এবার ফ্রান্সে সরকারবিরোধী তীব্র বিক্ষোভ, নিয়ন্ত্রণে আটক ২ শতাধিক – ইউ এস বাংলা নিউজ




এবার ফ্রান্সে সরকারবিরোধী তীব্র বিক্ষোভ, নিয়ন্ত্রণে আটক ২ শতাধিক

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৬:৫৪ 9 ভিউ
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসসহ দেশটির বিভিন্ন স্থানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করেছে। কোথাও কোথাও পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২ শতাধিক লোককে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ‘ব্লোকঁ তু’ কর্মসূচি পালন করেছেন হাজারো তরুণ। ফরাসি ভাষায় ‘ব্লোকঁ তু’ অর্থ সবকিছু অচল বা বন্ধ করে দেওয়া। বিক্ষোভ শুরুর ঘণ্টাখানেকের মধ্যে তাদের আটক করা হয়। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ফরাসি সংবাদমাধ্যম লো মঁদ। লো মঁদ জানায়, বুধবার হাজারো বিক্ষোভকারী রাজধানী প্যারিসসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক অবরোধ করেন। তারা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে আগুন ধরিয়ে দেন। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের দমনে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় তাদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভ দমনে ৮০

হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রেতাইয়ো বলেছেন, সারা দেশে পরিকল্পিতভাবে এমন বিক্ষোভ করা হচ্ছে। বুধবার বিক্ষোভ শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যেই ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর রেনে-তে একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি রেললাইনে বিদ্যুৎ লাইনের ক্ষতির কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ব্রুনোর অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা ইচ্ছাকৃতভাবে একটি বিদ্রোহের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে। রেতাইয়ো আরও বলেন, মূলত অনলাইনে সরকারবিরোধীরা সংঘবদ্ধ হন। কিছু বামপন্থি রাজনীতিবিদ তাদের সমর্থন দিচ্ছেন। তারা ফ্রান্সে একটি বিদ্রোহের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। বুধবার কিছু বিক্ষোভকারী পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়ানোর মানসিকতা নিয়েই রাস্তায় নেমেছে। লো মঁদ বলছে, কোনো সুনির্দিষ্ট নেতৃত্ব ছাড়াই এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে।

বিক্ষোভকারীরা মাখোঁ প্রশাসনের বাজেটে ব্যয় সংকোচনের বিরোধিতা করছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন খাতের বৈষম্যেরও বিরোধিতা করছেন। এএফপির তথ্যমতে, প্রেসিডেন্ট মাখোঁর ব্যয় সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ শুরু করেছে বামপন্থিরা। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হেরে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) পদত্যাগ করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফ্রঁসোয়া বায়রু। এরপরই নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সেবাস্টিয়ান লোকনুর নাম ঘোষণা করেন মাখোঁ। বুধবার তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। এদিনই বিক্ষোভ শুরু হলো। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, মাখোঁর উচিত ছিল সংসদ ভেঙে দেওয়া। অথবা একজন বামপন্থি নেতাকে প্রধানমন্ত্রী করা। কিন্তু তিনি তারই এক ঘনিষ্ঠজনকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন। এটি হতাশাজনক। এদিকে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের পরও শান্ত হয়নি দেশটির রাজপথ। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের আগে পার্লামেন্ট ভবন, রাজনৈতিক দলের

কার্যালয়, মন্ত্রীদের বাড়িঘরসহ বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করতে দেখা যায় বিক্ষোভকারীদের। তিনি পদত্যাগের পরও এ অগ্নিসংযোগ অব্যাহত আছে। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে সংযত থাকার আহ্বান জানান নেপালের সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল। এ ছাড়া নেপালে টানা বিক্ষোভ ও সহিংসতার মুখে প্রধানমন্ত্রীর পর পদত্যাগ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পৌডেল। দেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ ও দুর্নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলাকালীন ১৯ জন নিহত হওয়ার পর মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
এনসিপি নেতার চাঁদাবাজি, মবসন্ত্রাস ও দখলবাণিজ্যে অতিষ্ঠ স্থানীয়রা, মানববন্ধনে নিন্দা ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত দেশ: বন্ধ কয়েকটি বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র নেপালে এখনো আটকা বাংলাদেশ ফুটবল দল ও সাংবাদিকরা ইউনূস সরকারের অধীনে জঙ্গিবাদের উত্থান, দেশে বেড়েছে সংখ্যালঘু নির্যাতন সিনেমায় ইমরান হাশমির সঙ্গে রোমান্স করবেন দিশা পাটানি ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন আজ ফরিদা পারভীন লাইফ সাপোর্টে সেন্টমার্টিন থেকে ৪০ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি ২৭ বল খেলেই আমিরাতকে হারাল ভারত কত টাকায় পাওয়া যাবে আইফোন ১৭ প্রো কাতারের পর মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৯ সাবেক ডিসি সুলতানাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত এবার ফ্রান্সে সরকারবিরোধী তীব্র বিক্ষোভ, নিয়ন্ত্রণে আটক ২ শতাধিক প্রাথমিকের ১০ কোটি বই ছাপার দায়িত্ব যাচ্ছে ডিপিইর হাতে আজ থেকে রেকর্ড দামে বিক্রি হবে স্বর্ণ কাতারে হামলার পর বিশ্ববাজারে বাড়ল তেলের দাম ছাত্রলীগ কর্মীর হাত-পায়ের রগ কাটল দুর্বৃত্তরা ফের হেনস্তার শিকার উরফি কাতারে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানাল বাংলাদেশ নেপালে কারফিউ, আতঙ্কিত জনগণ