
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

গাড়ির চাপায় শাবকের মৃত্যু, মা হনুমান আহত

টেকনাফে জেলে-কোস্ট গার্ডের সঙ্গে গোলাগুলি

যুবককে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার ভাইরাল ভিডিও নিয়ে তোলপাড়

কুড়িয়ে পাওয়া বোমা বিস্ফোরণ: বোন নিহত, হাত হারাল ভাই

পুলিশের ওপর হামলা মামলায় গ্রেফতার ২

প্রায় ১০০ পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে আটকা

শিশু ধর্ষণ মামলায় মাদ্রাসা অধ্যক্ষ গ্রেফতার
কর্মচারী থেকে কোটিপতি, কে এই নাজমুল

লামার নাজমুল আলম। তৃতীয় শ্রেণির চাকরিতে (অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর) যোগ দেন এক দশক আগে। চাকরির বেশিরভাগ সময় পার করেছেন নিজ উপজেলা লামায়। সেসময় অনিয়ম, তদবির-বাণিজ্য, অবৈধ বালু, পাহাড় কাটা ও ইটভাটা মালিকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়া ছাড়াও মিয়ানমার থেকে গরু চোরাকারবারির মাধ্যমে গড়েছেন বিশাল সম্পদের পাহাড়। তা দিয়ে করেছেন আলিশান ডুপ্লেক্স বাড়ি, পাহাড়ের জায়গা কিনে করেছেন একাধিক রিসোর্ট ও বাগান। আছে একাধিক টুরিস্ট গাড়ি ও মালবাহী বড় ট্রাক।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর (মুদ্রাক্ষরিক) হিসাবে চাকরিতে যোগদান করেন নাজমুল আলম। এরপর থেকে তিনি জেলার বিভিন্ন
উপজেলায় দায়িত্ব পালন করেছেন। অপরদিকে তার বাবা ওসমান গনি দুলাল উপজেলা ভূমি অফিসের চেইনম্যান হিসাবে চাকরি করেন দীর্ঘদিন ধরে। একই উপজেলায় চাকরির সুবাদে বাবা-ছেলের যোগসাজশে অবৈধ পন্থায় গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। জানা যায়, ইউএনও অফিসে রেজিস্ট্রেশন শাখায় প্রশাসনিক কর্মকর্তার সহকারী পদে চাকরির সময় হঠাৎ বিপুল টাকার মালিক বনে যান নাজমুল। অভিযোগ রয়েছে, দলিল রেজিস্ট্রেশন করতে আসা জমি ক্রেতা ও বিক্রেতার কাছ থেকে কাগজপত্র ঠিক নেই বলে তিনি হাতিয়ে নিতেন মোটা অঙ্কের টাকা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০-২৫ বছর আগে চাকরি সূত্রে নোয়াখালী থেকে বান্দরবানের লামায় আসেন নাজমুলের বাবা। এরপর লামা পৌরসভার বড় নুনারবিল ৭নং ওয়ার্ডে বাড়ি তৈরির জন্য পাঁচ শতক
জায়গা কেনেন। ২০১৪ সালে নাজমুল চাকরিতে যোগদানের পর রাতারাতি বদলে যেতে থাকে সব কিছু। তার ছোট ভাইকে বানিয়েছিলেন লামা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। বড় ভাইয়ের সঙ্গে যোগসাজশে অফিসের সবাইকে ম্যানেজ করে ঠিকাদারি কাজসহ সব কিছুর একক নিয়ন্ত্রণ ছিল এ পরিবারের হাতে। অভিযোগ রয়েছে, সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের সঙ্গে সখ্য ছিল নাজমুলের। সাবেক এ মন্ত্রী বান্দরবানের বাসিন্দা না হওয়া সত্ত্বেও তাকে পার্বত্য আইন অমান্য করে ৩০৩নং ডলুছড়ি মৌজায় তৃতীয় শ্রেণির ২৫ একরের বেশি জায়গা কিনে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন নাজমুল। অবৈধ এ কাজে সহায়তা করে সাবেক মন্ত্রীর কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেন তিনি। অনুসন্ধানে জানা গেছে, লামা উপজেলায় অবস্থিত
