
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

এস আলমের আরও ২৬১৯ কোটি টাকা অবরুদ্ধের আদেশ

বেনজীরকে ঢাকা বোট ক্লাব থেকে বহিষ্কার

কেবল সৌদি দূতের সঙ্গে আমার সম্পর্ক, আর কারো সঙ্গে না: মেঘনা আলম

চার সংকটে কমছে বাজেট বাস্তবায়ন

হিন্দু বোর্ডে মুসলিম নেই, ওয়াকফ বোর্ডে হিন্দু কেন?

ঢাকায় বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক আজ

কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করে বরখাস্ত হলেন বিজিএফসিএলের ৪ কর্মচারী
ইসরাইলে যাওয়া সেই তিন মৌলভীর গ্রেফতার দাবি

ফিলিস্তিনের গাজায় প্রায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে ধারাবাহিকভাবে বর্বরোচিত গণহত্যা চালিয়ে আসছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। এতে অন্তত নারী শিশুসহ ৬২ হাজার সাতশর মতো ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখের বেশি।
ইসরাইলি হামলার শুরু থেকেই তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করে আসছেন বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। ফিলিস্তিনিদের ওপর দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদে গত সোমবার বৈশ্বিক ধর্মঘট কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানায় বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠন সংহতি প্রকাশের অংশ হিসেবে কর্মবিরতি পালন করেন। গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর অব্যাহত গণহত্যা এবং চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারও।
তবে সম্প্রতি বাংলাদেশের
তিনজন সুন্নি মৌলভি ইসরাইলে গেছেন। গত মঙ্গলবার মুফতি আলাউদ্দিন জিহাদী নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে আল-আকসা মসজিদের সামনে দাঁড়ানো তিনজনের একটি গ্রুপছবি পোস্ট করা হয়। ক্যাপশনে বলা হয়, ‘আল-আকসা মসজিদ সম্পূর্ণ নিরাপদ আছে। আশপাশে কয়েকশো কিলোমিটার কোনো হামলার চিহ্ন নেই। যুদ্ধ মূলত গাজা ও রাফা এলাকায় চলছে।’ এই তিনজনের মধ্যে দুজনের পরিচয় জানা গেছে, তারা হলেন- হাসান উদ্দিন নকস বন্দী, মুফতি আলাউদ্দিন জিহাদী। আরেকজনের পরিচয় জানা যায়নি। গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে সারা বিশ্ব যখন উত্তাল তখন হাসিমুখে আল আকসার সামনে ছবি তোলা এবং ইসরাইলি বাহিনীর পক্ষে কথা বলায় এই মৌলভিদের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। যেখানে গাজা ও পশ্চিম তীরবর্তী
