ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
যুক্তরাজ্য সফর শেষ করে দেশে ফিরলেন জামায়াত আমির
রাজনৈতিক দলের বিচার: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন
আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে কি না ঠিক করবে জনগণ : ফখরুল
বিএনপির মত জামায়াতে ইসলামীও চায় না আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হোক- জামায়াত আমীর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ২ মন্ত্রী, ৪ এমপিসহ ১০৬ জনের নামে মামলা
বিএনপি সরকারে গেলে, বিরোধী দলে জামায়াত
চট্টগ্রামে আবারো নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল
উত্তরায় পোস্টার সরানোর হিড়িক
দলীয় নির্দেশনা পেয়ে গত কয়েক দিন ধরে উত্তরা বিমানবন্দর মহাসড়কের পিলার, পাড়া মহল্লার রাস্তাঘাট ও মসজিদ মাদ্রাসার দেয়াল থেকে বিএনপি, যুবদল,ছাত্রদল,স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিকদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ভেনার ফেস্টুন খুলে ফেলা হচ্ছে।
জানা যায়,নিজেদের উপস্থিতি জানান দিয়ে জনমনে আতংক ছড়াতে লাখ লাখ টাকা ব্যায় করে সাঁটানো হরেক রকমের রঙ্গিন ডিজিটাল ভেনার, পোস্টার ও ফেস্টুন লাগিয়ে প্রচার প্রচারণা করেন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক এস এম জাহাঙ্গীর বলেন, তার নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে তারা উত্তরা তথা ঢাকা-১৮ আসনের সড়ক মহাসড়কে লাগানো সকল ভেনার ফেস্টুন খুলে ফেলা শুরু করেছে। তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে বিএনপির যুগ্ম-
আহ্বায়ক ও দপ্তরের দায়িত্বে থাকা এবিএম এ রাজ্জাক গত ৯/১১/২০২৪ ইং তারিখ ৩ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব বরাবর প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠান। উক্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তির আলোকে দলীয় নির্দেশনা পেয়ে আমরা ঢাকা মহানগর উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন উত্তরার সকল থানা,ওয়ার্ড ও ইউনিটের নেতাকর্মীদের নামে দেয়ালে লাগানো ও রাস্তায় ঝুলানো ভেনার ফেস্টুন সরিয়ে ফেলার কার্যক্রম শুরু করেছি। এ সময় সরেজমিনে দেখা যায় কোথাও কোথাও সড়কে বাঁশ কাঠের মই লাগিয়ে এস এম জাহাঙ্গীর নিজ হাতে রাস্তার বড় বড় পিলারে লাগানো পোস্টার ও দেয়ালে লাগানো ডিজিটালটাল ভেনার পোস্টার ছিঁড়ে নামাতেও দেখা যায়। এমন রিক্সি কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে
জাহাঙ্গীর বলেন, আমরা এখনো সবাই সচেতন হইতে পারিনি। অনেকে দলের এই নির্দেশণা না বুঝে আমলে নেন নি, তাই আমি নিজেই এ কাজে নেমে পড়েছি। এস এম জাহাঙ্গীর আরো বলেন, আমি দলের একজন নগণ্য কর্মী হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত সেবক হিসেবে কাজ করে আসছি। ভবিষ্যতেও এমন ভাবে কাজ করতে চাই। এছাড়াও দলীয় নির্দেশ পালন করতে গিয়ে সকল প্রকার ভয়ভীতির উর্ধ্বে থেকে কাজ করবো ইনশাআল্লাহ। জানা যায়, গত ৫ই আগষ্টের পর উত্তরার বিভিন্ন সড়ক মহাসড়ক ও সেক্টর এলাকা লাগানো বিএনপি নেতা কর্মীদের ছবিসহ এসব ভেনার ফেস্টুন সরাতে গিয়ে অধিকাংশই ছিঁড়ে যায়, এতে লাখ লাখ টাকা অপচয় হয়। অন্যদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক শিমুল আহমেদকেও
