
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

পাকিস্তানে কেএফসিতে হামলা-সংঘর্ষে নিহত ১, গ্রেপ্তার ১৭৮

ইস্টার সানডে উপলক্ষে ইউক্রেনে ৩০ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা পুতিনের

ভারতীয়-বাংলাদেশিসহ ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল যুক্তরাষ্ট্রের

ইউক্রেনে ‘সাময়িক যুদ্ধবিরতি’ ঘোষণা পুতিনের

কুয়েতে মসজিদ ও নামাজের সময় নিয়ে নতুন নির্দেশনা

ভারতের যে অঞ্চলে হঠাৎ মানুষের নখ পড়ে যাচ্ছে

কানাডায় গুলিতে ভারতীয় শিক্ষার্থী নিহত, যা বলছে পুলিশ
ট্রাম্পের ‘দখল’ হুমকির মধ্যেই, কানাডায় আগাম নির্বাচনের ঘোষণা

ট্রাম্পের ‘দখল’ হুমকির মধ্যেই, কানাডায় আগাম নির্বাচনের ঘোষণা কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি আকস্মিকভাবে ২৮ এপ্রিল জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের পর তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এবার লিবারেল পার্টি ও প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী কার্নি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর বাণিজ্য নীতি এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের "৫১তম রাজ্য" বানানোর হুমকির মুখে দেশকে সুরক্ষিত রাখতে তিনি শক্তিশালী সরকার চান।
নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী কার্নি বলেন, “আমি গভর্নর জেনারেলের কাছে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার অনুরোধ করেছি এবং তিনি সম্মতি দিয়েছেন। ট্রাম্প আমাদের দুর্বল করে দিতে চায়, যাতে আমেরিকা আমাদের গ্রাস করতে পারে।
আমরা তা হতে দেব না।” মাত্র এক সপ্তাহ আগে জাস্টিন ট্রুডো দলীয় ও বিরোধী দলের প্রবল চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেন। এরপর ১৪ মার্চ মার্ক কার্নি এবং তার নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোকে বারবার "গভর্নর" বলে ব্যঙ্গ করেছেন এবং দেশটির ওপর কঠোর শুল্ক আরোপ করেছেন। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই শুল্ক কানাডার অর্থনীতির জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। সাধারণত নির্বাচন অক্টোবর মাসে হওয়ার কথা ছিল, তবে বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে কার্নি মনে করছেন, দেশকে সঠিক পথে রাখতে জনগণের শক্তিশালী রায় জরুরি। ট্রাম্পের হুমকি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য সংকটের কারণে এবারের নির্বাচনে মূল্যস্ফীতি ও অভিবাসন ইস্যুর চেয়ে "জাতীয় নিরাপত্তা
ও সার্বভৌমত্ব" বড় রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে উঠেছে। ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে পার্লামেন্টের ৩৪৩টি আসনের জন্য ভোট হবে, যা ২০২১ সালের তুলনায় পাঁচটি বেশি। কানাডার ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কারণে এই আসন বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রতিটি নির্বাচনী এলাকা থেকে সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত প্রার্থী বিজয়ী হবেন। কোনো দল যদি ১৭২টি আসন পায়, তবে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করতে পারবে। তবে কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়া দলকে সরকার গঠনের সুযোগ দেওয়া হবে, যদি তারা সংসদের আস্থা অর্জন করতে পারে। এখন দেখার বিষয়, প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির নেতৃত্বে লিবারেল পার্টি দেশপ্রেমের আবেগ কাজে লাগিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে, নাকি কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়েরে পয়লিয়েভর নেতৃত্বে পরিবর্তনের জোয়ার
আসে।
আমরা তা হতে দেব না।” মাত্র এক সপ্তাহ আগে জাস্টিন ট্রুডো দলীয় ও বিরোধী দলের প্রবল চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেন। এরপর ১৪ মার্চ মার্ক কার্নি এবং তার নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোকে বারবার "গভর্নর" বলে ব্যঙ্গ করেছেন এবং দেশটির ওপর কঠোর শুল্ক আরোপ করেছেন। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই শুল্ক কানাডার অর্থনীতির জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। সাধারণত নির্বাচন অক্টোবর মাসে হওয়ার কথা ছিল, তবে বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে কার্নি মনে করছেন, দেশকে সঠিক পথে রাখতে জনগণের শক্তিশালী রায় জরুরি। ট্রাম্পের হুমকি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য সংকটের কারণে এবারের নির্বাচনে মূল্যস্ফীতি ও অভিবাসন ইস্যুর চেয়ে "জাতীয় নিরাপত্তা
ও সার্বভৌমত্ব" বড় রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে উঠেছে। ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে পার্লামেন্টের ৩৪৩টি আসনের জন্য ভোট হবে, যা ২০২১ সালের তুলনায় পাঁচটি বেশি। কানাডার ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কারণে এই আসন বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রতিটি নির্বাচনী এলাকা থেকে সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত প্রার্থী বিজয়ী হবেন। কোনো দল যদি ১৭২টি আসন পায়, তবে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করতে পারবে। তবে কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়া দলকে সরকার গঠনের সুযোগ দেওয়া হবে, যদি তারা সংসদের আস্থা অর্জন করতে পারে। এখন দেখার বিষয়, প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির নেতৃত্বে লিবারেল পার্টি দেশপ্রেমের আবেগ কাজে লাগিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে, নাকি কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়েরে পয়লিয়েভর নেতৃত্বে পরিবর্তনের জোয়ার
আসে।