অঞ্চলের (হামাস নিয়ন্ত্রিত) ৮০ শতাংশ ফিলিস্তিনি মসজিদ আল-আকসায় যেতে না পারলেও এই তিনজন কিভাবে গেলেন?- এ নিয়ে নানা প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশে আসার পর তাদের তিনজনকে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে সরকারের কাছে। এ প্রসঙ্গে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের আহ্বায়ক খোমেনী ইহসান ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘যে তিনজন সুন্নি মৌলভি ইসরাইল গেছে বাংলাদেশে ফেরার পর তাদেরকে গ্রেফতার করতে হবে। এ বিষয়ে সরকারকে এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে৷ বিমানবন্দরেই ওদের ধরতে হবে।’ মাকামে মাহমুদ নামের একজন লিখেছেন, ‘এরা দেশে এলেই এদেরকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে এবং সামাজিকভাবে বয়কটের জোর আওয়াজ তুলতে হবে।’ মোজাম্মেল হোসাইন ত্বহা বলেন, ৯৯% গাজাবাসী তাদের জীবনে কোনোদিন আল-আকসা মসজিদে
যেতে পারেনি। শেখ আহমেদ ইয়াসিন, ইসমাইল হানিয়ারা শহিদ হয়ে গেছেন, খালেদ মিশালরা এক জীবন নির্বাসনে কাটিয়ে দিয়েছেন, কিন্তু আকসায় যেতে পারেননি। ইভেন মাহমুদ আব্বাসকেও রেয়ার ওকেশন ছাড়া আকসায় যেতে দেওয়া হয় না। পশ্চিম তীরের সাধারণ অধিবাসীদের ওপরেও বছরের অধিকাংশ সময় নিষেধাজ্ঞা থাকে- ২৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সিরা আকসায় প্রবেশ করতে পারবে না। কিন্তু বাংলাদেশি (এবং অন্যান্য মুসলিম কান্ট্রি) থেকে কেউ আকসায় যেতে চাইলে খুব সহজেই যেতে পারে। তেলআবিব দিয়েই যেতে পারে। দেশে ফিরে যেন ঝামেলায় পড়তে না হয়, সেজন্য তারা ইভেন পাসপোর্টেও ভিসা দেয় না। আলাদা একটা কাগজে দেয়। তিনি আরও লেখেন, আমার আগের পোস্টেই একজনে কমেন্ট করেছে, এই হুজুরদের একজন
তার প্রতিবেশী। সে তাকে বলেছে, ইসরাইল হয়ে আকসায় যাওয়া খুবই সহজ। কেউ চাইলেই সে ব্যবস্থা করে দিতে পারবে। তার বক্তব্য অনুযায়ী, এসব ব্যাপারে ‘ইসরাইলি সৈন্যরা খুবই হেল্পফুল’। কারণটা কি আপনি বুঝতে পারছেন? না বুঝলে বুঝিয়ে বলি। ইসরাইলের সঙ্গে অধিকাংশ মুসলিম দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক নাই। কিন্তু সেসব মুসলিম রাষ্ট্রের জনগণ যদি সহজেই ইসরাইলে ‘ট্যুর’ দিতে পারে, দখলকৃত হিস্টরিক আব্রাহামিক সাইটগুলোতে ‘ভিজিট’ করতে পারে, আকসা মসজিদে একবেলা ‘প্রে’ করতে পারে, তাহলে ইসরাইলের অনেকগুলো লাভ। যেমন- ট্যুরিজম থেকে অর্থ উপার্জন। পিআর ক্যাম্পেইন। এই হুজুরদের মতোই দেশে ফিরে গিয়ে তাদের অনেকেই বলবে- ‘আল-আকসা সম্পূর্ণ নিরাপদ। কোথাও কোনো গণ্ডগোল নাই। ইসরাইলি সৈন্যরা খুবই হেল্পফুল। নরমালাইজেশন।
এই ট্যুরিস্টরা যখন দেশে ফিরে গিয়ে ইসরাইলি বিভিন্ন সাইটের ছবি, ইসরাইলি সৈন্যদের পাশে দাঁড়ানো ছবি পোস্ট করবে, তখন সেগুলো দেখতে দেখতে মানুষের মধ্যে গণহত্যাকারী অবৈধ রাষ্ট্রটাকেও আর দশটা ট্যুরিস্ট স্পটের মতো স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করার মানসিকতা তৈরি হবে। এখন যেরকম অনেকে লজিক দিচ্ছে, ট্যুরে গেলে সমস্যা কোথায়, দুই দিন পর পালটা ইসরাইলি নাগরিকরাও যখন ট্যুরিস্ট হিসেবে দেশে আসবে, তখনো সেটাকেও ডিফেন্ড করার মতো একদল লোক তৈরি হয়ে যাবে। আজ থেকে পাঁচ-দশ-পনের বছর পর কোনো সেক্যুলার শাসক যখন ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক নরমালাইজ করবে, তখন মনে রাখবেন, এর প্রথম বীজ বপন করেছিল এই ধরনের ‘হুজুররা’। ’ আরিফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি লিখেছেন, জনতা ফিলিস্তিনের