উত্তরার পাড়া মহল্লার সড়ক ও মহাসড়কের পিলার থেকে দলীয় ভেনার পোস্টার নামিয়ে ফেলার কার্যক্রম শুরু করতে দেখা যায়। এবিষয়ে শিমুল বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তে তারা উত্তরার দেয়ালে দেয়ালে লাগানো যুবলীগ নেতাকর্মীদের ভেনার ফেস্টুন খুলে ফেলা শুরু করেছেন। এ ছাড়াও তিনি আরো বলেন, ওনার নেতা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা পেয়ে তারা তাৎক্ষণিক কাজে নেমে পড়েছে। উত্তরখান থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য তোফাজ্জল হোসেন মিঠু বলেন, উত্তরখানে এখনো অনেক জায়গায় নেতাকর্মীদের পোস্টার লাগানো আছে। এসব অবৈধ পোস্টারের কারণে আমাদের এখানকার সড়কের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। এসময় তিনি বলেন, আমাদেরক সকলকে দলীয় নির্দেশ পালন করতে হবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে সকলকে নিজ দায়িত্বে পোস্টার
সরাতে হবে। এ বিষয়ে, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের আওতাধীন সকল থানা,ওয়ার্ড ও ইউনিট সমুহের অফিস, ফেস্টুন, ব্যানার, পোস্টার সহ সকল ধরনের বিলবোর্ড অপসারণ করার জন্য। মহানগরের নির্দেশ পেয়ে আমরা ইতিমধ্যে সড়কের ভেনার পোস্টার অপসারণের নির্দেশনা দিয়ে কাজ শুরু করেছি। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, রাজনৈতিক দলের ভেনার ফেস্টুন ও পোস্টার ছাড়াও বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও ইউনিভার্সিটির ভর্তির পোস্টার ও ভেনারে ছেঁয়ে গেছে ঢাকা-১৮ আসন উত্তরার দেয়াল। এছাড়াও রয়েছে ওয়াজ মাহফিল ও বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পোস্টার। জানা যায়, নিজের অবস্থান জানান দিতে এ সব প্রচার প্রচারণায় লাখ
লাখ টাকা ব্যায় করেন তারা। সরেজমিনে দেখা যায়, সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকায় এখানকার দলীয় অফিসের সামনে,মসজিদের প্রবেশ পথ,অটোস্ট্যান্ড, বাস স্টপেজ, হাট বাজারের চারপাশেসহ উত্তরার ফুটওভার ব্রিজ গুলোতে এলোপাতাড়ি নামে বেনামের অবৈধ ভেনার পোস্টারের কারণে নান্দনিক ফুটওভার ব্রিজ গুলোসহ শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। এ সময় উত্তরা ১৪ নং সেক্টর ৭ নং সেক্টর, ৪ নং সেক্টরের কয়েকটি বাড়ির মালিকের সাথে কথা বলে জানা যায়, পোস্টারের কারণে ছয়মাস পর পর দেয়ালে রং করতে হয় তাদের। এছাড়াও বিভিন্ন ভুঁইফোঁড় প্রতিষ্ঠান কথা বার্তা ছাড়াই রাতের আধাঁরে দেয়াল পোস্টার লাগিয়ে ভরে দেয়।জানা যায়, এখানকার বাসাবাড়ি, হাসপাতাল ও অফিস আদালতসহ বিভিন্ন ভবনের দায়িত্বরত সিকিউরিটি গার্ডের কথা ও মানে