মারাংছা হিল রিসোর্ট ও রিভার হিল রিসোর্ট এ দুটি রিসোর্টে কোটি টাকার উপরে শেয়ারের মালিক নাজমুল। এ দুটি রিসোর্টে পর্যটকদের ব্যবহারের জন্য রয়েছে একাধিক গাড়ি। উপজেলার থানার সামনে ‘লামা টাইলস গার্ডেন’ নামে বিশাল শো-রুম যার পাশের আর একটি ভবনের নিচতলার ফ্লোরে সেই টাইলসের দোকানের গোডাউন, যার মূল্য ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা। এছাড়া নাজমুলের বাবা ওসমান গনি ও তার স্ত্রীর নামে-বেনামে রয়েছে বিপুল সম্পদ। যার মধ্যে রয়েছে লামা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বড় নুনারবিল পাড়ায় পাঁচ শতক জমিতে এক কোটি টাকার ওপর দৃষ্টিনন্দন বাড়ি। ৮নং ওয়ার্ডে কলেজগেটের সামনে চার শতক জমিতে চারটি দোকানঘর রয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য ৫০ লাখ টাকা। একই
ওয়ার্ডের কলেজপাড়া এলাকায় উপজাতীয় মুসলিম কল্যাণ সংস্থার পাশে রয়েছে ৩০-৪০ লাখ টাকা মূল্যের ৯ শতক জমি। অপরদিকে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক বিলছড়ি এলাকায় রয়েছে কোটি টাকার উপরে পাঁচ একর জমি। এছাড়া একই এলাকায় রয়েছে ৫০ লাখ টাকার উপরে ৮০ শতক জমি। উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ইয়াংছা কাঁঠালছড়া এলাকায় রয়েছে কোটি টাকার ৫০ একর জমি। স্থানীয়রা বলেন, ‘ওই পরিবার এখন আঙুল ফুলে কলাগাছ। আগে কী ছিল আর এখন কী হয়েছে তা সবার জানা। দুর্নীতি না করলে কি কেউ এত সম্পদের মালিক হতে পারেন? লামা ভূমি অফিস এখনো দখল করে রেখেছেন বাপে, ছেলে এখন ডিসি অফিসে। আবার আরেক ছেলেকে করেছিলেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের উপজেলার সাধারণ
সম্পাদক। সেই ভয়ে এলাকার মানুষ কেউ মুখ খুলতে সাহস পেতেন না।’ তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে নাজমুল আলম বলেন, ‘মারাংছা হিল রিসোর্ট ছাড়া আর কোনো সম্পদ আমার নয়। এসব সম্পদ বাবা-মা ও ভাইয়ের নামে। আমার নামে কোনো সম্পদ নেই। আমার ভাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিল।’
উপজেলায় দায়িত্ব পালন করেছেন। অপরদিকে তার বাবা ওসমান গনি দুলাল উপজেলা ভূমি অফিসের চেইনম্যান হিসাবে চাকরি করেন দীর্ঘদিন ধরে। একই উপজেলায় চাকরির সুবাদে বাবা-ছেলের যোগসাজশে অবৈধ পন্থায় গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। জানা যায়, ইউএনও অফিসে রেজিস্ট্রেশন শাখায় প্রশাসনিক কর্মকর্তার সহকারী পদে চাকরির সময় হঠাৎ বিপুল টাকার মালিক বনে যান নাজমুল। অভিযোগ রয়েছে, দলিল রেজিস্ট্রেশন করতে আসা জমি ক্রেতা ও বিক্রেতার কাছ থেকে কাগজপত্র ঠিক নেই বলে তিনি হাতিয়ে নিতেন মোটা অঙ্কের টাকা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০-২৫ বছর আগে চাকরি সূত্রে নোয়াখালী থেকে বান্দরবানের লামায় আসেন নাজমুলের বাবা। এরপর লামা পৌরসভার বড় নুনারবিল ৭নং ওয়ার্ডে বাড়ি তৈরির জন্য পাঁচ শতক
