ছাত্রদল ছেড়ে কেন জামায়াতে গেলেন, জানালেন সেই নেতা – ইউ এস বাংলা নিউজ




ছাত্রদল ছেড়ে কেন জামায়াতে গেলেন, জানালেন সেই নেতা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৯ এপ্রিল, ২০২৫ | ৯:১০ 40 ভিউ
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার কুড়িকাহনীয়া ইউনিয়ন শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি মো. আব্দুল মুন্নাফ আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেছেন। শুক্রবার রাতে শ্রীবরদী পৌর এলাকার বাহার বাজারে পৌর জামায়াতে ইসলামীর এক সাধারণ সভায় শেরপুর জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাফিজুর রহমানের কাছে জামায়াতের সমর্থন ফরম পূরণ করে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতে যোগদান করেন। এ সময় যোগদানকারীকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। জামায়াতে যোগদানের পর সাবেক ছাত্রদল নেতা আব্দুল মুন্নাফ বলেন, দীর্ঘদিন বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে ছাত্রদলের রাজনীতি করেছি। জামায়াতের নীতি ও আদর্শ আমার কাছে ভালো লাগায় জামায়াতে যোগদান করলাম। যোগদানের আগে আব্দুল মুন্নাফ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল শ্রীবরদী উপজেলা শাখার

বরাবর দেওয়া পদত্যাগ পত্রে লিখেন, আমি আব্দুল মুন্নাফ ৯নং কুড়িকাহনিয়া ইউনিয়ন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্বরত আছি। আমার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অধ্যয়নে আমি এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, একজন মুসলমান তথা সব বিবেক সম্পন্ন মানুষের মাঝে কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যক্তির পরিবর্তে রাসূল (সা.) এর জীবনাদর্শ অনুস্মরণ করাটা হচ্ছে অধিকতর উত্তম। এ অবস্থায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদানপূর্বক আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ৯নং কুড়িকাহনীয়া ইউনিয়নের সিনিয়র সহসভাপতির দায়িত্ব থেকে স্বেচ্ছায় সজ্ঞানে পদত্যাগ করলাম। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে আমার এ দীর্ঘ পথচলায় শুভাকাঙ্খী ও সহযোদ্ধাদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। অতএব, সভাপতির সমীপে প্রার্থনা আমার পদত্যাগপত্র গ্রহণপূর্বক বর্তমান পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে বাধিত করবেন। এ

সময় শেরপুর জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য হাফেজ মাওলানা আব্দুর রহমান, শ্রীবরদী উপজেলা আমির আজহারুল ইসলাম মিস্টার, উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি আমির হামজা মিস্টার, উপজেলা যুব বিভাগের সেক্রেটারি জাকির হোসেন, পৌর জামায়াতের আমির মাওলানা তাহেরুল ইসলাম, পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি মুফতি মোশারফ হোসেন, পৌর যুব বিভাগের সভাপতি শাহজাহান কবির, পৌর যুব বিভাগের সেক্রেটারি মনিরুল ইসলামসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
জন্মদিনে ‘ধুরন্ধর’ রূপে দেখা দিলেন রণবীর গাজায় ইসরাইলি হামলায় প্রাণ গেল আরও ৮২ ফিলিস্তিনির টেক্সাসে বন্যায় মৃত বেড়ে ৭৮, নিখোঁজ ৪১ আজ ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না ঢাকার যেসব এলাকায় লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা ইলন মাস্ককে রাজনীতির বিষয়ে যে পরামর্শ দিলেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী হামাস ক্ষমতায় থাকলে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হবেন না ইসরাইল: নেতানিয়াহু ইসরাইলকে গণহত্যাকারী আখ্যা দিয়ে ব্রিকস সম্মেলন শুরু করলেন লুলা গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত ৫ বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস রিটার্ন জমা দিলে পাবেন যেসব ছাড় নেতানিয়াহুর ওপর খেপলেন ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী ৩২ নম্বর ভাঙার ঘটনাকে বীভৎস মববাজি বললেন রুমিন ফারহানা খোঁজ মিলল সেই ডিজিএমের, কোথায় ছিলেন তিনি সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক সাইফ পাওয়ার টেকের অধ্যায় শেষ, চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বে নৌবাহিনী গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার ‘পাগল তত্ত্ব’ ব্যবহার করে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প রকেট চালিত গ্রেনেড দিয়ে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে।