আসিফ নজরুল বিচারকদের নিয়ে ছাত্র-জনতার ক্ষোভ নিষ্পত্তির পথ খুলেছে – ইউ এস বাংলা নিউজ




আসিফ নজরুল বিচারকদের নিয়ে ছাত্র-জনতার ক্ষোভ নিষ্পত্তির পথ খুলেছে

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২১ অক্টোবর, ২০২৪ | ৫:০৫ 31 ভিউ
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, হাইকোর্টে কিছু বিচারক আছেন, তাদের ব্যাপারে সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রচুর অভিযোগ রয়েছে। তারা গত জুলাই গণবিপ্লবে পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তির নিপীড়ক যন্ত্রে পরিণত হয়েছিলেন। এ ছাড়া কারও কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে পত্রপত্রিকায় রিপোর্ট ছাপা হয়েছে। এ জন্য তাদের নিয়ে ছাত্র-জনতার অনেক ক্ষোভ রয়েছে। এসব ক্ষোভ সাংবিধানিকভাবে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার একটি পথ খুলে গেছে। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা বহাল রেখে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন নিষ্পত্তি করে রোববার আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এই রায়ের ফলে কোনো বিচারপতির বিরুদ্ধে অসমর্থতা ও পেশাগত অসদাচরণের কোনো অভিযোগ উঠলে সুপ্রিম জুডিশিয়াল

কাউন্সিলের মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ের পর সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। পরে মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তা জানানো হয়। অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পর্যালোচনার আবেদন নিষ্পত্তির মাধ্যমে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিত হয়েছে বা পুনরায় কার্যকর হয়েছে। এটি নিয়ে কিছুটা ‘কনফিউশন’ ছিল। আজকে আদালতের রায়ের মাধ্যমে তা দূর হয়েছে। অর্থাৎ সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল এখন সম্পূর্ণরূপে কার্যকর করা যাবে। আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘উচ্চ আদালত সম্পূর্ণ স্বাধীন। উচ্চ আদালত তাদের মতো করে ব্যবস্থা নেবেন। তবে আমরা মনে করি, এখন অন্তত ছাত্র-জনতা তাদের অভিযোগ যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করার জন্য একটা

উপযুক্ত ফোরাম পেল। আমরা এটাকে একটা ইতিবাচক অগ্রগতি দেখতে চাই।’ আসিফ নজরুল বলেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের বিষয়ে সংবিধানেই বলা আছে। প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম দুজন বিচারক মিলে এই কাউন্সিল গঠিত হয়। কেউ যদি আজই সেখানে কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন, তাহলে সেটির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল যখন বাতিল ছিল, তখন উচ্চ আদালতের বিচারকদের জবাবদিহি নিশ্চিত করার ফোরাম ছিল না। আবার জবাবদিহি নিশ্চিত করার ইচ্ছাও তৎকালীন উচ্চ আদালতের প্রশাসনের ছিল না। কারণ, তখন তাদের ফরমায়েশি রায় হয়েছিল। আপনারা জানেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কী রকম রায় হয়েছে! তারেক রহমানকে বাংলাদেশে কথাই বলতে দেওয়া হয়নি!

বাক্‌স্বাধীনতা রুদ্ধ করার মতো এমন রায়ও হয়েছে। এ ছাড়া বহু মানুষ তাদের মানবাধিকার রক্ষা করার সুযোগ পাননি। বিভিন্নভাবে নিপীড়নের শিকার হয়েছেন।’ অধ্যাপক আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘বর্তমানে যাঁরা কর্তৃপক্ষ রয়েছেন, আদালতের জবাবদিহি নিশ্চিত করার সদিচ্ছা তাদের আছে বলে আমি বিশ্বাস করি। এবার সেটা বাস্তবায়ন করার ফোরামও পুনরুজ্জীবিত হয়েছে। এটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছি।’

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
রাবিতে পোষ্য কোটা বিতর্কে মুখোমুখি দু’পক্ষ ৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়াদের নিয়ে যা জানালো মন্ত্রণালয় ইসরায়েলি সেনাদের মধ্যে আত্মহত্যা বেড়েছে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ : ইউক্রেন ও ইউরোপের নতুন বাস্তবতা চীনে বিশাল ছাড়ে আইফোন বিক্রির ঘোষণা রণবীরের ‘ধুরন্ধর’ ছবির লুক নিয়ে তোলপাড় ‘স্কুইড গেম ২’খ্যাত অভিনেতার আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস তিউনিসিয়ার উপকূলে নৌকাডুবি : ২৭ অভিবাসীর মৃত্যু, উদ্ধার ৮৩ জন এলপি ও অটোগ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ চলতি মাসে শৈত্যপ্রবাহ সহ বৃষ্টিপাত হতে পারে ; আবহাওয়া অফিস বিপিএল টিকিট কাউন্টারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ মেজর সিনহা হত্যার; দ্রুত মামলার শুনানি করতে অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে মায়ের আবেদন পুরুষ ভোটার বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ পবিত্র শব-ই-মিরাজ ২৭ জানুয়ারি ভারতের ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ নীতি ২০২৪ সালে কতটা কার্যকর ছিল? সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক ফিজের বাগড়ায় বিশ্ব রেকর্ড হলো না তাসকিনের ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণের দুই প্রস্তাব অনুমোদন অনুপ্রবেশ ঠেকাতে দিল্লিতে ফের চালু ‘বাংলাদেশ সেল’ আইএমএফের চাপে পণ্য ও সেবায় বাড়তি ভ্যাটের বোঝা