জায়গা কেনেন। ২০১৪ সালে নাজমুল চাকরিতে যোগদানের পর রাতারাতি বদলে যেতে থাকে সব কিছু। তার ছোট ভাইকে বানিয়েছিলেন লামা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। বড় ভাইয়ের সঙ্গে যোগসাজশে অফিসের সবাইকে ম্যানেজ করে ঠিকাদারি কাজসহ সব কিছুর একক নিয়ন্ত্রণ ছিল এ পরিবারের হাতে। অভিযোগ রয়েছে, সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের সঙ্গে সখ্য ছিল নাজমুলের। সাবেক এ মন্ত্রী বান্দরবানের বাসিন্দা না হওয়া সত্ত্বেও তাকে পার্বত্য আইন অমান্য করে ৩০৩নং ডলুছড়ি মৌজায় তৃতীয় শ্রেণির ২৫ একরের বেশি জায়গা কিনে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন নাজমুল। অবৈধ এ কাজে সহায়তা করে সাবেক মন্ত্রীর কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেন তিনি। অনুসন্ধানে জানা গেছে, লামা উপজেলায় অবস্থিত
মারাংছা হিল রিসোর্ট ও রিভার হিল রিসোর্ট এ দুটি রিসোর্টে কোটি টাকার উপরে শেয়ারের মালিক নাজমুল। এ দুটি রিসোর্টে পর্যটকদের ব্যবহারের জন্য রয়েছে একাধিক গাড়ি। উপজেলার থানার সামনে ‘লামা টাইলস গার্ডেন’ নামে বিশাল শো-রুম যার পাশের আর একটি ভবনের নিচতলার ফ্লোরে সেই টাইলসের দোকানের গোডাউন, যার মূল্য ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা। এছাড়া নাজমুলের বাবা ওসমান গনি ও তার স্ত্রীর নামে-বেনামে রয়েছে বিপুল সম্পদ। যার মধ্যে রয়েছে লামা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বড় নুনারবিল পাড়ায় পাঁচ শতক জমিতে এক কোটি টাকার ওপর দৃষ্টিনন্দন বাড়ি। ৮নং ওয়ার্ডে কলেজগেটের সামনে চার শতক জমিতে চারটি দোকানঘর রয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য ৫০ লাখ টাকা। একই
ওয়ার্ডের কলেজপাড়া এলাকায় উপজাতীয় মুসলিম কল্যাণ সংস্থার পাশে রয়েছে ৩০-৪০ লাখ টাকা মূল্যের ৯ শতক জমি। অপরদিকে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক বিলছড়ি এলাকায় রয়েছে কোটি টাকার উপরে পাঁচ একর জমি। এছাড়া একই এলাকায় রয়েছে ৫০ লাখ টাকার উপরে ৮০ শতক জমি। উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ইয়াংছা কাঁঠালছড়া এলাকায় রয়েছে কোটি টাকার ৫০ একর জমি। স্থানীয়রা বলেন, ‘ওই পরিবার এখন আঙুল ফুলে কলাগাছ। আগে কী ছিল আর এখন কী হয়েছে তা সবার জানা। দুর্নীতি না করলে কি কেউ এত সম্পদের মালিক হতে পারেন? লামা ভূমি অফিস এখনো দখল করে রেখেছেন বাপে, ছেলে এখন ডিসি অফিসে। আবার আরেক ছেলেকে করেছিলেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের উপজেলার সাধারণ
সম্পাদক। সেই ভয়ে এলাকার মানুষ কেউ মুখ খুলতে সাহস পেতেন না।’ তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে নাজমুল আলম বলেন, ‘মারাংছা হিল রিসোর্ট ছাড়া আর কোনো সম্পদ আমার নয়। এসব সম্পদ বাবা-মা ও ভাইয়ের নামে। আমার নামে কোনো সম্পদ নেই। আমার ভাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিল।’