না তারা। বাড়ির মালিকগণ দেয়াল সুন্দর ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে রং লাগিয়ে টাকা খরচ করেন, অন্যদিকে সেই দেয়ালে পোস্টার লাগিয়ে শহরের সৌন্দর্য নষ্ট করা হচ্ছে। সরজমিন ঘুরে আরো দেখা যায়, উত্তরা বিমানবন্দর মহাসড়ক, খিলখেত নিকুঞ্জ এলাকা,কাওলা আসকোনা, বিমানবন্দর চৌরাস্তা,উত্তরখান-দক্ষিণ খান, আব্দুল্লাহপুর, জমজম টাওয়ার, হাউজ বিল্ডিং মোড়,উত্তরা খালপাড়, দিয়াবাড়ী রানা ভোলা, তুরাগ বাউনিয়া দলিপাড়া, জসিমউদদীন রাজলক্ষি এলাকায় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের দলীয় নেতাকর্মীদের ঈদ শুভেচ্ছার পোস্টারে একাকার হয়ে আছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা এলাকায় না থাকলেও তাদের ছবি এখনো ছাত্র জনতাকে প্রীড়া দেয়। জানা যায়, গত কয়েক বছরে ইচ্ছা মতো পোস্টার লাগানো হয়েছে মানুষের বাসা-বাড়ি ও অফিস আদালতের দেয়ালে। এর মধ্যে তান্ত্রিক কবিরাজদের লিফলেট-পোস্টারসহ সিনেমার অশ্লীল পোস্টারও লাগানো রয়েছে। স্থানীয়রা জানান,দেয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১২ প্রণয়নের ১০ বছর পরও তা এখনো প্রয়োগ হচ্ছে না। উত্তরার এক ব্যাবসায়ী নেতা বলেন, সেক্টর এলাকায় পোস্টারে ছয়লাব। দেয়াল দস্যুদের কবলে চলে গেছে উত্তরা। আমরা মানা করলেও তারা শুনতে রাজি নয়। গভীর রাতে বাসা বাড়িতে রং-বে-রঙের ফেস্টুন, ভেনার ও পোস্টার লাগায় তারা। তিনি আরো বলেন,কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া দেয়ালে যেকোনো ধরনের পোস্টার লাগানো অপরাধ জানা যায়, রাজধানীর উত্তরাজুড়ে প্রতিনিয়ত ঈদ শুভেচ্ছা, ওয়াজ মাহফিল ও রাজনৈতিক সংগঠনের নির্বাচন,কর্মী সম্মেলন, রাজনৈতিক সভা সমাবেশ, প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে কেন্দ্রকরে পোস্টার সাঁটায় তারা। এ সময় আরো দেখা যায়, এক গ্রুপ ভোরে পেস্টার লাগায়, দেখা যায় অন্য গ্রুপের লোক এসো সেই পোস্টারের উপর আরকটি মারে। যখন যার প্রয়োজন একটার ওপর আরেকটা পোস্টার লাগাতই থাকে। এসব দেয়ালের কেউ না কেউ মালিক আছে সে দিকে তাদের কোনো খেয়ালই নেই। ব্যবসায়ী সাইমন নামে একজন বলেন, স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে রাস্তায় হাঁটতে গেলে লজ্জা লাগে। অশ্লীল পোস্টারে ছেঁয়ে গেছে দেয়াল।আমাদের দেশের ছেলে মেয়েদের জন্য এসব পোস্টার খুব ক্ষতিকারক। এসব পোস্টার দেখার পর উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণীদের মন-মানসিকতা অন্য দিকে মোড় নেয়। এর ফলে তারা বিপদগামী হয়ে উঠে। মোঃ হানিফ বলেন,নাটক ও বাংলা সিনেমার পাশাপাশি ইংরেজি সিনেমা প্রচারের জন্য অশ্লীল ছবি দিয়ে পোস্টার তৈরি করে। এই সব অশ্লীল ছবির পোস্টার রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজসহ সড়কের দেয়ালে দেয়ালে লাগানো হয়েছে। এমনভাবে পোস্টার লাগানো হয় যা চোখে পড়ার মতোই। আমি