আসছে বৈদেশিক ঋণের ২০০ নতুন প্রকল্প

আগামী অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেটে যুক্ত করা হচ্ছে বৈদেশিক ঋণনির্ভর ২০০টি নতুন প্রকল্প। এর মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক উন্নয়ন, মেট্রোরেল লাইন-৫ এবং ইস্টার্ন রিফাইনারি সম্প্রসারণসহ একাধিক মেগা প্রকল্প। এসব বাস্তবায়নে প্রয়োজন হবে প্রায় ৭ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রায় ৪ লাখ কোটি টাকার বৈদেশিক অর্থ খোঁজার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ঋণের সম্ভাব্য উৎস হিসাবে ধরা হয়েছে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, আইডিবি, জাইকা, চীন, কোরিয়া, ডব্লিউএফপি, সুইজারল্যান্ড, ইউএনডিপি, ফ্রান্স, ইআইবি, এআইআইবি এবং রাশিয়াসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশকে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য দুই লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) সঙ্গে এই তালিকাও আজ রোববার উপস্থাপন করা হচ্ছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি)
বৈঠকে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের। এ প্রসঙ্গে সাবেক পরিকল্পনা সচিব মামুন-আল-রশীদ শনিবার বলেন, এই তালিকা থাকলে তিন ধরনের লাভ হয়ে থাকে। প্রথমত, উন্নয়ন সহযোগীরা দেখতে পারবে মোটা দাগের সরকারের অগ্রাধিকারগুলো কোথায় এবং তাদের মন্ত্রণালয়গুলো বলতে পারবে এসব প্রকল্প এডিপিতে যুক্ত করা আছে। সুতরাং তোমরা অর্থায়ন করতে পারো। দ্বিতীয়ত, তালিকাভুক্ত প্রকল্পগুলো আগে থেকেই যুক্ত থাকায় মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর প্রস্তুতি নিতে সহজ হবে। নতুন করে এডিপিতে যুক্ত করতে গিয়ে প্রক্রিয়াগত ঝামেলায় পড়তে হবে না। তৃতীয়ত, সরকারও একটি প্রক্ষেপণ করে রাখল। যাতে আগামীতে প্রকল্প নিতে সহজ হয়। তবে ভিন্ন কথা বলেছেন
বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, এ ধরনের তালিকা এডিপিতে রেখে কী লাভ হচ্ছে সেটি একটি বড় প্রশ্ন। কেননা প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রকল্পের যৌক্তিকতাই একমাত্র বিবেচ্য বিষয় হওয়া উচিত। এখানে বরং এডিপিতে অনুমোদনহীন প্রকল্প রাখলে ক্ষতি হতে পারে। কেননা মন্ত্রণালয়গুলো এক ধরনের ইশারা পায়। ভবিষ্যতে এসব প্রকল্প প্রয়োজন কম বা না হলেও অনুমোদনে চাপ দেওয়ার সুযোগ থাকে। এছাড়া বিভিন্ন সময় বিশ্বব্যাংক এডিপিতে অনুমোদনহীন ও বরাদ্দ ছাড়া অনুমোদিত প্রকল্প রাখার বিষয়ে প্রশ্ন তুলে আসছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার। বৈদেশিক ঋণপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে সবার আগে দেখা হয়, প্রকল্পটির অনুমোদন প্রক্রিয়া যথাযথভাবে এগিয়েছে কিনা এবং একনেকে অনুমোদনপ্রাপ্ত কিনা। এসব
তালিকা বিবেচনায় আসে না। নতুন এডিপির খসড়া পর্যালোচনা করে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের বৈদেশিক অর্থায়নের সুবিধার্থে অননুমোদিত নতুন প্রকল্পের তালিকায় প্রকল্প ছিল ২৫৭টি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্যাপক যাচাই বাছাইয়ের পর ৫৭টি প্রকল্প বাদ দেওয়া হয়েছে। আগামী অর্থবছরের এডিপিতে ২০০টির তালিকা যুক্ত করা হবে। এর মধ্যে সাধারণ সরকারি সেবা খাতে রয়েছে ১৫টি প্রকল্প। এছাড়া জনশৃঙ্খলা ও সুরক্ষা খাতে আটটি, শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবায় ১০টি, কৃষি খাতে ১৩টি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে ৩৭টি, পরিবহণ ও যোগাযোগে ৩৭টি, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নে ১২টি এবং গৃহায়ন ও কমিউনিটি সুবিধাবলি খাতে ২৯টি প্রকল্প রয়েছে। আরও আছে স্বাস্থ্য খাতে ১২টি ও শিক্ষা খাতের ১১টি
প্রকল্প। বাকিগুলো অন্যান্য খাতের প্রকল্প। বৈদেশিক ঋণের জন্য যুক্ত হতে যাওয়া প্রকল্পগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রকল্প হলো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প। এটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৩ হাজার ১৫১ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এর মধ্যে বৈদেশিক ঋণ রয়েছে ৬১ হাজার ১৮৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। অর্থায়নের সম্ভাব্য উৎস হিসাবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণ পাওয়া আশা করা হচ্ছে। প্রকল্পটি চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০৩১ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে চায় সরকার। এছাড়া ঢাকা ম্যাস রেপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (মেট্রোরেল লাইন-৫) সাউদার্ন রুট প্রকল্পটি থাকছে এ তালিকায়। এটির মোট ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৪৭ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। এর মধ্যে বৈদেশিক
ঋণের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৩২ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে এডিবি, এক্সিম ব্যাংক অব কোরিয়ার কাছে অর্থপ্রাপ্তির প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ঋণ পেলে চলতি বছর থেকে ২০৩১ সালের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের সময়সীমা ধরা হয়েছে। মডার্নাইজেশন অ্যান্ড এক্সপানশন অব ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইন্সটলেশন অব ইআরএল ইউনিট-২) প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৪২ হাজার ৮৯৭ কোটি ৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্য ১২ হাজার ৮৬৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। ঋণ পাওয়া গেলে ২০৩০ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের লক্ষ্য রয়েছে। বাংলাদেশ সাউথ করিডর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (ফরিদপুর-বরিশাল ও বরিশাল-কুয়াকাটা) প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪ হাজার ৯১৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে বৈদেশিক
ঋণের লক্ষ্য ২৮ হাজার ১১৯ কোটি টাকা। এডিবির কাছ থেকে এ অর্থ পাওয়ার আশা করা হচ্ছে। ঋণ পেলে ২০৩১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করা হবে। কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড প্রাঙ্গণে বনায়নসহ পূর্ণাঙ্গ পেপার মিল ও অন্যান্য কেমিক্যাল প্ল্যান্ট স্থাপন প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮ হাজার ১২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্য ২৫ হাজার কোটি টাকা। ঋণ পাওয়া গেলে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর থেকে শুরু করে ২০৩০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের কথা রয়েছে। বৈদেশিক ঋণের আরও কয়েকটি প্রকল্প হলো-ভোলা ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্প, মাতারবাড়ী ১২০০ মেগাওয়াট আলট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, রামপুরা ১৫০ মেগাওয়াট (এসি) গ্রিড টাইড সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট ও নেসকো এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ প্রকল্প। এছাড়া বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউটের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা আধুনিকায়ন ও ক্ষমতা বর্ধন (চট্টগ্রাম-সিলেট বিভাগ) ও সাসেক চট্টগ্রাম পোর্ট একসেস সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প।
বৈঠকে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের। এ প্রসঙ্গে সাবেক পরিকল্পনা সচিব মামুন-আল-রশীদ শনিবার বলেন, এই তালিকা থাকলে তিন ধরনের লাভ হয়ে থাকে। প্রথমত, উন্নয়ন সহযোগীরা দেখতে পারবে মোটা দাগের সরকারের অগ্রাধিকারগুলো কোথায় এবং তাদের মন্ত্রণালয়গুলো বলতে পারবে এসব প্রকল্প এডিপিতে যুক্ত করা আছে। সুতরাং তোমরা অর্থায়ন করতে পারো। দ্বিতীয়ত, তালিকাভুক্ত প্রকল্পগুলো আগে থেকেই যুক্ত থাকায় মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর প্রস্তুতি নিতে সহজ হবে। নতুন করে এডিপিতে যুক্ত করতে গিয়ে প্রক্রিয়াগত ঝামেলায় পড়তে হবে না। তৃতীয়ত, সরকারও একটি প্রক্ষেপণ করে রাখল। যাতে আগামীতে প্রকল্প নিতে সহজ হয়। তবে ভিন্ন কথা বলেছেন
বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, এ ধরনের তালিকা এডিপিতে রেখে কী লাভ হচ্ছে সেটি একটি বড় প্রশ্ন। কেননা প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রকল্পের যৌক্তিকতাই একমাত্র বিবেচ্য বিষয় হওয়া উচিত। এখানে বরং এডিপিতে অনুমোদনহীন প্রকল্প রাখলে ক্ষতি হতে পারে। কেননা মন্ত্রণালয়গুলো এক ধরনের ইশারা পায়। ভবিষ্যতে এসব প্রকল্প প্রয়োজন কম বা না হলেও অনুমোদনে চাপ দেওয়ার সুযোগ থাকে। এছাড়া বিভিন্ন সময় বিশ্বব্যাংক এডিপিতে অনুমোদনহীন ও বরাদ্দ ছাড়া অনুমোদিত প্রকল্প রাখার বিষয়ে প্রশ্ন তুলে আসছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার। বৈদেশিক ঋণপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে সবার আগে দেখা হয়, প্রকল্পটির অনুমোদন প্রক্রিয়া যথাযথভাবে এগিয়েছে কিনা এবং একনেকে অনুমোদনপ্রাপ্ত কিনা। এসব
তালিকা বিবেচনায় আসে না। নতুন এডিপির খসড়া পর্যালোচনা করে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের বৈদেশিক অর্থায়নের সুবিধার্থে অননুমোদিত নতুন প্রকল্পের তালিকায় প্রকল্প ছিল ২৫৭টি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্যাপক যাচাই বাছাইয়ের পর ৫৭টি প্রকল্প বাদ দেওয়া হয়েছে। আগামী অর্থবছরের এডিপিতে ২০০টির তালিকা যুক্ত করা হবে। এর মধ্যে সাধারণ সরকারি সেবা খাতে রয়েছে ১৫টি প্রকল্প। এছাড়া জনশৃঙ্খলা ও সুরক্ষা খাতে আটটি, শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবায় ১০টি, কৃষি খাতে ১৩টি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে ৩৭টি, পরিবহণ ও যোগাযোগে ৩৭টি, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নে ১২টি এবং গৃহায়ন ও কমিউনিটি সুবিধাবলি খাতে ২৯টি প্রকল্প রয়েছে। আরও আছে স্বাস্থ্য খাতে ১২টি ও শিক্ষা খাতের ১১টি
প্রকল্প। বাকিগুলো অন্যান্য খাতের প্রকল্প। বৈদেশিক ঋণের জন্য যুক্ত হতে যাওয়া প্রকল্পগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রকল্প হলো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প। এটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৩ হাজার ১৫১ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এর মধ্যে বৈদেশিক ঋণ রয়েছে ৬১ হাজার ১৮৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। অর্থায়নের সম্ভাব্য উৎস হিসাবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণ পাওয়া আশা করা হচ্ছে। প্রকল্পটি চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০৩১ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে চায় সরকার। এছাড়া ঢাকা ম্যাস রেপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (মেট্রোরেল লাইন-৫) সাউদার্ন রুট প্রকল্পটি থাকছে এ তালিকায়। এটির মোট ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৪৭ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। এর মধ্যে বৈদেশিক
ঋণের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৩২ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে এডিবি, এক্সিম ব্যাংক অব কোরিয়ার কাছে অর্থপ্রাপ্তির প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ঋণ পেলে চলতি বছর থেকে ২০৩১ সালের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের সময়সীমা ধরা হয়েছে। মডার্নাইজেশন অ্যান্ড এক্সপানশন অব ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইন্সটলেশন অব ইআরএল ইউনিট-২) প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৪২ হাজার ৮৯৭ কোটি ৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্য ১২ হাজার ৮৬৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। ঋণ পাওয়া গেলে ২০৩০ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের লক্ষ্য রয়েছে। বাংলাদেশ সাউথ করিডর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (ফরিদপুর-বরিশাল ও বরিশাল-কুয়াকাটা) প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪ হাজার ৯১৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে বৈদেশিক
ঋণের লক্ষ্য ২৮ হাজার ১১৯ কোটি টাকা। এডিবির কাছ থেকে এ অর্থ পাওয়ার আশা করা হচ্ছে। ঋণ পেলে ২০৩১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করা হবে। কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড প্রাঙ্গণে বনায়নসহ পূর্ণাঙ্গ পেপার মিল ও অন্যান্য কেমিক্যাল প্ল্যান্ট স্থাপন প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮ হাজার ১২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্য ২৫ হাজার কোটি টাকা। ঋণ পাওয়া গেলে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর থেকে শুরু করে ২০৩০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের কথা রয়েছে। বৈদেশিক ঋণের আরও কয়েকটি প্রকল্প হলো-ভোলা ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্প, মাতারবাড়ী ১২০০ মেগাওয়াট আলট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, রামপুরা ১৫০ মেগাওয়াট (এসি) গ্রিড টাইড সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট ও নেসকো এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ প্রকল্প। এছাড়া বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউটের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা আধুনিকায়ন ও ক্ষমতা বর্ধন (চট্টগ্রাম-সিলেট বিভাগ) ও সাসেক চট্টগ্রাম পোর্ট একসেস সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প।