
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
এসি-ফ্রিজের ভ্যাট বেড়ে হতে পারে দ্বিগুণ

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট ও আমদানি পর্যায়ে বেশকিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকার। আমদানি পর্যায়ে মিথ্যা ঘোষণায় নিয়ে আসা পণ্য চালানের জরিমানার বিধান অর্ধেক করে কাস্টমস আইনের নতুন সংশোধনী আনা হচ্ছে। এ ছাড়া ইমপোর্ট জেনারেল ম্যানুফেস্ট (আইজিএম) সংশোধনের ক্ষেত্রে ন্যূনতম জরিমানা ৫০ হাজার টাকার বিধানটি তুলে দিয়ে সর্বোচ্চ জরিমানা ২ লাখ টাকা করা হচ্ছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা ট্যারিফের ক্ষেত্রে ১০০ পণ্যের কাস্টমস ডিউটি তুলে দেওয়া হচ্ছে। আর ভ্যাটের ক্ষেত্রে প্লাস্টিক পণ্য থেকে শুরু করে বেশকিছু খাতে ভ্যাটের স্ট্যান্ডার্ড হার করার চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এ ছাড়া যেসব খাতে দীর্ঘদিন ধরে চলা ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হয়েছে, সেক্ষেত্রে
নতুন ভ্যাট হার যুক্ত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, আগামী অর্থবছরের ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ করার নামে আমদানি পর্যায়ে মিথ্যা ঘোষণার পণ্য চালানের জরিমানা চারশ শতাংশ থেকে কমিয়ে দুইশ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে মিথ্যা ঘোষণায় আনা পণ্য চালানের জরিমানায় আনা হচ্ছে শিথিলতা। এক্ষেত্রে অসাধু আমদানিকারকরা সুযোগ নিতে পারেন বলেও মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া আগামী বাজেটে আইজিএম সংশোধনের ক্ষেত্রেও আসছে শিথিলতা। এক্ষেত্রে আইজিএমের ঘোষণা পরিবর্তন করতে যেখানে ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করার বিধান ছিল, সেখানে ন্যূনতম জরিমানার বিধান তুলে দিয়ে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা করা হচ্ছে। এতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা চাইলে যে কোনো পরিমাণে জরিমানা করতে পারবেন। আরেকটি বড়
পরিবর্তন আসতে পারে কাস্টমসের মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে। বর্তমানে কাস্টমসের কোনো মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ জয়ী হলে যেদিন থেকে মামলা শুরু হয়েছে, সেই হিসেবে সরকারের শুল্ক পরিশোধ করতে হয়। এক্ষেত্রে দশ বছর মামলা চললে দশ বছরের সুদসহ প্রতিষ্ঠানকে দিতে হবে। এই বিধানেও শিথিলতা আসছে। নতুন করে মামলা যত দিনেরই হোক না কেন সর্বোচ্চ দুই বছরের সুদসহ শুল্ক পরিশোধ করার বিধান আসছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কারোপের ব্যবস্থা হিসেবে নতুন করে ১০০ পণ্যের কাস্টমস ডিউটি তুলে দেওয়া হচ্ছে। আগামী বাজেটে কাস্টমস আইনে এ-সংক্রান্ত সংশোধনী আনা হচ্ছে। আর ব্যবসায়ীদের জটিলতা নিরসনে কেন্দ্রীয়ভাবে ওয়্যার হাউস করার সুযোগ আসছে। যাতে ব্যবসায়ীর শর্টটাইম শিপমেন্টের ক্ষেত্রে জটিলতা দূর হবে
বলেও নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজস্ব বোর্ডের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আগামী বাজেট ব্যবসাবান্ধব ও সহজ করতে বেশকিছু উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শতাধিক পণ্যের কাস্টমস ডিউটি তুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে ভ্যাটসহ সংশ্লিষ্ট কিছু ডিউটি থাকবে। এ ছাড়া জরিমানার বিধানে কিছু শিথিলতা আনা হচ্ছে। এক্ষেত্রে ন্যূনতম জরিমানা এবং মিথ্যা ঘোষণায় আনা পণ্য চালান বা ভুলের জন্য কিছু বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে আগামী বাজেটে। সূত্র আরও জানায়, চলতি অর্থবছরের মাঝামাঝিতে এসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের শর্তপূরণ করতে প্রায় অর্ধশতাধিক পণ্যে ভ্যাট আরোপ করে সরকার। তবে আন্দোলনের মুখে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভ্যাটের নতুন হার থেকে
সরে আসে সরকার। আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে তুলা আমদানির রেট কিছুটা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এ ছাড়া রডের ক্ষেত্রেও ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তা ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় থাকা নির্মাণ সংস্থার ভ্যাটহার বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এতে আগামী বাজেটে নির্মাণ খাতের উৎসে কর দশ শতাংশ করা হতে পারে। এ ছাড়া আগামী অর্থবছরের বাজেটে প্লাস্টিকের তৈরি আসবাবপত্র, তৈজসপত্রসহ সব ধরনের পণ্যেও ভ্যাটের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এ ছাড়া দেশীয় শিল্প বিকাশে দেওয়া ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হয়েছে, এমন খাতে ভ্যাটের হার বাড়তে পারে। বর্তমানে এসি-ফ্রিজের ভ্যাটের হার সাড়ে ৭ শতাংশ। এই হার দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত আসতে পারে আগামী বাজেটে।
তবে হাতে তৈরি আসবাবপত্র থেকে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এক্ষেত্রে মাটির তৈরি জিনিসপত্রে ভ্যাট থাকবে না।
নতুন ভ্যাট হার যুক্ত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, আগামী অর্থবছরের ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ করার নামে আমদানি পর্যায়ে মিথ্যা ঘোষণার পণ্য চালানের জরিমানা চারশ শতাংশ থেকে কমিয়ে দুইশ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে মিথ্যা ঘোষণায় আনা পণ্য চালানের জরিমানায় আনা হচ্ছে শিথিলতা। এক্ষেত্রে অসাধু আমদানিকারকরা সুযোগ নিতে পারেন বলেও মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া আগামী বাজেটে আইজিএম সংশোধনের ক্ষেত্রেও আসছে শিথিলতা। এক্ষেত্রে আইজিএমের ঘোষণা পরিবর্তন করতে যেখানে ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করার বিধান ছিল, সেখানে ন্যূনতম জরিমানার বিধান তুলে দিয়ে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা করা হচ্ছে। এতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা চাইলে যে কোনো পরিমাণে জরিমানা করতে পারবেন। আরেকটি বড়
পরিবর্তন আসতে পারে কাস্টমসের মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে। বর্তমানে কাস্টমসের কোনো মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ জয়ী হলে যেদিন থেকে মামলা শুরু হয়েছে, সেই হিসেবে সরকারের শুল্ক পরিশোধ করতে হয়। এক্ষেত্রে দশ বছর মামলা চললে দশ বছরের সুদসহ প্রতিষ্ঠানকে দিতে হবে। এই বিধানেও শিথিলতা আসছে। নতুন করে মামলা যত দিনেরই হোক না কেন সর্বোচ্চ দুই বছরের সুদসহ শুল্ক পরিশোধ করার বিধান আসছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কারোপের ব্যবস্থা হিসেবে নতুন করে ১০০ পণ্যের কাস্টমস ডিউটি তুলে দেওয়া হচ্ছে। আগামী বাজেটে কাস্টমস আইনে এ-সংক্রান্ত সংশোধনী আনা হচ্ছে। আর ব্যবসায়ীদের জটিলতা নিরসনে কেন্দ্রীয়ভাবে ওয়্যার হাউস করার সুযোগ আসছে। যাতে ব্যবসায়ীর শর্টটাইম শিপমেন্টের ক্ষেত্রে জটিলতা দূর হবে
বলেও নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজস্ব বোর্ডের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আগামী বাজেট ব্যবসাবান্ধব ও সহজ করতে বেশকিছু উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শতাধিক পণ্যের কাস্টমস ডিউটি তুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে ভ্যাটসহ সংশ্লিষ্ট কিছু ডিউটি থাকবে। এ ছাড়া জরিমানার বিধানে কিছু শিথিলতা আনা হচ্ছে। এক্ষেত্রে ন্যূনতম জরিমানা এবং মিথ্যা ঘোষণায় আনা পণ্য চালান বা ভুলের জন্য কিছু বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে আগামী বাজেটে। সূত্র আরও জানায়, চলতি অর্থবছরের মাঝামাঝিতে এসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের শর্তপূরণ করতে প্রায় অর্ধশতাধিক পণ্যে ভ্যাট আরোপ করে সরকার। তবে আন্দোলনের মুখে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভ্যাটের নতুন হার থেকে
সরে আসে সরকার। আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে তুলা আমদানির রেট কিছুটা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এ ছাড়া রডের ক্ষেত্রেও ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তা ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় থাকা নির্মাণ সংস্থার ভ্যাটহার বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এতে আগামী বাজেটে নির্মাণ খাতের উৎসে কর দশ শতাংশ করা হতে পারে। এ ছাড়া আগামী অর্থবছরের বাজেটে প্লাস্টিকের তৈরি আসবাবপত্র, তৈজসপত্রসহ সব ধরনের পণ্যেও ভ্যাটের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এ ছাড়া দেশীয় শিল্প বিকাশে দেওয়া ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হয়েছে, এমন খাতে ভ্যাটের হার বাড়তে পারে। বর্তমানে এসি-ফ্রিজের ভ্যাটের হার সাড়ে ৭ শতাংশ। এই হার দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত আসতে পারে আগামী বাজেটে।
তবে হাতে তৈরি আসবাবপত্র থেকে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এক্ষেত্রে মাটির তৈরি জিনিসপত্রে ভ্যাট থাকবে না।