মনে করি এসব পোস্টার দেখে উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণীরা চরমভাবে প্রভাবিত হয়। শ্রমিক নেতা জহুরুল বলেন,উত্তরার সড়ক মহাসড়ক ও পাড়া-মহল্লার রাস্তা ঘাট কবিরাজ তান্ত্রিক পোস্টার দেয়ালে দেয়ালে লাগিয়ে শহরের সৌন্দর্য নষ্ট করে দিয়েছে। বর্তমানে রাজধানীর প্রায় বেশীর ভাগ বাড়ির দেয়াল ভরে গেছে এসব পোস্টারে। খোঁজ খবর নিয়ে দেখা যায়, উন্নত দেশ গুলোতে সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি নিয়ে পোস্টার লাগাতে হয়। তাও আবার নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্ধারিত স্থানে অর্থের বিনিময়ে পোস্টার লাগাতে হয় এবং নির্ধারিত সময় শেষ হলেই সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে পোস্টার সরিয়ে নেয়া হয়।
আহ্বায়ক ও দপ্তরের দায়িত্বে থাকা এবিএম এ রাজ্জাক গত ৯/১১/২০২৪ ইং তারিখ ৩ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব বরাবর প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠান। উক্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তির আলোকে দলীয় নির্দেশনা পেয়ে আমরা ঢাকা মহানগর উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন উত্তরার সকল থানা,ওয়ার্ড ও ইউনিটের নেতাকর্মীদের নামে দেয়ালে লাগানো ও রাস্তায় ঝুলানো ভেনার ফেস্টুন সরিয়ে ফেলার কার্যক্রম শুরু করেছি। এ সময় সরেজমিনে দেখা যায় কোথাও কোথাও সড়কে বাঁশ কাঠের মই লাগিয়ে এস এম জাহাঙ্গীর নিজ হাতে রাস্তার বড় বড় পিলারে লাগানো পোস্টার ও দেয়ালে লাগানো ডিজিটালটাল ভেনার পোস্টার ছিঁড়ে নামাতেও দেখা যায়। এমন রিক্সি কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে
জাহাঙ্গীর বলেন, আমরা এখনো সবাই সচেতন হইতে পারিনি। অনেকে দলের এই নির্দেশণা না বুঝে আমলে নেন নি, তাই আমি নিজেই এ কাজে নেমে পড়েছি। এস এম জাহাঙ্গীর আরো বলেন, আমি দলের একজন নগণ্য কর্মী হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত সেবক হিসেবে কাজ করে আসছি। ভবিষ্যতেও এমন ভাবে কাজ করতে চাই। এছাড়াও দলীয় নির্দেশ পালন করতে গিয়ে সকল প্রকার ভয়ভীতির উর্ধ্বে থেকে কাজ করবো ইনশাআল্লাহ। জানা যায়, গত ৫ই আগষ্টের পর উত্তরার বিভিন্ন সড়ক মহাসড়ক ও সেক্টর এলাকা লাগানো বিএনপি নেতা কর্মীদের ছবিসহ এসব ভেনার ফেস্টুন সরাতে গিয়ে অধিকাংশই ছিঁড়ে যায়, এতে লাখ লাখ টাকা অপচয় হয়। অন্যদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক শিমুল আহমেদকেও
উত্তরার পাড়া মহল্লার সড়ক ও মহাসড়কের পিলার থেকে দলীয় ভেনার পোস্টার নামিয়ে ফেলার কার্যক্রম শুরু করতে দেখা যায়। এবিষয়ে শিমুল বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তে তারা উত্তরার দেয়ালে দেয়ালে লাগানো যুবলীগ নেতাকর্মীদের ভেনার ফেস্টুন খুলে ফেলা শুরু করেছেন। এ ছাড়াও তিনি আরো বলেন, ওনার নেতা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা পেয়ে