ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
আবু সাঈদ হত্যার বিচার নিয়ে সংশয়
কোটা সংস্কার আন্দোলনে রংপুরে আবু সাঈদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দুই পুলিশ সদস্যকে চারদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল গত মঙ্গলবার। তবে রিমান্ডের সময় শেষ হওয়ার একদিন আগেই আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়।
এছাড়া অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে নেই কোনো তৎপরতা। পুলিশ কর্মকর্তারা আসামি হলেও তাদের স্বপদে বহাল থাকাসহ নতুন করে কোনো আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় মামলার তদন্ত নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবীরা। সেইসঙ্গে সঠিক বিচার পাওয়া নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
পুলিশের গুলিতে নিহত রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বরখাস্ত দুই পুলিশ সদস্যকে রিমান্ড শেষ হওয়ার একদিন আগেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ড শেষ হওয়ার
একদিন আগেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাদের আদালতে তোলা হলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন রংপুর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান। এই দুই পুলিশ সদস্য হলেন তাজহাট থানার সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়। গত মঙ্গলবার সকালে ওই আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষ হওয়ার কথা ছিল আজ শুক্রবার। আদালত সূত্র জানায়, শুনানি শুরু হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও রংপুর পিবিআই’র পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন আদালতে লিখিতভাবে জানান, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের একজন অসুস্থ হয়ে পড়ায় চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী আপাতত রিমান্ডে রাখার প্রয়োজন নেই মর্মে কারাগারে পাঠানোর আবেদন
জানাচ্ছি। বাদীপক্ষের আইনজীবী রায়হানুজ্জামান রায়হান বলেন, ‘আদালতে আসামিদের উপস্থাপনের দিনে এএসআই আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র আদালতে স্বীকারোক্তি দিতে চেয়েছিলেন। পিবিআই সেসময় আদালতের কাছে তাদের পাঁচদিন রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতে আসামিরা কোনো স্বীকারোক্তি দেননি। আমাদের সন্দেহ হচ্ছে, তদন্ত কর্মকর্তা অবহেলা ও খামখেয়ালি করছেন কিনা। সেইসঙ্গে সঠিক বিচার নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে।’ আইনজীবী রায়হান বলেন, এই মামলার আসামি সবাই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। মামলা ফাইলের দিনে আদালত নির্দেশনা দিয়েছিল, মামলার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত পুলিশের সব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু এখনও স্বপদে বহাল থাকায় তারা মামলাকে প্রভাবিত করতে পারে। আগামী রোববারের মধ্যে পিবিআই পুনরায়
রিমান্ড না চাইলে আমরা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার পরিবর্তন চাইবো। যদিও তদন্ত কর্মকর্তা আদালতকে বলেছেন, তারা রিমান্ডে আসামিদের দেওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখছেন। প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে রিমান্ড চাইবেন। বাদীপক্ষের আরেক আইনজীবী শামীম আল মামুন বলেন, গ্রেপ্তার দুই পুলিশ সদস্য যাদের নির্দেশে গুলি চালিয়েছেন তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। তিনি বলেন, মামলার আসামি উপকমিশনার আবু মারুফ হোসেন, সহকারী কমিশনার আরিফুজ্জামান, আল ইমরান হোসেন, তাজহাট থানার তৎকালীন ওসি রবিউল ইসলামসহ পুলিশের যেসব ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তা এই ঘটনায় জড়িত আছেন, তাদের বিরুদ্ধে কোনো বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আজ পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। রংপুরের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ১৮ আগস্ট ১৭ জনকে আসামি
করে হত্যা মামলা করেন নিহত আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী। মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ ছিলেন অন্যতম সমন্বয়ক। গত ১৬ জুলাই আবু সাঈদ নিরস্ত্র ও একা থাকা সত্বেও এবং দৃশ্যত পুলিশের জন্য কোনো হুমকি না হওয়া সত্বেও শটগান দিয়ে নির্মম ও নৃশংসভাবে গুলি করা হয়। আবু সাঈদ পড়ে গিয়ে একাধিকবার দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নৃশংসভাবে গুলি করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও রংপুর পিবিআই’র পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন বলেন, রিমান্ডে থাকা পুলিশ সদস্যরা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তদন্তের স্বার্থে এখনই তা প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তথ্য
যাছাই-বাচাই করা হচ্ছে। কারণ তাদের হাতের শটগান, ব্যবহৃত বুলেটসহ বিভিন্ন বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার বিষয় আছে।
একদিন আগেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাদের আদালতে তোলা হলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন রংপুর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান। এই দুই পুলিশ সদস্য হলেন তাজহাট থানার সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়। গত মঙ্গলবার সকালে ওই আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষ হওয়ার কথা ছিল আজ শুক্রবার। আদালত সূত্র জানায়, শুনানি শুরু হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও রংপুর পিবিআই’র পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন আদালতে লিখিতভাবে জানান, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের একজন অসুস্থ হয়ে পড়ায় চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী আপাতত রিমান্ডে রাখার প্রয়োজন নেই মর্মে কারাগারে পাঠানোর আবেদন
জানাচ্ছি। বাদীপক্ষের আইনজীবী রায়হানুজ্জামান রায়হান বলেন, ‘আদালতে আসামিদের উপস্থাপনের দিনে এএসআই আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র আদালতে স্বীকারোক্তি দিতে চেয়েছিলেন। পিবিআই সেসময় আদালতের কাছে তাদের পাঁচদিন রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতে আসামিরা কোনো স্বীকারোক্তি দেননি। আমাদের সন্দেহ হচ্ছে, তদন্ত কর্মকর্তা অবহেলা ও খামখেয়ালি করছেন কিনা। সেইসঙ্গে সঠিক বিচার নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে।’ আইনজীবী রায়হান বলেন, এই মামলার আসামি সবাই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। মামলা ফাইলের দিনে আদালত নির্দেশনা দিয়েছিল, মামলার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত পুলিশের সব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু এখনও স্বপদে বহাল থাকায় তারা মামলাকে প্রভাবিত করতে পারে। আগামী রোববারের মধ্যে পিবিআই পুনরায়
রিমান্ড না চাইলে আমরা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার পরিবর্তন চাইবো। যদিও তদন্ত কর্মকর্তা আদালতকে বলেছেন, তারা রিমান্ডে আসামিদের দেওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখছেন। প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে রিমান্ড চাইবেন। বাদীপক্ষের আরেক আইনজীবী শামীম আল মামুন বলেন, গ্রেপ্তার দুই পুলিশ সদস্য যাদের নির্দেশে গুলি চালিয়েছেন তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। তিনি বলেন, মামলার আসামি উপকমিশনার আবু মারুফ হোসেন, সহকারী কমিশনার আরিফুজ্জামান, আল ইমরান হোসেন, তাজহাট থানার তৎকালীন ওসি রবিউল ইসলামসহ পুলিশের যেসব ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তা এই ঘটনায় জড়িত আছেন, তাদের বিরুদ্ধে কোনো বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আজ পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। রংপুরের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ১৮ আগস্ট ১৭ জনকে আসামি
করে হত্যা মামলা করেন নিহত আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী। মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ ছিলেন অন্যতম সমন্বয়ক। গত ১৬ জুলাই আবু সাঈদ নিরস্ত্র ও একা থাকা সত্বেও এবং দৃশ্যত পুলিশের জন্য কোনো হুমকি না হওয়া সত্বেও শটগান দিয়ে নির্মম ও নৃশংসভাবে গুলি করা হয়। আবু সাঈদ পড়ে গিয়ে একাধিকবার দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নৃশংসভাবে গুলি করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও রংপুর পিবিআই’র পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন বলেন, রিমান্ডে থাকা পুলিশ সদস্যরা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তদন্তের স্বার্থে এখনই তা প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তথ্য
যাছাই-বাচাই করা হচ্ছে। কারণ তাদের হাতের শটগান, ব্যবহৃত বুলেটসহ বিভিন্ন বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার বিষয় আছে।