তাইওয়ানে বর্ষবরণে কান্নার উৎসব – ইউ এস বাংলা নিউজ




তাইওয়ানে বর্ষবরণে কান্নার উৎসব

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৫:৫৯ 12 ভিউ
পুরাতনকে ভুলে নতুন বছর যেন নতুন আশার সঞ্চার। সবমিলিয়ে যেন ভালো যায় এই যেন সবার কাম্য। সারাবিশ্বে চলে নানা আয়োজন। রঙিন ও বর্ণাঢ্য সাজে মেতে উঠে অধিকাংশ দেশের রাস্তা-ঘাট। কিন্তু বৈচিত্র্যময় বিশ্বে এই উৎসব পালনে দেখা যায় ভিন্নতা। পূর্ব এশিয়ার দেশ তাইওয়ানে রীতিমতো কান্নার মাধ্যমে শুরু হয় বর্ষবরণ উৎসব। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য। তাইপেই শহরের দা’আন ফরেস্ট পার্কে এই কান্নার উৎসবের আয়োজন করেছিলেন ২২ বছর বয়সি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হ্যারি লি। ২০২৩ সালে মজার ছলে ফেসবুকে করা একটি পোস্ট থেকে এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের সূচনা হয়। পোস্টে তিনি আহ্বান জানান মানুষকে পার্কে এসে ৩০ মিনিট ধরে কাঁদতে। বিষয়টি

জনপ্রিয় তাইওয়ানিজ চলচ্চিত্র ‘ভিভ ল’আমোর’-এর একটি দৃশ্য থেকে অনুপ্রাণিত। ১৯৯৪ সালে ভেনিস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত এই চলচ্চিত্রটি তাইপেই শহরের দ্রুত আধুনিকায়ন এবং নগরজীবনের একাকীত্ব ও অবসাদকে চিত্রিত করে। চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্যে নারী চরিত্রটি পার্কের বেঞ্চে বসে দীর্ঘক্ষণ কাঁদার পর সিগারেট জ্বালিয়ে শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। হ্যারি লি’র পোস্টটি মজার জন্য করা হলেও তা দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়। ২০২৩ সালের নববর্ষের রাতে প্রায় ১৬ হাজার মানুষ এতে যোগদানের আগ্রহ দেখান। শত শত মানুষ পার্কে জড়ো হয়ে কাঁন্না, হাসি, গান গাওয়া, নাচ ও গল্প বলার মাধ্যমে উৎসব উদযাপন করেন। লি বলেন, আমি কখনও ভাবিনি মানুষ সত্যিই আসবে বা এটি এতটা জনপ্রিয় হবে। ২০২৪ সালের

এই কান্নার উৎসবে ইতোমধ্যে ৩৩ হাজার মানুষ যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এবার তাইওয়ান ফিল্ম অ্যান্ড অডিওভিজ্যুয়াল ইনস্টিটিউট এই আয়োজনকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। তারা পার্কে ‘ভিভ ল’আমোর’ চলচ্চিত্রের মুক্তির ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে একটি আউটডোর প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। চলচ্চিত্রের মূল অভিনয়শিল্পীরা এতে অংশ নেবেন। ২০২৩ সালে অংশগ্রহণকারীরা এই আয়োজনকে সংবেদনশীল ও আবেগঘন বলে বর্ণনা করেছেন। কেউ কেউ সেখানে নিজের কষ্টের কথা ভাগাভাগি করে কেঁদেছেন, আবার অনেকে নিজেদের আবেগমুক্ত করেছেন। অ্যাস্টার চ্যাং বলেন, ‘আমি সত্যিই কেঁদেছি! একটি পুরো টিস্যু প্যাকেট শেষ হয়ে গিয়েছিল’। আরেক অংশগ্রহণকারী চেন চু-ইয়ুয়ান বলেন, ‘যখন আপনি এখানে কাঁদবেন, তখন মানুষ আপনাকে সান্ত্বনা দেবে, আঙুল তুলে দেখাবে না।’ এই

কান্নার উৎসবটি দেখিয়েছে যে, সবাই একইভাবে আনন্দ উদযাপন করে না। যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্যদের জীবন দেখে ঈর্ষান্বিত বা একাকী বোধ করেন, তাদের জন্য এটি ছিল এক বিরল ও মুক্তির মতো অভিজ্ঞতা। উল্লেখ্য, তাইওয়ানে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাপক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ৩০ থেকে ৪৫ বছর বয়সিদের প্রতি চারজনের একজনের মধ্যে বিষণ্নতা বা উদ্বেগের লক্ষণ দেখা গেছে। এই সমস্যার সমাধানে সরকার বিনামূল্যে কাউন্সেলিং প্রোগ্রাম চালু করেছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ৬৮ হাজার ডলার অনুদান দিলেন বিটিএসের জে-হোপ শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আগের মতোই নিরুত্তর ভারত টাঙ্গাইলে প্রশিক্ষণরত ১৪ পুলিশ কনস্টেবলকে অব্যাহতি বিপর্যয় থেকে মুগ্ধ-রনির ব্যাটে ভালো পুঁজি খুলনার ঘন কুয়াশায় দুর্ঘটনা এড়াতে রেলওয়ের নির্দেশনা শীতের মেয়াদ কি কমে যাচ্ছে ডোপ টেস্ট কিটে ‘মাফিয়াগিরি’ নির্বিচার আতশবাজি ফানুস, বিপন্ন প্রাণ-প্রকৃতি কুয়াশায় ঢাকা রাজধানী, বেড়েছে শীতের তীব্রতা লাগেজে অবৈধ মদ বহন, দুই কেবিন ক্রুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বিমান প্রবাসীদের মরদেহ বিনা খরচে দেশে আনার দাবি গাড়ি আমদানিতে নগদ মার্জিনের শর্ত শিথিল ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৮ শতাংশ তুরস্কে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে সমাবেশে হাজারো মানুষের ঢল চালের বাজার অস্থির, নাগালের বাইরে মাছ-মাংসের দাম বিয়ে না করেই একসঙ্গে বসবাস , বিপাকে অভিনেত্রী স্বাগতা সাকিব বাদে বিপিএল কি লবণ ছাড়া তরকারি? পুলিশের মধ্যে ডিবির হারুনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা সবচেয়ে বেশি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র বাণিজ্যের অভিযোগ দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রানপাহাড়ে চাপা পড়ল রাজশাহী, চিটাগংয়ের রেকর্ডগড়া জয়