তারা তাৎক্ষণিক কাজে নেমে পড়েছে। উত্তরখান থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য তোফাজ্জল হোসেন মিঠু বলেন, উত্তরখানে এখনো অনেক জায়গায় নেতাকর্মীদের পোস্টার লাগানো আছে। এসব অবৈধ পোস্টারের কারণে আমাদের এখানকার সড়কের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। এসময় তিনি বলেন, আমাদেরক সকলকে দলীয় নির্দেশ পালন করতে হবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে সকলকে নিজ দায়িত্বে পোস্টার
সরাতে হবে। এ বিষয়ে, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের আওতাধীন সকল থানা,ওয়ার্ড ও ইউনিট সমুহের অফিস, ফেস্টুন, ব্যানার, পোস্টার সহ সকল ধরনের বিলবোর্ড অপসারণ করার জন্য। মহানগরের নির্দেশ পেয়ে আমরা ইতিমধ্যে সড়কের ভেনার পোস্টার অপসারণের নির্দেশনা দিয়ে কাজ শুরু করেছি। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, রাজনৈতিক দলের ভেনার ফেস্টুন ও পোস্টার ছাড়াও বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও ইউনিভার্সিটির ভর্তির পোস্টার ও ভেনারে ছেঁয়ে গেছে ঢাকা-১৮ আসন উত্তরার দেয়াল। এছাড়াও রয়েছে ওয়াজ মাহফিল ও বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পোস্টার। জানা যায়, নিজের অবস্থান জানান দিতে এ সব প্রচার প্রচারণায় লাখ
লাখ টাকা ব্যায় করেন তারা। সরেজমিনে দেখা যায়, সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকায় এখানকার দলীয় অফিসের সামনে,মসজিদের প্রবেশ পথ,অটোস্ট্যান্ড, বাস স্টপেজ, হাট বাজারের চারপাশেসহ উত্তরার ফুটওভার ব্রিজ গুলোতে এলোপাতাড়ি নামে বেনামের অবৈধ ভেনার পোস্টারের কারণে নান্দনিক ফুটওভার ব্রিজ গুলোসহ শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। এ সময় উত্তরা ১৪ নং সেক্টর ৭ নং সেক্টর, ৪ নং সেক্টরের কয়েকটি বাড়ির মালিকের সাথে কথা বলে জানা যায়, পোস্টারের কারণে ছয়মাস পর পর দেয়ালে রং করতে হয় তাদের। এছাড়াও বিভিন্ন ভুঁইফোঁড় প্রতিষ্ঠান কথা বার্তা ছাড়াই রাতের আধাঁরে দেয়াল পোস্টার লাগিয়ে ভরে দেয়।জানা যায়, এখানকার বাসাবাড়ি, হাসপাতাল ও অফিস আদালতসহ বিভিন্ন ভবনের দায়িত্বরত সিকিউরিটি গার্ডের কথা ও মানে
না তারা। বাড়ির মালিকগণ দেয়াল সুন্দর ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে রং লাগিয়ে টাকা খরচ করেন, অন্যদিকে সেই দেয়ালে পোস্টার লাগিয়ে শহরের সৌন্দর্য নষ্ট করা হচ্ছে। সরজমিন ঘুরে আরো দেখা যায়, উত্তরা বিমানবন্দর মহাসড়ক, খিলখেত নিকুঞ্জ এলাকা,কাওলা আসকোনা, বিমানবন্দর চৌরাস্তা,উত্তরখান-দক্ষিণ খান, আব্দুল্লাহপুর, জমজম টাওয়ার, হাউজ বিল্ডিং মোড়,উত্তরা খালপাড়, দিয়াবাড়ী রানা ভোলা, তুরাগ বাউনিয়া দলিপাড়া, জসিমউদদীন রাজলক্ষি এলাকায় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের দলীয় নেতাকর্মীদের ঈদ শুভেচ্ছার পোস্টারে একাকার হয়ে আছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা এলাকায় না