ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
সুভাষ চন্দ্র বসু বিমানবন্দরে আটকা ২২০ বাংলাদেশি
ঘুম থেকে উঠে দেখি, রাতারাতি মেজর ডালিম হয়ে গেছি
ভারত জড়িত বললে হবে না, প্রমাণ হাজির করতে হবে
আগে ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংস্কার, পরে নির্বাচন
ক্যানসার আক্রান্তদের দুর্ভোগ চরমে, কেমোর সিরিয়াল পেতে দীর্ঘ অপেক্ষা
‘পৌরসভাগুলোকে বিলুপ্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে’
মেট্রোরেলের সেবায় ভ্যাট অব্যাহতি
চিন্ময় কৃষ্ণের ঘটনায় বিএনপি নেতার মামলায় নিরীহরা আসামি, তীব্র সমালোচনা
সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার ও জামিন নামঞ্জুরের পর রংপুরে বিক্ষোভ চলাকালে সংঘটিত তাণ্ডবের ঘটনায় করা মামলায় নিরীহ লোকজনকে আসামি করা নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। মামলার বিষয়টি বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যেও অস্বস্তি ও প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ঘটনাস্থলের বহদূরে বসবাসরতদের মামলায় আসামি তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র সমালোচনাও।
বিএনপির শীর্ষ নেতারা ইতোমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ৫ই জানুয়ারির মধ্যে মামলায় জড়িত নয় এমন ব্যক্তিদের নাম বাদ দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে। বিশেষত, মামলায় এক প্রভাবশালী বিএনপি নেতার আত্মীয়সহ অনেক নিরীহ ব্যক্তির নাম আসামির তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এ অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার, ৩রা জানুয়ারি, মামলার বাদী লিয়াকত উল্লা লুসানের নিজ উপজেলা বদরগঞ্জের বিএনপি
আহ্বায়ক পরিতোষ চক্রবর্তী জানান, লুসান বদরগঞ্জ উপজেলা জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব। তার দায়ের করা মামলায় নিরপরাধ ব্যক্তিদের নাম আসামি হিসেবে যুক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বিবরণ রংপুর জিয়া মঞ্চের নেতা লিয়াকত উল্লা লুসান দায়েরকৃত মামলায় ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি অজ্ঞাত আরও দুই-তিনশ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার তালিকায় তিন হিন্দু সাংবাদিক, পঞ্চগড় ও লালমনিরহাটের বিভিন্ন এলাকার রাজনৈতিক কর্মী এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষও আছেন। পুলিশ জানায়, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারের পর তার সমর্থকরা ২৪শে নভেম্বর রংপুর নগরীর প্রেস ক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। বিক্ষোভে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া এবং তাণ্ডবের ঘটনাও ঘটে।
এতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বাদী লুসান আহত হন। এ ঘটনার প্রায় এক মাস পর, ১৮ই ডিসেম্বর রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় সনাতনী জাগরণ মঞ্চের রংপুরের সমন্বয়ক, তিন হিন্দু সাংবাদিক, আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের নাম উল্লেখ করা হয়। বিতর্ক ও প্রতিক্রিয়া মামলার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রংপুর জেলা ও মহানগর বিএনপিসহ বাদীর নিজ উপজেলার বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। বিএনপির একাধিক নেতা প্রশ্ন তুলেছেন, পঞ্চগড় ও লালমনিরহাটের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের এ ঘটনায় জড়িত করার যৌক্তিকতা কী? তারা তো ঘটনাস্থলেই থাকেন না। তারা আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের নারী সংসদ সদস্য ববি ও তার স্বামী সিরাজুল ইসলাম, যারা এলাকায়