মানচিত্র সম্পর্কে নূন্যতম ধারণা রাখে না। ওরা জানেই না যে, ফিলিস্তিনকে ২ ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। মাঝখানে অবৈধ দখলদার ইসরাইল অবস্থিত। জর্ডান সীমান্তের পাশে অবস্থিত রামাল্লাহ, পূর্ব জেরুজালেম (ইসরাইল নিয়ন্ত্রিত) যেখানে মসজিদুল আকসা অবস্থিত। এখানে কোনো যুদ্ধ ও বোমা হামলা হচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, মিশর সীমান্তের পাশে অবস্থিত গাজা ও পশ্চিম তীরবর্তী অঞ্চলের (হামাস নিয়ন্ত্রিত) ৮০% লোক জীবনেও মসজিদ আল-আকসায় যেতে পারেনি। উল্লেখ্য ফিলিস্তিনে কোনো এয়ারপোর্ট নেই। ইসরাইল সরকারের অনুমোদন ছাড়া কেউ ফিলিস্তিন ভ্রমণ করতে পারে না। ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক সানাউল হক সানি বলেন, বলেন, ‘এই তিন ভদ্রলোক ইসরাইলের ভিসা লাগিয়ে ইসরাইল গেছে। ঘুরেফিরে পিকনিক করে বেড়িয়েছে। মিশরের পিরামিড, নানা ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণ করেছেন। সর্বশেষ ডোম অব রকের সামনে দাঁড়িয়ে পোস্ট দিয়ে বলেছে, আল আকসা অক্ষত আছে। ৫০০ কিলোমিটারের মধ্যেও নাকি কোনো সংঘাত নাই। অথচ যুদ্ধ হচ্ছে গাজায়। যুদ্ধ না ঠিক, হত্যাযজ্ঞ। পশ্চিম তীরে আপাতত ঝামেলা নাই। আল আকসায় নতুন করে কোনো হামলা হয় নাই এটা পুরোনো খবর। এই ভদ্রলোকেরা নাকি ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণকে সহায়তা করতে গেছেন! টাকাও তুলেছেন মানুষের থেকে। আর সেই সংবাদে মানুষ ধুমায়া লাভ রিয়েক্ট দিচ্ছে। গাজার গণহত্যাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে কোনো বিশেষ গোষ্ঠী দ্বারা প্ররোচিত হয়ে এই ‘ডেভিলরা’ এজেন্ডা নিয়ে নেমেছে হয়তো। ফিলিস্তিনে হামলা নাই, তাই চুপচাপ থাকেন। এজেন্ডা না থাকলে এমন অস্বাভাবিক সময়ে স্বাভাবিকভাবে প্রবেশের সুযোগ পাওয়ার কারণ কি? আর ছবি আল আকসার সামনে না তুলে ডোম অব রকের সামনে কেন? খোদা মানুষের বুদ্ধি বাড়ায় দিক! আর যাদের বুদ্ধি না বাড়বে তাদের যেন শহিদ হিসেবে কবুল করে নেয়।’
তিনজন সুন্নি মৌলভি ইসরাইলে গেছেন। গত মঙ্গলবার মুফতি আলাউদ্দিন জিহাদী নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে আল-আকসা মসজিদের সামনে দাঁড়ানো তিনজনের একটি গ্রুপছবি পোস্ট করা হয়। ক্যাপশনে বলা হয়, ‘আল-আকসা মসজিদ সম্পূর্ণ নিরাপদ আছে। আশপাশে কয়েকশো কিলোমিটার কোনো হামলার চিহ্ন নেই। যুদ্ধ মূলত গাজা ও রাফা এলাকায় চলছে।’ এই তিনজনের মধ্যে দুজনের পরিচয় জানা গেছে, তারা হলেন- হাসান উদ্দিন নকস বন্দী, মুফতি আলাউদ্দিন জিহাদী। আরেকজনের পরিচয় জানা যায়নি। গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে সারা বিশ্ব যখন উত্তাল তখন হাসিমুখে আল আকসার সামনে ছবি তোলা এবং ইসরাইলি বাহিনীর পক্ষে কথা বলায় এই মৌলভিদের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। যেখানে গাজা ও পশ্চিম তীরবর্তী
