ইন্টারনেটের ব্যবহার কম উৎপাদনশীল খাতে – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ১৪ এপ্রিল, ২০২৫
     ১০:০৫ পূর্বাহ্ণ

ইন্টারনেটের ব্যবহার কম উৎপাদনশীল খাতে

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৪ এপ্রিল, ২০২৫ | ১০:০৫ 123 ভিউ
জনসংখ্যার মাত্র ৯ শতাংশ কম্পিউটার ব্যবহার করে। মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী ৯০ দশমিক ২ শতাংশ। যদিও নিজস্ব ফোন রয়েছে ৬৫ দশমিক ১ শতাংশের। ইন্টারনেট ব্যবহার করে ৪৭ দশমিক ২ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ ও ব্যবহার জরিপ ২০২৪-২৫ এর দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক (অক্টোবর-ডিসেম্বর) প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, জরিপের তথ্য বলছে– দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বড় অংশ মোবাইল গ্রাহক। কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করে নগণ্য সংখ্যক। মূলত উৎপাদনশীল খাতে ইন্টারনেটের ব্যবহার কম। গত ৭ এপ্রিল এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, দেশের ২ হাজার ৫৬৮ এলাকার ৬১ হাজার ৬৩২টি পরিবারের ওপর জরিপ চালানো হয়। বিবিএস জানায়, তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে

পাঁচ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সীদের কাছ থেকে, শহর ও গ্রামের পারিবারিক পরিবেশ বিবেচনায় রেখে। এ তথ্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় সরবরাহ করা হবে। জনসংখ্যার অর্ধেকের কম ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বিবিএসের তথ্য বলছে, দেশে ব্যক্তি পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৪৭ দশমিক ২ শতাংশ। গ্রামে ইন্টারনেটের ব্যবহার শহরের প্রায় অর্ধেক, ৩৭ দশমিক ৮ শতাংশ। বিপরীতে শহরে ৬৮ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। জরিপ অনুসারে, ৫২ দশমিক ৪ শতাংশ পরিবার ইন্টারনেট ব্যবহার করে। শহরের তুলনায় গ্রামের পরিবারগুলো অনেক পিছিয়ে। শহরের ৬১ দশমিক ৬ শতাংশ পরিবার ইন্টারনেট ব্যবহার করে; গ্রামে এ হার ৪৮ দশমিক ২। ২০২৩ সালে দেশে পরিবারপ্রতি ইন্টারনেট ব্যবহারের হার ছিল ৪৩ দশমিক ৬

শতাংশ। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সর্বশেষ তথ্যমতে, গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ১৩ কোটি ৭ লাখ। এর মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১১ কোটি ৬০ লাখ। বিবিএসের জরিপ হিসাবে নিলে এ সংখ্যা হয় প্রায় ৮ কোটি। এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিয়ে বিটিআরসির এক কর্মকর্তা বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর প্রায় ৮৮ দশমিক ৭৫ শতাংশই মোবাইল গ্রাহক। অধিকাংশ গ্রাহক একাধিক সিম ব্যবহার করেন। তাই মোবাইল গ্রাহক ধরে ইন্টারনেট ব্যবকারীর সংখ্যা বেশি হয়েছে। উৎপাদনশীল খাতে ইন্টারনেট ব্যবহার কম বিবিএস জরিপের তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশে ইন্টারনেটের অর্থবহ ব্যবহার কম। অধিকাংশ মানুষ শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জন্যই ইন্টারনেট ব্যবহার করে। জানতে চাইলে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির

বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেট অবকাঠামো যেভাবে ছড়িয়েছে, উৎপাদনশীল খাতে ব্যবহার সেভাবে হয়নি। অধিকাংশ মানুষ বিনোদনের জন্য মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। তিনি বলেন, পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দেশের ইন্টারনেট ট্রাফিকের ৭০ শতাংশ ব্যবহৃত হয় ইউটিউব, ফেসবুক রিলস ও টিকটকে। পল্লিতে কম্পিউটার ব্যবহার অতি নগণ্য বিবিএসের জরিপ অনুযায়ী, জনসংখ্যার মাত্র ৯ শতাংশ কম্পিউটার ব্যবহার করে। এ ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের মধ্যে বৈষম্য প্রকট। শহরের ২০ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ কম্পিউটার ব্যবহার করে; গ্রামে এ সংখ্যা মাত্র ৩ দশমিক ৮। কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের মধ্যে ডেস্কটপ ব্যবহার করে ২ দশমিক ৯ শতাংশ, ল্যাপটপ ৩ দশমিক ১ ও ট্যাব ব্যবহার করে ৩ দশমিক ১ শতাংশ। বেড়েছে টিভি-রেডিও ও স্মার্টফোনের ব্যবহার বিবিএসের