থাকলেও তাদের ছবি এখনো ছাত্র জনতাকে প্রীড়া দেয়। জানা যায়, গত কয়েক বছরে ইচ্ছা মতো পোস্টার লাগানো হয়েছে মানুষের বাসা-বাড়ি ও অফিস আদালতের দেয়ালে। এর মধ্যে তান্ত্রিক কবিরাজদের লিফলেট-পোস্টারসহ সিনেমার অশ্লীল পোস্টারও লাগানো রয়েছে। স্থানীয়রা জানান,দেয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১২ প্রণয়নের ১০ বছর পরও তা এখনো প্রয়োগ হচ্ছে না। উত্তরার এক ব্যাবসায়ী নেতা বলেন, সেক্টর এলাকায় পোস্টারে ছয়লাব। দেয়াল দস্যুদের কবলে চলে গেছে উত্তরা। আমরা মানা করলেও তারা শুনতে রাজি নয়। গভীর রাতে বাসা বাড়িতে রং-বে-রঙের ফেস্টুন, ভেনার ও পোস্টার লাগায় তারা। তিনি আরো বলেন,কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া দেয়ালে যেকোনো ধরনের পোস্টার লাগানো অপরাধ জানা যায়, রাজধানীর উত্তরাজুড়ে প্রতিনিয়ত ঈদ শুভেচ্ছা, ওয়াজ মাহফিল ও রাজনৈতিক সংগঠনের নির্বাচন,কর্মী সম্মেলন, রাজনৈতিক সভা সমাবেশ, প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে কেন্দ্রকরে পোস্টার সাঁটায় তারা। এ সময় আরো দেখা যায়, এক গ্রুপ ভোরে পেস্টার লাগায়, দেখা যায় অন্য গ্রুপের লোক এসো সেই পোস্টারের উপর আরকটি মারে। যখন যার প্রয়োজন একটার ওপর আরেকটা পোস্টার লাগাতই থাকে। এসব দেয়ালের কেউ না কেউ মালিক আছে সে দিকে তাদের কোনো খেয়ালই নেই। ব্যবসায়ী সাইমন নামে একজন বলেন, স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে রাস্তায় হাঁটতে গেলে লজ্জা লাগে। অশ্লীল পোস্টারে ছেঁয়ে গেছে দেয়াল।আমাদের দেশের ছেলে মেয়েদের জন্য এসব পোস্টার খুব ক্ষতিকারক। এসব পোস্টার দেখার পর উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণীদের মন-মানসিকতা অন্য দিকে মোড় নেয়। এর ফলে তারা বিপদগামী হয়ে উঠে। মোঃ হানিফ বলেন,নাটক ও বাংলা সিনেমার পাশাপাশি ইংরেজি সিনেমা প্রচারের জন্য অশ্লীল ছবি দিয়ে পোস্টার তৈরি করে। এই সব অশ্লীল ছবির পোস্টার রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজসহ সড়কের দেয়ালে দেয়ালে লাগানো হয়েছে। এমনভাবে পোস্টার লাগানো হয় যা চোখে পড়ার মতোই। আমি মনে করি এসব পোস্টার দেখে উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণীরা চরমভাবে প্রভাবিত হয়। শ্রমিক নেতা জহুরুল বলেন,উত্তরার সড়ক মহাসড়ক ও পাড়া-মহল্লার রাস্তা ঘাট কবিরাজ তান্ত্রিক পোস্টার দেয়ালে দেয়ালে লাগিয়ে শহরের সৌন্দর্য নষ্ট করে দিয়েছে। বর্তমানে রাজধানীর প্রায় বেশীর ভাগ বাড়ির দেয়াল ভরে গেছে এসব পোস্টারে। খোঁজ খবর নিয়ে দেখা যায়, উন্নত দেশ গুলোতে সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি নিয়ে পোস্টার লাগাতে হয়। তাও আবার নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্ধারিত স্থানে অর্থের বিনিময়ে পোস্টার লাগাতে হয় এবং নির্ধারিত সময় শেষ হলেই সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে পোস্টার সরিয়ে নেয়া হয়।