অঞ্চলের (হামাস নিয়ন্ত্রিত) ৮০ শতাংশ ফিলিস্তিনি মসজিদ আল-আকসায় যেতে না পারলেও এই তিনজন কিভাবে গেলেন?- এ নিয়ে নানা প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশে আসার পর তাদের তিনজনকে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে সরকারের কাছে। এ প্রসঙ্গে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের আহ্বায়ক খোমেনী ইহসান ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘যে তিনজন সুন্নি মৌলভি ইসরাইল গেছে বাংলাদেশে ফেরার পর তাদেরকে গ্রেফতার করতে হবে। এ বিষয়ে সরকারকে এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে৷ বিমানবন্দরেই ওদের ধরতে হবে।’ মাকামে মাহমুদ নামের একজন লিখেছেন, ‘এরা দেশে এলেই এদেরকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে এবং সামাজিকভাবে বয়কটের জোর আওয়াজ তুলতে হবে।’ মোজাম্মেল হোসাইন ত্বহা বলেন, ৯৯% গাজাবাসী তাদের জীবনে কোনোদিন আল-আকসা মসজিদে
যেতে পারেনি। শেখ আহমেদ ইয়াসিন, ইসমাইল হানিয়ারা শহিদ হয়ে গেছেন, খালেদ মিশালরা এক জীবন নির্বাসনে কাটিয়ে দিয়েছেন, কিন্তু আকসায় যেতে পারেননি। ইভেন মাহমুদ আব্বাসকেও রেয়ার ওকেশন ছাড়া আকসায় যেতে দেওয়া হয় না। পশ্চিম তীরের সাধারণ অধিবাসীদের ওপরেও বছরের অধিকাংশ সময় নিষেধাজ্ঞা থাকে- ২৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সিরা আকসায় প্রবেশ করতে পারবে না। কিন্তু বাংলাদেশি (এবং অন্যান্য মুসলিম কান্ট্রি) থেকে কেউ আকসায় যেতে চাইলে খুব সহজেই যেতে পারে। তেলআবিব দিয়েই যেতে পারে। দেশে ফিরে যেন ঝামেলায় পড়তে না হয়, সেজন্য তারা ইভেন পাসপোর্টেও ভিসা দেয় না। আলাদা একটা কাগজে দেয়। তিনি আরও লেখেন, আমার আগের পোস্টেই একজনে কমেন্ট করেছে, এই হুজুরদের একজন
তার প্রতিবেশী। সে তাকে বলেছে, ইসরাইল হয়ে আকসায় যাওয়া খুবই সহজ। কেউ চাইলেই সে ব্যবস্থা করে দিতে পারবে। তার বক্তব্য অনুযায়ী, এসব ব্যাপারে ‘ইসরাইলি সৈন্যরা খুবই হেল্পফুল’। কারণটা কি আপনি বুঝতে পারছেন? না বুঝলে বুঝিয়ে বলি। ইসরাইলের সঙ্গে অধিকাংশ মুসলিম দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক নাই। কিন্তু সেসব মুসলিম রাষ্ট্রের জনগণ যদি সহজেই ইসরাইলে ‘ট্যুর’ দিতে পারে, দখলকৃত হিস্টরিক আব্রাহামিক সাইটগুলোতে ‘ভিজিট’ করতে পারে, আকসা মসজিদে একবেলা ‘প্রে’ করতে পারে, তাহলে ইসরাইলের অনেকগুলো লাভ। যেমন- ট্যুরিজম থেকে অর্থ উপার্জন। পিআর ক্যাম্পেইন। এই হুজুরদের মতোই দেশে ফিরে গিয়ে তাদের অনেকেই বলবে- ‘আল-আকসা সম্পূর্ণ নিরাপদ। কোথাও কোনো গণ্ডগোল নাই। ইসরাইলি সৈন্যরা খুবই হেল্পফুল। নরমালাইজেশন।