তথ্য বলছে, পরিবার পর্যায়ে টেলিভিশনের ব্যবহার বেড়েছে। এখন ৬৩ দশমিক ৬ শতাংশ পরিবারে টেলিভিশন রয়েছে, যা ২০২৩ সালে ছিল ৬২ দশমিক ২। জরিপে দেখা গেছে, মোবাইল ফোন ব্যবহার প্রায় সর্বজনীন হয়ে উঠেছে। ৯৮ দশমিক ৭ শতাংশ পরিবারের কাছে এখন মোবাইল ফোন রয়েছে, যা ২০২৩ সালে ছিল ৯৭ দশমিক ৯। স্মার্টফোন ব্যবহারে বড় পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে ৭২ দশমিক ৩ শতাংশ পরিবারে স্মার্টফোন রয়েছে, ২০২৩ সালে যা ছিল ৬৩ দশমিক ৩। শহর-গ্রাম উভয় এলাকাতেই ব্যবহার বেড়েছে। তবে শহর এগিয়ে। দ্বিতীয় প্রান্তিকের জরিপ বলছে, গ্রামের ৬৯ দশমিক ১ শতাংশ এবং শহরের ৭৯ দশমিক ২ শতাংশ পরিবারে স্মার্টফোন রয়েছে। গত অক্টোবরে প্রকাশিত গ্লোবাল সিস্টেম

ফর মোবাইল কমিউনিকেশনস অ্যাসোসিয়েশনের (জিএসএমএ) জরিপে বলা হয়, বাংলাদেশে শহরের ৪১ ও গ্রামের ২৬ শতাংশ মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করে। বিবিএস জরিপের তথ্যমতে, দেশে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ পরিবারে ল্যান্ডফোন রয়েছে, যা ২০২৩ সালের জরিপে ছিল শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। জরিপে পরিবারগুলোতে এখনও বেতারের ব্যবহার রয়েছে এবং এটি বাড়ছে। বর্তমানে ১৫ দশমিক ২ শতাংশ পরিবারে রেডিও রয়েছে, ২০২৩ সালে যা ছিল ১৪ দশমিক ৯।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
সঞ্চয় গেলো, স্বপ্ন গেলো, জীবন গেলো : ১৫ হাজার কোটি টাকার লুটপাট শেষে ৯ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা ইউনুস কর্তৃক Election Without Choice? Bangladesh Faces a Growing Political Crackdown তাজউদ্দিনকে লেখা ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর সেই ঐতিহাসিক চিঠির কপি ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি ভারতের, স্মরণে ও কৃতজ্ঞতায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিমের বিবৃতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার শোক বিজয় দিবসের আনন্দ ম্লান করতেই কি ‘মেটিকুলাস ডিজাইন’? বিশ্ব রাজনীতির জাদুকরী চাল: এশিয়ার রাজনৈতিক দাবার বোর্ডে ভারতই যখন ‘কিংমেকার’ বিশ্ব রাজনীতির জাদুকরী চাল: এশিয়ার রাজনৈতিক দাবার বোর্ডে ভারতই যখন ‘কিংমেকার’ ৬ ডিসেম্বর: কূটনৈতিক বিজয়ের মাহেন্দ্রক্ষণ—বিশ্ব মানচিত্রে ‘বাংলাদেশ’ নামের প্রতিষ্ঠা বরিশালের মুলাদীতে আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর নির্মিত সেতুটির নাম ‘৩৬ জুলাই সেতু’ রাখাকে কেন্দ্র করে হট্টগোলের জেরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। “ড. ইউনূস উন্নয়ন করেনাই, ক্ষতি ছাড়া কোন লাভ হয় নাই; কামাইয়ের প্রচুর ক্ষতি হইছে, সংসার চলতেছে না” — জনতার ক্ষোভ গণহত্যা ১৯৭১: হরিণাগোপাল-বাগবাটী ইউনূসের অদক্ষতায় রূপপুরে ব্যয় বেড়েছে ২৬ হাজার কোটি, জনগণের ঘাড়ে বিশাল বোঝা রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় শিক্ষার্থীদের সনদ বাতিল: ড. ইউনূসকে কঠোর বার্তা আন্তর্জাতিক সংগঠনের ক্ষমতার মোহ নয়, সাধারণ মানুষের হৃদয়েই থাকতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু: ড. কামাল হোসেন ৫ ডিসেম্বর ১৯৬৯: ‘পূর্ব পাকিস্তান’ নাম মুছে যেভাবে ‘বাংলাদেশ’ নাম দিলেন বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ইইউ পার্লামেন্ট সদস্যের সাথে ‘হ্যান্ড ইন হ্যান্ড ফাউন্ডেশন’-এর বৈঠক ‘বালের বিজয় দিবস’ মন্তব্যের জেরে ইলিয়াসকে ‘স্টুপিড’, ‘শুয়োরের বাচ্চা’, ‘বেজন্মা’ বললেন আম জনতা দলের তারেক ক্ষমতার মোহ নয়, সাধারণ মানুষের হৃদয়েই থাকতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু: ড. কামাল হোসেন শাসক বঙ্গবন্ধু: ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে এক রাষ্ট্রনির্মাতার উপাখ্যান