৫ই আগস্টের পর থেকে অনুপস্থিত, তাদেরও মামলায় আসামি করা হয়েছে। এ দম্পতির বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেই বেশ কয়েকটি হত্যা মামলা রয়েছে। যেগুলা এমনিতেই আদালতে টিকবে না, তাদের ঘটনাস্থলে অনুপস্থিতির কারণে। মামলার বাদী ও সংশ্লিষ্টতার বিতর্ক মামলার বাদী লিয়াকত উল্লাহ লুসান ছাত্রদলের বদরগঞ্জ উপজেলা শাখার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বর্তমানে জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব হিসেবে পরিচিত। মামলায় কারা আসামি হয়েছেন জানতে চাইলে লুসান প্রথমে ব্যস্ততার কথা বলে পরবর্তীতে কথা বলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কিন্তু এরপর তিনদিন ধরে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান শামু জানান, তিনি “জিয়া মঞ্চের লুসান” নামে কাউকে চেনেন না এবং রংপুর মহানগরে জিয়া মঞ্চ নামে কোনো সংগঠন নেই। তিনি
আরও উল্লেখ করেন, মামলায় নিরীহ ব্যক্তিদের আসামি করার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছেন। মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মাহফুজুন্নবী ডন একই দাবি করেন। তিনি বলেন, রংপুর মহানগরে জিয়া মঞ্চের কোনো কমিটি নেই এবং বিষয়টি জেলা বিএনপিই ভালো বলতে পারবে। মামলায় নিরীহ ব্যক্তিদের জড়ানোর প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন যে, এ বিষয়ে তার কোনো ধারণা নেই। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিসুর রহমান লাকু জানান, মামলায় কিছু নিরীহ ব্যক্তির নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামলার এজাহারের বিবরণ মামলার বাদী লিয়াকত উল্লাহ লুসানের বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর স্টেশন পাড়া গ্রামে। তিনি নিজেকে বিএনপির জিয়া মঞ্চের বদরগঞ্জ উপজেলা শাখার সদস্য সচিব বলে পরিচয়
দিয়েছেন। মামলায় উল্লেখিত আসামির তালিকায় আছেন: দীপংকর ভট্টাচার্য: সমন্বয়ক, সনাতন জাগরণ মঞ্চ অশোক রায়: সদস্য সচিব, সনাতন জাগরণ মঞ্চ আরও রয়েছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের ২৫ জন ব্যক্তি স্থানীয় পত্রিকার তিনজন হিন্দু সাংবাদিক: অলোক গোস্বামী (দৈনিক দাবানল), রবীন্দ্রনাথ সরকার রিপন এবং রবীন্দ্রনাথ সরকার (দৈনিক মায়া বাজার)। তালিকায় আরও রয়েছেন: সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেত্রী নাসিমা জামান ববি এবং তার স্বামী সিরাজুল ইসলাম রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের অসংখ্য নেতা-কর্মী অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিনশ আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী। এছাড়া, ঘটনাস্থল থেকে বহুদূরের পঞ্চগড়ের অনুপম রায়, লালমনিরহাটের তাপস রায়সহ রংপুরের বদরগঞ্জ ও মিঠাপুকুর উপজেলার বিভিন্ন হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের নামও মামলায় যুক্ত
করা হয়েছে। পুলিশের বক্তব্য রংপুর মেট্রোপলিটান কোতোয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, মামলাটি নিবিড়ভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, তবে প্রকৃত দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আহ্বায়ক পরিতোষ চক্রবর্তী জানান, লুসান বদরগঞ্জ উপজেলা জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব। তার দায়ের করা মামলায় নিরপরাধ ব্যক্তিদের নাম আসামি হিসেবে যুক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বিবরণ রংপুর জিয়া মঞ্চের নেতা লিয়াকত উল্লা লুসান দায়েরকৃত মামলায় ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি অজ্ঞাত আরও দুই-তিনশ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার তালিকায় তিন হিন্দু সাংবাদিক, পঞ্চগড় ও লালমনিরহাটের বিভিন্ন এলাকার রাজনৈতিক কর্মী এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষও আছেন। পুলিশ জানায়, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারের পর তার সমর্থকরা ২৪শে নভেম্বর রংপুর নগরীর প্রেস ক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। বিক্ষোভে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া এবং তাণ্ডবের ঘটনাও ঘটে।
এতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বাদী লুসান আহত হন। এ ঘটনার প্রায় এক মাস পর, ১৮ই ডিসেম্বর রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় সনাতনী জাগরণ মঞ্চের রংপুরের সমন্বয়ক, তিন হিন্দু সাংবাদিক, আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের নাম উল্লেখ করা হয়। বিতর্ক ও প্রতিক্রিয়া মামলার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রংপুর জেলা ও মহানগর বিএনপিসহ বাদীর নিজ উপজেলার বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। বিএনপির একাধিক নেতা প্রশ্ন তুলেছেন, পঞ্চগড় ও লালমনিরহাটের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের এ ঘটনায় জড়িত করার যৌক্তিকতা কী? তারা তো ঘটনাস্থলেই থাকেন না। তারা আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের নারী সংসদ সদস্য ববি ও তার স্বামী সিরাজুল ইসলাম, যারা এলাকায়
৫ই আগস্টের পর থেকে অনুপস্থিত, তাদেরও মামলায় আসামি করা হয়েছে। এ দম্পতির বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেই বেশ কয়েকটি হত্যা মামলা রয়েছে। যেগুলা এমনিতেই আদালতে টিকবে না, তাদের ঘটনাস্থলে অনুপস্থিতির কারণে। মামলার বাদী ও সংশ্লিষ্টতার বিতর্ক মামলার বাদী লিয়াকত উল্লাহ লুসান ছাত্রদলের বদরগঞ্জ উপজেলা শাখার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বর্তমানে জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব হিসেবে পরিচিত। মামলায় কারা আসামি হয়েছেন জানতে চাইলে লুসান প্রথমে ব্যস্ততার কথা বলে পরবর্তীতে কথা বলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কিন্তু এরপর তিনদিন ধরে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান শামু জানান, তিনি “জিয়া মঞ্চের লুসান” নামে কাউকে চেনেন না এবং রংপুর মহানগরে জিয়া মঞ্চ নামে কোনো সংগঠন নেই। তিনি
আরও উল্লেখ করেন, মামলায় নিরীহ ব্যক্তিদের আসামি করার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছেন। মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মাহফুজুন্নবী ডন একই দাবি করেন। তিনি বলেন, রংপুর মহানগরে জিয়া মঞ্চের কোনো কমিটি নেই এবং বিষয়টি জেলা বিএনপিই ভালো বলতে পারবে। মামলায় নিরীহ ব্যক্তিদের জড়ানোর প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন যে, এ বিষয়ে তার কোনো ধারণা নেই। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিসুর রহমান লাকু জানান, মামলায় কিছু নিরীহ ব্যক্তির নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামলার এজাহারের বিবরণ মামলার বাদী লিয়াকত উল্লাহ লুসানের বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর স্টেশন পাড়া গ্রামে। তিনি নিজেকে বিএনপির জিয়া মঞ্চের বদরগঞ্জ উপজেলা শাখার সদস্য সচিব বলে পরিচয়
দিয়েছেন। মামলায় উল্লেখিত আসামির তালিকায় আছেন: দীপংকর ভট্টাচার্য: সমন্বয়ক, সনাতন জাগরণ মঞ্চ অশোক রায়: সদস্য সচিব, সনাতন জাগরণ মঞ্চ আরও রয়েছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের ২৫ জন ব্যক্তি স্থানীয় পত্রিকার তিনজন হিন্দু সাংবাদিক: অলোক গোস্বামী (দৈনিক দাবানল), রবীন্দ্রনাথ সরকার রিপন এবং রবীন্দ্রনাথ সরকার (দৈনিক মায়া বাজার)। তালিকায় আরও রয়েছেন: সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেত্রী নাসিমা জামান ববি এবং তার স্বামী সিরাজুল ইসলাম রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের অসংখ্য নেতা-কর্মী অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিনশ আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী। এছাড়া, ঘটনাস্থল থেকে বহুদূরের পঞ্চগড়ের অনুপম রায়, লালমনিরহাটের তাপস রায়সহ রংপুরের বদরগঞ্জ ও মিঠাপুকুর উপজেলার বিভিন্ন হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের নামও মামলায় যুক্ত
করা হয়েছে। পুলিশের বক্তব্য রংপুর মেট্রোপলিটান কোতোয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, মামলাটি নিবিড়ভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, তবে প্রকৃত দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।