চীন-যুক্তরাষ্ট্র এখন ভিন্ন ধরনের বাণিজ্য যুদ্ধে আছে- বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ২২ অক্টোবর, ২০২৫
     ১১:৪৭ অপরাহ্ণ

চীন-যুক্তরাষ্ট্র এখন ভিন্ন ধরনের বাণিজ্য যুদ্ধে আছে- বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২২ অক্টোবর, ২০২৫ | ১১:৪৭ 41 ভিউ
চীন ও রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে আবারও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এখনও বুঝতে পারছে না, চীনের সঙ্গে কোন কৌশলে আলোচনা এগিয়ে নিতে হবে। সবশেষ উত্তেজনা দেখা দেয় ৯ অক্টোবর। সেদিন বেইজিং বিরল খনিজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নতুন উপাদানও যুক্ত হয়েছে। ফলে এখন থেকে বিরল খনিজ রপ্তানি সীমিত করবে দেশটি। অর্থ্যাৎ, স্মার্টফোন থেকে শুরু করে যুদ্ধবিমান তৈরির জন্য অপরিহার্য খনিজের ওপর চীন আরও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করবে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশি কোম্পানিগুলোকে বিরল খনিজ উপাদানযুক্ত কোনো পণ্য রপ্তানি করতে হলে চীনা সরকারের অনুমোদন নিতে হবে। পাশাপাশি সেই পণ্য ব্যবহারের উদ্দেশ্যও জানাতে

হবে। যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা সম্প্রসারণের পর বিরল খনিজ নিয়ে চীন এমন পদক্ষেপ নিয়েছে। মার্কিন সম্প্রসারিত নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে নির্দিষ্ট বিদেশি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সরকারকে। এমন উদ্যোগ চীনে সর্বাধুনিক সেমিকন্ডাক্টর চিপ সরবরাহ সীমিত করতে পারে। ওয়াশিংটন চীনের সঙ্গে সংযুক্ত জাহাজগুলোর ওপরও শুল্ক আরোপ করেছে। যেটির উদ্দেশ্য মার্কিন জাহাজ নির্মাণ শিল্পকে চাঙ্গা করা এবং বৈশ্বিক শিপিং বাণিজ্যে চীনের প্রভাব কমানো। প্রতিশোধ হিসেবে চীনও মার্কিন মালিকানাধীন, পরিচালিত, নির্মিত কিংবা পতাকাবাহী জাহাজগুলোর ওপর শুল্ক আরোপ করেছে। যদিও কানাডার এশিয়া প্যাসিফিক ফাউন্ডেশনের গবেষণা ও কৌশল বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিনা নাজিবুল্লাহ বলছেন, চিপ রপ্তানি ও জাহাজ শিল্পে যুক্তরাষ্ট্র যে শুল্ক নির্ধারণ করেছে তা চীনের সঙ্গে সম্পর্কিত

নয়। তবে দুই দেশই ‘তথ্য যুদ্ধে’ লিপ্ত হয়েছে। যেখানে উভয়েই একে অপরের বিরুদ্ধে তাদের নীতির মাধ্যমে বিশ্বকে জিম্মি করে রাখার অভিযোগ তুলেছে। নাজিবুল্লাহ বলছেন, কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও চীন নিজের খেলা অনেক উঁচু স্তরে নিয়ে গেছে। তারা প্রথমবারের মতো এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে যা অন্য দেশগুলোর ওপরও প্রভাব ফেলছে। চীন মূলত এক ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। সেটি হলো- ওয়াশিংটন যতটা চাপ বাড়াবে, পাল্টা হিসেবে বেইজিংও ততটা বাড়াবে। এটির লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রকে পিছু হটানো। তিন মাস আগের বাণিজ্য যুদ্ধের তুলনায় এটি একেবারে ভিন্ন ধরনের সংঘাত। আটলান্টিক কাউন্সিলের গ্লোবাল চায়না হাবের জ্যেষ্ঠ ফেলো (অস্থায়ী) ডেক্সটার টিফ রবার্টস। তিনি বলছেন, চলতি মাসের শেষ দিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত

হবে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থার (এপেক) শীর্ষ সম্মেলন। ওই সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও শি জিনপিংয়ের বৈঠক হওয়ার কথা। এর আগে চীনের পক্ষ থেকে ক্ষমতার প্রদর্শনী চলছে। রবার্টস বলেন, এ অবস্থায় আপনি যদি ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপগুলোর দিকে নজর দেন; দেখবেন তারা একেবারে বিক্ষিপ্ত ও অনিশ্চিত অবস্থায় আছে। শুরুতে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন তাঁর সঙ্গে শি জিনপিংয়ের বৈঠকটি হবে না। কিন্তু দুই দিন পরই বলেন, বৈঠক হবে। এ বিষয়টিকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে রবার্টস বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসন আসলে জানে না চীনের সঙ্গে কীভাবে আচরণ করতে হবে। তারা বোঝে না যে, চীন অনেক কষ্ট সহ্য করতে রাজি আছে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক হুমকিকে সহজে

