উত্তর সিরিয়ার আলেপ্পোতে সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র গোষ্ঠীর সংঘর্ষে নিহত ১০০ – ইউ এস বাংলা নিউজ




উত্তর সিরিয়ার আলেপ্পোতে সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র গোষ্ঠীর সংঘর্ষে নিহত ১০০

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৮ নভেম্বর, ২০২৪ | ৫:১৫ 78 ভিউ
উত্তর সিরিয়ার আলেপ্পোতে সশস্ত্র গোষ্ঠী হায়েত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এবং তাদের মিত্রদের আক্রমণে সিরিয়ার সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা অন্তত দশটি এলাকা দখল হয়েছে।সংঘর্ষে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী এবং বিদ্রোহী যোদ্ধাসহ প্রায় ১০০ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। হায়েত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) বুধবার(২৭ নভেম্বর)এই হামলা চালায়।ব্রিটেনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রুশ এবং সিরিয়ান বিমান বাহিনীর বেসামরিক এলাকায় চালানো বাড়তি বিমান হামলার প্রতিশোধ এবং সিরিয়ার সামরিক বাহিনীর সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিহত করার লক্ষ্যে এই হামলা চালানো হয়েছে। এসওএইচআর জানিয়েছে এই হামলায় এইচটিএস এবং তাদের মিত্র বাহিনীর ৪৪ জন সদস্য নিহত হয়েছে।পাশাপাশি সিরিয়ার সামরিক বাহিনীর অন্তত ৩৭ জন সদস্য,যার

মধ্যে চারজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।এছাড়াও পাঁচজন সৈন্য আটক হয়েছে।বিদ্রোহীরা সিরিয়ান সামরিক বাহিনীর অস্ত্রাগার, সাঁজোয়া যান এবং ভারী অস্ত্র দখল করেছে। সংঘর্ষ চলাকালে সিরিয়ার সামরিক বাহিনী শত শত গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে,যার ফলে বেসামরিক মানুষ, বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, শত শত পরিবার তাদের বাড়িঘর ছেড়ে তুরস্ক সীমান্তের নিরাপদ এলাকায় চলে গেছে। এইচটিএস যোদ্ধারা আলেপ্পো শহরের উপকণ্ঠ থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল) অগ্রসর হয়েছে এবং নুবল ও জাহরা অঞ্চলের কাছে পৌঁছেছে।এ দুটি অঞ্চল মূলত শিয়া অধ্যুষিত এবং সেখানে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ বাহিনীর শক্ত ঘাঁটি রয়েছে।এছাড়া, এইচটিএস বাহিনী আলেপ্পোর পূর্বের আল-নায়রাব বিমানবন্দরেও আক্রমণ চালিয়েছে, যেখানে প্রো-ইরানি

যোদ্ধাদের অবস্থান রয়েছে। সিরিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম এই সংঘর্ষের বিষয়ে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি, তবে সরকার-সমর্থিত ওয়েবসাইটগুলো জানিয়েছে যে,সেনাবাহিনী বিদ্রোহী ঘাঁটিগুলোতে হামলা চালিয়ে কয়েক ডজন বিদ্রোহীকে হত্যা করেছে। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ ২০১১ সাল থেকে শুরু হওয়া এক দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত।এইচটিএস, যাকে যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে, সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী বিদ্রোহী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত।রাশিয়া ২০১৫ সালে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পক্ষে যুদ্ধে যোগ দেওয়ার পর থেকে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সরকারি বাহিনী ক্রমাগত অভিযান চালিয়ে আসছে। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
পেয়ারা বাগান ঘুরে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা ভারতের ওপর শুল্ক দ্বিগুণ, বাংলাদেশের লাভ কতটা হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে দুই মন্ত্রীসহ সব আরোহী নিহত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা, লকডাউন জারি আবারও বাড়ল তেলের দাম বৃহস্পতিবার যেসব এলাকায় থাকবে না গ্যাস শ্রীলঙ্কায় সাবেক মন্ত্রী রাজাপাকসে গ্রেপ্তার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টানাপোড়েনের মধ্যেই চীন সফরের ঘোষণা মোদির, আসবেন পুতিনও সাগরিকার জোড়া গোলের জাদুতে দুর্দান্ত শুরু বাংলাদেশের চেনা দখলদার, জিডি করেই দায় সারে গৃহায়ন ইসলামে অর্থনৈতিক ন্যায় ও সুদমুক্ত সমাজ গঠনের পথ ১৪৬ যাত্রী নিয়ে এক ঘণ্টা উড়ে ফিরে এল বিমানের ফ্লাইট ট্রাম্প ‘নাখোশ’: মোদি যাচ্ছেন চীন, আসছেন পুতিনও ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৪২৮ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন সেনাপ্রধান অসীম মুনির? ডিআইজিসহ ৭৬ পুলিশ কর্মকর্তাকে নতুন দায়িত্ব চাঁদে পারমাণবিক চুল্লি স্থাপনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভের ডাক পিটিআই’র এবার প্রেমিকের বিয়ে ভেঙে দিয়ে আলোচনায় উরফি জাভেদ ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ বন্যা, ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে উর্বশী