তালেবানের পাশে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের সমালোচনা করল ভারত
পাকিস্তানের বিমান হামলায় আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় পাকতিকা প্রদেশে অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছেন তালেবান সরকারের মুখপাত্র। গত ২৪ ডিসেম্বর পাকতিকা প্রদেশের চারটি স্থানে ওই বোমাবর্ষণের ঘটনা ঘটে।
আফগানিস্তানে বিমান হামলার নিন্দা জানিয়েছে ভারত। সোমবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে প্রতিবেশীকে দোষারোপ করা ইসলামাবাদের পুরনো অভ্যাস। এ ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ‘আমরা কিছু মিডিয়া রিপোর্ট দেখেছি, আফগানিস্তানের নারী ও শিশুসহ নাগরিকদের ওপর এয়ারস্ট্রাইকের। যার ফলে বহু মূল্যবান প্রাণ শেষ হয়ে গিয়েছে।’
একইসঙ্গে তিনি পাকিস্তানকে খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘আমরা সাফভাবে নিরীহদের প্রতি যেকোনোও হামলার নিন্দা করছি। এটা
পাকিস্তানের পুরনো অভ্যাস যে নিজেদের অভ্য়ন্তরীণ ব্যর্থতার দায় তারা প্রতিবেশীদের ওপর চাপিয়ে দেয়। আমরা এই মর্মে আফগানিস্তানের মুখপাত্রের প্রতিক্রিয়াকেও নজরে রেখেছি।’ ২০২২ সালের নভেম্বরে পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পরে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করেছিল আফগান তালিবানের একাংশের মদতপুষ্ট তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)। বিদ্রোহী ওই পাশতুন গোষ্ঠীর অভিযোগ ছিল, সংঘর্ষবিরতি ভেঙে পাকিস্তান সেনা এবং ‘কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্টের’ (সিটিডি) যৌথবাহিনী অভিযান শুরু করার ফলেই অশান্তি ছড়িয়েছে খাইবার-পাখতুনখোয়ায়।
পাকিস্তানের পুরনো অভ্যাস যে নিজেদের অভ্য়ন্তরীণ ব্যর্থতার দায় তারা প্রতিবেশীদের ওপর চাপিয়ে দেয়। আমরা এই মর্মে আফগানিস্তানের মুখপাত্রের প্রতিক্রিয়াকেও নজরে রেখেছি।’ ২০২২ সালের নভেম্বরে পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পরে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করেছিল আফগান তালিবানের একাংশের মদতপুষ্ট তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)। বিদ্রোহী ওই পাশতুন গোষ্ঠীর অভিযোগ ছিল, সংঘর্ষবিরতি ভেঙে পাকিস্তান সেনা এবং ‘কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্টের’ (সিটিডি) যৌথবাহিনী অভিযান শুরু করার ফলেই অশান্তি ছড়িয়েছে খাইবার-পাখতুনখোয়ায়।