই জেতে। আর দুই স্তরের টেস্ট ক্রিকেট চালু হয়। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট যে ধ্বংস হয়ে যাবে সেই আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন লয়েড, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজে যদি টেস্ট ক্রিকেটে ‘‘ইতিহাস’’ হয়ে যায়, তবে সেটি হৃদয়বিদারকই হবে। আমরা
প্রায় ১০০ বছর ধরে আইসিসির অংশ। কী ঝলমলে আমাদের ইতিহাস। যদিও ভারত-পাকিস্তানের তুলনায় আমাদের জনসংখ্যাকে নগণ্যই বলা চলে। আর এখন আর্থিক দুরবস্থার কারণে আমরা পথ হারিয়েছি।’ এমন পরিস্থিতিতে টেস্ট ক্রিকেটকে দুই ভাগ না করার অনুরোধ করে সাবেক এই কিংবদন্তি বলেন, ‘সবাই শুধু টি-টোয়েন্টিই চায় না, আমরা টেস্ট ক্রিকেটও দেখতে চাই। কারণ, টি-টোয়েন্টি হলো প্রদর্শনী, অন্য দিকে টেস্ট ক্রিকেট হলো সামর্থ্যের পরীক্ষা। শুধু টেস্ট ক্রিকেট দেখেই আপনি একজন ক্রিকেটারের প্রকৃত সামর্থ্য বুঝতে পারবেন।’
ক্রিকেট নিয়ে লয়েড বলেন, ‘আমার মনে হয় না দুই স্তরের কাঠামো বাস্তবায়িত হবে। আমি এই খবর শুনে খুব বিরক্ত। এখনই এটাকে থামিয়ে দেওয়া উচিত। এখানে তো ৩০-৪০টি দল নেই, দল মাত্র ১০টি (আসলে ১২ টি)। আমাদের এমন একটা কাঠামো থাকা উচিত, যেখানে সবাই নিয়মিত খেলার সুযোগ পাবে।’ তিন মোড়লের নতুন প্রস্তাব টেস্ট ক্রিকেটের ভালোর চেয়ে খারাপই বেশি হবে বলেও মনে করেন লয়েড, ‘টেস্ট ক্রিকেট এখনো ক্রিকেটের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত সংস্করণ। এখন তো মনে হচ্ছে এটাকে এক পাশে সরিয়ে রাখার ব্যবস্থা হচ্ছে। যদি এমনটাই হয়, তবে সেটি খুব বড় ভুল হবে। আমাদের আরও ভালো কাঠামো দরকার। সবাই বসে অনেক চিন্তাভাবনা করেই কিছু করা
উচিত, শুধু টি-টোয়েন্টিই সবকিছু—এটা বললে হবে না।’ দুই স্তরের কাঠামোয় টেস্ট ক্রিকেট কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন লয়েড, ‘বড় বিপর্যয় হতে পারে। যেহেতু ভালো দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগ থাকবে না, তাই নিচের স্তরের দলগুলোর উন্নতির সুযোগ থাকবে না। শুধু নিজেদের (একই মানের) মধ্যে খেলে কীভাবে উন্নতি করবেন? টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করা দলগুলো হঠাৎই নিজেদের নিচু স্তরে অবনমিত দেখতে পাবে।’ তবে শেষ পর্যন্ত যদি মোড়লরাই জেতে। আর দুই স্তরের টেস্ট ক্রিকেট চালু হয়। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট যে ধ্বংস হয়ে যাবে সেই আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন লয়েড, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজে যদি টেস্ট ক্রিকেটে ‘‘ইতিহাস’’ হয়ে যায়, তবে সেটি হৃদয়বিদারকই হবে। আমরা
প্রায় ১০০ বছর ধরে আইসিসির অংশ। কী ঝলমলে আমাদের ইতিহাস। যদিও ভারত-পাকিস্তানের তুলনায় আমাদের জনসংখ্যাকে নগণ্যই বলা চলে। আর এখন আর্থিক দুরবস্থার কারণে আমরা পথ হারিয়েছি।’ এমন পরিস্থিতিতে টেস্ট ক্রিকেটকে দুই ভাগ না করার অনুরোধ করে সাবেক এই কিংবদন্তি বলেন, ‘সবাই শুধু টি-টোয়েন্টিই চায় না, আমরা টেস্ট ক্রিকেটও দেখতে চাই। কারণ, টি-টোয়েন্টি হলো প্রদর্শনী, অন্য দিকে টেস্ট ক্রিকেট হলো সামর্থ্যের পরীক্ষা। শুধু টেস্ট ক্রিকেট দেখেই আপনি একজন ক্রিকেটারের প্রকৃত সামর্থ্য বুঝতে পারবেন।’