ইইউর ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ, কঠিন হবে আশ্রয় পাওয়া – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইইউর ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ, কঠিন হবে আশ্রয় পাওয়া

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২১ এপ্রিল, ২০২৫ | ৫:১৩ 127 ভিউ
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বুধবার (১৬ এপ্রিল) সাতটি দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে, যেগুলোকে তারা দ্রুত অভিবাসী প্রত্যাবাসনে ‘নিরাপদ দেশ’ হিসেবে মনে করছে। নতুন আশ্রয়নীতির মাধ্যমে এসব দেশের নাগরিকদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশে আশ্রয় প্রার্থনা (অ্যাসাইলাম) কঠিন করে তোলা হচ্ছে। ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, তারা কসোভো, বাংলাদেশ, কলম্বিয়া, মিসর, ভারত, মরক্কো ও তিউনিসিয়াকে ‘নিরাপদ দেশ’ হিসেবে মনোনীত করার প্রস্তাব করছে। ব্রাসেলস থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো এই পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করেছে। এর মাধ্যমে তালিকাভুক্ত দেশের নাগরিকদের আশ্রয় প্রার্থনার আবেদন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সরাসরি প্রত্যাখ্যান করা হতে পারে। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, এই পদক্ষেপ ইইউভুক্ত দেশের সরকারকে এই তালিকাভুক্ত দেশের নাগরিকদের কাছ থেকে আশ্রয় প্রার্থনার

আবেদনগুলো আরও দ্রুত প্রক্রিয়াকরণ হবে এমন ধারণা পোষণ করা হচ্ছে। তবে এই ধরনের দাবির কোনো ভিত্তি নেই। ইইউর অভিবাসন কমিশনার ম্যাগনাস ব্রুনার বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেক সদস্য রাষ্ট্রে আশ্রয় প্রার্থীদের আবেদনের অনেক জট লেগে আছে। তাই দ্রুত আশ্রয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আমরা এখন যেকোনো কিছু করতে পারি। গতকাল বুধবার কমিশন জানিয়েছে, ইইউর দেশগুলো নিরাপদ দেশ মনোনয়নে নীতিগতভাবে মানদণ্ড নির্ধারণ করবে। তবে এতে ব্যতিক্রমও থাকতে পারে। যদি এসব দেশ (তালিকাভুক্ত দেশ) কোনো সংঘাতের শিকার হয়, তা হলে ভিন্ন দৃষ্টান্ত হবে। তবে তা ইউক্রেনের মতো নয়। এর আগে ২০১৫ সালেও ইইউ একই ধরনের তালিকা উপস্থাপন করেছিল। তবে তুরস্ককে এতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি না, তা নিয়ে উত্তপ্ত

বিতর্কের কারণে পরিকল্পনাটি বাতিল করা হয়। কমিশন জানিয়েছে, বুধবার প্রকাশিত তালিকাটি সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সম্প্রসারিত বা পর্যালোচনা করা যেতে পারে। যেসব দেশ থেকে বর্তমানে বেশি সংখ্যক আশ্রয় প্রার্থনার আবেদন এসেছে, তা দেখে তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে। ইইউর বেশ কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্র ইতোমধ্যেই আশ্রয়ের বিষয়ে ‘নিরাপদ’ বলে মনে করা দেশগুলোকে মনোনীত করেছে। উদাহরণস্বরূপ ফ্রান্সের তালিকায় মঙ্গোলিয়া, সার্বিয়া ও কেপ ভার্দে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ইইউ প্রচেষ্টার লক্ষ্য হচ্ছে, নীতিগুলোকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা এবং সব সদস্য রাষ্ট্রের যে একই ভিত্তিরেখা রয়েছে, তা নিশ্চিত করা। ইইউর দেশগুলো নিজেদের মতো করে ‘নিরাপদ দেশ’ হিসেবে তালিকায় নতুন রাষ্ট্র যোগ করতে পারে, কিন্তু তা থেকে বাদ দিতে পারে না।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
কিমের প্রিয় কন্যাকে নিয়ে চীন সফর, কেন এত আলোচনা? বিশেষ কর সুবিধা চায় প্রশাসন ক্যাডার মালিবাগে সোহাগ পরিবহনের কাউন্টার ও মালিকের বাসায় হামলা-ভাঙচুর চট্টগ্রামে পাইকারি বাজারে কমেছে চালের দাম দুপুরের মধ্যে যেসব জেলায় হতে পারে ঝড়বৃষ্টি বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ ৪ সেপ্টেম্বর : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে ০৪ সেপ্টেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি এখনো নিয়োগ হয়নি সেই ৫৩৬ পুলিশের তিন ভাইয়ের ‘নিয়ন্ত্রণে’মোহাম্মদপুর-আদাবর এক হয়েছে পাঁচ গ্যাং ‘মব জাস্টিস’ প্রতিহত করতে কড়া বার্তা ৫১ বছর বয়সে রাকসুতে লড়ছেন মোর্শেদ আট বছর পর এক হলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২ বিভাগ ১৯৮৮ সালের পর ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত পাঞ্জাব, নিহত ৩০ ইলিয়ানার কাছে মাতৃত্বই এখন প্রাধান্য স্বর্ণের সর্বোচ্চ দামে ভাঙল সব রেকর্ড ‘রাজনীতি শুধু পুরুষের কাজ, এই ধারণা ভাঙতে চাই’ ডাকসু নির্বাচনে ছুটি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত রাশিয়া-চীনের বলয়ে ভারত, কী হতে যাচ্ছে বিশ্বে? ভারতকে আরও এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের পথে রাশিয়া