অনিশ্চয়তার পথে রাজনীতি – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ১৭ অক্টোবর, ২০২৫
     ৬:৪৯ পূর্বাহ্ণ

অনিশ্চয়তার পথে রাজনীতি

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৭ অক্টোবর, ২০২৫ | ৬:৪৯ 13 ভিউ
বহুল কাঙ্ক্ষিত জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুতে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য দেখা দিয়েছে। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়ন নিয়ে দলগুলোর মধ্যে নানারকম বিভক্তিও প্রকাশ্যে আসছে। ফলে সরকার আজ সনদে স্বাক্ষরের তারিখ চূড়ান্ত করলেও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) স্বাক্ষর না করার ঘোষণা দিয়েছে। ভিন্ন দাবিতে স্বাক্ষর না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৪টি বাম দল ও গণফোরাম। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেবে। কিন্তু নিজেরা স্বাক্ষরের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। এছাড়াও আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে ধারাবাহিক আন্দোলনে থাকবে দলটি। এদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও সমমনা দলগুলো বলছে, তাদের আপত্তি দেওয়া (নোট অব ডিসেন্ট) বিষয়গুলো না থাকলে তারা সনদে স্বাক্ষর

করছে না। দলটি বলছে, দেশের আকাশে কালো মেঘ দেখা যাচ্ছে। এটি বিস্তৃত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হতে না পারলে এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছু হতে পারে না। এছাড়াও কেউ কেউ মনে করছেন, দেশের অস্তিত্ব হুমকিতে রয়েছে। তবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ মনে করেন, সনদে এনসিপির স্বাক্ষর না করার বিষয়টি দুঃখজনক। জানতে চাইলে রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ বলেন, জুলাই সনদ খুব ভালো বিষয়। এটি দেশের জন্য ইতিবাচক। কিন্তু দলীয় সংকীর্ণতার কারণে রাজনৈতিক দলগুলো এই ইস্যুতে সমঝোতায় আসতে পারছে না। শেষ পর্যন্ত এই সমঝোতা না হলে এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছু হতে

পারে না। তিনি বলেন, এমনিতেই দেশের অস্তিত্ব নিয়ে সংকট দেখা দিয়েছে। সামরিক বাহিনী নিয়ে যা হচ্ছে, তা খুবই উদ্বেগজনক। বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই চিন্তিত। এই অবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করতে না পারলে তা গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর নিজেদের মধ্যে এ সমস্যার কারণেই আজ দেশের এই অবস্থা। প্রসঙ্গত, জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর হচ্ছে আজ। এক্ষেত্রে দীর্ঘ আলোচনার পর সনদ চূড়ান্ত হয়েছে। তবে বাস্তবায়ন পদ্ধতি ও আইনি ভিত্তি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো বিভক্ত। এখনো তারা ঐকমত্যে আসতে পারেনি। গণভোটের মাধ্যমে সনদ বাস্তবায়নে রাজি রাজনৈতিক দলগুলো। তবে গণভোটের সময় নিয়ে শেষ দিনেও দলগুলো একমত হতে পারেনি। বিএনপি চায় সংসদ নির্বাচনের দিনই

গণভোট। জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি চায় নভেম্বরে গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন। আর সনদের ভিত্তিতেই হবে ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন। অন্যদিকে সনদের ৮৪টি প্রস্তাবের মধ্যে বেশকিছু প্রস্তাবে আপত্তি দিয়েছে বিএনপি। এগুলো নিয়ে এখন অনেকটা মুখোমুখি অবস্থানে চলে গেছে দলগুলো। সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, জুলাই সনদ নিয়ে এককথায় আমার মূল্যায়ন হলো-বাঁশের মই দিয়ে চাঁদে যাওয়ার মতো। কীভাবে বাঁশের মই দিয়ে চাঁদে যাওয়া যায়, এ নিয়ে ৬০ বছর বা এর বেশি সময়ও আলোচনা হতে পারে। কিন্তু চাঁদে যাওয়া সম্ভব নয়। তিনি বলেন, এই জুলাই সনদে অনেক কিছু আছে, যা সংবিধান পরিপন্থি। এটি কীভাবে বাস্তবায়ন হবে। তার মতে, সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন। এ

আইনের পরিপন্থি যে কোনো আইন এমনিতেই বাতিল হয়ে যায়। এক্ষেত্রে সনদকে সংবিধানের উপরে স্থান দেওয়ার মানে হলো সংবিধান বাতিল করে দেওয়া। অন্যদিকে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির কথা বলা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৬টি দল বলছে স্বাক্ষর করবে না। কিন্তু সব দল স্বাক্ষর করলেও কি এর আইনি ভিত্তি দাঁড়াবে-প্রশ্ন রাখেন তিনি। ড. শাহদীন মালিক বলেন, বর্তমান সংবিধানে জাতীয় সংসদে দ্বিকক্ষের কথা নেই। পিআর পদ্ধতি চালুর কথা বলা নেই। এটি কীভাবে বাস্তবায়ন হবে। এসব অদ্ভুত কথাবার্তা। তিনি বলেন, সংবিধান সংশোধন করার ম্যান্ডেড (বৈধতা) আপনাদের কে দিয়েছে? নির্বাচিত সংসদ ছাড়া সংবিধান সংশোধন করা যায় না। অর্থাৎ এ প্রক্রিয়ার গোড়ায় গলদ আছে। বিএনপি : জুলাই সনদ নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে

এক অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জুলাই সনদ নিয়ে এখন পর্যন্ত আমরা অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছি। নোট অব ডিসেন্টে আমরা যেভাবে বলেছি, সেই কথাগুলো ওইভাবে লিপিবদ্ধ করা হলে আমরা জুলাই সনদে অবশ্যই স্বাক্ষর করব। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতেই হতে হবে নির্বাচন। এ নিয়ে কোনো আপস নেই। তার মতে, ভোট পেছানোর জন্যই নানা দাবি নিয়ে সরকারকে ব্যস্ত রাখতে সোচ্চার একটি পক্ষ। এদিকে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, গণভোটের নামে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করে ফ্যাসিবাদকে ফেরানোর সুযোগ দিলে জনগণ ক্ষমা করবে না। তিনি বলেন, প্রত্যেক দলের ঐক্যবদ্ধভাবে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে হবে। এটি না করলে

সমস্যা। কারণ বর্তমানে কালো মেঘ আমাদের মাথার ওপর ঘোরাফেরা করছে। এই মেঘ বিস্তৃত হওয়ার অনেক নমুনা দেখছি। এ সময় শর্ত দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে না করার আহ্বান জানান তিনি। এছাড়াও জুলাই সনদসহ সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে রাজধানীর নয়া পল্টনের দলীয় কার্যালয়ে বুধবার কথা বলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ সময় তিনি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোট একসঙ্গে করার পক্ষে বিএনপি। এছাড়া উপায় নেই। কারণ গণভোট আগে হলে জাতীয় নির্বাচনে বিলম্ব হবে। আর জনগণের নির্বাচিত সরকার দ্রুত না এলে সংকট আরও ঘনীভূত হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ মোহাম্মদ শাহান বলেন, জুলাই বাস্তবায়নে নোট অব ডিসেন্ট একটি চ্যালেঞ্জ। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলো বিভক্ত। তিনি বলেন, যে বিষয়গুলো নোট অব ডিসেন্ট আছে, সেগুলোতে জনমত পক্ষে এলে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার বাধ্যতামূলকভাবে জনমতের পক্ষেই সংবিধান সংশোধন করবে, নাকি তাদের দলীয় অবস্থানের পক্ষে থাকবে, সে প্রশ্নের উত্তর আমরা পাইনি। এই উত্তর না পাওয়াটা জুলাই সনদের বাস্তবায়নকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলবে। তিনি আরও বলেন, এনসিপি এক ধরনের দাবি করছে। আবার বিএনপি চাচ্ছে অন্য কিছু। তাহলে সমাধান কীভাবে সম্ভব? এতদিন পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলে আসছেন, রাজনৈতিক দলগুলো যেভাবে চাইবে, সেভাবে সনদ বাস্তবায়ন হবে। কিন্তু দলগুলো একটি অবস্থানে আসতে পারছে না। এ অবস্থায় সরকারকে একটি অবস্থান নিতে হবে। জামায়াত : জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেবে জামায়াতে ইসলামী। তবে সনদ স্বাক্ষরের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি দলটি। বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এ কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, নভেম্বরে গণভোটের উপযুক্ত সময়। কিন্তু সে ব্যাপারে সরকার এখনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না। তার মতে, গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একদিনে হলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। এক্ষেত্রে সনদ বাস্তবায়ন হলো কিনা বা কী কী সংস্কার হচ্ছে-ভোট দেওয়ার সময় মানুষ তা জানতে পারবে না। ফলে আগে গণভোট হতে হবে। এরপর সংস্কারের বিষয়ে মানুষ জানবে। পরে মাথা ঠান্ডা করে ভোট দেবে। এনসিপি : জুলাই সনদ ইস্যুতে বৃহস্পতিবার সকালে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এনসিপি। সেখানে দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, আইনি ভিত্তি ছাড়া জুলাই সনদ স্বাক্ষরের বিষয়টি শুধু আনুষ্ঠানিকতা। আর আইনি ভিত্তি এবং আদেশের ব্যাপারে নিশ্চয়তা ছাড়া সনদে স্বাক্ষর করলে সেটা হবে মূল্যহীন। এ কারণে তারা শুক্রবারের স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের অংশীদার হবে না। তিনি বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের সময়ও আইনি ভিত্তির কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তা নিয়ে প্রতারণা করা হয়েছে। ঘোষণাপত্রের আগেও দাবি ছিল আইনি ভিত্তি থাকবে। কিন্তু সেটা হয়নি। ফলে ‘আমরা আরেক ঘটনার সাক্ষী হতে চাই না, যেটার আসলে কোনো মিনিং নেই।’ তার মতে, শুধু কয়েকটি রাজনৈতিক দল এক জায়গায় বসে একটি দীর্ঘ আলোচনায় কিছু বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোই যথেষ্ট নয়। রাজনৈতিক দলগুলোকে নিশ্চয়তা দিতে হবে, পরবর্তী সময়ে ক্ষমতায় গেলে সেগুলো বাস্তবায়ন করবে। তিনটি বিষয় পরিষ্কার হওয়ার পর জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হতে পারে। প্রথমত, এই সরকারের বৈধতার মূল উৎস জুলাই গণ-অভ্যুত্থান। ফলে জুলাই সনদের বৈধতার উৎস হতে হবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান। সেই জায়গা থেকে সেটি রাষ্ট্রপতি নয়, বরং সরকারপ্রধান হিসাবে মুহাম্মদ ইউনূস জারি করবেন। দ্বিতীয়ত, জুলাই সনদে ৮৪টি বিষয় রয়েছে। এই ৮৪টি বিষয় একত্রে গণভোটে যাবে। গণভোটে ‘নোট অব ডিসেন্ট’র আলাদা কোনো কার্যকারিতা থাকবে না। তৃতীয়ত, গণভোটের দ্বারা জনগণ সনদ অনুমোদন করলে, অর্থাৎ পক্ষে ভোট দিলে পরবর্তী সংসদ সনদ অনুযায়ী সংবিধান সংস্কার করবে। চার বাম দল ও গণফোরাম : সনদে স্বাক্ষর না করার ঘোষণা দিয়েছে বামপন্থি চারটি রাজনৈতিক দল। দলগুলো হলো-বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশ জাসদ ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)। গত বুধবার দলগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জুলাই সনদের সংবিধানের চার মূলনীতি উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়াও আরও কয়েকটি কারণে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে গণফোরাম বলছে, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণাসংক্রান্ত টেলিগ্রাম এবং ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। এটি নিশ্চিত করা না হলে তারা স্বাক্ষর করবে না।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
প্রাপ্তবয়স্কদের চ্যাটজিপিটি দিয়ে ‘ইরোটিক’ কনটেন্ট তৈরি করতে দেবে ওপেনএআই অনিশ্চয়তার পথে রাজনীতি ইংরেজির ধাক্কায় ফল বিপর্যয় এখনও জ্বলছে আগুন, ভেঙে পড়েছে ভবনের ছাদ তিস্তাপারে বিশাল মশাল প্রজ্বালন আগামী বছর ঈদ কবে, জানা গেল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে না সিপিবি গণফোরামসহ পাঁচ দল পাকিস্তান-আফগানিস্তানকে বিভেদ কমিয়ে ঐক্যের ডাক ইরানের আফগানিস্তানে ভারত-পাকিস্তান ছায়াযুদ্ধ কিংবদন্তি অভিনেত্রী মধুমতী আর নেই ১১১ কোটি টাকার বাংলো কাকে উপহার দিলেন কোহলি? মালয়েশিয়ায় ২ বাংলাদেশি যুবকের লাশ উদ্ধার পর্তুগালে আলো ছড়াচ্ছেন বাংলাদেশের শাহ আলম শেখ হাসিনার সরকার হটাতে মার্কিন নীলনকশার গোপন নথি ফাঁস সিইপিজেডে অগ্নিকাণ্ড: আগুন ছড়িয়ে পড়েছে পাশের ৪ তলা ভবনেও, কাজ করছে ১৯টি ইউনিট হামাসকে অস্ত্র ছাড়তে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: গাজায় শান্তি চুক্তির প্রথম পর্যায় সফল লামিয়া কি তবে ডি-ফ্যাক্টো প্রধান উপদেষ্টা? কী ঘটছে প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের কারখানায়? স্থায়ীভাবে বন্ধের হুঁশিয়ারি মালিকপক্ষের সিলেটের ছাত্রলীগ কর্মী আরাফাত কারাগার থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে কৃতকার্য বারবার সংবিধান লঙ্ঘন এবং সংবিধান পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অপরাধে অপরাধী অন্তবর্তী সরকার