গাজায় হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ, মার্কিন সিনেট থেকে গ্রেফতার বেন কোহেন – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ১৬ মে, ২০২৫
     ৮:০১ অপরাহ্ণ

আরও খবর

ট্রাম্পের চেষ্টায়ও থামছে না ইউক্রেন যুদ্ধ, পুতিন আসলে কী চান

যুক্তরাষ্ট্রের ‘গাজা পরিকল্পনা’র মধ্যেই জাতিসংঘে রাশিয়ার পাল্টা প্রস্তাব

নেদারল্যান্ডের হেগে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের সামনে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন নিশ্চিতের আহ্বান ব্রিটিশ এমপি বব ব্ল্যাকম্যানের

দিল্লির লাল কেল্লায় বিস্ফোরণ: তদন্ত চলছে, সীমান্তে সতর্ক ভারতীয় বাহিনী

দিল্লি হামলাকে ‘ষড়যন্ত্র’ আখ্যা মোদির, তদন্তে সন্ত্রাসবিরোধী আইন প্রয়োগ ভারতীয় পুলিশের

যে কোনো দেশের পারমাণবিক পরীক্ষা হলে রাশিয়া ‘সমানভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে’: ল্যাভরভ

গাজায় হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ, মার্কিন সিনেট থেকে গ্রেফতার বেন কোহেন

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৬ মে, ২০২৫ | ৮:০১ 85 ভিউ
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোয় মার্কিন সিনেট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে আইসক্রিম কোম্পানি বেন অ্যান্ড জেরির সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং প্রবীণ প্রগতিশীল অ্যাকটিভিস্ট বেন কোহেনকে। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মার্কিন ক্যাপিটল পুলিশ জানিয়েছে, কোহেনের বিরুদ্ধে একটি অপকর্মের অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া আরও ছয় বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। জানা গেছে, গত বুধবার মার্কিন পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে সিনেটের একটি বাজেট শুনানিতে ছিলেন ৭৪ বছর বয়সি কোহেন। সেখানে বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র তার দফতরের বাজেট প্রস্তাবের পেছনে যুক্তি দিতে শুরু করলে প্রতিবাদ জানান কোহেনসহ উপস্থিত অনেকে। এ সময় তিনি স্লোগান দিতে থাকেন, কংগ্রেস গাজায়

শিশু হত্যা করতে বোমা কেনে। অথচ দেশের দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা সুবিধা কমিয়ে দেয়! এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করে। হাতে হ্যান্ডকাফ পরার আগ মুহূর্তে তিনি আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ক্ষুধার্ত শিশুদের খাবার পৌঁছাতে ইসরায়েলের ওপর চাপ দিন। পরবর্তীতে মুক্তি পাওয়ার পর বেন কোহেন বলেন, ঘটনাটি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে আমাদের কিছু একটা করতেই হতো। যুক্তরাষ্ট্র দেশের সামাজিক খাত সংকুচিত করে ইসরাইলের জন্য ২০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র অনুমোদন করেছে। বিষয়টিকে ‘কেলেঙ্কারি’ বলে উল্লেখ করেছেন কোহেন। তিনি আরও বলেন, আমেরিকার নাম ব্যবহার করে, আমাদের অর্থ দিয়ে যা করা হচ্ছে, তা ঘৃণা করে এ দেশের অধিকাংশ মানুষ। পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে বিশেষত

ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ইসরাইলের প্রতি জনমত ক্রমাগত নেতিবাচক হয়ে উঠছে। তবে ব্যয় পরিকল্পনার বাইরেও কোহেন পুরো বিষয়টিকে নৈতিক ও ‘আধ্যাত্মিক’ সংকট হিসেবে দেখেন। তিনি বলেন, দশকের পর দশক ধরে নির্বিচারে মানুষ হত্যা সমর্থন করা ও তাতে জড়িয়ে পড়া আমাদের মানবিক অস্তিত্ব এবং দেশের নীতিগত অবস্থানের মূলকে নাড়া দেয়। যুক্তরাষ্ট্র তার অর্ধেকেরও বেশি স্বাধীন বাজেট যুদ্ধ খাতে ব্যয় করে। যদি এর অর্ধেকটাও বিশ্বজুড়ে মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ব্যবহার করা হতো, তাহলে বিশ্বে এত সংঘাত থাকত না। একটি দৃষ্টান্ত টেনে তিনি বলেন, যদি কোনো তিন বছরের শিশু গিয়ে মানুষকে মারতে শুরু করে, আপনি তাকে বলেন, তোমার কথা দিয়ে বোঝাও। দেশগুলোর মধ্যেও সমস্যা থাকতে পারে, কিন্তু সেটা

যুদ্ধ ছাড়া সমাধান করা সম্ভব। কোহেন বলেন, আমি জানি আমার কণ্ঠ অনেকের চেয়ে জোরাল। কিন্তু এটা মনে রাখতে হবে, আমি লাখো মানুষের হয়ে কথা বলছি। সূত্র: বিবিসি, আলজাজিরা

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
অ্যাপ থেকে ৫ কৌশলে আয় ধসে গেল ভারতও, ৩০ রানের লিড হিরো আলম গ্রেপ্তার রাজস্থানে গেলেন জাদেজা, চেন্নাইয়ে সানজু রোববার আরও ১২ দলের সংলাপ করবে ইসি সালমানের এশিয়ান ট্যুর থেকে কি বাদ পড়লেন সোনাক্ষী লিগ না হলে আর্থিক সুবিধার প্রস্তাব ধানমন্ডিতে মারধরের শিকার সেই সালমা জুলাই মামলায় কারাগারে সাত জেলায় ককটেল, আগুন স্কুল বাসের চালক দগ্ধ রাজধানীর দুটি সাংস্কৃতিক আয়োজন স্থগিত জব্দ বিস্ফোরক থানায় পরীক্ষার সময় বিস্ফোরণ, নিহত ৯ ছয় মাসে সর্বোচ্চ দর পতন মঙ্গলে যমজ যান পাঠাতে উড়ল ব্লু অরিজিনের রকেট সরকার উৎখাতের ‘এলজিবিটি ষড়যন্ত্র ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে মারধরের শিকার নারী হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে ঝিনাইদহে সাবেক এমপি নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর বাড়িতে হামলা, দিল্লিতে দোভালের সঙ্গে খলিলুরের বৈঠক: আলোচনায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা উদ্বেগ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আসিফ মাহতাব পর্ব ‘সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অংশ’: মানবাধিকার কর্মীর অভিযোগ কক্সবাজারে হোটেলে পর্যটকের গোপন ভিডিও ধারণ, অভিযুক্ত কর্মচারী ও ছাত্রলীগ নেতা পলাতক চট্টগ্রামে ‘দেখামাত্র গুলি’র নির্দেশ, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার উদ্বেগ