গাজায় ইসরাইলি হামলায় ১০ দিনেই ৩২২ শিশুর মৃত্যু – ইউ এস বাংলা নিউজ




গাজায় ইসরাইলি হামলায় ১০ দিনেই ৩২২ শিশুর মৃত্যু

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১ এপ্রিল, ২০২৫ | ২:১৯ 6 ভিউ
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলের বর্বর বাহিনী। এ হামলায় শিশু থেকে বৃদ্ধা কেউ রেহাই পায়নি। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলায় গত ১০ দিনেই কমপক্ষে ৩২২ শিশু নিহত হয়েছে। এছাড়া এসব হামলায় আহত হয়েছে আরও ৬০৯ জন শিশু। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০০ জন শিশু নিহত বা পঙ্গু হয়েছে। সোমবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ইউনিসেফ। সংস্থাটি জানিয়েছে, ২৩ মার্চ দক্ষিণ গাজার আল নাসের হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে হামলায় শিশুদের হতাহতের ঘটনা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বোমা হামলার শিকার শিশুদের বেশিরভাগই বাস্তুচ্যুত হয়ে অস্থায়ী তাঁবুতে বা ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল। এর আগে হামাসের সঙ্গে প্রায় দুই মাসের

যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটিয়ে গাজায় গত ১৮ মার্চ তীব্র বোমাবর্ষণ পুনরায় শুরু করে ইসরাইল। তাদের এ বর্বর হামলায় অনেক শিশু নিহত হয়েছে, আহতও হয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু। ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথেরিন রাসেল বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি শিশুদের জন্য একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জীবনরেখা এবং তাদের পুনরুদ্ধারের পথের আশার বাণী। কিন্তু শিশুদের আবারও মারাত্মক সহিংসতা এবং বঞ্চনার চক্রে নিমজ্জিত করা হলো।’ এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের সুরক্ষার জন্য সকল পক্ষকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি। ইউনিসেফের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রায় ১৮ মাস ধরে চলা যুদ্ধে ১৫ হাজারের বেশি শিশু নিহত হয়েছে। ৩৪ হাজারের বেশি আহত হয়েছে। প্রায় দশ লক্ষ শিশু বাস্তুচ্যুত হয়েছে। শিশুরা মৌলিক অধিকার

থেকে বঞ্চিত হয়েছে। গত ২ মার্চ থেকে গাজায় কোনও সাহায্য প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ায় খাদ্য, নিরাপদ পানি, আশ্রয় এবং চিকিৎসা সেবা ক্রমশ দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে। প্রয়োজনীয় সরবরাহ করতে পারছে না। ফলে অপুষ্টি, রোগ এবং অন্যান্য প্রতিরোধযোগ্য পরিস্থিতি সম্ভবত বৃদ্ধি পাবে, যার ফলে প্রতিরোধযোগ্য শিশু মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শিশুদের সুরক্ষা ও সহায়তা করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছে; কিন্তু শত শত সাহায্য কর্মীকে হত্যা এবং আহত করার মতো আক্রমণের মুখোমুখি হচ্ছে। এই আক্রমণগুলি আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লঙ্ঘন। চলমান ঝুঁকি সত্ত্বেও, শিশু ও তাদের পরিবারগুলো বেঁচে থাকা এবং সুরক্ষার জন্য যে মানবিক সহায়তার উপর নির্ভর করে, তা প্রদান অব্যাহত রাখতে

ইউনিসেফ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
দাপুটে জয়ে পাকিস্তানকে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত কিউইদের সীমান্তে ভারত-পাকিস্তান সেনাদের গোলাগুলি চলন্ত ট্রেনের ছাদে টিকটক, অতঃপর… ইমামের রাজকীয় বিদায়, পেনশন পেলেন ৯ লাখ টাকা দক্ষিণ চীন সাগরে নতুন তেলের খনি আবিষ্কার ভূমিকম্পে ১৭০ প্রিয়জন হারালেন এক ইমাম মাদক ও অস্ত্রসহ স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আটক সম্প্রীতির অনন্য নজির, ঈদে এবার হিন্দুদের শরবত খাওয়াল মুসলিমরা সিনেপ্লেক্স থেকে নামিয়ে দেওয়া হলো শাকিবের সিনেমা বাংলাদেশে আসছে পাকিস্তানি ব্যান্ড, টিকিট বিক্রি শুরু ‘দাগি’ অনেকের কাছেই ভালো লাগবে না, কিন্তু… ব্যাংককে ইউনূস-মোদির বৈঠক শুক্রবার সংখ্যালঘু ইস্যুতে ভারতের অভিযোগে যা বললেন ড. দেবপ্রিয় নিউইয়র্ক টাইমসের সেই প্রতিবেদনের সাফাই গাইলেন বার্গম্যান গাজায় ইসরাইলি হামলায় আরও ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত রাশিয়ার ইতিহাসে নতুন সেনাভর্তির সবচেয়ে বড় ঘোষণা দিলেন পুতিন ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন হামলায় নিহত ৪ ভারতের সংসদে পেশ হল বিতর্কিত ওয়াকফ সংশোধনী বিল যেসব অভ্যাস শিশুদের চনমনে রাখে অটিজম নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যা করা উচিত