
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

রাজনৈতিক মতৈক্য ছাড়াই সীমানা আইন চূড়ান্ত

সব মামলা থেকে পরিত্রাণ পেলেন খালেদা জিয়া

সরকার আদৌ নির্বাচন দেবে কিনা সন্দেহ হচ্ছে: মির্জা ফখরুল

দুঃখপ্রকাশ করে ছাত্রদল বলল, কুয়েটে হামলায় নেতৃত্বে বৈষম্যবিরোধীরা

সরকারের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে দল গঠন করলে মেনে নেওয়া হবে না: মির্জা ফখরুল

এস আলমের ব্যাংক হিসাবে আড়াই লাখ কোটি টাকার লেনদেন

ক্যাম্পাসে বিনা কারণে হামলার দায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে নিতে হবে
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন দেশবাসী মানবে না : ফখরুল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশবাসী স্থানীয় সরকারের নির্বাচন মেনে নেবে না। বিএনপিও তা কখনো হতে দেবে না। বিএনপি গত ১৬ বছর সকল প্রকার হত্যা, খুন, গুম ও হুমকি ধামকি উপেক্ষা করে রাজপথের আন্দোলনে সক্রিয় ছিলো; এখনো তেমনিই আছে। যতদিন দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত না হচ্ছে, দেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত না হচ্ছে ততোদিন বিএনপি রাজপথেই থাকবে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যশোর টাউন হল ময়দানে জেলা বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বর্তমান সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আপনাকে বিএনপি শ্রদ্ধা করে। দেশবাসী আপনাকে
ভালোবাসে। আপনি আমাদের গর্ব। কিন্তু সেই সম্মানটুকু রক্ষার দায়িত্ব আপনারই। আপনি যদি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন দিয়ে পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তাহলে দেশবাসী তা কোনভাবেই মেনে নেবে না। আপনাদের যদি ক্ষমতার লোভ পেয়ে বসে তাহলে রাজনৈতিক দল গঠন করে জনতার কাতারে নেমে এসে নির্বাচনে অংশ নিন। বিএনপি আপনাদেরকে স্বাগত জানাবে। কারণ বিএনপি বহু দলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিব নিজের দল আওয়ামী লীগসহ দেশের সকল রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করে একদলীয় শাসন বাকশাল কায়েম করেছিলো। ৭৫ পরবর্তী প্রেক্ষাপটের পরিবর্তন ঘটলে সিপাহী জনতার আন্দোলনে স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে দেশে
একদলীয় শাসনের অবসান করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আপনারাও ক্ষমতার চেয়ার ছেড়ে দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। জনগণের রায় যদি আপনাদের পক্ষে যায় তাহলে আপনারাই দেশ পরিচালনা করবেন। তবুও আমরা বলবো জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করুন। কারণ এই অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে গত ১৬ বছরে বিএনপির ৭ শতাধিক নেতাকর্মীকে জীবন দিতে হয়েছে। শত শত নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। ৩৬ জুলাই বিপ¬বে শত শত ছাত্র জনতার প্রাণের বিনিময়ে এই সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই এই সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা অনেক বেশী। আপনাদের ব্যর্থ হলে চলবে না। জনগণের প্রত্যাশা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা আপনাদেরই করতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, সংস্কার
একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্র সংস্কারে ভিশন’৩২ ঘোষণা করেছিলেন। আমাদের নেতা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফার রূপরেখা ঘোষণা করেছেন। এসবই চলমান বিষয়। আর এসব সংস্কার তখনই কার্যকর হবে যখন দেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। তাই দ্রæত নির্বাচন দিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহবান জানান। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, দেশের মানুষ আজ ভালো নেই। পতিত স্বৈরাচার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও রাষ্ট্রযন্ত্রের সকল স্তরে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা জেঁকে বসে আছে। দেশকে দ্রæত ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে হলে গণতান্ত্রিক সরকারের কোন বিকল্প নেই। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিন দিন ভেঙ্গে
পড়ছে। মানুষের নিরাপত্তাহীনতা বাড়ছে। প্রশাসন যন্ত্র ঠিকমতো কাজ করছে না। এই অবস্থায় দেশ চলতে পারে না। এই জন্যই বিএনপি দেশের মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা ও নির্ভরতা রক্ষা করতে দ্রæত জাতীয় নির্বাচন দাবি করছে। কোন কোন দল জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন দাবি করে জনআকাক্সক্ষাকে ভ‚লুণ্ঠিত করার চক্রান্ত করছে। কিন্তু দেশবাসী তাদের সেই ষড়যন্ত্র চক্রান্ত মেনে নেবে না। বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, গত ১৬ বছরে সকল রক্ষচক্ষুকে উপেক্ষা করে দেশের মানুষ বিএনপির পতাকাতলে যেমন ঐক্যবদ্ধ ছিলো, আজো তেমনি আছে। হত্যা, খুন, গুমের রাজনীতি করে পতিত স্বৈরাচার হাসিনা বিএনপির নেতাকর্মীদের যেমন বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি। তেমনি এই
সরকার নির্বাচন বিলম্বিত করার মাধ্যমে যদি ভিন্ন কোন চিন্তা-ভাবনা করে থাকে তা বিএনপির নেতাকর্মীরা কখনো বাস্তবায়িত করতে দেবে না। বিএনপি চায় এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে। তার জন্য যতদিন প্রয়োজন বিএনপির নেতাকর্মীরা ততোদিন রাজপথেই থাকবে। যশোর জেলা বিএনপির আহŸায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অমলেন্দু দাস অপু, মফিকুল হাসান তৃপ্তি, টিএস আইয়ুব, জেলা বিএনপি নেতা অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, দেলোয়ার হোসেন খোকন, যশোর চেম্বারের সভাপতি মিজানুর রহমান খান, যশোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মারুফুল ইসলাম মারুফ, বিএনপি নেতা আবুল হোসেন আজাদ, ফিরোজা বুলবুল কলি, সাবিরা নাজমুল মুন্নি, অ্যাড. শহীদ ইকবাল, ফারাজী মতিয়ার রহমান, এম
এ সালাম, তানিয়া রহমান, সেলিম রেজা আওলিয়ার, নগর বিএনপির সভাপতি চৌধুরী রফিকুল ইসলাম মুল্লুক, সদর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জারুল হক খোকন, যুবদলের আহŸায়ক এম তমাল আহমেদ, সদস্য সচিব আনসারুল হক রানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তফা আমির ফয়সাল প্রমুখ।
ভালোবাসে। আপনি আমাদের গর্ব। কিন্তু সেই সম্মানটুকু রক্ষার দায়িত্ব আপনারই। আপনি যদি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন দিয়ে পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তাহলে দেশবাসী তা কোনভাবেই মেনে নেবে না। আপনাদের যদি ক্ষমতার লোভ পেয়ে বসে তাহলে রাজনৈতিক দল গঠন করে জনতার কাতারে নেমে এসে নির্বাচনে অংশ নিন। বিএনপি আপনাদেরকে স্বাগত জানাবে। কারণ বিএনপি বহু দলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিব নিজের দল আওয়ামী লীগসহ দেশের সকল রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করে একদলীয় শাসন বাকশাল কায়েম করেছিলো। ৭৫ পরবর্তী প্রেক্ষাপটের পরিবর্তন ঘটলে সিপাহী জনতার আন্দোলনে স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে দেশে
একদলীয় শাসনের অবসান করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আপনারাও ক্ষমতার চেয়ার ছেড়ে দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। জনগণের রায় যদি আপনাদের পক্ষে যায় তাহলে আপনারাই দেশ পরিচালনা করবেন। তবুও আমরা বলবো জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করুন। কারণ এই অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে গত ১৬ বছরে বিএনপির ৭ শতাধিক নেতাকর্মীকে জীবন দিতে হয়েছে। শত শত নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। ৩৬ জুলাই বিপ¬বে শত শত ছাত্র জনতার প্রাণের বিনিময়ে এই সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই এই সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা অনেক বেশী। আপনাদের ব্যর্থ হলে চলবে না। জনগণের প্রত্যাশা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা আপনাদেরই করতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, সংস্কার
একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্র সংস্কারে ভিশন’৩২ ঘোষণা করেছিলেন। আমাদের নেতা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফার রূপরেখা ঘোষণা করেছেন। এসবই চলমান বিষয়। আর এসব সংস্কার তখনই কার্যকর হবে যখন দেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। তাই দ্রæত নির্বাচন দিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহবান জানান। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, দেশের মানুষ আজ ভালো নেই। পতিত স্বৈরাচার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও রাষ্ট্রযন্ত্রের সকল স্তরে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা জেঁকে বসে আছে। দেশকে দ্রæত ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে হলে গণতান্ত্রিক সরকারের কোন বিকল্প নেই। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিন দিন ভেঙ্গে
পড়ছে। মানুষের নিরাপত্তাহীনতা বাড়ছে। প্রশাসন যন্ত্র ঠিকমতো কাজ করছে না। এই অবস্থায় দেশ চলতে পারে না। এই জন্যই বিএনপি দেশের মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা ও নির্ভরতা রক্ষা করতে দ্রæত জাতীয় নির্বাচন দাবি করছে। কোন কোন দল জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন দাবি করে জনআকাক্সক্ষাকে ভ‚লুণ্ঠিত করার চক্রান্ত করছে। কিন্তু দেশবাসী তাদের সেই ষড়যন্ত্র চক্রান্ত মেনে নেবে না। বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, গত ১৬ বছরে সকল রক্ষচক্ষুকে উপেক্ষা করে দেশের মানুষ বিএনপির পতাকাতলে যেমন ঐক্যবদ্ধ ছিলো, আজো তেমনি আছে। হত্যা, খুন, গুমের রাজনীতি করে পতিত স্বৈরাচার হাসিনা বিএনপির নেতাকর্মীদের যেমন বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি। তেমনি এই
সরকার নির্বাচন বিলম্বিত করার মাধ্যমে যদি ভিন্ন কোন চিন্তা-ভাবনা করে থাকে তা বিএনপির নেতাকর্মীরা কখনো বাস্তবায়িত করতে দেবে না। বিএনপি চায় এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে। তার জন্য যতদিন প্রয়োজন বিএনপির নেতাকর্মীরা ততোদিন রাজপথেই থাকবে। যশোর জেলা বিএনপির আহŸায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অমলেন্দু দাস অপু, মফিকুল হাসান তৃপ্তি, টিএস আইয়ুব, জেলা বিএনপি নেতা অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, দেলোয়ার হোসেন খোকন, যশোর চেম্বারের সভাপতি মিজানুর রহমান খান, যশোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মারুফুল ইসলাম মারুফ, বিএনপি নেতা আবুল হোসেন আজাদ, ফিরোজা বুলবুল কলি, সাবিরা নাজমুল মুন্নি, অ্যাড. শহীদ ইকবাল, ফারাজী মতিয়ার রহমান, এম
এ সালাম, তানিয়া রহমান, সেলিম রেজা আওলিয়ার, নগর বিএনপির সভাপতি চৌধুরী রফিকুল ইসলাম মুল্লুক, সদর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জারুল হক খোকন, যুবদলের আহŸায়ক এম তমাল আহমেদ, সদস্য সচিব আনসারুল হক রানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তফা আমির ফয়সাল প্রমুখ।