ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
তালেবানের পাশে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের সমালোচনা করল ভারত
পাকিস্তানে স্টারলিঙ্ক চালু করার অপেক্ষায় ইলন মাস্ক
গোহত্যার অভিযোগ, মুসলিম যুবককে পিটিয়ে খুন, আরেকজনকে গ্রেফতার
সরকারি কর্মীদের বেতন ৪০০ শতাংশ বাড়াচ্ছে সিরিয়া
ইয়েমেনে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ভারতীয় নার্স কি প্রাণভিক্ষা পাবেন?
ইসরাইলের হামলায় গাজায় নিহত আরও ৮৮
ইউক্রেনে শতাধিক ড্রোন হামলা চালাল রাশিয়া
চীনে ছড়িয়ে পড়েছে নতুন ভাইরাস, বাড়ছে উদ্বেগ-শঙ্কা
চীনে হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস (HMPV) নামক নতুন এক সংক্রমণের উদ্বেগজনক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যা কোভিড-১৯ মহামারির পর বিশ্বে আরেকটি স্বাস্থ্য সংকটের শঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে।
সম্প্রতি দেশটির হাসপাতালগুলোতে রোগীর ভিড় বেড়ে গেছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে একাধিক ভাইরাসের উপস্থিতি উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন- HMPV, ইনফ্লুয়েঞ্জা এ, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া এবং কোভিড-১৯।
এইচএমপিভি কী?
এইচএমপিভি একটি শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস, যা গোটা শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এটি ২০০১ সালে প্রথম চিহ্নিত হয় এবং শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ ঝুঁকি তৈরি করে।
লক্ষণ:
এই ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে যে লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়, তা হলো-
কাশি, জ্বর, নাক বন্ধ হওয়া, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি। জটিল ক্ষেত্রে
এই ভাইরাস ব্রংকাইটিস বা নিউমোনিয়া সৃষ্টি করতে পারে। কিভাবে বিস্তার ঘটে? এইচএমপিভি সাধারণত নিচের পদ্ধতিতে ছড়ায়: হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে নির্গত সিক্রেশন, ব্যক্তিগত সংস্পর্শ যেমন- হাত মেলানো, সংক্রমিত পৃষ্ঠ স্পর্শ করে মুখ, নাক বা চোখে হাত দেওয়া ইত্যাদি। ঝুঁকিপূর্ণ গ্রুপ: ছোট শিশু, বয়স্ক এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তি। প্রতিরোধ: নিয়মিত হাত ধোয়া, অসুস্থ ব্যক্তিদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা, সংক্রমিত পৃষ্ঠ পরিষ্কার রাখা এবং মুখে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকা। লক্ষণ দেখা দিলে করণীয়: কাশি বা হাঁচির সময় মুখ ঢেকে রাখা, ব্যক্তিগত জিনিসপত্র শেয়ার না করা এবং অসুস্থ হলে বাড়িতে থাকা। চিকিৎসা ও টিকা: HMPV-এর জন্য এখনো কোনো নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা বা টিকা নেই। চিকিৎসা মূলত লক্ষণ উপশম এবং জটিলতা প্রতিরোধের ওপর ভিত্তি করে। এইচএমপিভি বনাম কোভিড-১৯: উভয় ভাইরাসই
শ্বাসযন্ত্রের সমস্যার সৃষ্টি করে এবং ড্রপলেটের মাধ্যমে ছড়ায়। তবে HMPV সাধারণত শীত এবং বসন্তে তীব্র হয়। অন্যদিকে কোভিড-১৯ সারা বছর ধরে বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের কারণে ছড়াতে পারে। চীনে সম্প্রতি এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বিশেষত কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পর মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে। সতর্কতা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এই সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সূত্র: এনডিটিভি
এই ভাইরাস ব্রংকাইটিস বা নিউমোনিয়া সৃষ্টি করতে পারে। কিভাবে বিস্তার ঘটে? এইচএমপিভি সাধারণত নিচের পদ্ধতিতে ছড়ায়: হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে নির্গত সিক্রেশন, ব্যক্তিগত সংস্পর্শ যেমন- হাত মেলানো, সংক্রমিত পৃষ্ঠ স্পর্শ করে মুখ, নাক বা চোখে হাত দেওয়া ইত্যাদি। ঝুঁকিপূর্ণ গ্রুপ: ছোট শিশু, বয়স্ক এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তি। প্রতিরোধ: নিয়মিত হাত ধোয়া, অসুস্থ ব্যক্তিদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা, সংক্রমিত পৃষ্ঠ পরিষ্কার রাখা এবং মুখে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকা। লক্ষণ দেখা দিলে করণীয়: কাশি বা হাঁচির সময় মুখ ঢেকে রাখা, ব্যক্তিগত জিনিসপত্র শেয়ার না করা এবং অসুস্থ হলে বাড়িতে থাকা। চিকিৎসা ও টিকা: HMPV-এর জন্য এখনো কোনো নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা বা টিকা নেই। চিকিৎসা মূলত লক্ষণ উপশম এবং জটিলতা প্রতিরোধের ওপর ভিত্তি করে। এইচএমপিভি বনাম কোভিড-১৯: উভয় ভাইরাসই
শ্বাসযন্ত্রের সমস্যার সৃষ্টি করে এবং ড্রপলেটের মাধ্যমে ছড়ায়। তবে HMPV সাধারণত শীত এবং বসন্তে তীব্র হয়। অন্যদিকে কোভিড-১৯ সারা বছর ধরে বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের কারণে ছড়াতে পারে। চীনে সম্প্রতি এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বিশেষত কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পর মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে। সতর্কতা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এই সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সূত্র: এনডিটিভি