গর্ভাবস্থায় তালাক দিলে কি পতিত হয়?

জীবনে চূড়ান্ত বিপর্যয় থেকে স্বামী-স্ত্রী উভয়কে রক্ষার জন্য ইসলামে তালাকের বিধান রয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যখন চরমভাবে বিরোধ দেখা দেয়, পরস্পর মিলেমিশে শান্তিপূর্ণ ও মাধুর্যমণ্ডিত জীবনযাপন যখন একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়ে, তখনই আসে তালাকের প্রশ্ন।
কোনো কারণে স্বামী বা স্ত্রী যদি তালাক দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তবে আগে কিছু বিষয় অবশ্যই জানা জরুরি।
পারিবারিক জীবন অনেক ক্ষেত্রে হয়ে দাঁড়ায় তিক্ত ও বিষক্ত। একজনের মন যখন অন্যজন থেকে এমনভাবে বিমুখ হয়ে যায় যে, তাদের শুভ মিলনের আর কোনো সম্ভাবনা থাকে না। ঠিক তখনই বিয়েবিচ্ছেদের কথা বলা হয়েছে ইসলামে।
তবে অনেকে জানতে চান স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হলে কী তালাক দেওয়া যায় বা স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা থাকা অবস্থায় কী
তালাক কার্যকর হয়।জেনে রাখা ভালো স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় স্ত্রী তালাক দেওয়া যায়। সালিম (রহ) হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত আছে, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. তার স্ত্রীকে হায়েজ বা ঋতুস্রাব চলাকালীন তালাক দিলে ওমর রা. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এর বিধান জানতে চাইলেন। তখন তিনি বললেন: ‘তাকে তার স্ত্রীকে ফিরত নেওয়ার হুকুম দাও। অতঃপর সে যেন তাকে তুহরে (পবিত্র অবস্থা চলাকালে) অথবা গর্ভাবস্থায় তালাক দেয়।’ সুনান তিরমিযিতে এসেছে: গর্ভবতী স্ত্রীলোক যে কোন সময়ই তাকে তালাক দেওয়া যায়। (সুনানে তিরমিজী, অধ্যায়: ১১/ তালাক ও লিআন, পরিচ্ছদ: ১. তালাকের সুন্নতি পদ্ধতি, ১৭৭৬ নং হাদিসে আলেমদের অভিমত) শাইখ আব্দুল্লাহ বিন বায (রহ.) বলেন:
‘গর্ভবতীর উপরে তালাক পতিত হবে—আলেমগণ এ বিষয়ে সকলেই একমত; এ বিষয়ে কোন দ্বিমত নেই।’ তবে তালাক পতিত হলেও তার ইদ্দতের মেয়াদ হল সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়া পর্যন্ত। অর্থাৎ অন্যত্র বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হতে চাইল তাকে অবশ্যই সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর সে অন্যত্র বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে। আল্লাহ তাআলা বলেন: গর্ভবর্তী নারীদের ইদ্দতকাল সন্তান প্রসব পর্যন্ত। (সুরা তালাক: ৪)
তালাক কার্যকর হয়।জেনে রাখা ভালো স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় স্ত্রী তালাক দেওয়া যায়। সালিম (রহ) হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত আছে, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. তার স্ত্রীকে হায়েজ বা ঋতুস্রাব চলাকালীন তালাক দিলে ওমর রা. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এর বিধান জানতে চাইলেন। তখন তিনি বললেন: ‘তাকে তার স্ত্রীকে ফিরত নেওয়ার হুকুম দাও। অতঃপর সে যেন তাকে তুহরে (পবিত্র অবস্থা চলাকালে) অথবা গর্ভাবস্থায় তালাক দেয়।’ সুনান তিরমিযিতে এসেছে: গর্ভবতী স্ত্রীলোক যে কোন সময়ই তাকে তালাক দেওয়া যায়। (সুনানে তিরমিজী, অধ্যায়: ১১/ তালাক ও লিআন, পরিচ্ছদ: ১. তালাকের সুন্নতি পদ্ধতি, ১৭৭৬ নং হাদিসে আলেমদের অভিমত) শাইখ আব্দুল্লাহ বিন বায (রহ.) বলেন:
‘গর্ভবতীর উপরে তালাক পতিত হবে—আলেমগণ এ বিষয়ে সকলেই একমত; এ বিষয়ে কোন দ্বিমত নেই।’ তবে তালাক পতিত হলেও তার ইদ্দতের মেয়াদ হল সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়া পর্যন্ত। অর্থাৎ অন্যত্র বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হতে চাইল তাকে অবশ্যই সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর সে অন্যত্র বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে। আল্লাহ তাআলা বলেন: গর্ভবর্তী নারীদের ইদ্দতকাল সন্তান প্রসব পর্যন্ত। (সুরা তালাক: ৪)