ভয় পায় না। অন্যদিকে, বেইজিং ট্রাম্পের আচরণ বুঝে গেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজেকে ‘বিগ ডিল মেকার’ মনে করেন। ফলে তিনি চীনের সঙ্গে কোনো চুক্তি করলে সেটি বড় চুক্তিই হবে। রবার্টস বলেন, চীনও চায় যুক্তরাষ্ট্র বড় চুক্তি করুক। তবে সে চুক্তি করতে হলে ট্রাম্প প্রশাসনকে ছাড় দিতে হবে। এই ছাড় নিয়ে দর-কষাকষির কৌশল হিসেবে তারা আগে থেকেই বাড়তি চাপ আরোপ করে রেখেছে। কানাডার এশিয়া প্যাসিফিক ফাউন্ডেশনের গবেষণা ও কৌশল বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিনা নাজিবুল্লাহর বক্তব্যে আবার ফেরা যাক। তিনি বলছেন, মূলত ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের সময়ই চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রে যখন সরকার পরিবর্তন হলো তখন অনেক দেশ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল। কিন্তু চীন

একাধিক জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করেছে। যুক্তরাষ্ট্র যেসব নীতিতে অন্য দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সেটির চীনা সংস্করণ তৈরি করেছে। সেটিই এখন কাজে লাগছে। দেশটি এখন জাতীয় নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে রপ্তানিতে সীমা আরোপ করতে পারছে। ভিনা নাজিবুল্লাহ বলেন, সব দেশেরই আসলে চীনের মতো প্রস্তুতি নেওয়া উচিত ছিল। চীনের কৌশলে একটি বিষয় স্পষ্ট। সেটি হলো- নিজেদের প্রয়োজনে বিকল্প উৎস খুঁজে বের করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
কারাগারে মৃত্যুর মিছিল থামছেই না দুই হত্যা, দুই বিশ্ববিদ্যালয়, এক নিস্ক্রিয় সরকার : বিচার পাবে কবে? গম থেকে চাল, সবই সিঙ্গাপুর দিয়ে : ইউনুস সরকারের ক্রয়ে কার স্বার্থ? প্রতারণাপূর্ণ অপকৌশলের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সততা ও নিষ্ঠা প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না মর্মে আওয়ামী লীগের বিবৃতি Mobocracy in robes: How Yunus regime’s farcical tribunal ordered Sheikh Hasina’s judicial assassination সাম্প্রতিক ভিত্তিহীন ও মিথ্যা দুর্নীতির মামলা সাজিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের সম্মানহানির অপচেষ্টা করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে ভয় পায় বলেই ক্যাঙ্গারু কোর্টে রায়: জয় নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতেই ‘ক্যাঙ্গারু কোর্টে’ তড়িঘড়ি করে রায় দেওয়া হয়েছে: সজীব ওয়াজেদ জয় সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা বাপ্পির জানাজায় জনস্রোত, ভালোবাসায় সিক্ত শেষ বিদায়। বিয়ে বাড়িতে মাইক বাজানোয় কনের মা-বাবাকে বেত্রাঘাত ইইউ নেতৃবৃন্দকে জরুরি চিঠি ড. হাছান মাহমুদের মিথ্যার বেসাতি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ: ‘সবচেয়ে বড় বাড়ি’র গল্পের আড়ালে হান্নান মাসউদের আসল রূপ ফাঁস “মিথ্যা মামলা আমাদের বিরুদ্ধে সাজানো হয়েছে, যাতে আমরা নির্বাচন না করতে পারি — সজীব ওয়াজেদ জয় শেখ হাসিনার নৈতিক অবস্থানকে সম্মান: ‘আস্থাহীন’ ট্রাইব্যুনালে লড়বেন না জেড আই খান পান্না শেখ হাসিনার নৈতিক অবস্থানকে সম্মান: ‘আস্থাহীন’ ট্রাইব্যুনালে লড়বেন না জেড আই খান পান্না টাঙ্গাইলে জেলহাজতে আ.লীগ নেতার মৃত্যু: বিনা চিকিৎসায় ‘পরিকল্পিত হত্যা’র অভিযোগ শেখ হাসিনার ১০ কাঠায় ২১ বছরের সাজা: ইউনুসের ৪৪৬৭ কাঠার অপরাধে বিচার হবে কবে? বেলজিয়ামে ইইউ পার্লামেন্টের সামনে সর্ব ইউরোপ ছাত্রলীগের বিক্ষোভ, ভিডিও কলে বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ট্রাস্ট–নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানে আর্থিক লেনদেনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ শেখ হাসিনার লকারে ৮৩২ ভরি সোনা সাজানো নাটক, নেপথ্যে কড়াইল বস্তির আগুন ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা!