আইএমএফের চাপে পণ্য ও সেবায় বাড়তি ভ্যাটের বোঝা – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ২ জানুয়ারি, ২০২৫
     ৫:০৭ অপরাহ্ণ

আইএমএফের চাপে পণ্য ও সেবায় বাড়তি ভ্যাটের বোঝা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৫:০৭ 163 ভিউ
রাজস্ব আদায়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণ করতে গিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য ও সেবায় যোগ হচ্ছে বাড়তি করের বোঝা। ওষুধ, গুঁড়ো দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, মিষ্টি, মোবাইলে কথা বলা, ইন্টারনেট ব্যবহার, হোটেল-রেস্তোরাঁয় খাবার, বিমানের টিকিটসহ সিগারেট এবং তামাক রয়েছে বাড়তি ভ্যাট ও শুল্ক-করের তালিকায়। ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তির শর্ত হিসেবে আইএমএফ চলতি অর্থবছর বাড়তি ১২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করতে বলেছে। সে কারণে অর্থবছরের মাঝপথে এসে এভাবে হঠাৎ ভ্যাটের বোঝা বাড়ানোর পথে হাঁটছে এনবিআর। এনবিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে ৪৩ ধরনের পণ্য ও সেবার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা

হয়েছে। এসব পণ্য ও সেবায় বর্তমানে ৫ শতাংশ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট রয়েছে। বুধবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব তোলা হলে তাতে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয় বলে এনবিআরের ভ্যাট অনুবিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রেস্তোরাঁয় এখন খাওয়ার বিলের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়; এটি বেড়ে ১৫ শতাংশ হতে যাচ্ছে। বর্তমানে তৈরি পোশাকের আউটলেটে বিলের ওপর সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট রয়েছে; সেটিও বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে মিষ্টির দোকান ও নন-এসি হোটেলে সেবার ক্ষেত্রে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে। উৎপাদন পর্যায়ে বিস্কুট, আচার, সিআর কয়েল, ম্যাট্রেস, ট্রান্সফরমার, টিস্যু পেপার

এবং বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) ড্রাইভিং লাইসেন্সের কার্ড বানানোর সময়ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসানোর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক লেনদেনের ওপর ভিত্তি করে টার্নওভার কর বসানোরও উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এখন ৫০ লাখ থেকে ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত টার্নওভারে কর দিতে হয়। নতুন সিদ্ধান্তে বছরে ৩০ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকা লেনদেন হলেই টার্নওভার কর দিতে হতে পারে। আর বার্ষিক লেনদেন ৫০ লাখ টাকার বেশি হলে সব পণ্য ও সেবা বেচাকেনায় ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট বসানোর প্রস্তাব করেছে এনবিআর। মদ পানের বিলের ওপর বিদ্যমান ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আমদানি পর্যায়ে ফলের

রসে সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ; তামাকে ৬০ থেকে ১০০ শতাংশ; সুপারিতে ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মোবাইল ফোনে কথা বলায় (টকটাইম) সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। উড়োজাহাজের টিকেটের ক্ষেত্রে আবগারি শুল্ক বাড়ছে। দেশের ভেতরে বিমানযাত্রায় আবগারি শুল্কের পরিমাণ ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০০ টাকা, বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে সার্কভুক্ত দেশ ভ্রমণে ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০০ টাকা হতে পারে। সার্কভুক্ত দেশের বাইরে কিন্তু এশিয়ার মধ্যে হলে সেক্ষেত্রে আবগারি শুল্ক ২ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে আড়াই হাজার টাকা এবং ইউরোপ ও আমেরিকা ভ্রমণের ক্ষেত্রে ৩ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ হাজার

টাকা করা হতে পারে। জাতীয় সংসদ ছাড়া কর বাড়ানোর সুযোগ না থাকায় রাষ্ট্রপতির আদেশে অধ্যাদেশ দিয়ে কর বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহেই এ অধ্যাদেশ জারি হতে পারে বলে কর্মকর্তারা বলেছেন। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের চতুর্থ কিস্তি পাওয়ার আগে চলতি অর্থবছরে কর-জিডিপি অনুপাত ০.৬ শতাংশ পয়েন্ট বাড়ানোর কঠিন শর্তের মুখে পড়ে এনবিআর। ৪ ডিসেম্বর ঢাকা সফররত আইএমএফ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে এনবিআর চলতি অর্থবছরের জন্য আগের দেওয়া শর্ত শিথিল করে কর-জিডিপি অনুপাত ০.৪ শতাংশ পয়েন্ট বাড়ানোর সুযোগ চেয়েছিল। আইএমএফ সেই প্রস্তাবে রাজি হলেও গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরেও এনবিআর শর্ত পূরণ করতে না পারায় চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাড়তি আরও ০.২ শতাংশ পয়েন্ট

বাড়ানোর শর্ত জুড়ে দেয়। এরপর থেকে অর্থ উপদেষ্টা এবং এনবিআর চেয়ারম্যান বিভিন্ন আয়োজনে কর বাড়ানোর কথা বলে আসছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
অবৈধ দখলদার সরকারের শাসনে জনরোষ, ঘরে ঘরে অসন্তোষ জামাতি ষড়যন্ত্রে নির্বাচন অনিশ্চিত, দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষমতায় থাকছেন ডঃ ইউনুস! ইউক্রেন হওয়ার পথে বাংলাদেশ, আতঙ্কিত জনগণ ড. ইউনুসের কূটনীতি সেভেন সিস্টার্সের জন্য চ্যালেঞ্জ বাড়াচ্ছে ১৭ ডিসেম্বর ১৯৭১—অস্ত্রহীন এক ভারতীয় সেনা আর বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে সাহসী উদ্ধার ধর্মান্ধতার নৃশংস উন্মাদনা—ভালুকায় হিন্দু শ্রমিককে হত্যা করে মরদেহে আগুন আইন-শৃঙ্খলা সংকটে বাংলাদেশ,হাদীর মৃত্যুর পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে, নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ সরকার বিজয় দিবসে ফুল দেওয়াই অপরাধ—এই রাষ্ট্র এখন কার দখলে? লুটপাটের মহোৎসবে ঢাকার পানি প্রকল্প বিজয় দিবসের ডিসপ্লেতে একাত্তরের সত্য—সহ্য করতে না পেরে শিশুদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল জামায়াত–শিবির বাংলাদেশের গর্ব, ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতীক ছায়ানট— অ/গ্নি/সন্ত্রা/সে ভস্মীভূত প্রথম আলো–ডেইলি স্টার কার্যালয়, ধ্বং/স/স্তূপে পরিণত সংবাদকেন্দ্র সংবাদমাধ্যমে স/ন্ত্রা/স: উ/গ্র/বাদী/দের হামলায় স্তব্ধ “প্রথম আলো” ও “ডেইলি স্টার” ছাপা ও অনলাইন কার্যক্রম বন্ধ। গণমাধ্যমে হামলাকারীদের ‘বি/চ্ছি/ন্নতাবাদী উগ্রগোষ্ঠী’ বলে আখ্যায়িত করল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নয়া বন্দোবস্তের বাংলাদেশে জলে, স্থলে, অন্তরীক্ষে জামাতময় বিজয় উৎসব! তারেকের দেশে ফেরার আগে লন্ডনে জামায়াত আমির: সমঝোতা নাকি গোপন ষড়যন্ত্রের ছক? ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ধ্বংসের মুখে, ইউনূস শাসনে অর্থনীতি ধ্বস! শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আইসিটির রায় ‘আইনগতভাবে অবৈধ’: মোহাম্মদ আলী আরাফাত একজন বিদেশি বীরপ্রতীকের গল্প Bangladesh’s Export Downturn: Four Months of Decline