কানাডায় বাবা-মা নিয়ে স্থায়ী হওয়ার সুবিধা বন্ধ, বিপাকে বাংলাদেশিরা – ইউ এস বাংলা নিউজ




কানাডায় বাবা-মা নিয়ে স্থায়ী হওয়ার সুবিধা বন্ধ, বিপাকে বাংলাদেশিরা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৫ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৭:২০ 11 ভিউ
কানাডায় স্থায়ী বাসিন্দারা তাদের বাবা-মা ও দাদা-দাদিকে স্পন্সরের মাধ্যমে স্থায়ী করার যে সুযোগ পেতেন, তা বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির সরকার। চলতি বছর থেকে এ ধরনের কোনো আবেদন নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে দেশটির অভিবাসন, উদ্বাস্তু ও নাগরিকত্ববিষয়ক বিভাগ (আইআরসিসি)। এটি পেরেন্টস অ্যান্ড গ্র্যান্ড পেরেন্টস (পিজিপি) প্রোগ্রাম হিসেবে পরিচিত ছিল। খবর ইকোনমিক টাইমসের। যেসব স্থায়ী বাসিন্দা ২০২৪ সাল পর্যন্ত তাদের বাবা-মা অথবা দাদা-দাদির জন্য স্থায়ী কার্ডের আবেদন করেছিলেন, আপাতত সেগুলোই যাচাই-বাছাই করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে কানাডার যেসব নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দা চান তাদের মা-বাবা বা স্বজন দীর্ঘদিন তাদের সঙ্গে এসে থাকুক, তারা চাইলে সুপার ভিসার আবেদন করতে পারবেন। সেটির

মেয়াদ পাঁচ বছর। অভিবাসনে কড়াকড়ি আগে কানাডা অভিবাসন নীতিতে উদার থাকলেও, সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিবাসীর সংখ্যা কমানোর কথা বলেছেন। অভিবাসনে কঠোর নীতির ফলে ২০২৫ সালে কানাডায় বসবাসকারী অস্থায়ী ১২ লাখ বিদেশি দেশত্যাগে বাধ্য হতে পারেন– এমন তথ্য উঠে এসেছে টরন্টোভিত্তিক বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে। এখন থেকে প্রতিবছর স্থায়ী বাসিন্দা সুবিধা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডা। এ বছর মাত্র ৩ লাখ ৯৫ হাজার অভিবাসীকে স্থায়ী বাসিন্দার কার্ড দেওয়া হবে। ২০২৬ সালে এটি ৩ লাখ ৮০ হাজার এবং ২০২৭ সালে ৩ লাখ ৬৫ হাজারে নামিয়ে আনা হবে। বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানিয়েছে, স্থায়ী বাসিন্দা কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ায় অনেক বাংলাদেশি বিপাকে পড়বেন। পাঁচ বছর

ধরে কানাডায় বসবাসরত ঢাকার কেরানীগঞ্জের প্রসেনজিত দাশ জয় (৩৫) বলেন, বর্তমানে কানাডায় স্থায়ী বাসিন্দার কার্ড পাওয়া রীতিমতো দুরূহ হয়ে উঠেছে। এটি পেতে সরকার নির্ধারিত নির্দিষ্ট পয়েন্ট অর্জন করতে হয়, যার মান বাড়ানো হয়েছে সম্প্রতি। এতে যেসব বাংলাদেশি অস্থায়ীভাবে কানাডায় বাস করছেন, তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, বাবা-মা ও দাদা-দাদিকে না নেওয়ার বিষয়টি আগে থেকে কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন সালাহউদ্দিন বাচ্চু নামে অপর এক প্রবাসী। তিনি বলেন, আমি যখন এসেছিলাম, তখন নিজ খরচে স্ত্রী-সন্তান ও বাবা-মাকে নিয়ে আসা যেত। দিন দিন এই অবস্থা কঠিন হয়েছে। প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ পিজিপির আবেদন করছেন। তবে সুযোগ পাচ্ছেন লটারিতে নাম ওঠা হাতেগোনা কয়েকজন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
‘পৌরসভাগুলোকে বিলুপ্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে’ মেট্রোরেলের সেবায় ভ্যাট অব্যাহতি চাঁদাবাজির অডিও ফাঁস, যুবদল নেতা বহিষ্কার তালেবানের পাশে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের সমালোচনা করল ভারত হঠাৎ মাঠে ঢুকে ক্রিকেটারের ওপর টাকার বৃষ্টি সমর্থকের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা দেশের ইতিহাসে সেরা ৫ সেনাপ্রধানের নাম এলে উনার নাম থাকবে: পার্থ চট্টগ্রাম আদালতের ১,৯১১ মামলার নথি গায়েব, থানায় জিডি ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ২ জনের মৃত্যু শহিদ মিনারে হামলাকারীদের দ্রুত জামিনে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের উদ্বেগ, নিরাপত্তা দাবি সেই মতিউরের আরও ১২৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ, দুদকের মামলা এবার এআই বটে চলবে ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম পাকিস্তানে স্টারলিঙ্ক চালু করার অপেক্ষায় ইলন মাস্ক বিশ্বকাপজয়ীর ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে রেকর্ডগড়া জয় রংপুরের ‘বাংলাদেশে কোনো ভবিষ্যৎ নেই, টাকা ছাড়া জীবন মূল্যহীন’ গোহত্যার অভিযোগ, মুসলিম যুবককে পিটিয়ে খুন, আরেকজনকে গ্রেফতার ফারুক-ফাহিমের দ্বন্দ্বে মনে ব্যথা পেয়েছেন সুজন রাজনীতিবিদরা কেন মাস্তান পোষেন জানালেন জামায়াত নেতা সরকারি কর্মীদের বেতন ৪০০ শতাংশ বাড়াচ্ছে সিরিয়া ইয়েমেনে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ভারতীয় নার্স কি প্রাণভিক্ষা পাবেন?