চাপে সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনা

সরকারের রাজস্ব আয় যে হারে বাড়ছে তার চেয়ে বেশি বাড়ছে সরকারের ঋণ। পাশাপাশি মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির হারের চেয়ে সরকারের ঋণের হার বেশি বেড়েছে। এর ফলে আর্থিক ব্যবস্থাপনা চাপে পড়েছে। এই চাপের কারণে অর্থনীতিতে মাঝারি মানের মন্দা বিরাজ করছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে। জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার বাড়ানোর পাশাপাশি সরকারের ঋণ গ্রহণের মাত্রাকেও কমিয়ে আনতে হবে।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত তথ্যের ভিত্তিতে দেশের সার্বিক অর্থনীতির ঝুঁকির চিত্র এতে তুলে ধরা হয়েছে। প্রতি ছয় মাস পর পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনার পর থেকে
বিশ্বমন্দা সব মিলে বৈশ্বিক অর্থনীতির পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতিও চাপে পড়ে। এ চাপ আগের তুলনায় কিছুটা কমে গত অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মাঝারি মন্দা বিরাজ করে। ওই সময়ে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছে। একই সঙ্গে রাজস্ব আয়ও কমেছে। কিন্তু সরকারের চলমান ব্যয় কমেনি। বরং আরও বেড়েছে। ফলে ব্যয় নির্বাহ করতে সরকারকে বাড়তি ঋণ নিতে হয়েছে। বাড়তি ঋণের কারণে একদিকে সরকারের সুদের পরিমাণ বেড়েছে। কারণ ২০২২ সাল থেকেই সুদের হার ঊর্ধ্বমুখী। ফলে সরকারকেও বাড়তি সুদে ঋণ নিতে হয়েছে। অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও বৈদেশিক খাতে উন্নতি হয়েছে। বিশেষ করে রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ায় এবং আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণে থাকায় বৈদেশিক খাতের সার্বিক পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। ফলে
গত বছরের দ্বিতীয়ার্ধে বৈদেশিক মুদ্রার চলতি হিসাবের ভারসাম্যহীনতা কমতে থাকে। পাশাপাশি জিডিপি অনুপাত এ খাতে ঘাটতিও কমতে থাকে। প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, গত কয়েক বছর ধরে দেশীয় ঋণের চেয়ে বৈদেশিক ঋণ বেশি বাড়ছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে দেশীয় ঋণ ছিল জিডিপির তুলনায় ১৬ শতাংশ। গত ডিসেম্বরে তা কমে ১৫ শতাংশে নেমেছে। বৈদেশিক ঋণের হার জিডিপির বিপরীতে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ছিল ১৮ শতাংশ। গত ডিসেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ শতাংশে। অর্থাৎ অর্থনীতিতে বৈদেশিক ঋণ বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু যে হারে বৈদেশিক ঋণ বাড়ছে সে হারে জিডিপির হার ও রাজস্ব আদায়ের হার বাড়ছে না। ফলে বৈদেশিক ঋণ অর্থনীতিতে ঝুঁকি তৈরি করছে। প্রতিবেদনে বলা হয়,
সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের বাজেট ঘাটতি কমছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সরকারের বাজেট ঘাটতি ছিল জিডিপির ৬ শতাংশ। গত অর্থবছরে তা কমে জিডিপির ৪ শতাংশে নেমেছে। এটি ইতিবাচক হলেও এর ফলে সরকারের ব্যয় কমে গেছে। বিশেষ অবকাঠামো ও জনস্বার্থে ব্যয় কমেছে। এর প্রভাবে দারিদ্র্য বিমোচনের গতি কমেছে। ব্যাংক খাত সম্প্রতি প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংকে আমানতের হার বাড়তে শুরু করেছে। কিন্তু ব্যাংকগুলোর তহবিল সংকট এখনো কাটেনি। যে কারণে ব্যাংকগুলো দীর্ঘ মেয়াদি বিনিয়োগে যেতে পারছে না। এতে দেশে বিশেষ করে শিল্প খাতে দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ প্রবাহ হ্রাস পেয়েছে।
বিশ্বমন্দা সব মিলে বৈশ্বিক অর্থনীতির পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতিও চাপে পড়ে। এ চাপ আগের তুলনায় কিছুটা কমে গত অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মাঝারি মন্দা বিরাজ করে। ওই সময়ে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছে। একই সঙ্গে রাজস্ব আয়ও কমেছে। কিন্তু সরকারের চলমান ব্যয় কমেনি। বরং আরও বেড়েছে। ফলে ব্যয় নির্বাহ করতে সরকারকে বাড়তি ঋণ নিতে হয়েছে। বাড়তি ঋণের কারণে একদিকে সরকারের সুদের পরিমাণ বেড়েছে। কারণ ২০২২ সাল থেকেই সুদের হার ঊর্ধ্বমুখী। ফলে সরকারকেও বাড়তি সুদে ঋণ নিতে হয়েছে। অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও বৈদেশিক খাতে উন্নতি হয়েছে। বিশেষ করে রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ায় এবং আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণে থাকায় বৈদেশিক খাতের সার্বিক পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। ফলে
গত বছরের দ্বিতীয়ার্ধে বৈদেশিক মুদ্রার চলতি হিসাবের ভারসাম্যহীনতা কমতে থাকে। পাশাপাশি জিডিপি অনুপাত এ খাতে ঘাটতিও কমতে থাকে। প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, গত কয়েক বছর ধরে দেশীয় ঋণের চেয়ে বৈদেশিক ঋণ বেশি বাড়ছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে দেশীয় ঋণ ছিল জিডিপির তুলনায় ১৬ শতাংশ। গত ডিসেম্বরে তা কমে ১৫ শতাংশে নেমেছে। বৈদেশিক ঋণের হার জিডিপির বিপরীতে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ছিল ১৮ শতাংশ। গত ডিসেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ শতাংশে। অর্থাৎ অর্থনীতিতে বৈদেশিক ঋণ বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু যে হারে বৈদেশিক ঋণ বাড়ছে সে হারে জিডিপির হার ও রাজস্ব আদায়ের হার বাড়ছে না। ফলে বৈদেশিক ঋণ অর্থনীতিতে ঝুঁকি তৈরি করছে। প্রতিবেদনে বলা হয়,
সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের বাজেট ঘাটতি কমছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সরকারের বাজেট ঘাটতি ছিল জিডিপির ৬ শতাংশ। গত অর্থবছরে তা কমে জিডিপির ৪ শতাংশে নেমেছে। এটি ইতিবাচক হলেও এর ফলে সরকারের ব্যয় কমে গেছে। বিশেষ অবকাঠামো ও জনস্বার্থে ব্যয় কমেছে। এর প্রভাবে দারিদ্র্য বিমোচনের গতি কমেছে। ব্যাংক খাত সম্প্রতি প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংকে আমানতের হার বাড়তে শুরু করেছে। কিন্তু ব্যাংকগুলোর তহবিল সংকট এখনো কাটেনি। যে কারণে ব্যাংকগুলো দীর্ঘ মেয়াদি বিনিয়োগে যেতে পারছে না। এতে দেশে বিশেষ করে শিল্প খাতে দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ প্রবাহ হ্রাস পেয়েছে।