এই ট্যুরিস্টরা যখন দেশে ফিরে গিয়ে ইসরাইলি বিভিন্ন সাইটের ছবি, ইসরাইলি সৈন্যদের পাশে দাঁড়ানো ছবি পোস্ট করবে, তখন সেগুলো দেখতে দেখতে মানুষের মধ্যে গণহত্যাকারী অবৈধ রাষ্ট্রটাকেও আর দশটা ট্যুরিস্ট স্পটের মতো স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করার মানসিকতা তৈরি হবে। এখন যেরকম অনেকে লজিক দিচ্ছে, ট্যুরে গেলে সমস্যা কোথায়, দুই দিন পর পালটা ইসরাইলি নাগরিকরাও যখন ট্যুরিস্ট হিসেবে দেশে আসবে, তখনো সেটাকেও ডিফেন্ড করার মতো একদল লোক তৈরি হয়ে যাবে। আজ থেকে পাঁচ-দশ-পনের বছর পর কোনো সেক্যুলার শাসক যখন ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক নরমালাইজ করবে, তখন মনে রাখবেন, এর প্রথম বীজ বপন করেছিল এই ধরনের ‘হুজুররা’। ’ আরিফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি লিখেছেন, জনতা ফিলিস্তিনের
মানচিত্র সম্পর্কে নূন্যতম ধারণা রাখে না। ওরা জানেই না যে, ফিলিস্তিনকে ২ ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। মাঝখানে অবৈধ দখলদার ইসরাইল অবস্থিত। জর্ডান সীমান্তের পাশে অবস্থিত রামাল্লাহ, পূর্ব জেরুজালেম (ইসরাইল নিয়ন্ত্রিত) যেখানে মসজিদুল আকসা অবস্থিত। এখানে কোনো যুদ্ধ ও বোমা হামলা হচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, মিশর সীমান্তের পাশে অবস্থিত গাজা ও পশ্চিম তীরবর্তী অঞ্চলের (হামাস নিয়ন্ত্রিত) ৮০% লোক জীবনেও মসজিদ আল-আকসায় যেতে পারেনি। উল্লেখ্য ফিলিস্তিনে কোনো এয়ারপোর্ট নেই। ইসরাইল সরকারের অনুমোদন ছাড়া কেউ ফিলিস্তিন ভ্রমণ করতে পারে না। ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক সানাউল হক সানি বলেন, বলেন, ‘এই তিন ভদ্রলোক ইসরাইলের ভিসা লাগিয়ে ইসরাইল গেছে। ঘুরেফিরে পিকনিক করে বেড়িয়েছে। মিশরের পিরামিড, নানা ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণ করেছেন। সর্বশেষ ডোম অব রকের সামনে দাঁড়িয়ে পোস্ট দিয়ে বলেছে, আল আকসা অক্ষত আছে। ৫০০ কিলোমিটারের মধ্যেও নাকি কোনো সংঘাত নাই। অথচ যুদ্ধ হচ্ছে গাজায়। যুদ্ধ না ঠিক, হত্যাযজ্ঞ। পশ্চিম তীরে আপাতত ঝামেলা নাই। আল আকসায় নতুন করে কোনো হামলা হয় নাই এটা পুরোনো খবর। এই ভদ্রলোকেরা নাকি ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণকে সহায়তা করতে গেছেন! টাকাও তুলেছেন মানুষের থেকে। আর সেই সংবাদে মানুষ ধুমায়া লাভ রিয়েক্ট দিচ্ছে। গাজার গণহত্যাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে কোনো বিশেষ গোষ্ঠী দ্বারা প্ররোচিত হয়ে এই ‘ডেভিলরা’ এজেন্ডা নিয়ে নেমেছে হয়তো। ফিলিস্তিনে হামলা নাই, তাই চুপচাপ থাকেন। এজেন্ডা না থাকলে এমন অস্বাভাবিক সময়ে স্বাভাবিকভাবে প্রবেশের সুযোগ পাওয়ার কারণ কি? আর ছবি আল আকসার সামনে না তুলে ডোম অব রকের সামনে কেন? খোদা মানুষের বুদ্ধি বাড়ায় দিক! আর যাদের বুদ্ধি না বাড়বে তাদের যেন শহিদ হিসেবে কবুল করে নেয়।’