গাজার শিশুদের চোখের আলো কেড়ে নিচ্ছে ইসরাইলের সেনারা – ইউ এস বাংলা নিউজ




গাজার শিশুদের চোখের আলো কেড়ে নিচ্ছে ইসরাইলের সেনারা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৬ মে, ২০২৫ | ৯:০৩ 52 ভিউ
মার্চ মাসের ২৫ তারিখ। গাজার বেইত লাহিয়ায় সকালটা ছিল অন্যসব দিনের মতোই। ঘরের বাইরে খেলতে বের হয় সাত বছরের মোহাম্মদ হিজাজি। একটুখানি আনন্দের খোঁজে। চারপাশে ধ্বংস, শ্বাসরুদ্ধ বাতাস, অজানা আতঙ্ক- তবুও শিশুদের মন তো যুদ্ধ মানে না। কিন্তু সেদিনের সকালটা আর স্বাভাবিক রইল না। হঠাৎ, এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠে গোটা এলাকা। মুহূর্তেই নেমে আসে নীরবতা। তারপর চিৎকার। নিভে গেল মোহাম্মদের ডান চোখের আলো। থমকে গেল সেই নিষ্পাপ শিশুর শৈশব। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে একের পর এক হামলা, আর অবিস্ফোরিত বোমায় গাজার শিশুদের চোখের আলো কেড়ে নিচ্ছে ইসরাইলি সেনারা। এপি। বিস্ফোরণের পর মোহাম্মদের বাবা খালেদ হিজাজি, ছুটে যান সেখানে। তিনি

দেখতে পান, রক্তাক্ত ছেলের ছোট্ট দেহটা পড়ে আছে মাটিতে। আশপাশে আরও কিছু শিশুর কান্নাও শোনা যাচ্ছিল। কেউ আবার একেবারে নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে। বিস্ফোরণটা ঘটেছিল এক অবিস্ফোরিত বোমার কারণে। যেটি ইসরাইলি বাহিনী তাদের সামরিক অভিযানের সময় রেখে গিয়েছিল। তার ডান চোখটা আর কখনো আলো দেখবে না। ডাক্তাররা চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু গাজার সীমাবদ্ধ চিকিৎসা ব্যবস্থার মধ্যে অনেক চেষ্টা করেও তারা কিছু করতে পারেননি। পরে তাকে একটি বিশেষ চক্ষু হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু তার অবস্থার উন্নতি হয়নি। ফিলিস্তিনি কিশোরী মাইসা আল-গানদুরও একই পরিস্থিতির স্বীকার হয়। একসময় স্বপ্ন দেখত চিকিৎসক কিংবা শিক্ষক হওয়ার। কিন্তু মাত্র ১৪ বছর বয়সে এক ইসরাইলি হামলায় তার চোখের দৃষ্টিও চলে

গেছে। মাইসা বলেছে, ‘আমরা গাজায় আর জীবনযাপন করছি না। কেবল মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছি। আমাদের জীবন মৃত্যুতে পরিণত হয়েছে।’ মাইসা, তার ছোট বোন ইয়ারা (৯) ও ভাই মোহাম্মদ (১১) তিনজনই ২৬ জুলাই গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের আল-কারারা শহরের ইলাবুন হাইস্কুলে এক গোলাবর্ষণে আহত হয়। ইসরাইলি বাহিনীর ওই হামলায় তাদের শরীরে ছিন্নবিচ্ছিন্ন শার্পনেলের টুকরো বিদ্ধ হয়। মাইসার দুই চোখের দৃষ্টিশক্তি সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যায়। ইয়ারা এক চোখ হারিয়ে ফেলে। আর মোহাম্মদ মাথায় মারাত্মক আঘাত পায়। তাদের পরিবার কয়েকবার বাসস্থান ছেড়ে পালিয়ে শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তার আশায় ওই স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু সেই আশ্রয়স্থলেও নেমে আসে মৃত্যুর ছায়া।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
‘অন্যায় চলতে থাকলে প্রতিক্রিয়া আসবেই’— মোহাম্মদ এ. আরাফাতের হুঁশিয়ারি আন্তর্জাতিক অপশক্তির সাথে সম্পৃক্ত শিশু বক্তার দম্ভোক্তি: আমরা এখন আর আঞ্চলিক খেলোয়াড় না বন্ধ হচ্ছে সিইপিজেডের কারখানাগুলো: সংকট ধামাচাপায় সংবাদ প্রকাশে বাধা দিলেও দাবিয়ে রাখা যায়নি শ্রমিকদের অপহরণসহ সকল অপরাধ বেড়েছে কয়েক গুণ: ইউনূস-আমলে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি নিজ ভূখণ্ডে পাকি বিমানবাহিনীর বোমাবর্ষণ: নারী-শিশুসহ নিহত ৩০, অস্বীকার সরকারের অন্ধকারের হাতছানি বিগ চেঞ্জ পদক পেয়ে ড. ইউনূস: মানুষের সব সমস্যার সমাধান ব্যবসায়িক উপায়ে করা সম্ভব আবারও বাড়তে পারে সয়াবিন তেলের দাম, ক্ষোভ হতাশায় নিম্নআয়ের মানুষ দূর্গাপুজায় ঝুঁকিপূর্ণ জেলার তালিকায় চট্টগ্রামঃ উচ্চ ঝুঁকিতে পাঁচ জেলা বাণিজ্য সচিব নিয়োগে এনসিপি নেতা নাহিদকে ৩৫ কোটি টাকা ঘুষ প্রদানের অভিযোগ অনন্ত-বর্ষাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা হয়রানি ঠেকাতে ওয়ারেন্ট সমন যাবে অনলাইনে রাজধানীতে আজ কোথায় কী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কড়া নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা স্পেনের ঢাকার তাপমাত্রা নিয়ে দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অফিস লিটনদের ভারত পরীক্ষা আজ কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে কক্সবাজার সৈকতের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ ও লাইসেন্স বাতিলের উদ্যোগ এক দিনের ব্যবধানে স্বর্ণের দামে আবার রেকর্ড ট্রাম্প কিছুতেই নোবেল পেতে পারেন না : ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট